আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
বিপিএলের মঞ্চে আলো ছড়িয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলেছে, এমন ক্রিকেটারের তালিকা নেহাত কম নয়। তাওহীদ হৃদয়, মুনীম শাহরিয়ার, মেহেদী মারুফ, রনি তালুকদার, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও জাকের আলীর মতো প্রতিভারা স্পটলাইটের আলোয় এসেছেন বিপিএলে ভালো করে। পরে তাঁদের কজন সঠিক পথে আছেন, সেটি ভিন্ন আলোচনা। তবে সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে কে কে নতুন করে চেনালেন, সেটি ফিরে তো দেখাই যায়। জাতীয় দলে এখনো জায়গা পাকা করতে না পারা নাঈম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমন, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার আলিস ইসলামকে অনায়াসে রাখতে হবে এ তালিকায়।
নাঈমকে মুশফিকের পরামর্শ
গত ডিসেম্বরে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ৩১৬ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন নাঈম। বিপিএলেও তিনিই শীর্ষ রান সংগ্রাহক। খুলনা টাইগার্সের হয়ে পাওয়ার প্লেতে তাঁর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং বিশেষ নজর কেড়েছে। স্কয়ার দ্য উইকেটে খেলে নিজের শটের রেঞ্জ বুঝিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। বিপিএলে নির্দিষ্ট মৌসুমে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ৫০০ রান করেছেন। নাঈম মাত্র ৫ রানের জন্য নাজমুল হোসেন শান্তর রেকর্ড ৫১৬ রান টপকাতে পারেননি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কাল আজকের পত্রিকাকে নাঈম বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি টুর্নামেন্টে নিজের শতভাগ দিয়েছি। অফ-সিজনে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আগে অফ-স্পিনে সংগ্রাম করতাম। ডট বল কমিয়ে কীভাবে স্ট্রাইক রোটেট করা যায়, সেই জায়গায় কাজ করেছি। রেঞ্জ হিটিং নিয়েও উন্নতি করেছি। তিন বছর আগে মুশফিক ভাই বলেছিলেন, রিভার্স সুইপ শিখলে ব্যাটিং সহজ হবে। এখন অফ-স্পিনে সুইপ ও রিভার্স সুইপে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। এসব পরিবর্তনেই ভালো সাফল্য এনে দিয়েছে আমাকে।’
টেইটের সান্নিধ্যে খালেদ
এবারের বিপিএলে উইকেটশিকারের তালিকায় তাসকিন আহমেদকে কেউ টপকাতে পারেননি। তবে তাঁকে টপকে যাওয়ার ‘হুমকি’ দিচ্ছিলেন খালেদ। চিটাগং কিংসের সেরা পেসার এবারের বিপিএলে ২০ উইকেট নিয়ে উইকেটশিকারির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। কোচ শন টেইটের পরামর্শ অনুসরণ করে তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছেন। ফাইনালে যদিও উইকেটশূন্য ছিলেন, তবে পুরো টুর্নামেন্টে খালেদ নিজেকে মেলে ধরেছেন অন্যভাবে। কাল তিনি বললেন, ‘এবার নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছি। কোচ শন টেইট আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, বলেছে তুমি আমাদের প্রধান বোলার। আমি চেষ্টা করেছি, যদিও বড় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বোলিং করা কঠিন ছিল। তবে দলকে চ্যাম্পিয়ন দেখলে আরও ভালো লাগত।’
তবু ইমনের আফসোস
পারভেজ হোসেন ইমন হয়তো নাঈমের মতো অতটা ধারাবাহিক ছিলেন না লিগ পর্বে। তবে শেষ দিকে পাঁচ ম্যাচে দুটি ৭০ পেরোনো ইনিংস খেলে তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছেন। তবে তাঁর দল চিটাগং কিংস পারেনি ট্রফিটা জিততে। নিজের ছন্দে ফিরে পেলেও কিছুটা আফসোস থেকে গেছে ইমনের, ‘নিজের যে স্কিল আছে, তা নিয়েই কাজ করেছি। শট খেলতে পছন্দ করি, টি-টোয়েন্টিতে রান করতে না পারলে লাভ নেই। চেষ্টা করেছি এবং ভালো লাগছে রান পেয়েছি। তবে লিগে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
বিপিএলের মঞ্চে আলো ছড়িয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলেছে, এমন ক্রিকেটারের তালিকা নেহাত কম নয়। তাওহীদ হৃদয়, মুনীম শাহরিয়ার, মেহেদী মারুফ, রনি তালুকদার, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও জাকের আলীর মতো প্রতিভারা স্পটলাইটের আলোয় এসেছেন বিপিএলে ভালো করে। পরে তাঁদের কজন সঠিক পথে আছেন, সেটি ভিন্ন আলোচনা। তবে সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে কে কে নতুন করে চেনালেন, সেটি ফিরে তো দেখাই যায়। জাতীয় দলে এখনো জায়গা পাকা করতে না পারা নাঈম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমন, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার আলিস ইসলামকে অনায়াসে রাখতে হবে এ তালিকায়।
নাঈমকে মুশফিকের পরামর্শ
গত ডিসেম্বরে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ৩১৬ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন নাঈম। বিপিএলেও তিনিই শীর্ষ রান সংগ্রাহক। খুলনা টাইগার্সের হয়ে পাওয়ার প্লেতে তাঁর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং বিশেষ নজর কেড়েছে। স্কয়ার দ্য উইকেটে খেলে নিজের শটের রেঞ্জ বুঝিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। বিপিএলে নির্দিষ্ট মৌসুমে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ৫০০ রান করেছেন। নাঈম মাত্র ৫ রানের জন্য নাজমুল হোসেন শান্তর রেকর্ড ৫১৬ রান টপকাতে পারেননি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কাল আজকের পত্রিকাকে নাঈম বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি টুর্নামেন্টে নিজের শতভাগ দিয়েছি। অফ-সিজনে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আগে অফ-স্পিনে সংগ্রাম করতাম। ডট বল কমিয়ে কীভাবে স্ট্রাইক রোটেট করা যায়, সেই জায়গায় কাজ করেছি। রেঞ্জ হিটিং নিয়েও উন্নতি করেছি। তিন বছর আগে মুশফিক ভাই বলেছিলেন, রিভার্স সুইপ শিখলে ব্যাটিং সহজ হবে। এখন অফ-স্পিনে সুইপ ও রিভার্স সুইপে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। এসব পরিবর্তনেই ভালো সাফল্য এনে দিয়েছে আমাকে।’
টেইটের সান্নিধ্যে খালেদ
এবারের বিপিএলে উইকেটশিকারের তালিকায় তাসকিন আহমেদকে কেউ টপকাতে পারেননি। তবে তাঁকে টপকে যাওয়ার ‘হুমকি’ দিচ্ছিলেন খালেদ। চিটাগং কিংসের সেরা পেসার এবারের বিপিএলে ২০ উইকেট নিয়ে উইকেটশিকারির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। কোচ শন টেইটের পরামর্শ অনুসরণ করে তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছেন। ফাইনালে যদিও উইকেটশূন্য ছিলেন, তবে পুরো টুর্নামেন্টে খালেদ নিজেকে মেলে ধরেছেন অন্যভাবে। কাল তিনি বললেন, ‘এবার নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছি। কোচ শন টেইট আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, বলেছে তুমি আমাদের প্রধান বোলার। আমি চেষ্টা করেছি, যদিও বড় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বোলিং করা কঠিন ছিল। তবে দলকে চ্যাম্পিয়ন দেখলে আরও ভালো লাগত।’
তবু ইমনের আফসোস
পারভেজ হোসেন ইমন হয়তো নাঈমের মতো অতটা ধারাবাহিক ছিলেন না লিগ পর্বে। তবে শেষ দিকে পাঁচ ম্যাচে দুটি ৭০ পেরোনো ইনিংস খেলে তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছেন। তবে তাঁর দল চিটাগং কিংস পারেনি ট্রফিটা জিততে। নিজের ছন্দে ফিরে পেলেও কিছুটা আফসোস থেকে গেছে ইমনের, ‘নিজের যে স্কিল আছে, তা নিয়েই কাজ করেছি। শট খেলতে পছন্দ করি, টি-টোয়েন্টিতে রান করতে না পারলে লাভ নেই। চেষ্টা করেছি এবং ভালো লাগছে রান পেয়েছি। তবে লিগে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে