Ajker Patrika

বাবার সামনে দেশকে ফাইনালে তুললেন মিচেল 

বাবার সামনে দেশকে ফাইনালে তুললেন মিচেল 

খেলোয়াড়ের রক্ত ধমনিতে বইছে ডেরিল মিচেলের। বাবা ছিলেন নিউজিল্যান্ড রাগবি জাতীয় দলের কোচ। চাইলে অনুসরণ করতে পারতেন বাবাকে। কিন্তু মিচেলের পথ বেঁকে গেল ক্রিকেটের দিকে। সেই ক্রিকেটার সন্তানকে নিয়ে নিশ্চয়ই এখন গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে জন মিচেলের! 

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার হলেও ডেরিল মিচেলের কৈশোরটা  কেটেছে লন্ডনে। বাবা লন্ডনের একাধিক রাগবি দলকে কোচিং করিয়েছেন, সেই সুবাদে ইংল্যান্ডে বসবাস। বাসার খুব কাছেই ছিল লর্ডস স্টেডিয়াম। ডেরিল মিচেলের মস্তিষ্কে ক্রিকেটের পোকা ঢুকেছে তখনই। নিউজিল্যান্ডের জনগণ এখন বলতেই পারেন, ভাগ্যিস ক্রিকেটার হয়েছিলেন মিচেল। নইলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের প্রতিশোধ কে নিত? 

ওপেনার হয়েও কাল ফিনিশারের ভূমিকায় নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছেন ডেরিল মিচেল। খেলেছেন ৪৭ বলে ৭২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ছেলের আগুনে ব্যাটিং গ্যালারিতে বসে দেখেছেন জন মিচেল ও তার স্ত্রী। বাবা-মাকে দেখে ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত সেরা ইনিংসটাই খেললেন ডানহাতি ব্যাটার। 

ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে নিয়ে বাবাকে স্মরণ করলেন মিচেল, ‘পৃথিবীর এখন যা অবস্থা, এর মধ্যেও অর্ধেক দুনিয়া ঘুরে বাবা আমার খেলা দেখতে এসেছেন। এর চেয়ে গর্বের আর কিছু হয় না।’

বলতে গেলে এক হাতে ম্যাচ জিতিয়েছেন মিচেল। নিজে এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে কিছুক্ষণ পরপর সাজঘরে আসা যাওয়া করেছেন বাকি সতীর্থরা। খেলতে যে বেগ পেতে হয়েছে তা সরল ভাষাতেই স্বীকার করলেন ডানহাতি ওপেনার,‘এই উইকেটে ব্যাট করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বল অনেক ধীরে আসছিল। ডেভন কনওয়ে মাঝের ওভারে ও শেষ দিকে জিমি নিশাম যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। আমরা জানতাম, কয়েকটা বড় ওভার পেলেই খেলা ঘুরে যাবে। তাই শেষ পর্যন্ত খেলা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত