Ajker Patrika

বিসিবি নির্বাচন

আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ‘ডেকে নিয়ে হুমকি’ ও ‘ভোট দিতে চাপ সৃষ্টির’ অভিযোগ আমিনুল হকের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৫৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ২১ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার ও নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ক্যাটাগরি–৩ থেকে হেরে যাওয়া এক প্রার্থী বলেছেন, নির্বাচনে যা ঘটেছে, তা ফিক্সিংয়ের চেয়েও গভীর।

আজ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা, সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও দলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক সরাসরি অভিযোগ করেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। অনেক কাউন্সিলর আমাকে জানিয়েছেন, তাঁদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং ভোট দিতে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিসিবি পুরো দেশের, এটি কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ক্রীড়া উপদেষ্টা কার্যত এটিকে নিজের প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি এমনকি বলেছেন, যেকোনো মূল্যে বুলবুল ভাইকে সভাপতি করবেন। এটি স্বেচ্ছাচারিতা এবং বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটপ্রেমী এটি মেনে নেবে না।’

আমিনুলের অভিযোগ অনুযায়ী, ক্লাব ক্যাটাগরিতে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নির্বাচনে প্রভাব প্রয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, দুটি ক্লাব নিয়ে সমস্যা ছিল, যা গণমাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে। সেই চারটি ক্লাবের প্রতিনিধি এখন বোর্ড পরিচালক। এই ক্লাবগুলোতে বিতর্ক থাকায় তাঁদের বোর্ডে থাকা একটি সংঘাতের উৎস। তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ। এতে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।

বিসিবি সভাপতি বুলবুলের চিঠি চ্যালেঞ্জ করার কারণে ইতিমধ্যে আইনিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমিনুল বলেন, নির্বাচন হয়ে গেলেও হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ের পর যদি চিঠিটিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়, তবে নির্বাচিত সদস্যদের থাকা সত্ত্বেও পুরো নির্বাচন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

বিসিবি নির্বাচনের বিষয়টি আদালতে গড়ানোর ঘটনা তিনি দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। ‘১৫টি ক্লাবকে ইচ্ছামতো বাতিল ও পুনর্বহাল করা, একজন এমপি প্রার্থীর মনোনয়ন—সবই একক প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়। গণমাধ্যমে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কথা বলেনি। আমার কাছে এমন তথ্য আছে যে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বোর্ড পরিচালকেরা নির্বাচিত হতে পারেন। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য বড় প্রশ্ন তৈরি করছে। আমি মনে করি, এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কোনো ক্রিকেটপ্রেমী বা ক্রীড়া সংগঠক স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত