Ajker Patrika

‘কে পরিশ্রম করছে, কে ফাঁকি দিচ্ছে, সহজেই ধরতে পারেন কোচ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৫৭
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে জাকের কথা বলেছেন স্ট্রেংথ-কন্ডিশনিং কোচ কেলির অনুশীলন প্রক্রিয়া নিয়েও। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে জাকের কথা বলেছেন স্ট্রেংথ-কন্ডিশনিং কোচ কেলির অনুশীলন প্রক্রিয়া নিয়েও। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে চলছে ফিটনেস ক্যাম্প ও স্কিল অনুশীলন। লিটন দাস, নাহিদ রানা, নাজমুল হোসেন শান্তদের অনুশীলন সেশন করিয়েছেন বিসিবির স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি। অনুশীলনে শিষ্যরা কী করছেন, সবই কেলি বিশেষ একটা ডিভাইসের মাধ্যমে ধরতে পারেন।

মিরপুর শেরেবাংলায় যখন কেলি নামেন জাতীয় দলের অনুশীলনে, তখন তাঁর সঙ্গে দুটি ব্যাগ থাকে।একটিতে থাকে ব্যক্তিগত জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আরেকটা ব্যাগে থাকে খেলোয়াড়দের ফিটনেস মাপার আধুনিক যন্ত্রপাতি জিপিএস–ভিত্তিক ডিভাইস, যা ক্রিকেটারদের শারীরিক পরিশ্রম থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি ফিটনেস তথ্য সংরক্ষণ করে। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের গায়ে যে বিশেষ ভেস্ট সংযোগ করা থাকে তার নাম ক্যাটাপল্ট ভেস্ট। এই ভেস্টের মাধ্যমে কার ফিটনেস কতটা ভালো, কতটা পরিশ্রম করছেন—সবই বোঝা যায়। মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে জাকের বলেন, ‘আমাদের সবার গায়ে ট্র্যাকার লাগানো থাকে। এখানে কে প্রথম, কে দ্বিতীয় সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল ব্যাপার হলো—কে সেরা চেষ্টা করছে। প্রতিদিনই কেলির কাছে সেই প্রতিবেদন যায়। তিনি সহজেই ধরতে পারেন—কে সেরা এফোর্ট দিচ্ছে আর কে দিচ্ছে না।’

এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজের প্রাথমিক দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে গত তিন দিন মিরপুরে স্কিল অনুশীলন হয়েছে। তার আগের এক সপ্তাহ ফিটনেস উন্নতির অনুশীলন হয়েছে। কেলির বিশেষ স্কিল সেশনে লিটন, রানা, শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমনরা নাকালও হয়েছেন। বিসিবির স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ যে বিশেষ অনুশীলন সেশন করিয়েছেন, সেটা নিয়ে জাকের বলেন, ‘কেলি আমাদের ভিন্ন কিছু চেষ্টা করিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমরা তা ভালোভাবে শেষ করেছি। আমরা নিয়মিত কাজ করেছি। যেহেতু এই সময়ে কোনো স্কিল ট্রেনিং ছিল না, তাই সেশনগুলো দীর্ঘ হয়েছে। এজন্য কিছুটা কষ্টও হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—আমরা সবকিছুই ঠিকঠাক করতে পেরেছি।’

ক্যাটাপল্ট ভেস্ট মূলত খেলোয়াড়দের শারীরিক কর্মকাণ্ড মাপে। যেমন ম্যাচ বা ট্রেনিংয়ে কত কিলোমিটার দৌড়াল, কতবার স্প্রিন্ট দিল এবং সর্বোচ্চ গতি কত ছিল। এটি অ্যাকসিলারেশন ও ডি-অ্যাকসিলারেশনও ট্র্যাক করে অর্থাৎ হঠাৎ দৌড়ানো বা থামার ঘটনাও ধরতে পারে। হার্ট রেট (অপশনাল সেন্সর) দিয়ে ইনটেনসিটি বোঝা যায় এবং লোড মাপা হয়, যা শরীরের চাপ, ক্লান্তি ও ওভারলোড নির্ধারণে সাহায্য করে। ক্যাটাপল্ট ভেস্ট প্রতি সেকেন্ডে একাধিকবার এই ডেটা সংগ্রহ করে এবং সফটওয়্যারে গ্রাফ বা প্রতিবেদন আকারে পৌঁছে দেয়। কোন খেলোয়াড় ফিট, কার বোঝা বেশি হচ্ছে, কার সেরে ওঠার দরকার এবং ম্যাচে কার কতক্ষণ ম্যাচে খেলা উচিত—কোচরা সেই প্রতিবেদন দেখে সহজেই বুঝতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত