Ajker Patrika

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ১৮
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৪ বছরের কিশোরী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাকে রাস্তা থেকে তুলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একটি রেস্তোরাঁয় নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্ষণের সময় কিশোরীর চিৎকার চাপা দিতে সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয়।

এই ঘটনায় আজ সোমবার সন্ধ্যায় নাইম হোসেন (২০) নামের এক যুবকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওই কিশোরীর পরিবার।

ভুক্তভোগী কিশোরী উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই কিশোরী মাদ্রাসায় যেতে রোববার সকালে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে ‘ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চায়নিজ রেস্টুরেন্টে’ নিয়ে ধর্ষণ করে নাইম। ইমরান (২১), আকাশ (২১), আতিক (২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) এবং নাজমুল হক নয়ন (২০) নামে পাঁচ বন্ধু তাকে সহযোগিতা করেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের সময় যাতে তার চিৎকার কেউ শুনতে না পায়, সে জন্য জোরে সাউন্ডবক্সে গান বাজানো হয়। এ সময় রেস্তোরাঁর ফটকে পাহারায় ছিলেন ইমরান, আকাশ, আতিক, নাছিম ও নাজমুল।

এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক পার্থ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

মামলার বাদী কিশোরীর মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো রোববারও মাদ্রাসায় যায়। ছুটি হওয়ার পরও যখন বাড়ি আসে না তখন খোঁজাখুঁজি শুরু করি। হঠাৎ করে অচেনা এক লোক মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায়, আপনার মেয়ে অসুস্থ, সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে আছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখি, মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ। পরে তাকে এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।’

সোমবার ‘ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চায়নিজ রেস্টুরেন্ট’-এ গিয়ে দেখা যায়, কয়েক যুবক রেস্তোরাঁয় আড্ডা দিচ্ছেন। সাংবাদিক দেখে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে চড়াও হন। পরে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করে এবং আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্তোরাঁটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

কামারখন্দ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল আকতার বলেন, আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্তোরাঁটি বিকেলে বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিশোরীর মা ছয়জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...