নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আফগানিস্তানের ইনিংস যখন ১৯০ রানে শেষ হয়, তখন ম্যাচের সম্প্রচারকারী টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠে এই তথ্য—আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এটাই দলীয় সর্বনিম্ন রানের স্কোর।
দেশের অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই তখন আশায় বুক বেধেছিলেন—এই ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ! কিন্তু ক্রিকেটাররা, বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হতাশ করলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। এই ম্যাচ জিতে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এমনটা যাঁরা আশা করেছিলেন, মামুলি একটা লক্ষ্যতাড়ায় ব্যর্থ সেই তাঁদের আশাহত করলেন তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজরা।
১৯১ রানের লক্ষ্যতাড়ায় ২৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ ১০৯ রানে অলআউট। হার ৮১ রানে। এই হারে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই হারল বাংলাদেশ। আর এটা আফগানদের বিপক্ষে এই সংস্করণে বাংলাদেশের টানা হ্যাটট্রিক সিরিজ হার। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর ২০২৫ আবারও প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচ হারে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। দুটো সিরিজেই বাংলাদেশ হেরেছিল ১-২ ব্যবধানে। ১৮ ও ১৫ রান করেছেন তাঁরা।
আফগান বোলাররা ভালো বল করেছেন, উইকেটও সহজ ছিল না—এটা মেনে নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, ব্যাটাররা কি দায়িত্ব নিয়ে উইকেটে ব্যাট করতে পেরেছেন, না করার চেষ্টা করেছেন?
নড়বড়ে টেকনিক বাংলাদেশ ব্যাটারদের চিরন্তন সমস্যা। বাজে শট সিলেকশনও নতুন সমস্যা নয়। আর পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে খেলার প্রবণতা কোনো ব্যাটারের মধ্যে ছিল বলে মনে হয় না! থাকলে কী আর নাজমুল হোসেন শান্ত (৭) ওভাবে রান উট হতে পারতেন! ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে, একের পর এক উইকেটে আসা যাওয়া করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫০ ওভারের ম্যাচে ৩০ রানের একটা জুটিও নেই বাংলাদেশের। ফল যা হওয়া তাই হয়েছে ১০৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশের। এর আগে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় রান ছিল ১১৯, ২০১৮ সালে আবুধাবিতে।
বল হাতে বড় দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিলেন রশিদ খান। ১৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমারজাই।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৪.৫ ১৯০ রান তোলে আফগানিস্তান আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে প্রথম ইনিংসে এটাই কোনো দলের সর্বনিম্ন রান। এর আগের সর্বনিম্ন ছিল পাকিস্তানের ১৯৭; ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান।
সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে ভালো করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দারুণ এক শর্ট বলে তানজিম হাসান সাকিব ফেরান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (১১)। লেগ স্টাম্পে থাকা শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলে ডিপ স্কয়ার লেগে জাকের আলীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুরবাজ। আফগানিস্তানের রান তখন ১৮। এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে আসা সেদিকউল্লাহ তাহলকে ফেরান তানভিরুল ইসলাম। তাঁকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে অং অনে তানজিমের হাতে ক্যাচ দেন আতাল (৮)।
৩৮ রানে ২ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর উইকেটে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। কিন্তু তানভিরের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে সমস্যা অনুভব করেন তিনি। শুশ্রূষা নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই বুঝতে পারেন, খেলার মতো অবস্থা নেই তাঁর। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। যদি পরে আরেক দফায় মাঠে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, কিন্তু মাত্র এক বল খেলেই উঠে যান তিনি। আর তাতেই আফগান ইনিংসের সমাপ্তি। ৪৪.৫ ওভারে আফগানরা তোলেন ১৯০ রান। ইব্রাহিমের ১৪০ বলের ইনিংসটিতে আছে ৩টি চার ও ১টি ছয়। তাঁকে আউট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার। প্রথম ওয়ানডেতে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার মিরাজ এদিন ৪২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তানজিম হোসেন সাকিব ৩৫ রানে ২টি এবং রিশাদ হোসেন ৩৭ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন।
আফগানিস্তানের ইনিংস যখন ১৯০ রানে শেষ হয়, তখন ম্যাচের সম্প্রচারকারী টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠে এই তথ্য—আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এটাই দলীয় সর্বনিম্ন রানের স্কোর।
দেশের অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই তখন আশায় বুক বেধেছিলেন—এই ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ! কিন্তু ক্রিকেটাররা, বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হতাশ করলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। এই ম্যাচ জিতে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এমনটা যাঁরা আশা করেছিলেন, মামুলি একটা লক্ষ্যতাড়ায় ব্যর্থ সেই তাঁদের আশাহত করলেন তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজরা।
১৯১ রানের লক্ষ্যতাড়ায় ২৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ ১০৯ রানে অলআউট। হার ৮১ রানে। এই হারে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই হারল বাংলাদেশ। আর এটা আফগানদের বিপক্ষে এই সংস্করণে বাংলাদেশের টানা হ্যাটট্রিক সিরিজ হার। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর ২০২৫ আবারও প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচ হারে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। দুটো সিরিজেই বাংলাদেশ হেরেছিল ১-২ ব্যবধানে। ১৮ ও ১৫ রান করেছেন তাঁরা।
আফগান বোলাররা ভালো বল করেছেন, উইকেটও সহজ ছিল না—এটা মেনে নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, ব্যাটাররা কি দায়িত্ব নিয়ে উইকেটে ব্যাট করতে পেরেছেন, না করার চেষ্টা করেছেন?
নড়বড়ে টেকনিক বাংলাদেশ ব্যাটারদের চিরন্তন সমস্যা। বাজে শট সিলেকশনও নতুন সমস্যা নয়। আর পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে খেলার প্রবণতা কোনো ব্যাটারের মধ্যে ছিল বলে মনে হয় না! থাকলে কী আর নাজমুল হোসেন শান্ত (৭) ওভাবে রান উট হতে পারতেন! ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে, একের পর এক উইকেটে আসা যাওয়া করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫০ ওভারের ম্যাচে ৩০ রানের একটা জুটিও নেই বাংলাদেশের। ফল যা হওয়া তাই হয়েছে ১০৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশের। এর আগে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় রান ছিল ১১৯, ২০১৮ সালে আবুধাবিতে।
বল হাতে বড় দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিলেন রশিদ খান। ১৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমারজাই।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৪.৫ ১৯০ রান তোলে আফগানিস্তান আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে প্রথম ইনিংসে এটাই কোনো দলের সর্বনিম্ন রান। এর আগের সর্বনিম্ন ছিল পাকিস্তানের ১৯৭; ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান।
সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে ভালো করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দারুণ এক শর্ট বলে তানজিম হাসান সাকিব ফেরান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (১১)। লেগ স্টাম্পে থাকা শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলে ডিপ স্কয়ার লেগে জাকের আলীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুরবাজ। আফগানিস্তানের রান তখন ১৮। এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে আসা সেদিকউল্লাহ তাহলকে ফেরান তানভিরুল ইসলাম। তাঁকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে অং অনে তানজিমের হাতে ক্যাচ দেন আতাল (৮)।
৩৮ রানে ২ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর উইকেটে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। কিন্তু তানভিরের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে সমস্যা অনুভব করেন তিনি। শুশ্রূষা নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই বুঝতে পারেন, খেলার মতো অবস্থা নেই তাঁর। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। যদি পরে আরেক দফায় মাঠে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, কিন্তু মাত্র এক বল খেলেই উঠে যান তিনি। আর তাতেই আফগান ইনিংসের সমাপ্তি। ৪৪.৫ ওভারে আফগানরা তোলেন ১৯০ রান। ইব্রাহিমের ১৪০ বলের ইনিংসটিতে আছে ৩টি চার ও ১টি ছয়। তাঁকে আউট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার। প্রথম ওয়ানডেতে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার মিরাজ এদিন ৪২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তানজিম হোসেন সাকিব ৩৫ রানে ২টি এবং রিশাদ হোসেন ৩৭ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন।
ঘরের মাটিতে প্রথম ম্যাচ। গ্যালারি ভর্তি ৪ হাজার দর্শক। ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে জয়ের চেয়ে ভিন্ন আর কী হতে পারে! তাও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে। নামিবিয়া সেটাই করে দেখাল। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ উইকেটের নাটকীয় জয়ে ইতিহাস গড়েছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেদারুণ একটা গুগলি দিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। সেটি বুঝতেই পারেননি ইব্রাহিম জাদরান। মিডল স্টাম্পের আশে পাশে পিচ করা বল সামনের পায়ের ভেতরের অংশে লাগে। বাধা না পেলে বল ছুঁয়ে যেত লেগ স্টাম্পের বাইরের অংশ। এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন তোলেন আম্পায়াররা। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় বেঁচে যান ইব্রাহিম।
৬ ঘণ্টা আগেবিপিএল বিতর্কমুক্ত করার লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের (আইএমজি) সঙ্গে তিন বছরের চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছিল গত জুন থেকেই। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি তা। নির্বাচনের পর নতুনভাবে গঠিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চাইছে স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দল নিয়ে বিপিএল করতে।
৭ ঘণ্টা আগেজুন থেকেই বিপিএল আয়োজন নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছিল। বোর্ড তখন বলেছিল, ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (আইএমজি)-এর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হচ্ছে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও চুক্তিটা হয়নি। এবার আর সময় নষ্ট করতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৯ ঘণ্টা আগে