রিফাত আনজুম
ঢাকা: ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।এ নিয়ে দেশের মাঠে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত, ১৩ সিরিজের ১১টিতেই জয়—পরিসংখ্যান উচ্চ স্বরেই বলে দিচ্ছে, দেশের মাঠে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় এক পরিবর্তনই এসেছে। ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের গৌরবমাখা গল্পের শুরু ২০১৫ সালের এপ্রিলে। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। একই বছরের জুনে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল মাশরাফির দল।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। বড় তিন দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস যায় আরও বেড়ে। একই বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনায় মোড়ানো এক বছরই হয়ে থেকেছে। ওই বছরে দেশের মাঠে বাংলাদেশ জিতেছে প্রতিটি সিরিজ। সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে পরের বছর।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের পর নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজটা হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে ৩২ ওয়ানডে খেলে ২৬ ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরেছে ৬টি। সাফল্যের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, দেশের মাঠে ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারানো আসলেই কঠিন। এরই পুরস্কার হিসেবে এখন ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় মুশফিকেরা।
বাংলাদেশের এই সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্বাচক প্যানেলে নতুন যুক্ত হওয়া আবদুর রাজ্জাক। তিনি মনে করেন, যেকোনো সাফল্যই দলের জন্য ভালো। আজকের পত্রিকাকে রাজ্জাক বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে এতগুলো সিরিজ জয় কিন্তু কম কথা নয়। বাংলাদেশের যেকোনো সাফল্যই প্রশংসার দাবি রাখে। ছোট দল, বড় দল বলে কোনো কথা নেই। এই সাফল্যগুলোই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশের মতো ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়াও ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে সাফল্য পেয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশের মতো অন্য দলগুলোও সাফল্য পেয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ায় ঘরের মাঠে আটটি সিরিজ খেলে পাঁচটিই জিতেছে। ইংল্যান্ড ১২টি খেলে ১০টি জিতেছে। নিউজিল্যান্ড ১৪টির মধ্যে জিতেছে ১১টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩টি খেলে ১০টি সিরিজ জিতেছে। সাফল্যের হারে বাংলাদেশই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে।
চেনা মাঠ আর চেনা পরিবেশেও একসময় বাংলাদেশ নিয়মিত সাফল্য পায়নি। গত পাঁচ বছরে এই দৃশ্যে এসেছে পরিবর্তন। শক্তিশালী দলগুলোকে বাংলাদেশ বুঝিয়েছে ঘরের মাঠে তারা কতটা কঠিন। দেশের মাঠে যেখানে রাশি রাশি সাফল্য, বিদেশের মাঠে আবার চিত্রটা ভিন্ন।
বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এখন এটাই, ভালো করতে হবে দেশের বাইরেও। রাজ্জাক অবশ্য দেশের বাইরে সিরিজ জিততে একটু সময় চাইছেন। সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার বললেন, ‘দেশের বাইরে সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে সময় দিতে হবে। এখন যদি নিয়মিত ফলের আশা করেন, ঠিক হবে না। তাদের সময় দিতে হবে। এখন আমরা কিন্তু নিয়মিত অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে পারি না। ধীরে ধীরে খেলতে খেলতেই ভালো খেলব, সিরিজ জিতব।’
ঢাকা: ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।এ নিয়ে দেশের মাঠে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত, ১৩ সিরিজের ১১টিতেই জয়—পরিসংখ্যান উচ্চ স্বরেই বলে দিচ্ছে, দেশের মাঠে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় এক পরিবর্তনই এসেছে। ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের গৌরবমাখা গল্পের শুরু ২০১৫ সালের এপ্রিলে। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। একই বছরের জুনে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল মাশরাফির দল।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। বড় তিন দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস যায় আরও বেড়ে। একই বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনায় মোড়ানো এক বছরই হয়ে থেকেছে। ওই বছরে দেশের মাঠে বাংলাদেশ জিতেছে প্রতিটি সিরিজ। সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে পরের বছর।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের পর নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজটা হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে ৩২ ওয়ানডে খেলে ২৬ ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরেছে ৬টি। সাফল্যের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, দেশের মাঠে ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারানো আসলেই কঠিন। এরই পুরস্কার হিসেবে এখন ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় মুশফিকেরা।
বাংলাদেশের এই সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্বাচক প্যানেলে নতুন যুক্ত হওয়া আবদুর রাজ্জাক। তিনি মনে করেন, যেকোনো সাফল্যই দলের জন্য ভালো। আজকের পত্রিকাকে রাজ্জাক বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে এতগুলো সিরিজ জয় কিন্তু কম কথা নয়। বাংলাদেশের যেকোনো সাফল্যই প্রশংসার দাবি রাখে। ছোট দল, বড় দল বলে কোনো কথা নেই। এই সাফল্যগুলোই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশের মতো ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়াও ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে সাফল্য পেয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশের মতো অন্য দলগুলোও সাফল্য পেয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ায় ঘরের মাঠে আটটি সিরিজ খেলে পাঁচটিই জিতেছে। ইংল্যান্ড ১২টি খেলে ১০টি জিতেছে। নিউজিল্যান্ড ১৪টির মধ্যে জিতেছে ১১টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩টি খেলে ১০টি সিরিজ জিতেছে। সাফল্যের হারে বাংলাদেশই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে।
চেনা মাঠ আর চেনা পরিবেশেও একসময় বাংলাদেশ নিয়মিত সাফল্য পায়নি। গত পাঁচ বছরে এই দৃশ্যে এসেছে পরিবর্তন। শক্তিশালী দলগুলোকে বাংলাদেশ বুঝিয়েছে ঘরের মাঠে তারা কতটা কঠিন। দেশের মাঠে যেখানে রাশি রাশি সাফল্য, বিদেশের মাঠে আবার চিত্রটা ভিন্ন।
বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এখন এটাই, ভালো করতে হবে দেশের বাইরেও। রাজ্জাক অবশ্য দেশের বাইরে সিরিজ জিততে একটু সময় চাইছেন। সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার বললেন, ‘দেশের বাইরে সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে সময় দিতে হবে। এখন যদি নিয়মিত ফলের আশা করেন, ঠিক হবে না। তাদের সময় দিতে হবে। এখন আমরা কিন্তু নিয়মিত অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে পারি না। ধীরে ধীরে খেলতে খেলতেই ভালো খেলব, সিরিজ জিতব।’
কারও খেলা যদি ভালো লেগে যায় রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের, আর তাঁর দলে সেই খেলোয়াড়ের ভালো সম্ভাবনা থাকে, তাহলে টাকা কোনো ব্যাপার নয়। তাঁকে কিনেই ছাড়বে রিয়াল। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে দারুণ খেলা হামেস রদ্রিগেজকে বিশ্বকাপ শেষে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল।
৪ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ আসতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে সময় কাটছে তাঁর। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর নিউইয়র্কের স্থানীয় কিছু ম্যাচে তাঁকে দেখা গেছে অপেশাদার ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি এখনো পুরোদস্তুর পেশাদার ক্রিকেটার।
৫ ঘণ্টা আগেনেপাল সফরের জন্য গত পরশু শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। সে জন্য ২৪ জনের দলও সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু মাঠের অনুশীলন এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। এর মধ্যে নতুন খবর, ক্যাম্পের জন্য আপাতত নিজেদের খেলোয়াড়দের ছাড়ছে না বসুন্ধরা কিংস। আজ এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বাফুফেকে জানিয়েছে তারা।
৯ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসির সঙ্গে ধারেকাছে কেউ এলেই হতো। দেহরক্ষী ইয়াসিন চেউকো দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন। বিমানের চেয়ে যেন ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে পারেন চেউকো। তাঁর কারণে তাই ভক্ত-সমর্থকেরা সেলফি তোলা তো দূরে থাক, অটোগ্রাফ পর্যন্ত নিতে পারেন না।
৯ ঘণ্টা আগে