Ajker Patrika

এশিয়া কাপ অন্য রকম লাগছে বাংলাদেশের আম্পায়ারেরও

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুবাই থেকে 
২০২৫ এশিয়া কাপ মাসুদুর রহমান মুকুলের কাছে অন্য রকম লাগছে। ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ এশিয়া কাপ মাসুদুর রহমান মুকুলের কাছে অন্য রকম লাগছে। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের মঞ্চে মাসুদুর রহমান মুকুল আগেও দুবার আম্পায়ারিং করেছেন। দুবাইয়েই যেমন ২০২২ এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের মতো বিগ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। ছিলেন সেবার ফাইনালেও। গত তিন বছরে আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের একটা বিপ্লবই যেন ঘটে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হয়েছেন। মুকুল-গাজী সোহেলের মতো বাংলাদেশের আম্পায়াররা নিয়মিত এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করছেন। বাংলাদেশের নারী আম্পায়ারিংও যে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটির বার্তা মিলেছে সাথিরা জাকির জেসির ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ায়। কিন্তু মুকুলদের একটা আফসোস থেকে যাচ্ছিল, বাংলাদেশের আম্পায়ারিংয়ের উন্নতির এ সময়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ঠিক সমান্তরালে এগোচ্ছিল না।

সেই আফসোস যেন কিছুটা ঘুচছে এই এশিয়া কাপে। পরশু সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আশা জেগেছে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার। কাল হোটেল হিলটনে আজকের পত্রিকাকে মুকুল বলছিলেন, ‘বাংলাদেশি আম্পায়ারদের সবচেয়ে বড় দুঃখ একটাই, আমরা আমাদের ভাব-অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি না। যেটা আপনারা, সাধারণ দর্শকেরা করতে পারেন। কিন্তু কাল (পরশু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) যখন আমি খেলা দেখছিলাম প্রবাসী বাঙালি ভাইদের সঙ্গে, একবারও মনে হয়নি আমি এখানে আম্পায়ারিং করতে এসেছি। যেখানে আমি একজন আইসিসির প্যানেলের আম্পায়ার। আর দশটা বাঙালি ভাইবোনদের মতো যখন উইকেট পড়ছে, তখন কষ্ট পেয়েছি। যখন চার-ছক্কা মেরেছে, জিতেছে, তখন উল্লাস করেছি। আসলে দিন শেষে তো আমরা বাংলাদেশি।’

আম্পায়ার হিসেবে মুকুল সরাসরি বলতে পারেন না বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে। তবে তিনি মনে করেন ঠিক পথেই এগোচ্ছেন লিটনরা। বললেন, ‘অবশ্যই আছে (ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা)। আমাদের বাংলাদেশ দলটা এখন ঠিক পথে চলছে। আমরা প্রথম ম্যাচটা জিতে একধাপ এগিয়ে আছি। এটা চালিয়ে যেতে হবে।’

ভারত-পাকিস্তানের একাধিক ম্যাচে বাংলাদেশের আম্পায়াররা অন ফিল্ড আম্পায়ারিং করেছেন। কাল দুবাইয়ে যেমন করেছেন গাজী সোহেল। তার আগে মুকুল শোনালেন দুই চির বৈরী দলের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা, ‘ক্রিকেটাররা যথেষ্ট শিক্ষিত। তারা মাঠে এমন কিছু করে না, যেটা আমাদের কাছে বিব্রতকর। নিয়ম মেনে যে কাজ করা দরকার, সেগুলোই তারা করে। আপিল করার অধিকার থেকে তারা আপিল করে। যেটাই করে, নিয়ম মেনে করে। আমার কাছে একবারও মনে হয়নি মাঠে কোনো ক্রিকেটার কিংবা কোনো ম্যাচ কর্মকর্তা অনৈতিক চাপ দিয়েছেন, যেটা ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না। দুই দেশের একটা বৈরী অবস্থান। কথা হলো, আপনি নিজেকে কতটুকু প্রস্তুত রেখেছেন, কতটা চাপ নিতে পারছেন, আপনি কি ক্রিকেটের বাইরে এসব চিন্তা করছেন—এগুলো হলো ব্যাপার।’

২০২২ এশিয়া কাপের ফাইনালে আম্পায়ারিং করেছিলেন মুকুল। এবারও ফাইনালে তাঁর আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ হবে? বাংলাদেশ উঠলে কিছুতেই নয়। দেশের জন্য মূল্যবান ‘চাওয়াটা (ফাইনালে আম্পায়ারিং)’ বিসর্জন দিতে কোনো আপত্তি নেই মুকুলের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত