Ajker Patrika

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে ঝগড়া থামাতে কী করেছিলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার

ক্রীড়া ডেস্ক    
দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিষেক ও রউফ। ছবি: ইএসপিএনক্রিকইনফো
দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিষেক ও রউফ। ছবি: ইএসপিএনক্রিকইনফো

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে উত্তেজনা থাকবে না সেটা যেন হতেই পারে না। অলিখিত এই নিয়মের ব্যতিক্রম কিছু হয়নি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে। ম্যাচে বেশ কয়েকবার কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ক্রিকেটাররা। ঝগড়া থামাতে এগিয় এসেছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিতর্কিত ম্যাচটিতে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। ৭ বল হাতে রেখে সালমান আলী আগাদের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ভারতের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ব তৈরি হয় দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে।

হারিস রউফের করা সে ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে কিছু একটা বলতে দেখা যায় শুভমান গিলকে। পাকিস্তানি পেসারও চুপ করে থাকেননি। আম্পায়ারের দিকে ফেরার সময় গিলের কথার জবাব দেন রউফ। সে সময় তার সামনে পড়েন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ভারতের আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। সতীর্থের হয়ে রউফের উপর রাগ ঝাড়েন অভিষেক। এ সময় রউফও রাগান্বিত হয়ে পড়েন। রীতিমতো অভিষেকের দিকে আঙুল তোলেন তিনি।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে ছিল–যেকোনো সময় শারীরিক সংঘাতে জড়াতে পারতেন এই দুই ক্রিকেটার। সেটা হয়নি সোহেলের কারণে। পরিস্থিত খারাপ দেখে দ্রুত রউফ ও অভিষেকের মাঝে গিয়ে দাঁড়ান ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা সোহেল। এরপর রউফকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন এই বাংলাদেশি আম্পায়ার। এরপর পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়।

এদিন ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক। তার ১৮৯.৭৪ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার এবং ৫টি ছয়ের সাহায্যে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন এই তরুণ ব্যাটার। এই ইনিংস দিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে উচিত জবাব দিতে পেরেছেন বলে মনে করেন তিনি। ম্যাচ শেষে রউফের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে আসলে অভিষেক বলেন, ‘এটা খুবই সহজ। কোনো কারণ ছাড়াই পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা আমার ওপর এসে পড়ছিল। যেটা আমার মোটেও ভালো লাগেনি। আমার এই ইনিংসটাই ছিল এসবের জবাব দেওয়ার একমাত্র উপায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত