নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বোলিং, ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স হতশ্রী। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তো লঙ্কানরা করল ৫৩১ রানের পাহাড়। ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশের ব্যাটারদেরও। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ হতে না হতেই একাধিক উইকেট হারাতে দেখা গেল বাংলাদেশকে।
১ উইকেটে ৫৫ রানে আজ দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের নামের পাশে তখন ১৫ ওভার। পিছিয়ে ৪৭৬ রানে। এমন পরিস্থিতিতে ওপেনার জাকির হাসান ও তাইজুল ইসলামের ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে প্রথম ১৭ ওভার বাংলাদেশ কোনো উইকেট হারায়নি। তবে শেষ মুহূর্তে হুড়মুড়িয়ে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ১১৫ রান রেখে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। জাকির হাসান, তাইজুল ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশ হারিয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও উইকেট।
তৃতীয় দিনের শুরুর দিকেই অবশ্য উইকেট পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে লাহিরু কুমারার বল জাকিরের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় সেকেন্ড স্লিপে। কামিন্দু মেন্ডিস ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বল ধরলেও ক্যাচ নিয়ে সংশয় থাকায় তা চলে যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। শেষ পর্যন্ত জাকির বেঁচে যান সেই যাত্রায়। বাংলাদেশের বাহাতি ব্যাটারের রান তখন ৩৯, দলীয় স্কোর ২০.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৮ রান।
জাকিরের বেঁচে যাওয়ার পর অবশ্য ঘটেছে অন্যরকম এক ঘটনা। ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার শর্ট বল পুল করে চার মারেন তাইজুল। তবে মাঠের আম্পায়ার এটাকে ডেড বল ঘোষণা করেন। ধনাঞ্জয়ার বোলিংয়ের সময়ই অবশ্য আম্পায়ার সংকেত দেন (ডেড বলের)। এই ঘটনার পর জাকিরের আউটের সম্ভাবনা তৈরি হয় আবারও। ২৯তম ওভারের শেষ বলে বিশ্ব ফার্নান্দোকে ড্রাইভ করতে যান জাকির। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস ক্যাচ ধরলে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন হয়। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। আল্ট্রাএজে বল ও ব্যাটের মধ্যে ব্যবধান দেখা যায়। তাতে বেঁচে যান জাকির, লঙ্কানদের রিভিউ নষ্ট হয়।
বারবার বেঁচে যাওয়া জাকির ফিফটি পেয়েছেন দ্রুতই। ৩১তম ওভারের পঞ্চম বলে বিশ্বকে চার মেরে টেস্টের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন জাকির। ফিফটির পর বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার অবশ্য ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বিশ্বর অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে হয় জাকিরকে। ১০৪ বলে ৮ চারে ৫৪ রান করেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। তাতে ভেঙে যায় জাকির-তাইজুলের দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ বলে ৪৯ রানের জুটি।
জাকিরের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩২.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। টেস্ট সিরিজজুড়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি। ৩৬তম ওভারের পঞ্চম বলে প্রবাত জয়াসুরিয়াকে আলতো করে ফ্লিক করেন শান্ত। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন দিমুথ করুণারত্নে। ১১ বলে ১ রান করেন শান্ত। অধিনায়কের বিদায়ের পরের ওভারেই বাংলাদেশ খায় আরও এক ধাক্বা। ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে তাইজুলকে বোল্ড করেন বিশ্ব। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ৬১ বলে ১ চারে করেন ২২ রান।
দ্রুত ৩ উইকেট হারালে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩৬.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৫ রান। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। তিনি ব্যাটিং করছেন ১৩ বলে ৬ রানে। মুমিনুল হক ১৬ বলে ২ রান করে অপরাজিত। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে এখনো পর্যন্ত খেলেছে ৪১ ওভার।
বোলিং, ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স হতশ্রী। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তো লঙ্কানরা করল ৫৩১ রানের পাহাড়। ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশের ব্যাটারদেরও। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ হতে না হতেই একাধিক উইকেট হারাতে দেখা গেল বাংলাদেশকে।
১ উইকেটে ৫৫ রানে আজ দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের নামের পাশে তখন ১৫ ওভার। পিছিয়ে ৪৭৬ রানে। এমন পরিস্থিতিতে ওপেনার জাকির হাসান ও তাইজুল ইসলামের ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে প্রথম ১৭ ওভার বাংলাদেশ কোনো উইকেট হারায়নি। তবে শেষ মুহূর্তে হুড়মুড়িয়ে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ১১৫ রান রেখে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। জাকির হাসান, তাইজুল ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশ হারিয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও উইকেট।
তৃতীয় দিনের শুরুর দিকেই অবশ্য উইকেট পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে লাহিরু কুমারার বল জাকিরের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় সেকেন্ড স্লিপে। কামিন্দু মেন্ডিস ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বল ধরলেও ক্যাচ নিয়ে সংশয় থাকায় তা চলে যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। শেষ পর্যন্ত জাকির বেঁচে যান সেই যাত্রায়। বাংলাদেশের বাহাতি ব্যাটারের রান তখন ৩৯, দলীয় স্কোর ২০.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৮ রান।
জাকিরের বেঁচে যাওয়ার পর অবশ্য ঘটেছে অন্যরকম এক ঘটনা। ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার শর্ট বল পুল করে চার মারেন তাইজুল। তবে মাঠের আম্পায়ার এটাকে ডেড বল ঘোষণা করেন। ধনাঞ্জয়ার বোলিংয়ের সময়ই অবশ্য আম্পায়ার সংকেত দেন (ডেড বলের)। এই ঘটনার পর জাকিরের আউটের সম্ভাবনা তৈরি হয় আবারও। ২৯তম ওভারের শেষ বলে বিশ্ব ফার্নান্দোকে ড্রাইভ করতে যান জাকির। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস ক্যাচ ধরলে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন হয়। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। আল্ট্রাএজে বল ও ব্যাটের মধ্যে ব্যবধান দেখা যায়। তাতে বেঁচে যান জাকির, লঙ্কানদের রিভিউ নষ্ট হয়।
বারবার বেঁচে যাওয়া জাকির ফিফটি পেয়েছেন দ্রুতই। ৩১তম ওভারের পঞ্চম বলে বিশ্বকে চার মেরে টেস্টের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন জাকির। ফিফটির পর বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার অবশ্য ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বিশ্বর অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে হয় জাকিরকে। ১০৪ বলে ৮ চারে ৫৪ রান করেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। তাতে ভেঙে যায় জাকির-তাইজুলের দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ বলে ৪৯ রানের জুটি।
জাকিরের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩২.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। টেস্ট সিরিজজুড়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি। ৩৬তম ওভারের পঞ্চম বলে প্রবাত জয়াসুরিয়াকে আলতো করে ফ্লিক করেন শান্ত। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন দিমুথ করুণারত্নে। ১১ বলে ১ রান করেন শান্ত। অধিনায়কের বিদায়ের পরের ওভারেই বাংলাদেশ খায় আরও এক ধাক্বা। ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে তাইজুলকে বোল্ড করেন বিশ্ব। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ৬১ বলে ১ চারে করেন ২২ রান।
দ্রুত ৩ উইকেট হারালে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩৬.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৫ রান। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। তিনি ব্যাটিং করছেন ১৩ বলে ৬ রানে। মুমিনুল হক ১৬ বলে ২ রান করে অপরাজিত। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে এখনো পর্যন্ত খেলেছে ৪১ ওভার।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১১ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১৩ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৪ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৪ ঘণ্টা আগে