ক্রীড়া ডেস্ক

এভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।
১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত প্রথমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বোলিং দিয়ে। সফরকারীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১০৪ রানে। এরপর ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার মতো অবস্থা। কারণ, ম্যাচে প্রথম ২০ উইকেট পড়েছে ১০১ ওভারে। সেই পিচে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ৫৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ১৭২ রানে আজ তৃতীয় দিনে খেলতে নামে ভারত। দুই ওপেনার জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে রাহুল সেঞ্চুরি না পেলেও ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন জয়সওয়াল। ২০৫ বলে জয়সওয়াল টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৬১তম ওভারের পঞ্চম বলে জশ হ্যাজলউডকে ছক্কা মেরে রেকর্ড বই তছনছ করা সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জয়সওয়াল। সেঞ্চুরির পর হেলমেট আর ব্যাট আকাশের দিকে উঁচিয়ে উদযাপন করেছেন ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটার।
৬৩তম ওভারের শেষ বলে রাহুলকে ফিরিয়ে ভারতের ২০১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। রাহুল-জয়সওয়ালের জুটি টিকেছে ৩৮৩ বল। ১৭৬ বলে ৫ চারে ৭৭ রান করেন রাহুল। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরও দমে যাননি জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে দেবদূত পাডিক্কাল ও কোহলির সঙ্গে ৭৪ ও ৩৮ রানের জুটি দুটি গড়তে অবদান রাখেন জয়সওয়াল। ২৯৭ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬১ রান করার পর জয়সওয়াল আউট হয়েছেন মিচেল মার্শের বলে।
সেঞ্চুরিয়ান জয়সওয়াল ফেরার পর ছোটখাটো ধস নামে ভারতের ইনিংসে। ৮ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটে ৩২১ রানে পরিণত হয় সফরকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ উইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ১৭৬ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন কোহলি। ১২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে নাথান লায়নকে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৯ রান করা ওয়াশিংটন। ৯৪ বলের ইনিংসে ওয়াশিংটন কেবল ১ ছক্কা মেরেছেন।
ওয়াশিংটন ফিরলে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১২৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৪১০ রান। তখন আট নম্বরে নামা নীতিশ কুমার রেড্ডি খেলেছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মনেই হয়নি যে এই ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে অভিষেক হয়েছে রেড্ডির।
রেড্ডিকে দেখাদেখি গিয়ার বদলে খেলেছেন কোহলি। ৯৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করা কোহলি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৪৩ বলে। ১৩৫তম ওভারের তৃতীয় বলে মারনাস লাবুশেনকে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে ৩০তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। ভারতীয় ব্যাটারের সেঞ্চুরির পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।
৫৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের চতুর্থ বলে নাথান ম্যাকসুইনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জসপ্রীত বুমরা। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি টেস্টে অভিষিক্ত ব্যাটার ম্যাকসুইনি। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে সর্বসাকল্যে ম্যাকসুইনি করেছেন ১০ রান (১০ ও ০)।
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তিন নম্বরে উঠে এলেও কোনো লাভ হয়নি। ৮ বলে ২ রান করে কামিন্স ফিরেছেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে। এরপর পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে লাবুশেনেকে এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছেন বুমরার ইনসুইঙ্গার বল ছাড়তে গিয়ে। ৫ বলে ৩ রান করা লাবুশেনে নষ্ট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি রিভিউও। ৪.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১২ রানে পরিণত হওয়ার পরই তৃতীয় দিনের খেলা ঘোষণা করা হয়। উসমান খাজা ব্যাটিং করছেন ৩ রানে।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে ২০০৩ সালে। অ্যান্টিগার সেন্ট জোনসে সেবার উইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয়রা সেবার ৪১৮ রান তুলতে হারিয়েছিল ৭ উইকেট।

এভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।
১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত প্রথমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বোলিং দিয়ে। সফরকারীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১০৪ রানে। এরপর ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার মতো অবস্থা। কারণ, ম্যাচে প্রথম ২০ উইকেট পড়েছে ১০১ ওভারে। সেই পিচে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ৫৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ১৭২ রানে আজ তৃতীয় দিনে খেলতে নামে ভারত। দুই ওপেনার জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে রাহুল সেঞ্চুরি না পেলেও ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন জয়সওয়াল। ২০৫ বলে জয়সওয়াল টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৬১তম ওভারের পঞ্চম বলে জশ হ্যাজলউডকে ছক্কা মেরে রেকর্ড বই তছনছ করা সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জয়সওয়াল। সেঞ্চুরির পর হেলমেট আর ব্যাট আকাশের দিকে উঁচিয়ে উদযাপন করেছেন ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটার।
৬৩তম ওভারের শেষ বলে রাহুলকে ফিরিয়ে ভারতের ২০১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। রাহুল-জয়সওয়ালের জুটি টিকেছে ৩৮৩ বল। ১৭৬ বলে ৫ চারে ৭৭ রান করেন রাহুল। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরও দমে যাননি জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে দেবদূত পাডিক্কাল ও কোহলির সঙ্গে ৭৪ ও ৩৮ রানের জুটি দুটি গড়তে অবদান রাখেন জয়সওয়াল। ২৯৭ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬১ রান করার পর জয়সওয়াল আউট হয়েছেন মিচেল মার্শের বলে।
সেঞ্চুরিয়ান জয়সওয়াল ফেরার পর ছোটখাটো ধস নামে ভারতের ইনিংসে। ৮ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটে ৩২১ রানে পরিণত হয় সফরকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ উইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ১৭৬ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন কোহলি। ১২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে নাথান লায়নকে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৯ রান করা ওয়াশিংটন। ৯৪ বলের ইনিংসে ওয়াশিংটন কেবল ১ ছক্কা মেরেছেন।
ওয়াশিংটন ফিরলে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১২৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৪১০ রান। তখন আট নম্বরে নামা নীতিশ কুমার রেড্ডি খেলেছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মনেই হয়নি যে এই ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে অভিষেক হয়েছে রেড্ডির।
রেড্ডিকে দেখাদেখি গিয়ার বদলে খেলেছেন কোহলি। ৯৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করা কোহলি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৪৩ বলে। ১৩৫তম ওভারের তৃতীয় বলে মারনাস লাবুশেনকে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে ৩০তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। ভারতীয় ব্যাটারের সেঞ্চুরির পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।
৫৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের চতুর্থ বলে নাথান ম্যাকসুইনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জসপ্রীত বুমরা। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি টেস্টে অভিষিক্ত ব্যাটার ম্যাকসুইনি। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে সর্বসাকল্যে ম্যাকসুইনি করেছেন ১০ রান (১০ ও ০)।
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তিন নম্বরে উঠে এলেও কোনো লাভ হয়নি। ৮ বলে ২ রান করে কামিন্স ফিরেছেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে। এরপর পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে লাবুশেনেকে এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছেন বুমরার ইনসুইঙ্গার বল ছাড়তে গিয়ে। ৫ বলে ৩ রান করা লাবুশেনে নষ্ট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি রিভিউও। ৪.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১২ রানে পরিণত হওয়ার পরই তৃতীয় দিনের খেলা ঘোষণা করা হয়। উসমান খাজা ব্যাটিং করছেন ৩ রানে।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে ২০০৩ সালে। অ্যান্টিগার সেন্ট জোনসে সেবার উইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয়রা সেবার ৪১৮ রান তুলতে হারিয়েছিল ৭ উইকেট।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড।
৪১ মিনিট আগে
ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। একের পর ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে দল পেল বড় পুঁজি। সেই সঙ্গে প্লেট সেমিফাইনালে ২৫ রানের জয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আকবর আলীর দল।
১ ঘণ্টা আগে
টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থথার পরও রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের ঝড়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ডগড়া ব্যাটিংয়ে জয়কে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি ক্যারিবীয়দের।
২ ঘণ্টা আগে
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। তাঁর সবচেয়ে বড় অভিযোগ জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে। ১৭ টেস্ট ও ৩৪ ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই পেসার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড। ১০ বার করে সিটিকে হারানোর রেকর্ড এখন লিভারপুলের সঙ্গে যৌথভাবে টটেনহাম হটস্পারেরও। আজ জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারবে অ্যানফিল্ডের দলটি।
লিভারপুল পারবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দারুণ এক মাইলফলকে পা রাখবেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। কোচ হিসেবে এটি হবে তাঁর ১০০০ তম ম্যাচ।
১৮ বছর আগে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন তাঁর ভাবনায়ও ছিল না একদিন হাজার ম্যাচের মাইলফলকে পা রাখতে পারবেন। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচের আগে সিটির স্প্যানিশ কোচের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘কোচ হিসেবে এক হাজার ম্যাচ—আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। বার্সেলোনা ‘বি’ দল দিয়ে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কখনো ভাবিনি এমন মাইলফলকে পৌঁছাতে পারব। তখন শুধুই চাওয়া ছিল ভালো ফুটবল খেলানো আর ঠিক পথে এগোনো।’
কোচিং ক্যারিয়ারের ৯৯৯ ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৪৯টি ম্যাচে তিনি থেকেছেন সিটির ডাগআউটে। সব মিলিয়ে কোচ হিসেবে তিনি জিতেছেন ৭১৫টি জয়। সাফল্য ৭১.৫৭ শতাংশ। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি বড় ট্রফি জিতেছেন। প্রতি ২৫ ম্যাচে একটি করে শিরোপা!
............. .
১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার
কোচ গার্দিওলা
ম্যাচ: ৯৯৯
জয়: ৭১৫
ড্র: ১৫৬
হার: ১২৮
............
কোন দলের হয়ে কত ম্যাচ
ম্যানসিটি: ৫৪৯
বার্সেলোনা: ২৪৭
বায়ার্ন: ১৬১
বার্সা ‘বি’: ৪২
.............................
গার্দিওলার অধীনে সবচেয়ে বেশি গোল পাওয়া ফুটবলার
লিওনেল মেসি: ২১১
আর্লিং হালান্ড: ১৪২
সার্জিও আগুয়েরো: ১২৪
রহিম স্টার্লিং: ১২০
ফিল ফোডেন: ১০৪
...............................
২০
গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটি সবচেয়ে বেশি ২০ বার হারিয়েছে আর্সেনালকে। এ সময়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৩ বার।
১০
সবচেয়ে বেশি ১০ বার করে টটেনহাম ও লিভারপুলের কাছে হেরেছে গার্দিওলার ম্যানসিটি। তাঁর অধীনে এই দুই দলের হয়ে ২০টি করে ম্যাচ খেলেছে সিটি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড। ১০ বার করে সিটিকে হারানোর রেকর্ড এখন লিভারপুলের সঙ্গে যৌথভাবে টটেনহাম হটস্পারেরও। আজ জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারবে অ্যানফিল্ডের দলটি।
লিভারপুল পারবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দারুণ এক মাইলফলকে পা রাখবেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। কোচ হিসেবে এটি হবে তাঁর ১০০০ তম ম্যাচ।
১৮ বছর আগে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন তাঁর ভাবনায়ও ছিল না একদিন হাজার ম্যাচের মাইলফলকে পা রাখতে পারবেন। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচের আগে সিটির স্প্যানিশ কোচের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘কোচ হিসেবে এক হাজার ম্যাচ—আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। বার্সেলোনা ‘বি’ দল দিয়ে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কখনো ভাবিনি এমন মাইলফলকে পৌঁছাতে পারব। তখন শুধুই চাওয়া ছিল ভালো ফুটবল খেলানো আর ঠিক পথে এগোনো।’
কোচিং ক্যারিয়ারের ৯৯৯ ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৪৯টি ম্যাচে তিনি থেকেছেন সিটির ডাগআউটে। সব মিলিয়ে কোচ হিসেবে তিনি জিতেছেন ৭১৫টি জয়। সাফল্য ৭১.৫৭ শতাংশ। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি বড় ট্রফি জিতেছেন। প্রতি ২৫ ম্যাচে একটি করে শিরোপা!
............. .
১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার
কোচ গার্দিওলা
ম্যাচ: ৯৯৯
জয়: ৭১৫
ড্র: ১৫৬
হার: ১২৮
............
কোন দলের হয়ে কত ম্যাচ
ম্যানসিটি: ৫৪৯
বার্সেলোনা: ২৪৭
বায়ার্ন: ১৬১
বার্সা ‘বি’: ৪২
.............................
গার্দিওলার অধীনে সবচেয়ে বেশি গোল পাওয়া ফুটবলার
লিওনেল মেসি: ২১১
আর্লিং হালান্ড: ১৪২
সার্জিও আগুয়েরো: ১২৪
রহিম স্টার্লিং: ১২০
ফিল ফোডেন: ১০৪
...............................
২০
গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটি সবচেয়ে বেশি ২০ বার হারিয়েছে আর্সেনালকে। এ সময়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৩ বার।
১০
সবচেয়ে বেশি ১০ বার করে টটেনহাম ও লিভারপুলের কাছে হেরেছে গার্দিওলার ম্যানসিটি। তাঁর অধীনে এই দুই দলের হয়ে ২০টি করে ম্যাচ খেলেছে সিটি।

এভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। একের পর ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে দল পেল বড় পুঁজি। সেই সঙ্গে প্লেট সেমিফাইনালে ২৫ রানের জয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আকবর আলীর দল।
১ ঘণ্টা আগে
টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থথার পরও রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের ঝড়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ডগড়া ব্যাটিংয়ে জয়কে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি ক্যারিবীয়দের।
২ ঘণ্টা আগে
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। তাঁর সবচেয়ে বড় অভিযোগ জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে। ১৭ টেস্ট ও ৩৪ ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই পেসার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। একের পর ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে দল পেল বড় পুঁজি। সেই সঙ্গে প্লেট সেমিফাইনালে ২৫ রানের জয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আকবর আলীর দল।
মংকংয়ের মিশন রোড মাঠে আগে ব্যাট করে সোহানের ঝোড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে বাংলাদেশ। ৫৪ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যান সোহান। তাঁর ১৩ বলের ইনিংসটি এক চার ও ৮ ছক্কায় সাজানো। প্রথম ওভারেই চারটি ছয় মারেন এই ওপেনার।
সোহানের ফিফটির দিনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও জিসান আলমরাও কম যাননি। ৭ বলে ৪ ছক্কায় ২৪ রানে আউট হন জিসান। ২৭ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। ৮ বলে ৩ চারের পাশাপাশি দুটি ছয় মারেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের পতন হওয়া ৩ উইকেটের মধ্যে দুটিই নেন জর্ডান মরিস।
রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রকা। আব্দুল্লাহ বায়ুমির মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৫ বলেই ৫৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরে ওই ওপেনারের বিদায়ের পর। ১০ বলে ৩৮ রান করে আউট হন বায়ুমি।
শেষ ২০ বলে ৪৪ রানের সমীকরণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। কিন্তু আবু হায়দার রনি ও জিসানের বোলিংয়ে আটকে যায় তারা। নির্ধারিত ৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে রনি ও জিসান দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া রাকিবুল হাসান ও আকবর নেন একটি করে উইকেট।

ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। একের পর ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে দল পেল বড় পুঁজি। সেই সঙ্গে প্লেট সেমিফাইনালে ২৫ রানের জয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আকবর আলীর দল।
মংকংয়ের মিশন রোড মাঠে আগে ব্যাট করে সোহানের ঝোড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে বাংলাদেশ। ৫৪ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যান সোহান। তাঁর ১৩ বলের ইনিংসটি এক চার ও ৮ ছক্কায় সাজানো। প্রথম ওভারেই চারটি ছয় মারেন এই ওপেনার।
সোহানের ফিফটির দিনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও জিসান আলমরাও কম যাননি। ৭ বলে ৪ ছক্কায় ২৪ রানে আউট হন জিসান। ২৭ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। ৮ বলে ৩ চারের পাশাপাশি দুটি ছয় মারেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের পতন হওয়া ৩ উইকেটের মধ্যে দুটিই নেন জর্ডান মরিস।
রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রকা। আব্দুল্লাহ বায়ুমির মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৫ বলেই ৫৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরে ওই ওপেনারের বিদায়ের পর। ১০ বলে ৩৮ রান করে আউট হন বায়ুমি।
শেষ ২০ বলে ৪৪ রানের সমীকরণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। কিন্তু আবু হায়দার রনি ও জিসানের বোলিংয়ে আটকে যায় তারা। নির্ধারিত ৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে রনি ও জিসান দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া রাকিবুল হাসান ও আকবর নেন একটি করে উইকেট।

এভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড।
৪১ মিনিট আগে
টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থথার পরও রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের ঝড়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ডগড়া ব্যাটিংয়ে জয়কে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি ক্যারিবীয়দের।
২ ঘণ্টা আগে
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। তাঁর সবচেয়ে বড় অভিযোগ জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে। ১৭ টেস্ট ও ৩৪ ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই পেসার।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের ঝড়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়ে জয়কে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি ক্যারিবীয়দের। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে তাদের ৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
নেলসনের সাক্সটন ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডের করা ১৭৭ রানের জবাবে ৮৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন মনে হচ্ছিল বড় ব্যবধানেই হেরে যাবে সফরকারী দল। তবে ব্যাটিং ধস সামলে নবম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভীতি জেগেছিল কিউই শিবিরে। এই জুটি ভেঙে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ইশ শোধির করা ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু ফোর্ড। এরপর নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর চড়াও হন শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার। একের পর এক চার এবং ছয়ের মারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল স্বাগতিকেরা। অবশেষে নিউজিল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফেরান জ্যাকব ডাফি। ১৮তম ওভারের শেষ বলে স্প্রিঙ্গারকে আউট করেন এই পেসার। তার আগে শেফার্ডকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ রান যোগ করেন স্প্রিঙ্গার। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে নবম উইকেটে এটা সর্বোচ্চ রানের জুটি। রেকর্ড জুটি গড়ার পথে ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩৯ রান করেন স্প্রিঙ্গার। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে শেফার্ড বিদায় নিলে ১৬৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বলে ৪৯ রান করেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শোধি।
এর আগে যৌথ প্রচেষ্টায় এই পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। ৪১ রান আসে ড্যারেল মিচেলের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া রাচিন রবীন্দ্র ২৬ ও টিম রবিনসন করেন ২৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেসন হোল্ডার ও ফোর্ড দুটি করে উইকেট নেন।

টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের ঝড়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়ে জয়কে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি ক্যারিবীয়দের। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে তাদের ৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
নেলসনের সাক্সটন ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডের করা ১৭৭ রানের জবাবে ৮৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন মনে হচ্ছিল বড় ব্যবধানেই হেরে যাবে সফরকারী দল। তবে ব্যাটিং ধস সামলে নবম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভীতি জেগেছিল কিউই শিবিরে। এই জুটি ভেঙে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ইশ শোধির করা ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু ফোর্ড। এরপর নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর চড়াও হন শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার। একের পর এক চার এবং ছয়ের মারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল স্বাগতিকেরা। অবশেষে নিউজিল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফেরান জ্যাকব ডাফি। ১৮তম ওভারের শেষ বলে স্প্রিঙ্গারকে আউট করেন এই পেসার। তার আগে শেফার্ডকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ রান যোগ করেন স্প্রিঙ্গার। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে নবম উইকেটে এটা সর্বোচ্চ রানের জুটি। রেকর্ড জুটি গড়ার পথে ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩৯ রান করেন স্প্রিঙ্গার। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে শেফার্ড বিদায় নিলে ১৬৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বলে ৪৯ রান করেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শোধি।
এর আগে যৌথ প্রচেষ্টায় এই পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। ৪১ রান আসে ড্যারেল মিচেলের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া রাচিন রবীন্দ্র ২৬ ও টিম রবিনসন করেন ২৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেসন হোল্ডার ও ফোর্ড দুটি করে উইকেট নেন।

এভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড।
৪১ মিনিট আগে
ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। একের পর ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে দল পেল বড় পুঁজি। সেই সঙ্গে প্লেট সেমিফাইনালে ২৫ রানের জয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আকবর আলীর দল।
১ ঘণ্টা আগে
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। তাঁর সবচেয়ে বড় অভিযোগ জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে। ১৭ টেস্ট ও ৩৪ ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই পেসার।
২ ঘণ্টা আগে
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। তাঁর সবচেয়ে বড় অভিযোগ জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে। ১৭ টেস্ট ও ৩৪ ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই পেসার। এখন কাজ করছেন চীনে নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে। জাহানারার অভিযোগ নিয়ে মঞ্জু আজকের পত্রিকাকে যা বলেছেন, তা তুলে ধরা হলো এখানে। মঞ্জুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: যেসব অভিযোগ এসেছে আপনার বিরুদ্ধে, কী বলবেন?
মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু: জীবনে যত দিন ক্রিকেট খেলেছি, আমার একটাই ভুল—নিয়মের মধ্যে থেকেছি। কখনোই নিয়মের বাইরে যাইনি। এটাই মনে হয় আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল।
প্রশ্ন: শুধু জাহানারা আলমই নন, রুমানা আহমেদও অভিযোগ তুলেছেন আপনার বিরুদ্ধে।
মঞ্জু: ধরুন, আপনার সঙ্গে আমি একবার বাজে ব্যবহার করেছি। কিন্তু যদি দ্বিতীয়বারও করি, আপনি কি প্রমাণ রাখবেন না? ওরা এত বড় অভিযোগ করেছে, কিন্তু প্রমাণ বা ডকুমেন্টস দেখাচ্ছে না কেন? এই যে মেয়েদের পিরিয়ডের প্রসঙ্গটা এসেছে, পুরো বিষয়টা তো সমন্বিত, আমার একার বিষয় নয়। এ প্রসঙ্গে প্রথমে আসবে দলের ফিজিও, ট্রেনার, হেড কোচ; এরপর আমি। প্রতি বিশ্বকাপের আগে নারী ক্রিকেটে এসব বিষয়ে ক্লাস হয়। সেখানে ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়েরা অংশ নেয়। আমি ছিলাম টিম ম্যানেজার। আপনি ম্যাচ খেলছেন না, কী কারণে খেলছেন না—আমাকে তো এটা অবগত করতে সরাসরি হেডকোয়ার্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। আপনি খেলছেন না, কেন খেলছেন না—এটা আমাকে কে জানাবে? কোচ জানাবে। কোনো খেলোয়াড় যদি চোটে পড়ে, এটা আমাকে কে জানাবে? ফিজিও জানাবে। কোনো খেলোয়াড় যদি মেয়েলি সমস্যায় ভোগে, কে জানাবে—ফিজিও জানাবে কোচের মাধ্যমে। এখানে আমার কী করার আছে?
প্রশ্ন: জাহানারা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, এসব ভয়ানক...
মঞ্জু: প্রমাণটা কোথায়? যদি তাকে বলে থাকি, তখন কি সে দলের কারও সঙ্গে শেয়ার করেনি?
প্রশ্ন: জাহানারা জানিয়েছেন, তখন বিসিবিকে তিনি পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিলেন।
মঞ্জু: তখনকার চেয়ারম্যান (শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল) নিজের বক্তব্য দিয়েছেন, দেখেছেন ওটা (জাহানারা তখন যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেননি বলে দাবি) ? এখানে আমি আর কী বলব? সে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক ছিল, লম্বা সময় সার্ভিস দিয়েছে। তাকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। ও তো বলেছে, নাদেল ভাইকেও জানিয়েছিল। নাদেল ভাই বলেছেন, মঞ্জু নিয়মের ব্যাপারে কড়া ছিল। যদি নিয়মের মধ্যে থাকা অন্যায় হয়ে থাকে, যে পানিশমেন্ট দেয়, মাথা পেতে নেব।
প্রশ্ন: কাউকে অভ্যন্তরীণভাবে যদি মৌখিকভাবে উত্ত্যক্ত বা নিপীড়ন করা হয়, সেটার প্রমাণ রাখার উপায় কী?
মঞ্জু: আমার কি স্ত্রী-মেয়ে-বোন নেই? আমাকে এত বছর আপনারা দেখছেন—কখনো কি আমার ব্যাপারে এমন কিছু শুনেছেন? আর তাদের অভিযোগই যখন আছে, তখন কেন প্রকাশ্যে আসেনি?
প্রশ্ন: জাহানারা দাবি করেছেন, তখনই তিনি পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন বিসিবিকে।
মঞ্জু: কাকে তারা জানিয়েছে? তাহলে আমাকে কেন বরখাস্ত করেনি বিসিবি? কেন আমার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়নি? আচ্ছা, আন্তর্জাতিক ম্যাচে, বিশ্বকাপের সময় ম্যাচে টিভি ক্যামেরা থাকে না? আমি যখন তাঁকে এসব বলেছি, আছে কোনো ক্যামেরায়?
প্রশ্ন: একাধিক নারী ক্রিকেটারের দাবি, আপনি নাকি তাঁদের সঙ্গে টাচ করে কথা বলতে পছন্দ করতেন।
মঞ্জু: এত সাংবাদিক মাঠে ক্রিকেট কাভার করছেন, কখনো কি আপনারা এসব দেখেননি?
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুম বা অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয় তো বাইরে থেকে দেখা-বোঝা কঠিন।
মঞ্জু: আমি দেখেছি, মেয়েদের ড্রেসিংরুমে কোনো পুরুষ কোচিং স্টাফ যেত না। টিম মিটিংয়ের সময় সবাই একসঙ্গে যেত। আলাদাভাবে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। আপনি সব কোচিং স্টাফের কাছে শুনে দেখতে পারেন। ইমন তো হেড কোচ ছিল, ওকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি বলেছি, যেকোনো তদন্ত কমিটিকে ফেস করতে তৈরি। আমি দেশে আসব। কেন দেশে আসব না? আমাকে দেশে আসতেই হবে।
প্রশ্ন: এই অভিযোগের পর পারিবারিক, সামাজিকভাবে আপনাকে কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে?
মঞ্জু: আমার স্ত্রী আমার শক্তি। এই সময়ে তার পাশে থাকতে পারছি না, এটাই আফসোস। আমি এখন চীনে। চীন নারী দলের কোচ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো চুক্তি করেছে ওরা। দিজ ইজ নট ম্যাটার অব জোক! আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকলে তারা কি আমাকে নিত? আমি মাত্র নামাজ শেষ করেছি (কাল রাতে)। সত্যি বলছি, ওই ভিডিও (ইউটিউবারকে দেওয়া জাহানারার সাক্ষাৎকার) সাড়ে তিন মিনিটের পর আর দেখতেই পারিনি। যদি সদয় হন, আপনারা কি বুঝতে পারছেন না? জানি না আল্লাহ আমার কোন পরীক্ষা নিচ্ছেন। হয়তো ভালো কিছুর জন্য কাউকে কোনো দিন কষ্ট দিয়েছিলাম। যদি এসব অভিযোগ প্রমাণিত না হয়, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করব না।
প্রশ্ন: কেন অভিযোগ করতে চান না?
মঞ্জু: চাই না, কারও কারণে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
প্রশ্ন: যেভাবে খলনায়ক হিসেবে চিত্রিত হচ্ছেন তাতে... (প্রশ্ন শেষ না হতেই)।
মঞ্জু: আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। পরিবারকে শক্ত থাকতে বলেছি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি খারাপ! তবে প্রমাণ করতে হবে।
প্রশ্ন: বিসিবি কি এর মধ্যে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে?
মঞ্জু: অফিশিয়ালি হয়নি।
প্রশ্ন: যেসব অভিযোগ এসেছে আপনার বিরুদ্ধে, কী বলবেন?
মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু: জীবনে যত দিন ক্রিকেট খেলেছি, আমার একটাই ভুল—নিয়মের মধ্যে থেকেছি। কখনোই নিয়মের বাইরে যাইনি। এটাই মনে হয় আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল।
প্রশ্ন: শুধু জাহানারা আলমই নন, রুমানা আহমেদও অভিযোগ তুলেছেন আপনার বিরুদ্ধে।
মঞ্জু: ধরুন, আপনার সঙ্গে আমি একবার বাজে ব্যবহার করেছি। কিন্তু যদি দ্বিতীয়বারও করি, আপনি কি প্রমাণ রাখবেন না? ওরা এত বড় অভিযোগ করেছে, কিন্তু প্রমাণ বা ডকুমেন্টস দেখাচ্ছে না কেন? এই যে মেয়েদের পিরিয়ডের প্রসঙ্গটা এসেছে, পুরো বিষয়টা তো সমন্বিত, আমার একার বিষয় নয়। এ প্রসঙ্গে প্রথমে আসবে দলের ফিজিও, ট্রেনার, হেড কোচ; এরপর আমি। প্রতি বিশ্বকাপের আগে নারী ক্রিকেটে এসব বিষয়ে ক্লাস হয়। সেখানে ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়েরা অংশ নেয়। আমি ছিলাম টিম ম্যানেজার। আপনি ম্যাচ খেলছেন না, কী কারণে খেলছেন না—আমাকে তো এটা অবগত করতে সরাসরি হেডকোয়ার্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। আপনি খেলছেন না, কেন খেলছেন না—এটা আমাকে কে জানাবে? কোচ জানাবে। কোনো খেলোয়াড় যদি চোটে পড়ে, এটা আমাকে কে জানাবে? ফিজিও জানাবে। কোনো খেলোয়াড় যদি মেয়েলি সমস্যায় ভোগে, কে জানাবে—ফিজিও জানাবে কোচের মাধ্যমে। এখানে আমার কী করার আছে?
প্রশ্ন: জাহানারা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, এসব ভয়ানক...
মঞ্জু: প্রমাণটা কোথায়? যদি তাকে বলে থাকি, তখন কি সে দলের কারও সঙ্গে শেয়ার করেনি?
প্রশ্ন: জাহানারা জানিয়েছেন, তখন বিসিবিকে তিনি পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিলেন।
মঞ্জু: তখনকার চেয়ারম্যান (শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল) নিজের বক্তব্য দিয়েছেন, দেখেছেন ওটা (জাহানারা তখন যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেননি বলে দাবি) ? এখানে আমি আর কী বলব? সে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক ছিল, লম্বা সময় সার্ভিস দিয়েছে। তাকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। ও তো বলেছে, নাদেল ভাইকেও জানিয়েছিল। নাদেল ভাই বলেছেন, মঞ্জু নিয়মের ব্যাপারে কড়া ছিল। যদি নিয়মের মধ্যে থাকা অন্যায় হয়ে থাকে, যে পানিশমেন্ট দেয়, মাথা পেতে নেব।
প্রশ্ন: কাউকে অভ্যন্তরীণভাবে যদি মৌখিকভাবে উত্ত্যক্ত বা নিপীড়ন করা হয়, সেটার প্রমাণ রাখার উপায় কী?
মঞ্জু: আমার কি স্ত্রী-মেয়ে-বোন নেই? আমাকে এত বছর আপনারা দেখছেন—কখনো কি আমার ব্যাপারে এমন কিছু শুনেছেন? আর তাদের অভিযোগই যখন আছে, তখন কেন প্রকাশ্যে আসেনি?
প্রশ্ন: জাহানারা দাবি করেছেন, তখনই তিনি পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন বিসিবিকে।
মঞ্জু: কাকে তারা জানিয়েছে? তাহলে আমাকে কেন বরখাস্ত করেনি বিসিবি? কেন আমার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়নি? আচ্ছা, আন্তর্জাতিক ম্যাচে, বিশ্বকাপের সময় ম্যাচে টিভি ক্যামেরা থাকে না? আমি যখন তাঁকে এসব বলেছি, আছে কোনো ক্যামেরায়?
প্রশ্ন: একাধিক নারী ক্রিকেটারের দাবি, আপনি নাকি তাঁদের সঙ্গে টাচ করে কথা বলতে পছন্দ করতেন।
মঞ্জু: এত সাংবাদিক মাঠে ক্রিকেট কাভার করছেন, কখনো কি আপনারা এসব দেখেননি?
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুম বা অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয় তো বাইরে থেকে দেখা-বোঝা কঠিন।
মঞ্জু: আমি দেখেছি, মেয়েদের ড্রেসিংরুমে কোনো পুরুষ কোচিং স্টাফ যেত না। টিম মিটিংয়ের সময় সবাই একসঙ্গে যেত। আলাদাভাবে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। আপনি সব কোচিং স্টাফের কাছে শুনে দেখতে পারেন। ইমন তো হেড কোচ ছিল, ওকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি বলেছি, যেকোনো তদন্ত কমিটিকে ফেস করতে তৈরি। আমি দেশে আসব। কেন দেশে আসব না? আমাকে দেশে আসতেই হবে।
প্রশ্ন: এই অভিযোগের পর পারিবারিক, সামাজিকভাবে আপনাকে কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে?
মঞ্জু: আমার স্ত্রী আমার শক্তি। এই সময়ে তার পাশে থাকতে পারছি না, এটাই আফসোস। আমি এখন চীনে। চীন নারী দলের কোচ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো চুক্তি করেছে ওরা। দিজ ইজ নট ম্যাটার অব জোক! আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকলে তারা কি আমাকে নিত? আমি মাত্র নামাজ শেষ করেছি (কাল রাতে)। সত্যি বলছি, ওই ভিডিও (ইউটিউবারকে দেওয়া জাহানারার সাক্ষাৎকার) সাড়ে তিন মিনিটের পর আর দেখতেই পারিনি। যদি সদয় হন, আপনারা কি বুঝতে পারছেন না? জানি না আল্লাহ আমার কোন পরীক্ষা নিচ্ছেন। হয়তো ভালো কিছুর জন্য কাউকে কোনো দিন কষ্ট দিয়েছিলাম। যদি এসব অভিযোগ প্রমাণিত না হয়, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করব না।
প্রশ্ন: কেন অভিযোগ করতে চান না?
মঞ্জু: চাই না, কারও কারণে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
প্রশ্ন: যেভাবে খলনায়ক হিসেবে চিত্রিত হচ্ছেন তাতে... (প্রশ্ন শেষ না হতেই)।
মঞ্জু: আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। পরিবারকে শক্ত থাকতে বলেছি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি খারাপ! তবে প্রমাণ করতে হবে।
প্রশ্ন: বিসিবি কি এর মধ্যে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে?
মঞ্জু: অফিশিয়ালি হয়নি।

এভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড।
৪১ মিনিট আগে
ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। একের পর ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে দল পেল বড় পুঁজি। সেই সঙ্গে প্লেট সেমিফাইনালে ২৫ রানের জয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আকবর আলীর দল।
১ ঘণ্টা আগে
টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থথার পরও রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের ঝড়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ডগড়া ব্যাটিংয়ে জয়কে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি ক্যারিবীয়দের।
২ ঘণ্টা আগে