Ajker Patrika

রেকর্ড জুটি গড়েও হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৫০
৯ রানে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: এক্স
৯ রানে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: এক্স

টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের ঝড়ে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়ে জয়কে প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি ক্যারিবীয়দের। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে তাদের ৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

নেলসনের সাক্সটন ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডের করা ১৭৭ রানের জবাবে ৮৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন মনে হচ্ছিল বড় ব্যবধানেই হেরে যাবে সফরকারী দল। তবে ব্যাটিং ধস সামলে নবম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভীতি জেগেছিল কিউই শিবিরে। এই জুটি ভেঙে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

ইশ শোধির করা ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু ফোর্ড। এরপর নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর চড়াও হন শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার। একের পর এক চার এবং ছয়ের মারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল স্বাগতিকেরা। অবশেষে নিউজিল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফেরান জ্যাকব ডাফি। ১৮তম ওভারের শেষ বলে স্প্রিঙ্গারকে আউট করেন এই পেসার। তার আগে শেফার্ডকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ রান যোগ করেন স্প্রিঙ্গার। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে নবম উইকেটে এটা সর্বোচ্চ রানের জুটি। রেকর্ড জুটি গড়ার পথে ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩৯ রান করেন স্প্রিঙ্গার। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে শেফার্ড বিদায় নিলে ১৬৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বলে ৪৯ রান করেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শোধি।

এর আগে যৌথ প্রচেষ্টায় এই পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। ৪১ রান আসে ড্যারেল মিচেলের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া রাচিন রবীন্দ্র ২৬ ও টিম রবিনসন করেন ২৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেসন হোল্ডার ও ফোর্ড দুটি করে উইকেট নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় দলে ডাক পেলেন কিউবা মিচেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন এই তরুণ ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন এই তরুণ ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন কিউবা মিচেল। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার আমের খান।

ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে গত ৩০ অক্টোবর শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। চোটে পড়েছেন রহমত মিয়া ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তাদের পরিবর্তে প্রাথমিক দলে ডাকা হয়েছে কিউবা ও মুরশেদ আলীকে। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করবেন তাঁরা।

গত জুনে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পান কিউবা। কিন্তু সিঙ্গাপুর ও হংকং ম্যাচে জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পাননি কিউবা। ভারতের বিপক্ষে প্রাথমিক দলে শুরুতে তাঁকে না রাখায় সমালোচনার মুখে পড়তে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। তখন নিজের জায়গায় অটল ছিলেন তিনি। কিন্তু ইব্রাহিমের চোট খুলে দিল কিউবার কপাল। ইংল্যান্ড প্রবাসী এই মিডফিল্ডারের সামনে এখন চূড়ান্ত দলে সুযোগ করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।

চলতি মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেন কিউবা। যদিও নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। অল্প সময়ে ঠিকই চিনিয়েছেন নিজের জাত।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় অধিনায়কের ‘খোঁচা’

ক্রীড়া ডেস্ক    
২–১ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। ছবি: এক্স
২–১ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। ছবি: এক্স

এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। সেই বিবাদ শেষ হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সচিব দেবজিত সাইকিয়া। এরপরও পাকিস্তানকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ভারতের টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। তাতে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় সফরকারী দল। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সূর্যকুমার বলেন, ‘অবশেষে আমরা ট্রফি হাতে নিতে পেরেছি। এটা দারুণ ব্যাপার। সিরিজ জয়ের পর আমাদের ট্রফি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রফি ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি দারুণ। কিছুদিন আগে ভারত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। সেই ট্রফিটাও ভারতে আছে। ট্রফি জেতার পর সেটা হাতে নিতে পারার অনুভূতি বরাবরই অন্যরকম।’

সূর্যকুমার যে এশিয়া কাপ প্রসঙ্গ টেনে এসব কথা বলেছেন তা কারও বোঝার বাকি নেই। সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। কিন্তু এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। এই বিষয়ে এসিসি প্রধানও বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। সাফ জানিয়ে দেন, ভারতীয় দল ট্রফি নিতে চাইলে তাঁর হাত থেকেই নিতে হবে।

এশিয়া কাপের পর এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ট্রফি ইস্যুতে যেন কোনোভাবেই সমাধান আসছিল না। অবশেষে গতকাল আশার কথা শোনান সাইকিয়া। বিসিসিআই সচিব জানান, বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই নাকভির সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবে বিসিসিআই।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাইকিয়া বলেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান নাকভি ও বিসিসিআই বন্ধুত্বপূর্ণভাবে এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে চলা দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলবে। আমি আইসিসির সভায় উপস্থিত ছিলাম। সে সভায় নাকভিও ছিলেন। দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আইসিসি আমার ও পিসিবি প্রধানের মধ্যে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ লিভারপুলের আতিথেয়তা নেবে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এক্স
আজ লিভারপুলের আতিথেয়তা নেবে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এক্স

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড। ১০ বার করে সিটিকে হারানোর রেকর্ড এখন লিভারপুলের সঙ্গে যৌথভাবে টটেনহাম হটস্পারেরও। আজ জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারবে অ্যানফিল্ডের দলটি।

লিভারপুল পারবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দারুণ এক মাইলফলকে পা রাখবেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। কোচ হিসেবে এটি হবে তাঁর ১০০০ তম ম্যাচ।

১৮ বছর আগে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন তাঁর ভাবনায়ও ছিল না একদিন হাজার ম্যাচের মাইলফলকে পা রাখতে পারবেন। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচের আগে সিটির স্প্যানিশ কোচের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘কোচ হিসেবে এক হাজার ম্যাচ—আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। বার্সেলোনা ‘বি’ দল দিয়ে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কখনো ভাবিনি এমন মাইলফলকে পৌঁছাতে পারব। তখন শুধুই চাওয়া ছিল ভালো ফুটবল খেলানো আর ঠিক পথে এগোনো।’

কোচিং ক্যারিয়ারের ৯৯৯ ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৪৯টি ম্যাচে তিনি থেকেছেন সিটির ডাগআউটে। সব মিলিয়ে কোচ হিসেবে তিনি জিতেছেন ৭১৫টি জয়। সাফল্য ৭১.৫৭ শতাংশ। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি বড় ট্রফি জিতেছেন। প্রতি ২৫ ম্যাচে একটি করে শিরোপা!

............. .

১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার

কোচ গার্দিওলা

ম্যাচ: ৯৯৯

জয়: ৭১৫

ড্র: ১৫৬

হার: ১২৮

............

কোন দলের হয়ে কত ম্যাচ

ম্যানসিটি: ৫৪৯

বার্সেলোনা: ২৪৭

বায়ার্ন: ১৬১

বার্সা ‘বি’: ৪২

.............................

গার্দিওলার অধীনে সবচেয়ে বেশি গোল পাওয়া ফুটবলার

লিওনেল মেসি: ২১১

আর্লিং হালান্ড: ১৪২

সার্জিও আগুয়েরো: ১২৪

রহিম স্টার্লিং: ১২০

ফিল ফোডেন: ১০৪

...............................

২০

গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটি সবচেয়ে বেশি ২০ বার হারিয়েছে আর্সেনালকে। এ সময়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৩ বার।

১০

সবচেয়ে বেশি ১০ বার করে টটেনহাম ও লিভারপুলের কাছে হেরেছে গার্দিওলার ম্যানসিটি। তাঁর অধীনে এই দুই দলের হয়ে ২০টি করে ম্যাচ খেলেছে সিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোহানের ৮ ছক্কার ঝড়, প্রোটিয়াদের হারিয়ে প্লেট ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ২৯
৫৪ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। ছবি: সংগৃহীত
৫৪ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। একের পর ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে দল পেল বড় পুঁজি। সেই সঙ্গে প্লেট সেমিফাইনালে ২৫ রানের জয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আকবর আলীর দল।

মংকংয়ের মিশন রোড মাঠে আগে ব্যাট করে সোহানের ঝোড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে বাংলাদেশ। ৫৪ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যান সোহান। তাঁর ১৩ বলের ইনিংসটি এক চার ও ৮ ছক্কায় সাজানো। প্রথম ওভারেই চারটি ছয় মারেন এই ওপেনার।

সোহানের ফিফটির দিনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও জিসান আলমরাও কম যাননি। ৭ বলে ৪ ছক্কায় ২৪ রানে আউট হন জিসান। ২৭ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। ৮ বলে ৩ চারের পাশাপাশি দুটি ছয় মারেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের পতন হওয়া ৩ উইকেটের মধ্যে দুটিই নেন জর্ডান মরিস।

রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রকা। আব্দুল্লাহ বায়ুমির মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৫ বলেই ৫৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরে ওই ওপেনারের বিদায়ের পর। ১০ বলে ৩৮ রান করে আউট হন বায়ুমি।

শেষ ২০ বলে ৪৪ রানের সমীকরণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। কিন্তু আবু হায়দার রনি ও জিসানের বোলিংয়ে আটকে যায় তারা। নির্ধারিত ৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে রনি ও জিসান দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া রাকিবুল হাসান ও আকবর নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত