একেকটি সিরিজ মানেই যেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য একেকটি ক্লাস। সফরে গেলে শিখে আসেন অনেক কিছু। গত ভারত সফরে নাজমুল হোসেন শান্তরা অনেক কিছু শিখেছিলেন। কিন্তু সেই শিক্ষা মাস না যেতেই ভুলে গেলেন!
পাকিস্তানকে রাওয়ালপিন্ডিতে ‘ধূলিসাৎ’ করার আনন্দ নিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের। তারপর সেখানে নিজেরাই ‘চিৎপটাং’! এই সিরিজ নিয়ে দুই দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ মিলিয়ে যে ‘রণ ঢঙ্কা’ বেজেছিল—সেটি ফুটো হয়ে যেতে বেশি দিন লাগেনি।
চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হারলেও অবশ্য ‘ইতিবাচক’ ছিলেন শান্ত। প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন কানপুরে ঘুরে দাঁড়ানোর। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশ অধিনায়কও বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু আশার বেলুন ফুটো হতে সময় লাগেনি।
হোয়াইটওয়াশের পর শান্ত দায় চাপিয়েছিলেন ব্যাটারদের ওপর। সেই ব্যর্থদের তালিকায় তিনিও কি ছিলেন না! দায় যদি একটু নিজের কাঁধেও নিতেন তবে ভারতের তারুণ্যনির্ভর দলের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ওভাবে নাস্তানাবুদ হতে হতো না! কিন্তু ভারত থেকে শান্তরা শিখলেন কী! শিখলে কী নিজের পাড়ার মাঠেই আরেকবার মুখ থুবড়ে পড়তে হয়!
মিরপুর টেস্ট চার দিনে গেছে শুধু মেহেদী হাসান মিরাজ ও বৃষ্টির কারণে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পর দুই দিনেই হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। ভাগ্যিস, তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণির পর দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের ৯৭ রানের ইনিংস আর তৃতীয় দিনে বৃষ্টি নেমেছিল। তারপরও ৯ বছর পর অনভিজ্ঞ দল নিয়ে সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ উইকেটের জয় বলে দেয়, ২৪ বছরেও টেস্ট মেজাজ পোক্ত হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
এমন হারের পর শান্তর আবারও সেই দায় চাপানো কথা, ‘এমন পরিস্থিতিতে এটা আমরা আগে কখনো করিনি। নতুন বলের বিপক্ষে খেলতে ব্যাটারদের দায় নিতেই হবে।’ এ-ও বললেন, ‘আমরা দল হিসেবে ভালো ব্যাটিং করতে পারি। সবাই তো সেটা জানি।’ শান্ত-লিটনরা ভালো ব্যাটিং করেন, সেটি সবাই জানেন। কিন্তু নিজেরা জানেন কী! জানলে অমন হতচ্ছাড়া ব্যাটিং কেন!
এক ম্যাচে ভালো করে ১০ ম্যাচে খারাপ করলেও যখন বাদ পড়তে হয় না, তখন ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করতেই বা হবে কেন শান্তদের। বরং একটু তাড়াতাড়ি মাঠ ছাড়তে পারলে বিশ্রামটাও বেশি পাওয়া যায়। এই ধরুন, মিরপুরে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই হেরে যাওয়ায় চট্টগ্রাম টেস্টের আগে চার দিন বিশ্রাম পাচ্ছেন শান্তরা। সেই বিশ্রাম থেকে ফিরে আড়মোড়া ভেঙে যদি এবার একটু জ্বলে উঠতে পারেন আর কী!
মিরপুর থেকে শান্তরা এবারও হয়তো অনেক কিছু শিখেছেন। সেই শেখা থেকে আজ ৮৮ মিনিটে হার নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়কের কথা, ‘ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে নতুন বলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। পরের টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রয়োজন দলগত সামষ্টিক পারফরম্যান্স দেখানোর।’ এই দায়িত্ব যে তাঁরা কবে নিতে পারবেন!
না—এবার আর হারের পর মুখস্থ কথা ‘শেখার’ কথা সরাসরি বলেননি শান্ত। হারের পর সেখান থেকে শেখা ও পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা অবশ্য প্রায় দলের অধিনায়কেরা বলে থাকেন। অনেকে সত্যিই শেখে ঘুরে দাঁড়ালেও কেন যেন বাংলাদেশিদের শেখাও হয় না, ঘুরে দাঁড়ালেও দুই দিন পর পুরোনো অভ্যাসে ফিরে যায়। তবে দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শেখার যে তাগিদ তাঁদের সেটি ইতিবাচক চোখেই দেখতে হবে আমাদের। শত ব্যর্থতার মাঝেও বাংলাদেশ দলের ইতিবাচক মানসিকতাও প্রশংসার দাবিদার বটে।
একেকটি সিরিজ মানেই যেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য একেকটি ক্লাস। সফরে গেলে শিখে আসেন অনেক কিছু। গত ভারত সফরে নাজমুল হোসেন শান্তরা অনেক কিছু শিখেছিলেন। কিন্তু সেই শিক্ষা মাস না যেতেই ভুলে গেলেন!
পাকিস্তানকে রাওয়ালপিন্ডিতে ‘ধূলিসাৎ’ করার আনন্দ নিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের। তারপর সেখানে নিজেরাই ‘চিৎপটাং’! এই সিরিজ নিয়ে দুই দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ মিলিয়ে যে ‘রণ ঢঙ্কা’ বেজেছিল—সেটি ফুটো হয়ে যেতে বেশি দিন লাগেনি।
চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হারলেও অবশ্য ‘ইতিবাচক’ ছিলেন শান্ত। প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন কানপুরে ঘুরে দাঁড়ানোর। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশ অধিনায়কও বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু আশার বেলুন ফুটো হতে সময় লাগেনি।
হোয়াইটওয়াশের পর শান্ত দায় চাপিয়েছিলেন ব্যাটারদের ওপর। সেই ব্যর্থদের তালিকায় তিনিও কি ছিলেন না! দায় যদি একটু নিজের কাঁধেও নিতেন তবে ভারতের তারুণ্যনির্ভর দলের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ওভাবে নাস্তানাবুদ হতে হতো না! কিন্তু ভারত থেকে শান্তরা শিখলেন কী! শিখলে কী নিজের পাড়ার মাঠেই আরেকবার মুখ থুবড়ে পড়তে হয়!
মিরপুর টেস্ট চার দিনে গেছে শুধু মেহেদী হাসান মিরাজ ও বৃষ্টির কারণে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পর দুই দিনেই হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। ভাগ্যিস, তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণির পর দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের ৯৭ রানের ইনিংস আর তৃতীয় দিনে বৃষ্টি নেমেছিল। তারপরও ৯ বছর পর অনভিজ্ঞ দল নিয়ে সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ উইকেটের জয় বলে দেয়, ২৪ বছরেও টেস্ট মেজাজ পোক্ত হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
এমন হারের পর শান্তর আবারও সেই দায় চাপানো কথা, ‘এমন পরিস্থিতিতে এটা আমরা আগে কখনো করিনি। নতুন বলের বিপক্ষে খেলতে ব্যাটারদের দায় নিতেই হবে।’ এ-ও বললেন, ‘আমরা দল হিসেবে ভালো ব্যাটিং করতে পারি। সবাই তো সেটা জানি।’ শান্ত-লিটনরা ভালো ব্যাটিং করেন, সেটি সবাই জানেন। কিন্তু নিজেরা জানেন কী! জানলে অমন হতচ্ছাড়া ব্যাটিং কেন!
এক ম্যাচে ভালো করে ১০ ম্যাচে খারাপ করলেও যখন বাদ পড়তে হয় না, তখন ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করতেই বা হবে কেন শান্তদের। বরং একটু তাড়াতাড়ি মাঠ ছাড়তে পারলে বিশ্রামটাও বেশি পাওয়া যায়। এই ধরুন, মিরপুরে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই হেরে যাওয়ায় চট্টগ্রাম টেস্টের আগে চার দিন বিশ্রাম পাচ্ছেন শান্তরা। সেই বিশ্রাম থেকে ফিরে আড়মোড়া ভেঙে যদি এবার একটু জ্বলে উঠতে পারেন আর কী!
মিরপুর থেকে শান্তরা এবারও হয়তো অনেক কিছু শিখেছেন। সেই শেখা থেকে আজ ৮৮ মিনিটে হার নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়কের কথা, ‘ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে নতুন বলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। পরের টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রয়োজন দলগত সামষ্টিক পারফরম্যান্স দেখানোর।’ এই দায়িত্ব যে তাঁরা কবে নিতে পারবেন!
না—এবার আর হারের পর মুখস্থ কথা ‘শেখার’ কথা সরাসরি বলেননি শান্ত। হারের পর সেখান থেকে শেখা ও পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা অবশ্য প্রায় দলের অধিনায়কেরা বলে থাকেন। অনেকে সত্যিই শেখে ঘুরে দাঁড়ালেও কেন যেন বাংলাদেশিদের শেখাও হয় না, ঘুরে দাঁড়ালেও দুই দিন পর পুরোনো অভ্যাসে ফিরে যায়। তবে দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শেখার যে তাগিদ তাঁদের সেটি ইতিবাচক চোখেই দেখতে হবে আমাদের। শত ব্যর্থতার মাঝেও বাংলাদেশ দলের ইতিবাচক মানসিকতাও প্রশংসার দাবিদার বটে।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১২ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১৪ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৪ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৫ ঘণ্টা আগে