Ajker Patrika

বাংলাদেশ কি পারবে ধবলধোলাই এড়াতে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিবের ৯২ রানের জুটি। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে পরশু বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন তাঁরা। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিবের ৯২ রানের জুটি। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে পরশু বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন তাঁরা। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বাংলাদেশ দলের একদিন ব্যাটিং ঠিকঠাক হচ্ছে তো বোলিং এলোমেলো। আরেক দিন বোলিং ঠিকঠাক কিন্তু ব্যাটিং বাজে—এ অধারাবাহিকতায় যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সেন্ট কিটসে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাইয়ের সামনে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আজ সেন্ট কিটসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নামবে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে। আর ১০ বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাইবে সফরকারীদের ধবলধোলাইয়ের স্বাদ দিয়ে সিরিজটার মধুর সমাপ্তি ঘটানোর।

পরশু সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেন্ট কিটসের ব্যাটিংবান্ধব উইকেট বাংলাদেশ যেন ঠিকভাবে পড়তেই পারেনি। প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিত ব্যাটিং দেখা গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বিভাগ ভেঙে পড়েছে। মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান সাকিবের লড়াকু ইনিংস ছাড়া দলের বাকিরা ছিলেন ব্যর্থ। ম্যাচ শেষে মিরাজও ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা মাঝের ওভারগুলোয় ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। কোনো জুটি গড়তে পারিনি, আর একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব ভালো খেলেছেন, কিন্তু ব্যাটিংয়ের ভুলগুলোই আমাদের ডুবিয়েছে।’

ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছিল চাপে, দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দল। টপ অর্ডার দ্রুত ধসে পড়ার পর মিডল অর্ডারও বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হয়। ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ (৬২) আর শেষ দিকে তানজিম সাকিব (৪৫)। তাঁদের ব্যাটে চড়ে দল ২০০ ছাড়ালেও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সাদা বলের ক্রিকেটে ঝড় তুলতে পারদর্শী ক্যারিবীয় ব্যাটারদের সামনে খুব বড় কোনো বাধা মনে হয়নি।

হারের ব্যাখ্যায় মিরাজ স্বীকার করে নিলেন পুঁজি লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, ‘এই স্কোর জিততে যথেষ্ট ছিল না। আমাদের কমপক্ষে ৩০০ পেরোনো স্কোর প্রয়োজন ছিল।’ ক্যারিবীয় পেস আক্রমণ বিশেষ করে জেডেন সিলসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বোলাররা ভালো না করতে পারলেও বাংলাদেশের বোলারদের হতশ্রী বোলিংয়ের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন মিরাজ, ‘আমাদের প্রথম ১০ ওভারে দারুণ বোলিং হয়েছে, বিশেষ করে (নাহিদ) রানা অসাধারণ বোলিং করেছেন।’

টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে পায়ের তলার মাটি খুঁজে না পেলেও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ সব সময় সমীহজাগানো দল। কিন্তু এখন এই ফরম্যাটেও ভালো করতে পারছে না তারা। দলে মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়ের মতো নিয়মিত কয়েকজন ক্রিকেটার নেই চোটে পড়ে। তাঁদের অনুপস্থিতির প্রভাব কি পড়েছে দলে? মিরাজ তা মনে করেন না। তাঁর যুক্তি, ‘আমরা যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি, তাহলে জয় সম্ভব। দলে কে আছে বা নেই, তা নিয়ে ভাবি না। আমরা যাঁরা আছি, তাঁদের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে। এই উইকেটে আরও শৃঙ্খল থেকে স্টাম্প টু স্টাম্প বোলিং করা জরুরি।’

২-০ পিছিয়ে থাকলেও এখনো ওয়ানডে সিরিজ থেকে পাওয়ার অনেক কিছুই দেখছেন, গত ম্যাচে বিপর্যয়ে হাল ধরা তানজিম সাকিব। আজ সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চান। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শেষ ম্যাচ জিতে আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেষ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ফাইনাল হারল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
শিরোপা জেতা হলো না বাংলাদেশের। ছবি: সংগৃহীত
শিরোপা জেতা হলো না বাংলাদেশের। ছবি: সংগৃহীত

আবু হায়দার রনির দারুণ বোলিংয়ে জয়ের ভালো সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু শেষ ওভারে হতাশ করলেন আকবর আলী। অধিনায়কের খরুচে বোলিংয়ে হংকং সিক্সেসের প্লেট ফাইনালে আয়োজকদের কাছে এক উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। রানার্সআপ হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল আকবরের দল।

সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২৮ রানের পুঁজি নিয়ে ২৫ রানের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও দলটির সংগ্রহ ছিল বেশ বড়। মংকংয়ের মিশন রোড মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৬ ওভারে ১২০ রান তোলে বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে এক উইকেট হাতে রেখে হংকংয়ের দরকার ছিল ৩০ রান। ইজাজ খানের ব্যাটিং তাণ্ডবে এই কঠিন সমীকরণ মিলিয়েছে তারা। শেষ ওভারে হাতে বল তুলে নেন আকবর। তাঁর প্রথম বলেই ছয় মারেন ইজাজ। দ্বিতীয় ডেলিভারি ওয়াইড দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন ইজাজ। তৃতীয় বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। চতুর্থ বলে ছয় মেরে দলকে জয়ের পথে রাখেন এই টপঅর্ডার।

আকবরের করা পঞ্চম ডেলিভারি ওয়াইড হয়। পরের দুই বলে টানা ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ইজাজ। সব মিলিয়ে আকবরের সে ওভারে ৫ ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান তুলেন তিনি। তাতেই প্লেট শিরোপার স্বপ্ন শেষ হয় বাংলাদেশের। ২১ বলে ৪ চার ও ১১ ছক্কায় ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইজাজ। ১০ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নিজাকত খান। ২২ রানে ৪ উইকেট নেন রনি।

এর আগে বাংলাদেশের হয়ে আকবরের অবদান ৫১ রান। ১৩ বলে ১ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। ৮ বলে ২৮ রান এনে দেন রনি। ৭ বলে ২৭ রান করেন জিসান। হংকংয়ের হয়ে নাসরুল্লাহ রানা ১৯ রানে ২ উইকেট নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় দলে ডাক পেলেন কিউবা মিচেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন এই তরুণ ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন এই তরুণ ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন কিউবা মিচেল। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার আমের খান।

ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে গত ৩০ অক্টোবর শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। চোটে পড়েছেন রহমত মিয়া ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তাদের পরিবর্তে প্রাথমিক দলে ডাকা হয়েছে কিউবা ও মুরশেদ আলীকে। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করবেন তাঁরা।

গত জুনে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পান কিউবা। কিন্তু সিঙ্গাপুর ও হংকং ম্যাচে জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পাননি কিউবা। ভারতের বিপক্ষে প্রাথমিক দলে শুরুতে তাঁকে না রাখায় সমালোচনার মুখে পড়তে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। তখন নিজের জায়গায় অটল ছিলেন তিনি। কিন্তু ইব্রাহিমের চোট খুলে দিল কিউবার কপাল। ইংল্যান্ড প্রবাসী এই মিডফিল্ডারের সামনে এখন চূড়ান্ত দলে সুযোগ করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।

চলতি মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেন কিউবা। যদিও নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। অল্প সময়ে ঠিকই চিনিয়েছেন নিজের জাত।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় অধিনায়কের ‘খোঁচা’

ক্রীড়া ডেস্ক    
২–১ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। ছবি: এক্স
২–১ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। ছবি: এক্স

এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। সেই বিবাদ শেষ হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সচিব দেবজিত সাইকিয়া। এরপরও পাকিস্তানকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ভারতের টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। তাতে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় সফরকারী দল। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সূর্যকুমার বলেন, ‘অবশেষে আমরা ট্রফি হাতে নিতে পেরেছি। এটা দারুণ ব্যাপার। সিরিজ জয়ের পর আমাদের ট্রফি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রফি ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি দারুণ। কিছুদিন আগে ভারত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। সেই ট্রফিটাও ভারতে আছে। ট্রফি জেতার পর সেটা হাতে নিতে পারার অনুভূতি বরাবরই অন্যরকম।’

সূর্যকুমার যে এশিয়া কাপ প্রসঙ্গ টেনে এসব কথা বলেছেন তা কারও বোঝার বাকি নেই। সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। কিন্তু এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। এই বিষয়ে এসিসি প্রধানও বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। সাফ জানিয়ে দেন, ভারতীয় দল ট্রফি নিতে চাইলে তাঁর হাত থেকেই নিতে হবে।

এশিয়া কাপের পর এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ট্রফি ইস্যুতে যেন কোনোভাবেই সমাধান আসছিল না। অবশেষে গতকাল আশার কথা শোনান সাইকিয়া। বিসিসিআই সচিব জানান, বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই নাকভির সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবে বিসিসিআই।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাইকিয়া বলেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান নাকভি ও বিসিসিআই বন্ধুত্বপূর্ণভাবে এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে চলা দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলবে। আমি আইসিসির সভায় উপস্থিত ছিলাম। সে সভায় নাকভিও ছিলেন। দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আইসিসি আমার ও পিসিবি প্রধানের মধ্যে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ লিভারপুলের আতিথেয়তা নেবে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এক্স
আজ লিভারপুলের আতিথেয়তা নেবে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এক্স

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড। ১০ বার করে সিটিকে হারানোর রেকর্ড এখন লিভারপুলের সঙ্গে যৌথভাবে টটেনহাম হটস্পারেরও। আজ জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারবে অ্যানফিল্ডের দলটি।

লিভারপুল পারবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দারুণ এক মাইলফলকে পা রাখবেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। কোচ হিসেবে এটি হবে তাঁর ১০০০ তম ম্যাচ।

১৮ বছর আগে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন তাঁর ভাবনায়ও ছিল না একদিন হাজার ম্যাচের মাইলফলকে পা রাখতে পারবেন। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচের আগে সিটির স্প্যানিশ কোচের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘কোচ হিসেবে এক হাজার ম্যাচ—আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। বার্সেলোনা ‘বি’ দল দিয়ে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কখনো ভাবিনি এমন মাইলফলকে পৌঁছাতে পারব। তখন শুধুই চাওয়া ছিল ভালো ফুটবল খেলানো আর ঠিক পথে এগোনো।’

কোচিং ক্যারিয়ারের ৯৯৯ ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৪৯টি ম্যাচে তিনি থেকেছেন সিটির ডাগআউটে। সব মিলিয়ে কোচ হিসেবে তিনি জিতেছেন ৭১৫টি জয়। সাফল্য ৭১.৫৭ শতাংশ। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি বড় ট্রফি জিতেছেন। প্রতি ২৫ ম্যাচে একটি করে শিরোপা!

............. .

১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার

কোচ গার্দিওলা

ম্যাচ: ৯৯৯

জয়: ৭১৫

ড্র: ১৫৬

হার: ১২৮

............

কোন দলের হয়ে কত ম্যাচ

ম্যানসিটি: ৫৪৯

বার্সেলোনা: ২৪৭

বায়ার্ন: ১৬১

বার্সা ‘বি’: ৪২

.............................

গার্দিওলার অধীনে সবচেয়ে বেশি গোল পাওয়া ফুটবলার

লিওনেল মেসি: ২১১

আর্লিং হালান্ড: ১৪২

সার্জিও আগুয়েরো: ১২৪

রহিম স্টার্লিং: ১২০

ফিল ফোডেন: ১০৪

...............................

২০

গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটি সবচেয়ে বেশি ২০ বার হারিয়েছে আর্সেনালকে। এ সময়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৩ বার।

১০

সবচেয়ে বেশি ১০ বার করে টটেনহাম ও লিভারপুলের কাছে হেরেছে গার্দিওলার ম্যানসিটি। তাঁর অধীনে এই দুই দলের হয়ে ২০টি করে ম্যাচ খেলেছে সিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত