Ajker Patrika

আসিফ মাহমুদ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও পক্ষপাত হচ্ছে, তামিমের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৪
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় আগামীকাল। তবে এ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে জেলা–বিভাগীয় এবং ঢাকা মেট্রোপলিটনসের ক্লাব সংগঠকদের মধ্যে। এই অবস্থায় আজ বিকেলে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান সরকার ও বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচনে সভাপতি পদের প্রার্থী সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

তামিম বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার প্রত্যাশায়। কিন্তু কাউন্সিলর মনোনয়ন ঘিরে যা ঘটছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সভাপতির পক্ষ থেকে এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘এটা কোনো নির্বাচন নয়, বরং সিলেকশন চলছে। মনে হচ্ছে, সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। কিছু বিষয় মৌখিকভাবে হয়েছে, যার প্রমাণ দেখানো সম্ভব নয়। তবে কিছু কাজ হয়েছে, যা নথিপত্রসহ প্রমাণ করা যাবে। ১৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠনের পর থেকে যেকোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের মাধ্যমেই হওয়ার কথা। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরিচালকদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রথমে তা ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, পরে আবার ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। দ্বিতীয়বার সময় বাড়ানো হয় একতরফাভাবে, পরিচালকদের মতামত ছাড়াই।’

তামিম প্রশ্ন তোলেন, ক্রীড়া সংগঠকদের কাউন্সিলরশিপ এত দিন ডিসির মাধ্যমে দেওয়া হতো। এবার হঠাৎ অ্যাডহক কমিটি করে সেখান থেকে মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা হলো। অথচ বিসিবির গঠনতন্ত্রে এমন কিছু নেই। যাকে খুশি অ্যাডহক কমিটিতে ঢোকানো হচ্ছে, আবার বাদও দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নির্বাচন নয়, সিলেকশনই হচ্ছে।

তামিম আরও বলেন, ‘ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে মনোনয়ন নিয়ে পক্ষপাতমূলক কাজ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের পরও সভাপতির পক্ষ থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে মনোনয়ন জমার অনুরোধ জানানো হয়, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এসব প্রক্রিয়া নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ছাড়া কিছু নয়। আমি চাই, এই কাজগুলো বন্ধ হোক। বিসিবির দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করা, যেন যিনি জিতবেন, তাঁকেই সবাই স্বাগত জানাতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বিসিবি নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ স্পষ্ট। সরকার নিরপেক্ষ নয়, বরং নানাভাবে প্রভাব খাটাচ্ছে। এভাবে কোনো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা চাই, যোগ্য জেলা, বিভাগ ও খ্যাতনামা সংগঠকেরাই কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত হন। গঠনতন্ত্রে কোথাও নেই যে অ্যাডহক কমিটি থেকে মনোনয়ন দিতে হবে। যদি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়, প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করা হবে।’

এদিকে বিসিবি সভাপতির অধীনে কাজের পরিবেশ অনুকূল নয় উল্লেখ করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটনের (সিসিডিএম) ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘সভাপতি কেবল নিজের লোকদের নিয়ে কাজ করেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বহুবার চেষ্টা করেও নিজের অবস্থান খুঁজে পাইনি। তাই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে সিইও ও সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত