আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফুটবল ম্যাচে দর্শকেরা প্রায়ই দেখতে পান, খেলোয়াড়রা পানীয়ের বোতল থেকে এক চুমুক নিয়ে তা কিছুক্ষণ পরই মুখ থেকে ফেলে দিচ্ছেন। ব্যাপারটি দেখে অবাক লাগলেও, এর পেছনে রয়েছে পুরোদস্তুর কৌশল ও বৈজ্ঞানিক কারণ।
খেলোয়াড়দের এই অভ্যাসটি শুধু আরাম বা স্বস্তির জন্য নয়; বরং তাঁদের পারফরম্যান্স বৃদ্ধির কৌশল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। খেলোয়াড়দের এই অভ্যাসকে কার্ব রিন্সিং বলে। এটি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে, যেখানে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন ও পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো তারকাদের এ কৌশল ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এ কৌশলের উপকারিতা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায় ফুটবলের মতো উচ্চ-তীব্রতার খেলায়, যেখানে একটি ম্যাচ প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চলে। এমন দীর্ঘ সময় ধরে চলা পরিশ্রমের মধ্যে সামান্য কোনো সুবিধাও পারফরম্যান্সে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কার্ব রিন্সিং প্রায় ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী সহনশীলতাভিত্তিক অনুশীলনের সময় কার্বোহাইড্রেট সেবনের মতোই কার্যকর।
১. পেটের অস্বস্তি এড়ানো
খেলার মাঝখানে বা খুব প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রমের সময় অতিরিক্ত পানি বা ইলেকট্রোলাইট দ্রবণ পান করলে অনেক সময় পেট ভারী মনে হতে পারে। এটি খেলোয়াড়দের জন্য অস্বস্তিকর ও মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই অনেকে শুধু কুলি করেন—যাতে মুখের তৃষ্ণা প্রশমিত হয়, তবে পেট ভারী না হয়। এ ছাড়া, দ্রবণ না গিলে তা ফেলে দেওয়ার ফলে পেটের অস্বস্তিও এড়ানো যায়। খুব ঘন ঘন দ্রবণ পেটে গেলে তা হজমে সময় নেয় এবং শরীরকে তা পাতলা করতে অতিরিক্ত পানি প্রয়োজন হয়, যা খেলোয়াড়দের পেট ফাঁপা বা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।
২. পারফরম্যান্স বৃদ্ধির মনস্তাত্ত্বিক কৌশল
খেলোয়াড়দের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রিন্সিং কৌশলটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ পদ্ধতিতে, খেলোয়াড়রা কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ দ্রবণ দিয়ে মুখ কুলি করেন, তবে সেটা গিলে ফেলেন না। গবেষণা বলছে, এই কার্বোহাইড্রেট দ্রবণ মুখে আসার পর মস্তিষ্ক এটি থেকে শক্তি আসছে বলে ধরে নেয়, যদিও আসলে তা শরীরে ঢুকছে না। এতে মস্তিষ্ক সাময়িকভাবে ক্লান্তির অনুভূতি কমিয়ে দেয় এবং পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক ‘শক্তি আসছে’ এমন একধরনের মনস্তাত্ত্বিক সংকেত দেওয়া।
৩. মুখের শুষ্কতা থেকে মুক্তি
দীর্ঘ সময় দৌড়ানো বা পরিশ্রমের সময় মুখে ঘন লালারস জমে গিয়ে শ্বাস নিতে বা কথা বলা কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। কুলি করার মাধ্যমে সেই ঘন লালা পরিষ্কার হয়ে যায়, মুখে সতেজ অনুভূতি ফিরে আসে, এবং শ্বাসও সহজে নেওয়া যায়। এটি খেলোয়াড়দের আরাম দেয়। বিশেষ করে যখন তাঁরা পিপাসার্ত বোধ করছেন, তবে পানি গিলে ফেলতে চাইছেন না।
৪. ব্যক্তিগত পানির পানের চাহিদা
সব খেলোয়াড়ের পানি পানের প্রয়োজন একরকম নয়। কেউ কেউ সামান্য পানিতেই স্বস্তি পান, আবার কেউ বেশি খেললে বা ঘামলে বেশি পানিও প্রয়োজন হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খেলার মাঝখানে বেশি পানি পান করলে পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি দেখা দেয়। তাঁদের জন্য মুখ কুলি করে ফেলা হলো একধরনের ভারসাম্য—মুখের শুষ্কতাও দূর হলো, আবার পেটেও অতিরিক্ত চাপ পড়ল না।
ফুটবল ম্যাচে দর্শকেরা প্রায়ই দেখতে পান, খেলোয়াড়রা পানীয়ের বোতল থেকে এক চুমুক নিয়ে তা কিছুক্ষণ পরই মুখ থেকে ফেলে দিচ্ছেন। ব্যাপারটি দেখে অবাক লাগলেও, এর পেছনে রয়েছে পুরোদস্তুর কৌশল ও বৈজ্ঞানিক কারণ।
খেলোয়াড়দের এই অভ্যাসটি শুধু আরাম বা স্বস্তির জন্য নয়; বরং তাঁদের পারফরম্যান্স বৃদ্ধির কৌশল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। খেলোয়াড়দের এই অভ্যাসকে কার্ব রিন্সিং বলে। এটি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে, যেখানে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন ও পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো তারকাদের এ কৌশল ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এ কৌশলের উপকারিতা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায় ফুটবলের মতো উচ্চ-তীব্রতার খেলায়, যেখানে একটি ম্যাচ প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চলে। এমন দীর্ঘ সময় ধরে চলা পরিশ্রমের মধ্যে সামান্য কোনো সুবিধাও পারফরম্যান্সে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কার্ব রিন্সিং প্রায় ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী সহনশীলতাভিত্তিক অনুশীলনের সময় কার্বোহাইড্রেট সেবনের মতোই কার্যকর।
১. পেটের অস্বস্তি এড়ানো
খেলার মাঝখানে বা খুব প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রমের সময় অতিরিক্ত পানি বা ইলেকট্রোলাইট দ্রবণ পান করলে অনেক সময় পেট ভারী মনে হতে পারে। এটি খেলোয়াড়দের জন্য অস্বস্তিকর ও মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই অনেকে শুধু কুলি করেন—যাতে মুখের তৃষ্ণা প্রশমিত হয়, তবে পেট ভারী না হয়। এ ছাড়া, দ্রবণ না গিলে তা ফেলে দেওয়ার ফলে পেটের অস্বস্তিও এড়ানো যায়। খুব ঘন ঘন দ্রবণ পেটে গেলে তা হজমে সময় নেয় এবং শরীরকে তা পাতলা করতে অতিরিক্ত পানি প্রয়োজন হয়, যা খেলোয়াড়দের পেট ফাঁপা বা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।
২. পারফরম্যান্স বৃদ্ধির মনস্তাত্ত্বিক কৌশল
খেলোয়াড়দের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রিন্সিং কৌশলটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ পদ্ধতিতে, খেলোয়াড়রা কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ দ্রবণ দিয়ে মুখ কুলি করেন, তবে সেটা গিলে ফেলেন না। গবেষণা বলছে, এই কার্বোহাইড্রেট দ্রবণ মুখে আসার পর মস্তিষ্ক এটি থেকে শক্তি আসছে বলে ধরে নেয়, যদিও আসলে তা শরীরে ঢুকছে না। এতে মস্তিষ্ক সাময়িকভাবে ক্লান্তির অনুভূতি কমিয়ে দেয় এবং পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক ‘শক্তি আসছে’ এমন একধরনের মনস্তাত্ত্বিক সংকেত দেওয়া।
৩. মুখের শুষ্কতা থেকে মুক্তি
দীর্ঘ সময় দৌড়ানো বা পরিশ্রমের সময় মুখে ঘন লালারস জমে গিয়ে শ্বাস নিতে বা কথা বলা কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। কুলি করার মাধ্যমে সেই ঘন লালা পরিষ্কার হয়ে যায়, মুখে সতেজ অনুভূতি ফিরে আসে, এবং শ্বাসও সহজে নেওয়া যায়। এটি খেলোয়াড়দের আরাম দেয়। বিশেষ করে যখন তাঁরা পিপাসার্ত বোধ করছেন, তবে পানি গিলে ফেলতে চাইছেন না।
৪. ব্যক্তিগত পানির পানের চাহিদা
সব খেলোয়াড়ের পানি পানের প্রয়োজন একরকম নয়। কেউ কেউ সামান্য পানিতেই স্বস্তি পান, আবার কেউ বেশি খেললে বা ঘামলে বেশি পানিও প্রয়োজন হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খেলার মাঝখানে বেশি পানি পান করলে পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি দেখা দেয়। তাঁদের জন্য মুখ কুলি করে ফেলা হলো একধরনের ভারসাম্য—মুখের শুষ্কতাও দূর হলো, আবার পেটেও অতিরিক্ত চাপ পড়ল না।
মহাবিশ্বের একেবারে প্রারম্ভিক যুগে একটি বিশাল আকারের ব্ল্যাকহলো বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। তবে এটি তাত্ত্বিক সীমার চেয়েও ২ দশমিক ৪ গুণ বেশি হারে বড় হচ্ছে। এই আবিষ্কারটি মহাবিশ্বের শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে এত দ্রুত এত বিশাল হয়ে উঠেছে, সেই রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৩০ মিনিট আগেপৃথিবী হয়তো সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা একা। প্রায়ই ছোট-বড় গ্রহাণু আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। সাম্প্রতিক এমনই এক নতুন অতিথি ধরা দিয়েছে—গ্রহাণু ২০২৫ পিএন ৭ পিএন৭।
১ দিন আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে আকস্মিক ঝাঁকুনির ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন একজন কেবিন ক্রু। আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার পথে ছিল উড়োজাহাজটি।
২ দিন আগেচাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি বা ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে। এই পরিবর্তন অত্যন্ত ধীর, তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তা নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছেন।
৩ দিন আগে