Ajker Patrika

দক্ষিণ আফ্রিকার রান বন্যায় ভেসে গেছে দিল্লি

আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ২১: ৪৪
দক্ষিণ আফ্রিকার রান বন্যায় ভেসে গেছে দিল্লি

বিশ্বকাপের মিশন শুরু করতে নেমে আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে চার-ছক্কার বৃষ্টি নামিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। শ্রীলঙ্কার বোলারদের তুলোধুনো করে বিশ্বকাপের রেকর্ডের পাতা ওলটপালট করেছেন কুইন্টন ডি কক-রাসি ফন ডার ডুসেন। দুই সতীর্থের সেঞ্চুরির পর বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এইডেন মার্করাম। 


বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন এইডেন মার্করামের। ৪৯ বলে এই কীর্তি গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। ৫৪ বলে ১০৬ রানে আউট হয়েছেন তিনি। আগের রেকর্ডটি ছিল কেভিন ও’ব্রায়েনের, ৫০ বলে। 

প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের এক ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ সেঞ্চুরিয়ান হচ্ছেন—কুইন্টন ডি কক, রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম। ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে তৃতীয়বার করল প্রোটিয়ারা। 

বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডও এখন দক্ষিণ আফ্রিকার। আজ দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান করেছে প্রোটিয়ারা। আগের রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৪১৭ রানের কীর্তি গড়েছিলেন অজিরা। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ উইকেটে ৪২৮ রানের রেকর্ড গড়ার পথে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে তারা। এত দিন ৭ উইকেটে ৪১৪ রান নিয়ে শীর্ষ ছিল ভারত। 

ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো অবশ্যই আইসিসির যেকোনো ইভেন্টে কুইন্টন ডি ককের এটি প্রথম সেঞ্চুরি। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন ডি কক-ফন ডার ডুসেন। দ্বিতীয় উইকেটে ২০৪ রানে জুটি গড়েন দুজনে। দলের হয়ে আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১৮৭ রানের হাশিম আমলা ও ডি ককের। 

বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন মার্করাম। ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় খরুচে বোলার মাতিশা পাথিরানা। ১০ ওভারে ৯৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর ওপরে আছেন ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৯৭ রান দেওয়া অশান্তা দে মেল। সেদিন তিনিও পাথিরানার মতো এক উইকেট নিয়েছিলেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বয়স্ক ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন রাসি ফন ডার ডুসেন। কীর্তি গড়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ৩২ বছর ২৪২ দিন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৯ বিশ্বকাপে ৩৪ বছর ৩৫৮ দিনে বয়সে সেঞ্চুরি করে বয়স্কতম খেলোয়াড়ের কীর্তি গড়েছেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। 

সঙ্গী পেলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এত দিন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন। এবার তাঁর পাশে বসেছেন কুইন্টন ডি কক। 

রেকর্ডটা আগে থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে ছিল। এবার তা আরও বাড়িয়ে নিল। তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে ৪০০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলেছে প্রোটিয়ারা। সব মিলিয়ে ওয়ানডের রেকর্ডও তাদের। আটবার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেসিকে মায়ামির ‘অন্যরকম’ সম্মাননা

ক্রীড়া ডেস্ক    
মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ। ছবি: এক্স
মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ। ছবি: এক্স

যোগ দেওয়ার পর থেকেই ইন্টার মায়ামির চিত্র বদলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তারকা ফরোয়ার্ডকে পেয়ে ব্র্যান্ড ভেল্যু বেড়ে গেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটির। বিজ্ঞাপনে আসছে একের পর এক চমক। যাঁর জন্য এত প্রাপ্তি সেই মেসিকে বরাবরই মাথার মুকুট করে রাখার চেষ্টা করেছে মায়ামি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অন্যরকম এক সম্মাননা পেলেন মেসি।

মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আমেরিকা বিজনেস ফোরাম। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন মেসি। অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের হাতে মায়ামি শহরের প্রতীকী চাবি তুলে দেন মেয়র ফান্সিস সুয়ারেজ।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘এই সম্মাননা দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। এই শহরে আমরা অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। এখানে থাকতে পেরে আমি খুবই খুশি। এই স্বীকৃতি আমার জন্য সম্মানের। আবারও সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

অসংখ্য প্রাপ্তির ভীড়ে কেবল একটি বিশ্বকাপ জেতা বাকি ছিল মেসির। সে অপূর্ণতা প্রাপ্তিতে রূপ নিয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপে। তাই ক্যারিয়ার থেকে আর কিছু চাওয়া সেই তাঁর, ‘আমার মনে হয় একজন ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে আর বড় কিছু হতে পারে না। তাই এটা জিতে গেলে আর কিছু চাওয়ার থাকে না।’

মেসির হাতে চাবি তুলে দেওয়ার পর মায়ামি শহরের মেয়র বলেন, ‘এই শহর, দেশ ও বিশ্ব ফুটবলের জন্য আপনি (মেসি) যা করেছেন, সেসবের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আপনাকে এই চাবি দেওয়ার ইচ্ছা ছিল আমার। সবকিছু জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

পিএসজি অধ্যায় শেষে ২০২৩ সালে মায়ামিতে নাম লেখান মেসি। নতুন চুক্তিতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই ক্লাবটিতে থাকবেন তিনি। মেসির হাত ধরেই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ) জেতে মায়ামি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ক্রিকেটে রাজনীতি পছন্দ করি না’ ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আকরাম

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আইসিসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। ছবি: এক্স
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আইসিসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। ছবি: এক্স

ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। তাতে দুই দেশের মাঠের লড়াই থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে ভক্তরা। বিষয়টি নিয়ে নাখোশ পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্রিকেটে রাজনীতি পছন্দ করেন না তিনি।

উইজডেন ক্রিকেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকরাম বলেন, ‘আমি দুঃখিত। ক্রিকেটে রাজনীতি আমার পছন্দ না। এক কথায় বলতে গেলে, খেলাধুলাকে সব সময়ই রাজনীতি মুক্ত রাখা উচিত। যেকোনো লিগেই সব দেশের ক্রিকেটারদের নেওয়া উচিত।’

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রথম আসরের পর থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা খেলতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে অতীতেও কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সবশেষ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলতে না পারা নিয়ে কথা বললেন আকরাম। সাবেক তারকা পেসারের কাছে এটা বাড়াবাড়িই মনে হচ্ছে।

আকরাম বলেন, ‘ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব সমাধানে আইসিসিকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। ফ্র্যাঞ্চাইজি বা টুর্নামেন্ট কার মালিকানায় তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল কথা হলো, সব দেশের খেলোয়াড়দেরই সুযোগ দেওয়া উচিত।’

ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। সবশেষ এশিয়া কাপে বেশকিছু ইস্যুতে সে তিক্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এর শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সূর্যকুমার যাদবদের হাত না মেলানো দিয়ে। শেষটা হয়েছে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির হাত থেকে ভারতীয় দল ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয়। এই কাণ্ডে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের বেশি সময় পরও ট্রফি বুঝে পায়নি ভারত।

সব মিলিয়ে পিসিবি ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে সম্পর্ক এখন চরমে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন লম্বা সময় ধরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলে না পাকিস্তান ও ভারত। এশিয়া কাপ ইস্যুতে সামনের দিনগুলোতে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও দুই দলের খেলা শঙ্কায় পড়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপ জার্সির দাম কত, কোথায় পাওয়া যাবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রকাশ্যে এল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি। ছবি: এক্স
প্রকাশ্যে এল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি। ছবি: এক্স

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আর্জেন্টিনাকে নিয়ে এমনিতেই ভক্তদের মাতামাতির শেষ নেই। ২০২৬ বিশ্বকাপেও ফেবারিট হিসেবেই খেলতে যাবে লিওনেল মেসির দল। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের জন্য লা আলবিসেলেস্তেদের জার্সি। তাতে ভক্তদের উন্মাদনা বেড়ে গেল দ্বিগুণ।

২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। আগামী ১১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। তার সাত মাস আগেই ২২টি দেশের জার্সি উন্মোচন করেছে ক্রীড়া সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। যেখানে আছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার জার্সি।

২০২২ সালের আগে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। অনুমিতভাবেই ল্যাটিন আমেরিকানদের বিশ্বকাপ জার্সিতে আছে তিন তারকার উপস্থিতি। তিন তারকা করা হয়েছে সোনালী রঙে।

ঐতিহ্যকে ধারণ করতে বরাবরই মতো এবারও আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রাধান্য পেয়েছে সাদা ও আকাশি নীল। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রতিষ্ঠা সালকে ইঙ্গিত করে জার্সির ঘাড়ের পেছনে খোদাই করে ‘১৮৯৩’ সাল লেখা হয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের প্রতীক হিসেবে বুকে সোনালি প্যাঁচ রাখা হয়েছে।

অ্যাডিডাস জানিয়েছে, আপাতত চুক্তিবদ্ধ থাকা দেশগুলোর জার্সি প্রকাশ করেছে তারা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন দলটির অধিনায়ক এবং ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন মেসি। তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জার্সি পাওয়া যাবে অ্যাডিডাসের ওয়েবসাইট ও নির্দিষ্ট কিছু দোকানে। এই জার্সি কিনতে খরচ করতে হবে ১০০ থেকে ১৮০ ডলার। অর্থাৎ ১২ থেকে ২২ হাজার টাকার মতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ড্র করে অজুহাত দিচ্ছেন না বার্সা কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪২
৩-৩ গোল ড্র করেছে বার্সা। ছবি: এক্স
৩-৩ গোল ড্র করেছে বার্সা। ছবি: এক্স

আক্ষরিক অর্থে বলতে গেলে ব্রাগার সহায়তায় পয়েন্ট ভাগ করেছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ জায়ান্টদের বিপক্ষে তিনবার এগিয়ে গেলেও আত্মঘাতী গোলে জয় হাতছাড়া করেছে বেলজিয়ান ক্লাবটি। হার সমতুল্য এই ড্রয়ের পর কোনো ধরনের অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন না কাতালানদের প্রধান কোচ হান্সি ফ্লিক।

জ্যান ব্রেদেল স্টেডিয়ামে ৭৬ মিনিট পর্যন্ত ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল ব্রাগা। পরের মিনিটেই ভুলটা করে বসেন ক্রিস্তোস জোলিস। লামিনে ইয়ামালের বাড়ানো বল স্বাগতিকদের এই ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে জালের ঠিকানা খুঁজে নেয়। বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় দুই দল একটি করে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

লা লিগায় নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ৩ নভেম্বর দারুণ ফুটবল খেলে এলচেকে ৩-১ গোলে হারায় বার্সা। সেই ম্যাচের শুরুর একাদশ থেকে কোনো পরিবর্তন আনেননি ফ্লিক। শক্তির বিচারে পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে আক্রমণে আধিপত্য দেখালেও জয় তুলে নিতে পারেনি সফরকারীরা। যেটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে বার্সা কোচের।

ফ্লিক বলেন, ‘নিজের জায়গায় সবাইকে সেরাটা দিতে হবে এবং প্রতিপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এলচের বিপক্ষে লিগ ম্যাচে ছেলেরা ভালো খেলেছে। ব্রাগার বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের জন্য ভালো সময় খুব কমই ছিল। আমাদের অজুহাত দেখানো উচিত নয়। কারণ, আমরা একই রকম শুরুর একাদশ নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। আমাদের দলের জন্য এটা সেরা মুহূর্ত ছিল। আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারি।’

ড্র করলেও নিজেদের খেলার ধরনে কোনো রকম পরিবর্তন আনতে চান না ফ্লিক, ‘আমরা হয়তো কিছু জায়গায় জিনিস পরিবর্তন করতে পারি। তবে আমাদের দর্শনেও অটল থাকতে হবে। আমাদের খেলার ধরন পরিবর্তন করতে হবে না।’

ব্রাগার পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে বার্সা কোচকে, ‘ক্লাব ব্রাগা খুব ভালো ফুটবল খেলেছে। আমরা এটাকে সম্মান করি। ৩-৩ গোলে ড্র আমাদের জন্য ভালো ফলাফল নয়। ম্যাচটা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। আমরা সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু প্রতিপক্ষ দল আমাদের ভালোভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে। তারা আক্রমণাত্মক ছিল। আমরা মাঝমাঠে তাদের কাছে বল হারিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত