নাজিম আল শমষের, ঢাকা
বাংলাদেশের বড় শহরগুলোয় মাঠের তীব্র সংকট। নিজেকে সুস্থ আর ওজন ঠিক রাখার তাগিদ থেকেই সচেতন মানুষ শরীরচর্চার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন দৌড়কে। আর এভাবেই বাংলাদেশ ঘটে গেছে ম্যারাথন দৌড়ের সামাজিক বিপ্লব। হাফ বা ফুল ম্যারাথনের নিয়মিত প্রতিযোগিতা হয় বাংলাদেশে। এখন এসব প্রতিযোগিতা আয়োজনে অনুমতি চেয়ে ম্যারাথন রানারদের ক্ষোভের কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিবের (মন্টু) স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের কাছে। সেই চিঠিতে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের অনুমোদন ছাড়া ম্যারাথন আয়োজনের অনুমতি প্রদানে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের এই চিঠিকে ‘অবৈধ’ দাবি করে ফেডারেশনকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি উকিল নোটিশ পাঠান আইনজীবী ও ম্যারাথন দৌড়বিদ ব্যারিস্টার আইমান রহমান খান। সেই নোটিশে ম্যারাথন আয়োজনে ফেডারেশনের ‘অনুমতি’ গ্রহণের আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন আইমান রহমান। কিন্তু নোটিশের পক্ষে-বিপক্ষে ফেডারেশনের কোনো জবাব না আসায় হাইকোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আইমান আজকের পত্রিকা বললেন, ‘আমরা আমাদের উকিল নোটিশে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন আমাদের চিঠির কোনো জবাবই দেয়নি। এখন আমরা সাধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
চিঠিতে যেকোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যারাথন আয়োজনে অনুমতি গ্রহণের আদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের। ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ফেডারেশন এ ধরনের অনুমতি দাবি করতে পারে না। আইমান বলেন, ‘২০১৮ সালের যে আইন, সেখানে এমন কিছু লেখা নাই, যেখানে ফেডারেশনের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। সেখানে উল্টো বলা আছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সব ফেডারেশনকে সহায়তা করবে এবং ক্রীড়ার মান োন্নয়নে সহায়তা করবে। এই অনুমতি বা এনওসির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি মূল আইনে। সেই হিসাবে তাঁরা যা করেছেন সেটা আইনত অবৈধ।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আইন কর্মকর্তা এস এম কবিরুল হাসান বিষয়টি নিয়ে বললেন, ‘উভয় পক্ষেরই যৌক্তিকতা আছে। আইন অনুযায়ী যে কেউ ম্যারাথন আয়োজন করতে পারে। ফেডারেশন বলছে, সবকিছু একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনা উচিত। তাদের বক্তব্য, আমরা অবশ্যই অনুমতি দেব। কিন্তু যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। তবে অনুমতি না বলে ফেডারেশন ইনফরম (অবহিতকরণ) শব্দটি ব্যবহার করতে পারত। ফেডারেশন যে নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে, আমার মনে হয় এনএসসি এটা সমর্থন করবে না।’
বাংলাদেশে এখন ৫০ হাজারেরও বেশি সক্রিয় ম্যারাথন দৌড়বিদ আছেন। নিবন্ধন ফি জমা দিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। ফেডারেশনের আপত্তি ছিল, এই নিবন্ধন ফি ও পৃষ্ঠপোষকদের অর্থকে কেন্দ্র করে ব্যবসা শুরু করেছেন দৌড়বিদদের কেউ কেউ। তাদের এই চিঠি সে কারণেই। তবে ম্যারাথন আয়োজনে ফেডারেশন পদে পদে বাধা তৈরি করে বলে দাবি সাবেক সেনা কর্মকর্তা, লেখক ও দৌড়বিদ খন্দকার রাজীব হোসেনের। তিনি বললেন, ‘ফেডারেশনের যিনি দায়িত্বে আছেন (সাধারণ সম্পাদক), কেউ দৌড় আয়োজন করতে চাইলেই তিনি তাঁর লোকদের নিয়ে জেলা প্রশাসককে নেতিবাচক চিঠি পাঠান। বাস্তবতা হলো, ম্যারাথন নামের এই আন্দোলনের সঙ্গে ফেডারেশনের তিলমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। এত ম্যারাথন রানার তৈরি হচ্ছে, তাতেও তাদের অবদান নেই। কোনোভাবে তাদের মাথায় ঢুকে গেছে, দৌড় একটা লাভজনক ব্যবসা। অনেকটা গায়ের জোরে তারা এই চিঠি দিয়েছে।’
ফেডারেশনের চিঠিতেও আছে গরমিল। হিল ট্র্যাকিং প্রতিযোগিতাকেও তাদের দাবি করে অনুমতি চাওয়া হলেও অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহসভাপতি ফারুকুল ইসলাম জানালেন, হিল ট্র্যাকিংয়ের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই। তবে কেন হিল ট্র্যাকিংয়ে ফেডারেশন অনুমতি চাইল সে বিষয়ের ফারুকুলের মন্তব্য, ‘সম্ভবত জানাশোনার অভাব!’
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব আছেন দেশের বাইরে। তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি তিনি।
বাংলাদেশের বড় শহরগুলোয় মাঠের তীব্র সংকট। নিজেকে সুস্থ আর ওজন ঠিক রাখার তাগিদ থেকেই সচেতন মানুষ শরীরচর্চার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন দৌড়কে। আর এভাবেই বাংলাদেশ ঘটে গেছে ম্যারাথন দৌড়ের সামাজিক বিপ্লব। হাফ বা ফুল ম্যারাথনের নিয়মিত প্রতিযোগিতা হয় বাংলাদেশে। এখন এসব প্রতিযোগিতা আয়োজনে অনুমতি চেয়ে ম্যারাথন রানারদের ক্ষোভের কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিবের (মন্টু) স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের কাছে। সেই চিঠিতে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের অনুমোদন ছাড়া ম্যারাথন আয়োজনের অনুমতি প্রদানে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের এই চিঠিকে ‘অবৈধ’ দাবি করে ফেডারেশনকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি উকিল নোটিশ পাঠান আইনজীবী ও ম্যারাথন দৌড়বিদ ব্যারিস্টার আইমান রহমান খান। সেই নোটিশে ম্যারাথন আয়োজনে ফেডারেশনের ‘অনুমতি’ গ্রহণের আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন আইমান রহমান। কিন্তু নোটিশের পক্ষে-বিপক্ষে ফেডারেশনের কোনো জবাব না আসায় হাইকোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আইমান আজকের পত্রিকা বললেন, ‘আমরা আমাদের উকিল নোটিশে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন আমাদের চিঠির কোনো জবাবই দেয়নি। এখন আমরা সাধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
চিঠিতে যেকোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যারাথন আয়োজনে অনুমতি গ্রহণের আদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের। ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ফেডারেশন এ ধরনের অনুমতি দাবি করতে পারে না। আইমান বলেন, ‘২০১৮ সালের যে আইন, সেখানে এমন কিছু লেখা নাই, যেখানে ফেডারেশনের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। সেখানে উল্টো বলা আছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সব ফেডারেশনকে সহায়তা করবে এবং ক্রীড়ার মান োন্নয়নে সহায়তা করবে। এই অনুমতি বা এনওসির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি মূল আইনে। সেই হিসাবে তাঁরা যা করেছেন সেটা আইনত অবৈধ।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আইন কর্মকর্তা এস এম কবিরুল হাসান বিষয়টি নিয়ে বললেন, ‘উভয় পক্ষেরই যৌক্তিকতা আছে। আইন অনুযায়ী যে কেউ ম্যারাথন আয়োজন করতে পারে। ফেডারেশন বলছে, সবকিছু একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনা উচিত। তাদের বক্তব্য, আমরা অবশ্যই অনুমতি দেব। কিন্তু যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। তবে অনুমতি না বলে ফেডারেশন ইনফরম (অবহিতকরণ) শব্দটি ব্যবহার করতে পারত। ফেডারেশন যে নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে, আমার মনে হয় এনএসসি এটা সমর্থন করবে না।’
বাংলাদেশে এখন ৫০ হাজারেরও বেশি সক্রিয় ম্যারাথন দৌড়বিদ আছেন। নিবন্ধন ফি জমা দিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। ফেডারেশনের আপত্তি ছিল, এই নিবন্ধন ফি ও পৃষ্ঠপোষকদের অর্থকে কেন্দ্র করে ব্যবসা শুরু করেছেন দৌড়বিদদের কেউ কেউ। তাদের এই চিঠি সে কারণেই। তবে ম্যারাথন আয়োজনে ফেডারেশন পদে পদে বাধা তৈরি করে বলে দাবি সাবেক সেনা কর্মকর্তা, লেখক ও দৌড়বিদ খন্দকার রাজীব হোসেনের। তিনি বললেন, ‘ফেডারেশনের যিনি দায়িত্বে আছেন (সাধারণ সম্পাদক), কেউ দৌড় আয়োজন করতে চাইলেই তিনি তাঁর লোকদের নিয়ে জেলা প্রশাসককে নেতিবাচক চিঠি পাঠান। বাস্তবতা হলো, ম্যারাথন নামের এই আন্দোলনের সঙ্গে ফেডারেশনের তিলমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। এত ম্যারাথন রানার তৈরি হচ্ছে, তাতেও তাদের অবদান নেই। কোনোভাবে তাদের মাথায় ঢুকে গেছে, দৌড় একটা লাভজনক ব্যবসা। অনেকটা গায়ের জোরে তারা এই চিঠি দিয়েছে।’
ফেডারেশনের চিঠিতেও আছে গরমিল। হিল ট্র্যাকিং প্রতিযোগিতাকেও তাদের দাবি করে অনুমতি চাওয়া হলেও অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহসভাপতি ফারুকুল ইসলাম জানালেন, হিল ট্র্যাকিংয়ের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই। তবে কেন হিল ট্র্যাকিংয়ে ফেডারেশন অনুমতি চাইল সে বিষয়ের ফারুকুলের মন্তব্য, ‘সম্ভবত জানাশোনার অভাব!’
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব আছেন দেশের বাইরে। তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি তিনি।
গল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
৩ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
৩ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস আগেও নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। এবার সেই শান্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেবল টেস্টে। কারণ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব কদিন আগেই উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের কাঁধে...
৪ ঘণ্টা আগে