Ajker Patrika

ভারতের কাছে শিরোপা হাতছাড়া করা হজম করতে পারছে না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আবরার আহমেদের উদযাপন এভাবেই নকল করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ছবি: ফেসবুক
আবরার আহমেদের উদযাপন এভাবেই নকল করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ছবি: ফেসবুক

একবার না পারিলে দেখ শতবার—কালীপ্রসন্ন ঘোষের ‘পারিব না’ কবিতার পঙক্তিটি ফের আলোচনায় এসেছে এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল নিয়ে। গ্রুপ পর্ব, সুপার ফোর, ফাইনাল—এক টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। প্রত্যেকবারই হেরেছে পাকিস্তান। যার সবশেষটা হয়েছে দুবাইয়ে গত রাতের ফাইনালে।

দুবাইয়ে গত রাতে ভারতীয় অধিনায়ক টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগে ব্যাটিং পাওয়া পাকিস্তানের একটা পর্যায়ে স্কোর ছিল ১২.৪ ওভারে ১ উইকেটে ১১৩ রান। এখান থেকেই খেই হারানোর শুরু সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের। ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে সালমানের দল ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায়। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫০ রান করেছে ভারত। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে, সেটা স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে। তবে এই ১৫০ রানের মধ্যে হারিস রউফ ৩.৪ ওভার বোলিং করে একাই ৫০ রান দিয়েছেন। পাননি কোনো উইকেট।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর মতে ম্যাচের গল্পটা ভিন্ন হতে পারত। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘এটা হজম করা কঠিন। ব্যাটিং, বোলিংয়ে আমাদের কিছুই ভালো হয়নি। আমরা ছেড়ে দিয়েছি। যদি সেগুলো ভালো হতো, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতো।’

সুপার ফোরে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠা অনেকটা কঠিনই হয়ে যায়। কিন্তু আনপ্রেডিক্টেবল তকমা যে পাকিস্তানের সঙ্গে, তারা টুর্নামেন্টে চমক না দেখিয়ে কি পারে! শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে পাকিস্তান। যার মধ্যে অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫ রান করে পাকিস্তান জিতেছে ১১ রানে। তবে পাকিস্তান যে আনপ্রেডিক্টেবল, সেটা তারা দেখিয়ে দিল ফাইনালেও। ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারানোর ঘটনা তো রয়েছেই। এমনকি তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারত ২০ রানে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। তবে তিলক ভার্মা ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ৫৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

ফাইনাল তো বটেই। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই সালমান ছিলেন ব্যর্থ। ১২ গড় ও ৮০.৮৯ স্ট্রাইকরেটে করেন ৭২ রান। তবু দল যে ফাইনাল পর্যন্ত উঠেছে, তাতে গর্ব অনুভব করছেন তিনি। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমি গর্বিত। দারুণ লড়েছি। দল হিসেবে গর্ব করার মতো। সামনে এগোতে চাচ্ছি। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’

পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছয়বার। পাকিস্তান এশিয়া কাপ জিতেছে ২ বার। তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছে দুইবার। এর আগে এই দুবাইয়েই শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি পাকিস্তানের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত