ক্রীড়া ডেস্ক
একবার না পারিলে দেখ শতবার—কালীপ্রসন্ন ঘোষের ‘পারিব না’ কবিতার পঙক্তিটি ফের আলোচনায় এসেছে এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল নিয়ে। গ্রুপ পর্ব, সুপার ফোর, ফাইনাল—এক টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। প্রত্যেকবারই হেরেছে পাকিস্তান। যার সবশেষটা হয়েছে দুবাইয়ে গত রাতের ফাইনালে।
দুবাইয়ে গত রাতে ভারতীয় অধিনায়ক টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগে ব্যাটিং পাওয়া পাকিস্তানের একটা পর্যায়ে স্কোর ছিল ১২.৪ ওভারে ১ উইকেটে ১১৩ রান। এখান থেকেই খেই হারানোর শুরু সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের। ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে সালমানের দল ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায়। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫০ রান করেছে ভারত। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে, সেটা স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে। তবে এই ১৫০ রানের মধ্যে হারিস রউফ ৩.৪ ওভার বোলিং করে একাই ৫০ রান দিয়েছেন। পাননি কোনো উইকেট।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর মতে ম্যাচের গল্পটা ভিন্ন হতে পারত। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘এটা হজম করা কঠিন। ব্যাটিং, বোলিংয়ে আমাদের কিছুই ভালো হয়নি। আমরা ছেড়ে দিয়েছি। যদি সেগুলো ভালো হতো, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতো।’
সুপার ফোরে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠা অনেকটা কঠিনই হয়ে যায়। কিন্তু আনপ্রেডিক্টেবল তকমা যে পাকিস্তানের সঙ্গে, তারা টুর্নামেন্টে চমক না দেখিয়ে কি পারে! শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে পাকিস্তান। যার মধ্যে অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫ রান করে পাকিস্তান জিতেছে ১১ রানে। তবে পাকিস্তান যে আনপ্রেডিক্টেবল, সেটা তারা দেখিয়ে দিল ফাইনালেও। ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারানোর ঘটনা তো রয়েছেই। এমনকি তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারত ২০ রানে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। তবে তিলক ভার্মা ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ৫৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ফাইনাল তো বটেই। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই সালমান ছিলেন ব্যর্থ। ১২ গড় ও ৮০.৮৯ স্ট্রাইকরেটে করেন ৭২ রান। তবু দল যে ফাইনাল পর্যন্ত উঠেছে, তাতে গর্ব অনুভব করছেন তিনি। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমি গর্বিত। দারুণ লড়েছি। দল হিসেবে গর্ব করার মতো। সামনে এগোতে চাচ্ছি। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’
পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছয়বার। পাকিস্তান এশিয়া কাপ জিতেছে ২ বার। তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছে দুইবার। এর আগে এই দুবাইয়েই শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি পাকিস্তানের।
একবার না পারিলে দেখ শতবার—কালীপ্রসন্ন ঘোষের ‘পারিব না’ কবিতার পঙক্তিটি ফের আলোচনায় এসেছে এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল নিয়ে। গ্রুপ পর্ব, সুপার ফোর, ফাইনাল—এক টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। প্রত্যেকবারই হেরেছে পাকিস্তান। যার সবশেষটা হয়েছে দুবাইয়ে গত রাতের ফাইনালে।
দুবাইয়ে গত রাতে ভারতীয় অধিনায়ক টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগে ব্যাটিং পাওয়া পাকিস্তানের একটা পর্যায়ে স্কোর ছিল ১২.৪ ওভারে ১ উইকেটে ১১৩ রান। এখান থেকেই খেই হারানোর শুরু সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের। ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে সালমানের দল ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায়। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫০ রান করেছে ভারত। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে, সেটা স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে। তবে এই ১৫০ রানের মধ্যে হারিস রউফ ৩.৪ ওভার বোলিং করে একাই ৫০ রান দিয়েছেন। পাননি কোনো উইকেট।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর মতে ম্যাচের গল্পটা ভিন্ন হতে পারত। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘এটা হজম করা কঠিন। ব্যাটিং, বোলিংয়ে আমাদের কিছুই ভালো হয়নি। আমরা ছেড়ে দিয়েছি। যদি সেগুলো ভালো হতো, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হতো।’
সুপার ফোরে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠা অনেকটা কঠিনই হয়ে যায়। কিন্তু আনপ্রেডিক্টেবল তকমা যে পাকিস্তানের সঙ্গে, তারা টুর্নামেন্টে চমক না দেখিয়ে কি পারে! শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে পাকিস্তান। যার মধ্যে অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫ রান করে পাকিস্তান জিতেছে ১১ রানে। তবে পাকিস্তান যে আনপ্রেডিক্টেবল, সেটা তারা দেখিয়ে দিল ফাইনালেও। ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারানোর ঘটনা তো রয়েছেই। এমনকি তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারত ২০ রানে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। তবে তিলক ভার্মা ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ৫৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ফাইনাল তো বটেই। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই সালমান ছিলেন ব্যর্থ। ১২ গড় ও ৮০.৮৯ স্ট্রাইকরেটে করেন ৭২ রান। তবু দল যে ফাইনাল পর্যন্ত উঠেছে, তাতে গর্ব অনুভব করছেন তিনি। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমি গর্বিত। দারুণ লড়েছি। দল হিসেবে গর্ব করার মতো। সামনে এগোতে চাচ্ছি। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’
পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছয়বার। পাকিস্তান এশিয়া কাপ জিতেছে ২ বার। তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছে দুইবার। এর আগে এই দুবাইয়েই শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি পাকিস্তানের।
পাঁজরের চোটের কারণে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারেননি লিটন দাস। সেই দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাকের আলী অনিক। তবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি ওয়াসিম আকরামের।
৭ মিনিট আগেবয়স ‘৫৯’ যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! তারুণ্যের আভা চোখেমুখে, ভারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নায়কোচিত চলনবলন। এই এশিয়া কাপেও তিনি ছিলেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। দুবাইয়ের হোটেল তাজে ওয়াসিম আকরাম সময় দিলেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সকালে।
৪২ মিনিট আগেনানা নাটকীয়তায় গত রাতে দুবাইয়ে শেষ হয়েছে ২০২৫ এশিয়া কাপ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। কিন্তু একই টুর্নামেন্টে যখন ভারত-পাকিস্তান তিন বার মুখোমুখি হয়, তখন কাহিনি কি এত সহজে শেষ হয়!
১ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান নয়, দুবাইয়ে গতকাল ফাইনালটা হতে পারত বাংলাদেশ-ভারতের। ২৫ সেপ্টেম্বর অলিখিত সেমিফাইনাল জিতে বাংলাদেশের জন্য ফাইনাল খেলাটা ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদায়ে এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার হলো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল।
২ ঘণ্টা আগে