প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
ঘোড়দৌড়ের জন্য ও পোষ মানানোর জন্য মানুষ বেছে বেছে ঘোড়ার জাত নির্বাচন করে। এদের পায়ের খুর খুবই নরম ও দুর্বল। তাই খুরের সুরক্ষার জন্য নাল পরানো হয়।
কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পশুচিকিৎসক ও ইকুউইন এক্সটেনশন এজেন্ট (ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ) ড. ফার্নান্দা ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের কিছু অংশে সুরক্ষা দেয় নাল। এই নাল খুরের ক্ষয় রোধ করে ও তা সংবেদনশীল হয়ে উঠতে বাধা দেয়।’
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশনের তথ্য অনুযায়ী, খুরের বাইরের অংশ, যা ‘ওয়াল’ নামে পরিচিত, শিংয়ের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। এই অংশ ক্রমাগত বাড়ে। এ কারণে মানুষের নখের মতোই এটি ছাঁটতে হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের সঠিক আকৃতি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই নাল।’
এবড়োখেবড়ো রাস্তা ও বালি, পাথর ঘোড়ার খুর ক্ষয় করে। ফলে খুরের ভেতরের সংবেদশীল অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘোড়া হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করে। তখন হাঁটাচলা করতে চায় না। ঐতিহাসিকভাবে, এই ধরনের সমস্যার কারণে ঘোড়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে বা ফসল কাটার সময় ব্যবহার করা যেত না। তাই খুরের প্রাচীরকে শক্তিশালী করার জন্য নাল পরার কৌশল উদ্ভাবন করে মানুষ।
ছয় হাজার বছর আগে থেকে ঘোড়াকে পোষ মানানো শুরু হয়। সেসময় থেকেই নাল বা এই ধরনের কিছু একটা ঘোড়ার খুরে পরানো হতো বলে ধারণা করা হয়। প্রথমদিকে চামড়া বা উদ্ভিদজাত উপাদান দিয়ে ঘোড়ার নাল তৈরি করা হতো। ঘোড়ার খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো ধাতব নাল প্রথমবারের মতো ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ব্যবহার শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী ৫০০ বছরের মধ্যে এই কৌশল সবখানে ব্যবহার শুরু হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, বর্তমানে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার নালের প্রচলন বেশি। এগুলো খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়। এ ছাড়া নাল হিসেবে রাবার, রেজিন ও প্লাস্টিকের মতো উপাদান পেরেক বা আঠা দিয়ে খুরে আটকানোর প্রচলনও আছে।
অবশ্য সব ঘোড়ার নাল লাগে না। ঘোড়ার ধরন, রাস্তার অবস্থা বা কত ঘন ঘন ঘোড়ায় চড়া হয় তার ওপর নির্ভর করে এটি। বিশেষ করে পাথুরে বা কংক্রিটের রাস্তায় চলাচলের জন্য ঘোড়ার খুরে অবশ্যই নাল পরাতে হয়। যেসব ঘোড়ার পিঠে চড়া হয় না সেগুলোর খুর ভালো রাখতেও নাল পরানো প্রয়োজন।
ড. ক্যামার্গো বলেন, যেসব ঘোড়া বেশি চলাফেরা করে না ও শক্ত রাস্তার বদলে ঘাসযুক্ত রাস্তায় চলাফেরা করে এবং নিয়মিত খুরের যত্ন নেওয়া হয় সেগুলোর পায়ে নাল না পরালেও চলে।
বন্য ঘোড়া (যেমন: মুস্তাং প্রজাতির ঘোড়া) নাল ছাড়াই অসমতল শক্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। কারণ এদের খুর অনেক শক্ত। তবে এদেরও খুর ক্ষয়ে যেতে পারে ও পায়ে ব্যথা পেতে পারে।
কেউ কেউ মনে করেন, পেরেক দিয়ে নাল পরালে ঘোড়া ব্যথা পায়। এই ধারণা সঠিক নয়। মানুষের নখের মতোই ঘোড়ার খুর। তাই খুরের ওপরের অংশ কাটলে বা এতে পেরেক বসালে ঘোড়া ব্যথা পায় না। কারণ এই খুরের সঙ্গে স্নায়ুর সংযোগ নেই।
এ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশন বলে, খুরের প্রাচীরে কোনো রক্তনালি বা স্নায়ু নেই, তাই নাল সঠিকভাবে পেরেক দিয়ে আটকালে ঘোড়া কোনো ব্যথা পাবে না। তবে সঠিকভাবে নাল না পরালে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। যদি নাল বা পেরেক ভুল জায়গায় লাগানো হয় বা ভুল আকারের নাল পরানো হয় তাহলে ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। আর খুর যদি আগেই ভুলভাবে কাটা হয় তাহলে নাল পরালেও লাভ নেই।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
ঘোড়দৌড়ের জন্য ও পোষ মানানোর জন্য মানুষ বেছে বেছে ঘোড়ার জাত নির্বাচন করে। এদের পায়ের খুর খুবই নরম ও দুর্বল। তাই খুরের সুরক্ষার জন্য নাল পরানো হয়।
কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পশুচিকিৎসক ও ইকুউইন এক্সটেনশন এজেন্ট (ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ) ড. ফার্নান্দা ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের কিছু অংশে সুরক্ষা দেয় নাল। এই নাল খুরের ক্ষয় রোধ করে ও তা সংবেদনশীল হয়ে উঠতে বাধা দেয়।’
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশনের তথ্য অনুযায়ী, খুরের বাইরের অংশ, যা ‘ওয়াল’ নামে পরিচিত, শিংয়ের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। এই অংশ ক্রমাগত বাড়ে। এ কারণে মানুষের নখের মতোই এটি ছাঁটতে হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের সঠিক আকৃতি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই নাল।’
এবড়োখেবড়ো রাস্তা ও বালি, পাথর ঘোড়ার খুর ক্ষয় করে। ফলে খুরের ভেতরের সংবেদশীল অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘোড়া হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করে। তখন হাঁটাচলা করতে চায় না। ঐতিহাসিকভাবে, এই ধরনের সমস্যার কারণে ঘোড়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে বা ফসল কাটার সময় ব্যবহার করা যেত না। তাই খুরের প্রাচীরকে শক্তিশালী করার জন্য নাল পরার কৌশল উদ্ভাবন করে মানুষ।
ছয় হাজার বছর আগে থেকে ঘোড়াকে পোষ মানানো শুরু হয়। সেসময় থেকেই নাল বা এই ধরনের কিছু একটা ঘোড়ার খুরে পরানো হতো বলে ধারণা করা হয়। প্রথমদিকে চামড়া বা উদ্ভিদজাত উপাদান দিয়ে ঘোড়ার নাল তৈরি করা হতো। ঘোড়ার খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো ধাতব নাল প্রথমবারের মতো ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ব্যবহার শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী ৫০০ বছরের মধ্যে এই কৌশল সবখানে ব্যবহার শুরু হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, বর্তমানে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার নালের প্রচলন বেশি। এগুলো খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়। এ ছাড়া নাল হিসেবে রাবার, রেজিন ও প্লাস্টিকের মতো উপাদান পেরেক বা আঠা দিয়ে খুরে আটকানোর প্রচলনও আছে।
অবশ্য সব ঘোড়ার নাল লাগে না। ঘোড়ার ধরন, রাস্তার অবস্থা বা কত ঘন ঘন ঘোড়ায় চড়া হয় তার ওপর নির্ভর করে এটি। বিশেষ করে পাথুরে বা কংক্রিটের রাস্তায় চলাচলের জন্য ঘোড়ার খুরে অবশ্যই নাল পরাতে হয়। যেসব ঘোড়ার পিঠে চড়া হয় না সেগুলোর খুর ভালো রাখতেও নাল পরানো প্রয়োজন।
ড. ক্যামার্গো বলেন, যেসব ঘোড়া বেশি চলাফেরা করে না ও শক্ত রাস্তার বদলে ঘাসযুক্ত রাস্তায় চলাফেরা করে এবং নিয়মিত খুরের যত্ন নেওয়া হয় সেগুলোর পায়ে নাল না পরালেও চলে।
বন্য ঘোড়া (যেমন: মুস্তাং প্রজাতির ঘোড়া) নাল ছাড়াই অসমতল শক্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। কারণ এদের খুর অনেক শক্ত। তবে এদেরও খুর ক্ষয়ে যেতে পারে ও পায়ে ব্যথা পেতে পারে।
কেউ কেউ মনে করেন, পেরেক দিয়ে নাল পরালে ঘোড়া ব্যথা পায়। এই ধারণা সঠিক নয়। মানুষের নখের মতোই ঘোড়ার খুর। তাই খুরের ওপরের অংশ কাটলে বা এতে পেরেক বসালে ঘোড়া ব্যথা পায় না। কারণ এই খুরের সঙ্গে স্নায়ুর সংযোগ নেই।
এ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশন বলে, খুরের প্রাচীরে কোনো রক্তনালি বা স্নায়ু নেই, তাই নাল সঠিকভাবে পেরেক দিয়ে আটকালে ঘোড়া কোনো ব্যথা পাবে না। তবে সঠিকভাবে নাল না পরালে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। যদি নাল বা পেরেক ভুল জায়গায় লাগানো হয় বা ভুল আকারের নাল পরানো হয় তাহলে ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। আর খুর যদি আগেই ভুলভাবে কাটা হয় তাহলে নাল পরালেও লাভ নেই।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
২ মিনিট আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে