নাগরদোলায় চড়লে কিছুক্ষণ পর কম–বেশি সবারই মাথা ঘুরতে থাকে। তবে পৃথিবী নাগরদোলার চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘুরছে। কিন্তু আমরা তার কিছুই টের পাচ্ছি না!
পৃথিবী যে ঘুরছে তা আমরা দুটি কারণে বুঝতে পারি না। একটি হলো—পৃথিবী লাখ লাখ বছর ধরে মোটামুটি একই গতিতে ঘুরছে। এ সম্পর্কে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও কনটেন্ট কৌশলবিদ স্টেফানি ডেপ্পে বলেন, আপনি যখন কোনো গাড়িতে চড়ে মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছেন তখন চোখ বন্ধ করে রাখলে মনে হবে আপনি একই জায়গায় বসে আছেন। কারণ আপনি একই ধ্রুব গতিতে চলছেন। যদি গাড়িতে বারবার ব্রেক কষা হতো তাহলে আপনি ঠিকই গতির তারতম্য বুঝতে পারতেন।
শার্লটের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা এবং অপটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক গ্রেগ গুর বলেন, আমরা জানি পরম গতি বলে কিছু নেই। একমাত্র জিনিস যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আপেক্ষিক গতি। এটি নিউটন ও গ্যালিলিও আবিষ্কার করেছেন। গ্যালিলিও বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি জাহাজের কথা ভাবতে বলেন। জাহাজটি সমুদ্রে যাত্রা করলেও ভেতর থেকে মনে হবে সেটি বন্দরেই রয়েছে। জাহাজে থাকা অন্যান্য বস্তুর দিকে তাকালেও বুঝবেন না। এটা বুঝতে হলে জাহাজের বাইরের কোনো বস্তুর দিকে তাকাতে হবে। পদার্থবিজ্ঞানের নীতি অনুসারে, শান্ত সমুদ্রে জাহাজ চললে ভেতর থেকে বোঝার উপায় নেই যে এটি চলছে।
পৃথিবীর অভ্যন্তর ও পৃষ্ঠের সবকিছুই নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরছে। ফলে তুলনা করার জন্য কিছু নেই। তাই পৃথিবী নিজের অক্ষের ওপর গড়ে ঘণ্টায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে ঘুরলেও টের পাওয়া যায় না। এ ছাড়া সূর্যের চারদিকে কক্ষপথে সেকেন্ডে গড়ে ৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে পৃথিবী।
পৃথিবীর ঘোরার বিষয়টি বুঝতে না পারার আরেকটি কারণ হলো, এর মহাকর্ষ বল। মহাকর্ষ এমন একটি বল যা বস্তুকে ভরের কেন্দ্রের দিকে টানে এবং এটিই আমাদের পৃথিবীর পৃষ্ঠে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে। পৃথিবী যখন ঘোরে তখন মানুষসহ সবকিছুই একই মহাকর্ষীয় বলের অধীনে ঘুরতে থাকে। তাই পৃথিবী ঘুরলেও আমরা বুঝতে পারি না।
নাগরদোলায় চড়লে কিছুক্ষণ পর কম–বেশি সবারই মাথা ঘুরতে থাকে। তবে পৃথিবী নাগরদোলার চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘুরছে। কিন্তু আমরা তার কিছুই টের পাচ্ছি না!
পৃথিবী যে ঘুরছে তা আমরা দুটি কারণে বুঝতে পারি না। একটি হলো—পৃথিবী লাখ লাখ বছর ধরে মোটামুটি একই গতিতে ঘুরছে। এ সম্পর্কে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও কনটেন্ট কৌশলবিদ স্টেফানি ডেপ্পে বলেন, আপনি যখন কোনো গাড়িতে চড়ে মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছেন তখন চোখ বন্ধ করে রাখলে মনে হবে আপনি একই জায়গায় বসে আছেন। কারণ আপনি একই ধ্রুব গতিতে চলছেন। যদি গাড়িতে বারবার ব্রেক কষা হতো তাহলে আপনি ঠিকই গতির তারতম্য বুঝতে পারতেন।
শার্লটের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা এবং অপটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক গ্রেগ গুর বলেন, আমরা জানি পরম গতি বলে কিছু নেই। একমাত্র জিনিস যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আপেক্ষিক গতি। এটি নিউটন ও গ্যালিলিও আবিষ্কার করেছেন। গ্যালিলিও বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি জাহাজের কথা ভাবতে বলেন। জাহাজটি সমুদ্রে যাত্রা করলেও ভেতর থেকে মনে হবে সেটি বন্দরেই রয়েছে। জাহাজে থাকা অন্যান্য বস্তুর দিকে তাকালেও বুঝবেন না। এটা বুঝতে হলে জাহাজের বাইরের কোনো বস্তুর দিকে তাকাতে হবে। পদার্থবিজ্ঞানের নীতি অনুসারে, শান্ত সমুদ্রে জাহাজ চললে ভেতর থেকে বোঝার উপায় নেই যে এটি চলছে।
পৃথিবীর অভ্যন্তর ও পৃষ্ঠের সবকিছুই নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরছে। ফলে তুলনা করার জন্য কিছু নেই। তাই পৃথিবী নিজের অক্ষের ওপর গড়ে ঘণ্টায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে ঘুরলেও টের পাওয়া যায় না। এ ছাড়া সূর্যের চারদিকে কক্ষপথে সেকেন্ডে গড়ে ৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে পৃথিবী।
পৃথিবীর ঘোরার বিষয়টি বুঝতে না পারার আরেকটি কারণ হলো, এর মহাকর্ষ বল। মহাকর্ষ এমন একটি বল যা বস্তুকে ভরের কেন্দ্রের দিকে টানে এবং এটিই আমাদের পৃথিবীর পৃষ্ঠে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে। পৃথিবী যখন ঘোরে তখন মানুষসহ সবকিছুই একই মহাকর্ষীয় বলের অধীনে ঘুরতে থাকে। তাই পৃথিবী ঘুরলেও আমরা বুঝতে পারি না।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৯ মিনিট আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে