অনলাইন ডেস্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায়? আমাদের প্রধান সমস্যা এই দেশে কখনো গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি। এখানে সংস্কৃতিই গড়ে ওঠেনি। এখানে গণতান্ত্রিক একটা সংস্কৃতি যদি গড়ে না ওঠে, তখন বারবার বলতে হবে যে আপনাকে এইটা করতে হবে, ওইটা করতে হবে। এটা ডেমোক্রেসি, এইটা এইভাবে করতে হবে। চর্চা ছাড়া এই জিনিসগুলো কিন্তু গড়ে উঠবে না। ইম্পোজ করে কিছু করা সম্ভব হবে না।’
আজ শুক্রবার দুপুরে খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক অনেকেই এখন বলছে, বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। আমরা বারবার বলছি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যেটুকু দরকার সেই সংস্কারটুকু করে নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন? ড. আলী রীয়াজ বলছেন, সবাই বলছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক। প্রধান দরজা।
‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে তিনটি নির্বাচন করেছি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এর মধ্যে একটা নির্বাচন কিন্তু আরেকটা নির্বাচন থেকে ভালো হয়েছে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানুষ গ্রহণ করেছে। মানুষ এটাকে অত্যন্ত জরুরি মনে করেছে। আমরা যদি তখন রাষ্ট্রপতি শাসনে চলে যেতাম তখন সেটা মানুষ কিন্তু গ্রহণ করত না।’
তিনি বলেন, ‘আমার যে ধারণা, জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু করা সম্ভব হবে না। জনগণকেই তৈরি করতে হবে আপনাকে। আজকের যে প্রক্রিয়াটা চলছে সেটাকে আমি স্বাগত জানাই। কমিশনগুলোকে অনুরোধ করব আপনারা জনগণের সঙ্গে ইন্টারেকশন করার ব্যবস্থা রাখবেন।
‘যত বেশি সময় যাবে আমাদের কাছে মনে হয় সমস্যাগুলো আরও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা তো অন্য জায়গায়। আপনি এইগুলো ইমপ্লিকেশন করবেন কীভাবে? আপনার প্রশাসন, আপনার সরকারি মেশিনারি তো এখনো পুরোপুরিভাবে ফ্যাসিবাদের মধ্যে আছে।
‘কাঠামো যদি না থাকে, ওপর থেকে শুধু চাপিয়ে দিয়ে কিছু করতে পারব না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই গণতন্ত্রকে সফল করতে পারব। মাইন্ডসেট বড় জিনিস। সেই মাইন্ডসেটটা তো তৈরি করতে হবে। সেই জন্য আমাদের চর্চা করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে চর্চা করতে হবে। ভুল হবে, ত্রুটি হবে এর মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৬ সালে ডকুমেন্টারি বের করেছি, যেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলা ছিল। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা, প্রধানমন্ত্রী যেন দুই বারের বেশি না হতে পারেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছিলাম।
‘পরে ২০২২ সালে প্রথমে ১২ দফা, এরপরে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা দিয়েছি। দীর্ঘ দুই বছর আলোচনা করেছি। অনেকের সঙ্গেই তখন কথা বলে এগুলো করেছি।’
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে সবাই যেন মনে রাখে—সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যেন একাত্তরকে ভুলে না যাই। তারপর ধারাবাহিক গণতন্ত্রের যে লড়াই সেটা আমাদের প্রত্যেকেরই মনে রাখা দরকার। আমরা এইটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে। একই সঙ্গে মনে করে জনগণকে বাদ দিয়ে ওপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে কোনো কিছু সম্ভব না।’
আজ সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায়? আমাদের প্রধান সমস্যা এই দেশে কখনো গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি। এখানে সংস্কৃতিই গড়ে ওঠেনি। এখানে গণতান্ত্রিক একটা সংস্কৃতি যদি গড়ে না ওঠে, তখন বারবার বলতে হবে যে আপনাকে এইটা করতে হবে, ওইটা করতে হবে। এটা ডেমোক্রেসি, এইটা এইভাবে করতে হবে। চর্চা ছাড়া এই জিনিসগুলো কিন্তু গড়ে উঠবে না। ইম্পোজ করে কিছু করা সম্ভব হবে না।’
আজ শুক্রবার দুপুরে খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক অনেকেই এখন বলছে, বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। আমরা বারবার বলছি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যেটুকু দরকার সেই সংস্কারটুকু করে নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন? ড. আলী রীয়াজ বলছেন, সবাই বলছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক। প্রধান দরজা।
‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে তিনটি নির্বাচন করেছি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এর মধ্যে একটা নির্বাচন কিন্তু আরেকটা নির্বাচন থেকে ভালো হয়েছে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানুষ গ্রহণ করেছে। মানুষ এটাকে অত্যন্ত জরুরি মনে করেছে। আমরা যদি তখন রাষ্ট্রপতি শাসনে চলে যেতাম তখন সেটা মানুষ কিন্তু গ্রহণ করত না।’
তিনি বলেন, ‘আমার যে ধারণা, জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু করা সম্ভব হবে না। জনগণকেই তৈরি করতে হবে আপনাকে। আজকের যে প্রক্রিয়াটা চলছে সেটাকে আমি স্বাগত জানাই। কমিশনগুলোকে অনুরোধ করব আপনারা জনগণের সঙ্গে ইন্টারেকশন করার ব্যবস্থা রাখবেন।
‘যত বেশি সময় যাবে আমাদের কাছে মনে হয় সমস্যাগুলো আরও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা তো অন্য জায়গায়। আপনি এইগুলো ইমপ্লিকেশন করবেন কীভাবে? আপনার প্রশাসন, আপনার সরকারি মেশিনারি তো এখনো পুরোপুরিভাবে ফ্যাসিবাদের মধ্যে আছে।
‘কাঠামো যদি না থাকে, ওপর থেকে শুধু চাপিয়ে দিয়ে কিছু করতে পারব না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই গণতন্ত্রকে সফল করতে পারব। মাইন্ডসেট বড় জিনিস। সেই মাইন্ডসেটটা তো তৈরি করতে হবে। সেই জন্য আমাদের চর্চা করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে চর্চা করতে হবে। ভুল হবে, ত্রুটি হবে এর মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৬ সালে ডকুমেন্টারি বের করেছি, যেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলা ছিল। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা, প্রধানমন্ত্রী যেন দুই বারের বেশি না হতে পারেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছিলাম।
‘পরে ২০২২ সালে প্রথমে ১২ দফা, এরপরে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা দিয়েছি। দীর্ঘ দুই বছর আলোচনা করেছি। অনেকের সঙ্গেই তখন কথা বলে এগুলো করেছি।’
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে সবাই যেন মনে রাখে—সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যেন একাত্তরকে ভুলে না যাই। তারপর ধারাবাহিক গণতন্ত্রের যে লড়াই সেটা আমাদের প্রত্যেকেরই মনে রাখা দরকার। আমরা এইটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে। একই সঙ্গে মনে করে জনগণকে বাদ দিয়ে ওপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে কোনো কিছু সম্ভব না।’
আজ সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি প্রমুখ।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে গেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ৯ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে
৪ ঘণ্টা আগেলন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশ একটি নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেএনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
৮ ঘণ্টা আগেগণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৮ ঘণ্টা আগে