Ajker Patrika

জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে সরানোর উপায় খুঁজছে আওয়ামী লীগ

তানিম আহমেদ, ঢাকা
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৪: ৫৩
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে সরানোর উপায় খুঁজছে আওয়ামী লীগ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে দলটির গাজীপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। একই সঙ্গে তাঁকে মেয়র পদ থেকে সরানোর উপায় খুঁজছে দলটি। 

শুক্রবার দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের ইস্যুতে আওয়ামী লীগের প্রায় ৩৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে দুজন ছাড়া সবাই জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার করার দাবি জানান। একই সঙ্গে তাঁকে মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি এবং তাঁর সম্পদের হিসাব নেওয়ার দাবি জানান। 

কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাহাঙ্গীরের বিষয়টি উত্থাপন করলে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরকে কী ভাষায় শোকজ দেওয়া হয়েছে এবং উত্তর কী এসেছে আমরা জানতে চাই।’ পরে ওবায়দুল কাদের পড়ে শোনান বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে। এরপর নাছিম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর অমার্জনীয় অপরাধ করেছে এবং শোকজের কোথাও অপরাধ স্বীকার করে নেয়নি। এই কুলাঙ্গারের আওয়ামী লীগ করার কোনো অধিকার নেই।’ 

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের জবাবে অপরাধের কথা স্বীকার করে নাই। তাঁর বক্তব্য জাতির অস্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ। তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।’ 

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ না হলে জাহাঙ্গীর ঝুঁট ব্যবসা কীভাবে করত। হাজার কোটি টাকার মালিক কীভাবে হতো। তাঁকে শুধু দল থেকে বহিষ্কারই নয়, গুরুতর এই অপরাধের জন্য মামলা করতে হবে। মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমাদের অস্তিত্বে আঘাত হেনেছে। আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ। এখানে বিএনপি-জামাত আঘাত করার সাহস দেখাতে পারেনি। তিনি সেই সাহস দেখিয়েছেন। তাঁর আওয়ামী লীগ করার অধিকার নেই।’ 
 
বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু। এগুলোকে বিতর্কিত করতে বিএনপি-জামাত যে সুরে কথা বলে জাহাঙ্গীরও সেই সুরে কথা বলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। 

তবে একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীরের পক্ষে কথা বলতে চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে শেখ হাসিনা থামিয়ে দেন। 

সম্পাদকমণ্ডলীর ওই সদস্যকে উপস্থিত নেতারা বলেন, ‘আপনিও কি সুপার এডিট হয়ে গেছেন।’ তিনি থেমে যান। 

দলের নেতাদের বক্তব্য শেষ হলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিএনপি-জামাত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সমালোচনা করার সাহস এভাবে দেখায়নি। জাহাঙ্গীর যে ভাষায় কথা বলেছে। ভবিষ্যতে এই ধৃষ্টতাপূর্ণ অপরাধ যাতে কেউ সংগঠিত করতে না পারে তাঁর বিরুদ্ধে সে ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে। এ সময় জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ঘোষণা করেন তিনি। 

বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে শেখ হাসিনা আশ্বস্ত করেন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। মেয়র পদ থেকে কীভাবে তাকে অব্যাহতি দেওয়া যায় সে ব্যাপারেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেহেতু আমাদের সভার যে প্রস্তাব এটা তো বঙ্গবন্ধু ও আমাদের ইতিহাসকে কটাক্ষ করে বক্তব্য। এখানে আজকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে প্রেক্ষিতে সেটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে অফিশিয়ালি। 

বক্তব্য সুপার এডিটেড দাবি করেছিলেন মেয়র, যাচাই-বাছাই করেছেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিটিং তো অনেক দিন পরে হয়েছে কাজেই আমাদের পার্টি, আমাদের পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এই বিষয়টি ভালোভাবেই খোঁজ-খবর, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

বৈঠকে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সহিংসতা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে আলোচনা উঠলে ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের রাজনীতি সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করেন শেখ হাসিনার কাছে। প্রায় সকল বিভাগের ইউপি ভোটে বিদ্রোহীদের আধিপত্য, নিয়ম শৃঙ্খলা কেউ মানছেন না বলে রিপোর্টে তুলে ধরেন সাংগঠনিক সম্পাদকরা। 

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কোন ইউনিয়নে কোথায় কারা বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি কর। আওয়ামী লীগের খেয়ে পরে যারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে সেই নেতাদের আমি বাদ দিয়ে দেব। দলের নীতি আদর্শে বিশ্বাসী, ত্যাগীদের দিয়ে নতুন করে দল সাজাব। 

ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মাদারীপুরের কালকিনি ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিদ্রোহীদের কারণে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অশনিসংকেত।’ জবাবে প্রধানমন্ত্রীও বলেন, ‘অবশ্যই অশনিসংকেত।’ 

ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্রোহীদের যারা মদদ দিয়েছে, তিনি যে পর্যায়ের নেতা হোন না কেন, শাস্তি পেতে হবে। তাদের জন্য শাস্তি রয়েছে। এমন কী জনপ্রতিনিধি হলে, মন্ত্রী হোক, এমপি হোক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৪
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন নিবেদন করেন মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন নিবেদন করেন মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করতে এখনো কিছু গোষ্ঠী নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। আজ শুক্রবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন রকম অপচেষ্টা ও চক্রান্ত চলছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য। তাই ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের মতো সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার মাত্র চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একদিকে রাজনৈতিক অবস্থার, অন্যদিকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করেন। একদলীয় বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন এবং একই সঙ্গে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। সুখী ও সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নিশ্চিতকরণের জন্য তিনি যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, পরবর্তীকালে তার ওপর ভিত্তি করেই দেশ সেই দিকে এগিয়ে যায়। সে জন্য আজকের দিনটি শুধু বিএনপির কাছে নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদেরকে সেই পথেই পরিচালিত করে, যে পথে সত্যিকারই গণতান্ত্রিক ও একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত, বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

এর আগে সকাল ১০টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং দোয়া করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান; সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও আব্দুস সালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান বিএনপির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

জুলাই জাতীয় সনদের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর আইনানুগ বাস্তবায়ন এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনরকম বাধা সৃষ্টি না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এদিন দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, 'বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, দীর্ঘ আলোচনায় উপনীত ঐকমত্য কে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং কোনমতেই নিত্য নতুন প্রশ্ন উত্থাপন কিম্বা সংকট সৃষ্ট করে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিতব্য নির্বচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করবে না।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয, 'জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ ও বিস্তারিত আলোচনা শেষে কতিপয় বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ যে সকল বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার হিসাবে সনদে বর্ণিত সকল বিষয়কে ধারণ করি এবং দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সর্বসম্মতভাবে গৃহিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে নতুন প্রশ্ন কিম্বা সংকট সৃষ্টির সকল অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণের শক্তিকে ধারন করে বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ১৬ বছরের অবিরাম লড়াই ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সীমাহীন ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৪
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।

আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।

সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।

গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘যাঁরা নিজেদের লোক হত্যা করেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না’

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’

গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত