Ajker Patrika

কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে জাতীয় পার্টির ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে জাতীয় পার্টির ইফতার

বিদেশি কূটনীতিক ও দেশের বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতারা। আজ রোববার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিত হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও এতে অংশ নেন। 

ইফতারের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ায় কূটনীতিকসহ অতিথিদের ধন্যবাদ জানান জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতি এক ভয়াবহ অবস্থা অতিবাহিত করছে। আমরা চাই, পবিত্র এই মাহে রমজানে সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আমরা যেন এই পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারি।’ 

ইফতারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেপাল, চীন, ভারত, ইরান, কসোভো, নেদারল্যান্ডস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের কূটনীতিকেরা অংশ নেন। 

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জেএসডি সভাপতি আ. স. ম আবদুর রব, বিকল্পধারা বাংলাদেশ মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী প্রমুখ। 

ইফতারে অংশ নেন বিএনপি নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকাএছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ অনেক বিশিষ্টজন ইফতারে অংশ নেন। 

জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনশনরত তারেক রহমান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: আমজনতার দল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নিবন্ধনের দাবিতে ১২০ ঘণ্টা ধরে অনশন করা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন’ বলে জানিয়েছে দলটি।

আজ রোববার বিকেলে আমজনতার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। দলটির নিবন্ধনসংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে অনশনরত তারেক রহমানের জীবন রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

নিবন্ধন না পাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশনে আছেন তারেক রহমান। এর মধ্যে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রতি সংহতি জানিয়েছে।

অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

তারেক রহমান দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ‘সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ নেতার প্রতীক’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৮-এর কোটা আন্দোলনসহ রাষ্ট্রের নানা সংকটময় মুহূর্তে তিনি সব সময় সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই নেতার সঙ্গে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।

এরই মধ্যে অনশনের ১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের টনক এখন পর্যন্ত নড়েনি। গণদাবি ও নিবন্ধনের ন্যায্য প্রশ্নে নীরব এই কমিশনের উদাসীনতা জনমনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমজনতার দলের নেতা তারেকের প্রতি সহমর্মিতা ইশরাকের, চাইলেন সব নিবন্ধিত দলের পুনর্নিবন্ধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নতুন দলের নিবন্ধন তালিকা থেকে বাদ পড়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে গত মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন করছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। তাঁর প্রতি সহমর্মিতা জানাতে এসে ঢাকা-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন ইসির নিবন্ধনে থাকা সব রাজনৈতিক দলের পুনর্নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছেন।

আজ রোববার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিলে, কোন কোন দল শর্ত সম্পূর্ণভাবে পূরণ করেছে, তার প্রত্যেকটির অডিটেড রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।

বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনে থাকা ৫৭টি রাজনৈতিক দলের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল আসলে দলই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কি না, ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য তারা কী করতে চায়, তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো রয়েছে কি না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে কি না—এ রকম অনেকগুলো বিষয় চলে আসে। আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পুনর্নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চালু হোক—সেটি চাই। তার মাধ্যমে আসলেই বাছাই করা হোক—কারা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য এবং কারা ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল। এসব দলকে ক্ষমতাসীনরা যে যার সুবিধামতো প্রতিষ্ঠা করেছে।’

ইশরাক বলেন, ‘এ জন্য আমি তারেক রহমানের সঙ্গে সহমর্মিতা জানাতে এসেছি। তাঁর পাশে সহযোদ্ধা হিসেবে রয়েছি এবং আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি—অবিলম্বে তাঁর দলকে নিবন্ধন দিতে হবে। আমরা দেখেছি, সরকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি এলে একদম গেট খুলে তাকে রিসিভ করার জন্য চলে আসে। আবার হাজার হাজার মানুষ দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রোদে পুড়ে মরলেও এই সরকার কর্ণপাত করে না। আমি নিজেও এর ভিকটিম ছিলাম। কেন আজকে তারেক রহমানের সঙ্গে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে? আমরা জোরালোভাবে এর সমাধান চাই।’

আমজনতার দলের নেতা তারেক রহমান দাবি করছেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টার কারণে তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না।

তাঁর এই দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘এটা আমি অস্বীকার করব না। উড়িয়ে দেওয়ারও কোনো সুযোগ নাই। কারণ, তিনি (তারেক) যথেষ্ট সমালোচক ছিলেন। এই সরকারের বিশেষ করে এমন একটা সময় গিয়েছে, যখন বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের সমালোচনা করা মানে ওই যে শেখ মুজিবের নাম নেওয়া যাবে না—এ ধরনের একটা পরিস্থিতি ছিল। সেই সময়ও তারেক রহমান সমালোচনা করে গিয়েছেন। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছেন। তাই এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাদের রাজনৈতিক শক্ত প্রতিপক্ষ দাঁড়ায় যায় কি না। যেহেতু তারা সমবয়সী—একটা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এসেছে—সেটি একটি কারণ (নিবন্ধন না দেওয়ার) হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির কাজ নয়: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দাবি আদায়ের নামে রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টি করা মানে ঐকমত্য নয়। যারা নির্বাচনের পরিবেশকে ঘোলাটে করতে চাইছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের গোষ্ঠী নয়। আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ভোটের দিনেই গণভোট করার বিধান সংবিধানে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি তবু উদার হয়ে ভোটের দিন গণভোটে রাজি হয়েছে। এখন কেউ জোর করে নিজের মত চাপিয়ে দিতে চাইলে, তা হবে অগণতান্ত্রিক।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামী সংসদে কী পাস হবে না হবে, তা আগামী সংসদেই ঠিক হবে। তবে কেউ কেউ এখনই সেসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইএমএফের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ।

অন্যদিকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, কর ব্যবস্থা এবং সামাজিক খাতের সংস্কার জরুরি।

তাঁরা আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, একটি জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়।

শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত নীতি-অগ্রাধিকার এবং সংস্কারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত