Ajker Patrika

আর নয়, এনাফ ইজ এনাফ: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ১১
আর নয়, এনাফ ইজ এনাফ: মির্জা ফখরুল 

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে নেমে পড়ব। যেখান থেকে আমরা উচ্চারণ করব আর নয় ৷ এক দফা আর এক দাবি ৷ তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একদফার ভিত্তিতে গণ-অভ্যুত্থান গড়ে তুলুন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বড় দল, ছোট দল, মাঝারি দল বলে কোনো কথা নাই। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য নাকি গণসংহতি আন্দোলন না গণতন্ত্র মঞ্চ এটাও কোনো বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত, বিপন্ন। এ দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’

গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে নেমে পড়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন, আমরা গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে নেমে পড়ব। যেখান থেকে উচ্চারিত কণ্ঠে আমরা উচ্চারণ করব আর নয় ৷ এক দফা আর এক দাবি ৷ তুমি যাও! এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও। অন্যথায় পালাবার পথটা খুঁজে পাবে না। এটা আমি বারবার বলেছি। আসলে পালানোর পথও পায় না। অতীতে দেখবেন স্বৈরাচারীরা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।’ বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল।

ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময় এমনটা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সেই সময় এসেছে। আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমি খুব আনন্দিত হই, প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যাঁরা আছি তার বাইরেও যাঁরা আছেন আমরা সবাই এক হয়েছি একটি দাবি যে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেখানে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

এই সরকার যাবে কবে? জনগণ এখন শুধু এটাই জানতে চায়। আলোচনা সভায় বক্তব্যে এমনটা উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের গুণকীর্তন করার তো দরকার নেই। আপনি যেকোনো সাধারণ মানুষকে ডেকে নিয়ে বলেন, দেখেন এই সরকারকে সমর্থন করেন? তখন জনগণ বলবে, যাবে কবে সেটা বলেন। মানুষ আমাদের কাছে সেই প্রশ্ন করে না যে, সরকার এই এই কাজ খারাপ করল কেন। মানুষ আমাদের কাছে প্রশ্ন করে ভাই যাবে কবে?’ এখন দেশের এবং বাইরের সমস্ত শক্তি এই সরকারের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গেছে, আওয়ামী লীগ একটা ঘৃণিত দল বলেও উষ্মা প্রকাশ করেন এই রাজনীতিক। 

অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে উল্লেখ করে জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা জাতীয় গণফ্রন্ট চাই এই সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ বাতিল। কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাকে বিদায় দিতে হবে। সে হাটু গেড়ে বসবে এটা মনে করার কোনো কারণ নাই।’

এই রাষ্ট্র টিকবে কি না— এমন প্রশ্ন তুলে সর্বশেষ বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের মধ্য দিয়ে এই রাষ্ট্রটা নির্মাণ হয়েছে, সেই রাষ্ট্র আজকে টিকে থাকবে কি না সেই রকম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকেরা। আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আমাদের রাষ্ট্রটাকে একটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে একটা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। তারা শুধু জনগণের অধিকার হরণ করেছে তাই নয়, জনগণের সম্পদ লুট করে এ দেশকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরো রাষ্ট্রকে তার অস্তিত্বের দিক থেকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।’ সরকারের পতন ও দেশকে রক্ষা করা একই বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি।

জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাইন বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জাসদের নাজমুল হক প্রধান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলে ফয়জুল হাকিম লালা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেলসহ আরও অনেকে ৷

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমজনতার তারেকের অনশন ভাঙালেন বিএনপির সালাহউদ্দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির সালাহউদ্দিনের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন তারেক। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সালাহউদ্দিনের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন তারেক। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে এসে তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে এখানে অনশনে বসেন তারেক রহমান।

এ সময় তারেককে আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি বিএনপির এই নেতা এ সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের যেসব অফিস আছে, সেসব সংস্কার করতেও বলেন তিনি। এরপর তারেককে অ্যাম্বুলেন্সে করে নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান তাঁর সমর্থকেরা।

সালাহউদ্দিন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছুটা সহনশীল হওয়া উচিত।’

এর আগে, আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে ইসি সচিব আখতার আহমেদ তারেককে অনশন ভেঙে নিবন্ধন আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ইসি সচিব বরাবর আপিল করতে হবে। ঘাটতি যেগুলো আছে সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এই তিন দলকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এসব দলের বিরুদ্ধে দাবি-আপত্তি জানানো যাবে। এরপর সেগুলো নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। নিবন্ধনের তালিকায় নিজের দলের নাম না দেখে বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেন তারেক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে: টুকু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জানান, বিএনপি এবার ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়াই করবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে তাঁদের।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এই নির্বাচনী যুদ্ধ কিন্তু আট-দশটা নির্বাচনী যুদ্ধের মতো না। এবার কিন্তু আমরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি। যে ছায়া আমাদের কর্তৃক প্রতিপালিত হয়ে আমাদের চেয়ে বড় হয়ে এখন আমাদেরই রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে।’

ছায়া শক্তির বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের হাতে যে রক্ত লেগেছিল, সে রক্তের দাগ কিন্তু এখনো শুকায়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে মা-বোনদের ইজ্জতহানি হয়েছিল, সেটাও কিন্তু এখনো মুছে যায়নি। সুতরাং, আপনারা যাঁরা জাতীয়তাবাদী, আগামী নির্বাচন সম্বন্ধে হুঁশিয়ার থাকবেন।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে টুকু বলেন, ‘আমরা কিন্তু এবার ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়াই করব। সেই প্রস্তুতিটা নেবেন। তাহলেই এই যে ৭ নভেম্বরের জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস এবং জিয়াউর রহমান সাহেবের রেখে যাওয়া যে আদর্শ, সেইটা বেঁচে থাকবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আমরা বিএনপি পরিবারের সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মন্নুর আহমেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা থেকেই নির্বাচন করব নিশ্চিত, পদত্যাগ কবে সিদ্ধান্ত সরকারের: আসিফ মাহমুদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ২০
ঢাকা থেকেই নির্বাচন করব নিশ্চিত, পদত্যাগ কবে সিদ্ধান্ত সরকারের: আসিফ মাহমুদ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো এক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে কোন আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন এবং সরকারি পদ কবে ছাড়বেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে ঢাকা-১০ আসনভুক্ত ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভোটার হওয়ার আবেদন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

আসিফ জানান, তিনি ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের ভোটার হওয়ার আবেদন করেছেন। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। ঢাকা থেকে যে নির্বাচন করবেন, সেটাও মোটামুটি নিশ্চিত। তবে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ওপর নির্ভর করছে।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করব—এটা মোটামুটি নিশ্চিত, সেই জায়গা থেকে নিজের ভোটটাও ঢাকায় নিয়ে আসা। কারণ, ভোটটা যাতে অপচয় না হয়। আমার সরকার থেকে পদত্যাগ করার পর ঢাকায় থাকার প্ল্যান আছে। ধানমন্ডি এলাকায় থাকব। তো সেই জায়গা থেকে যেখানে থাকব, সেখানেই ভোটার হওয়া। আপনারা তো জানেন যে, নির্বাচন করার জন্য আপনি কোথায় ভোটার হইলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, আপনি দেশের নাগরিক বা ভোটার হলেই যথেষ্ট।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি নাই। দুইটা নির্বাচন আমি ভোটার হওয়ার পরে হয়েছে, ২০১৮ সালে ও ২০২৪ সালে এবং আপনারা জানেন যে, এই সময়ে কেউই ভোট দিতে পারেনি। এই নির্বাচনে যাতে ভোট দিতে পারি, সেটা নিশ্চিত করলাম। নির্বাচন কোথায় (কোন আসন) থেকে করব, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করারই। তারপরে দেখা যাক।’

উপদেষ্টা পরিষদ থেকে কবে পদত্যাগ করবেন—জানতে চাইলে তরুণ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবেই এখন বলছি যে, আমি নির্বাচন করব। কবে নাগাদ পদত্যাগ করব? এটা আপনারা জানেন যে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে। আলোচনা করে সেই বিষয়ে দ্রুতই আপনাদের জানাব।’

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলাপ–আলোচনার বিষয়ে আসিফ বলেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয় নাই। কেউ কোনো আসন, কোনো রাজনৈতিক দল ফাঁকা রাখল কি রাখল না, সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমি আমার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে এককভাবেই নিব।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করার জন্য সময় দিয়েছে এবং সরকার রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বলা যাবে, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনশনরত তারেক রহমান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: আমজনতার দল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নিবন্ধনের দাবিতে ১২০ ঘণ্টা ধরে অনশন করা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন’ বলে জানিয়েছে দলটি।

আজ রোববার বিকেলে আমজনতার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। দলটির নিবন্ধনসংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে অনশনরত তারেক রহমানের জীবন রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

নিবন্ধন না পাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশনে আছেন তারেক রহমান। এর মধ্যে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রতি সংহতি জানিয়েছে।

অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

তারেক রহমান দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ‘সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ নেতার প্রতীক’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৮-এর কোটা আন্দোলনসহ রাষ্ট্রের নানা সংকটময় মুহূর্তে তিনি সব সময় সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই নেতার সঙ্গে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।

এরই মধ্যে অনশনের ১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের টনক এখন পর্যন্ত নড়েনি। গণদাবি ও নিবন্ধনের ন্যায্য প্রশ্নে নীরব এই কমিশনের উদাসীনতা জনমনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত