Ajker Patrika

পিআর পদ্ধতি বিদেশি কনসেপ্ট, বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিচিত: মেজর (অব.) হাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংখ্যানুপাতিক বা পিআর ভোট পদ্ধতিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিচিত ও একটি বিদেশি ধারণা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান, ভারত, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের পদ্ধতি নেই। দু-একটি দেশে থাকতে পারে, তবে সেসব দেশের সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থা ভিন্ন। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয় এই কারণে যে, কোনো প্রয়োজনে বা সমস্যার সময় একজন জনপ্রতিনিধির কাছে যেতে পারবে। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে এমন প্রতিনিধি খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় এনসিপির জন্মই হয়নি। জামায়াতে ইসলামী করেছে বিরোধিতা। চরমোনাই পীরের কথা জানি না। সুতরাং, বাংলাদেশ নিয়ে এদের চিন্তাভাবনা করার দরকার কী।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণই স্থির করবে আগামী নির্বাচনে কী ধরনের ব্যবস্থা, সংবিধান ও সংস্কার চাই। বিদেশ থেকে কয়েকজন এসে এসব নির্ধারণ করতে পারবে না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধান আওয়ামী লীগের দলীয় দলিল নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। সংবিধান পুরোপুরি বাতিল করা যাবে না, তবে সময়োপযোগী সংস্কার হতে পারে।’ তাঁর মতে, এটি সংরক্ষণ করেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করা উচিত।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে পুরো জাতিকে মুক্তিযোদ্ধা জাতিতে পরিণত করা হবে। ছাত্রদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র হুমকি দিতে না পারে। আমাদের সেনাবাহিনীকেও পরিবর্তন হতে হবে। যুদ্ধ করার মানসিকতা থাকতে হবে, কেবল ব্রিজ, রাস্তাঘাট করবে—এ ধরনের সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সেই একাত্তর সালের সেনাবাহিনী দেখতে চাই।’

আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘এ দেশে প্রথম ইনডেমনিটি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেটা বিএনপির ওপর চাপানো হয়। সেই দলের নেত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন সবচেয়ে অত্যাচারী ও লোভী।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন ঠেকানোর কথা যারা বলে, তাদের সেই শক্তি নেই। একমাত্র আল্লাহ আর জনগণের কাছে আছে। পিআর এবং গণভোটের আগে একবার জনমত যাচাই করে দেখেন, বাংলাদেশে কত পার্সেন্ট ভোট আপনাদের আছে, তারপরে পিআরের কাছে নিয়ে যাব আমরা। কিন্তু সেই সাহস আপনাদের নাই। নতুন করে আবার নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করলে আমরা এখনো বেঁচে আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েও ফখরুল–আখতাররা ভিভিআইপি সুবিধা পাননি কেন—জানাল প্রেস উইং

স্পিকারের বাসভবনই হবে প্রধানমন্ত্রীর অস্থায়ী আবাস

আ.লীগের ঝটিকা মিছিল: মানিকগঞ্জের প্যানেল মেয়র আরশেদ আলীসহ চারজন কারাগারে

ঘরে সদ্য বিবাহিত বিক্রয় প্রতিনিধির লাশ, চিরকুটে লেখা ‘জীবন খুবই কঠিন’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আলোচনায় আসনের ভাগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত