Ajker Patrika

শক্ত হাতে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন, অন্তর্বর্তী সরকারকে তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ২১
তারেক রহমান। ফাইল ছবি
তারেক রহমান। ফাইল ছবি

শক্ত হাতে দেশের ঘোলাটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, ‘শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন। সরকার পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারলে জনগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসরেরা জনগণের অসহিষ্ণু হয়ে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ না করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতা আর অবৈধ সুবিধা হারানো পলাতক স্বৈরাচারের দোসরেরা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে জনগণের দাবি আদায়ের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।’

গত কয়েক দিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার অবকাশ নেই, এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারীদের অপতৎপরতা উদ্বেগজনক হয়ে দেখা দিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, ‘মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে জনতার আন্দোলনে যেই শিক্ষার্থীরা সামনের কাতারে থেকে সাহসী ভূমিকা রেখেছিল, হঠাৎ করেই এখন তারা কেন একে অপরের বিরুদ্ধে এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠল? জনমনে এই প্রশ্নটিই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ছাত্র-জনতার এমন একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা কেন শিক্ষাঙ্গনে ভাঙচুর চালাবে? কেন আগুন ধরিয়ে দেবে? এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবে দেখার সুযোগ নেই।’

পরিস্থিতির ওপর নজরদারি বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের যৌক্তিক আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কেউ ‘স্যাবোটাজ’ করছে কি না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিতাড়িত স্বৈরাচার দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে কি না, সরকারকে এ বিষয়টিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।

পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা লাঘবে “করণীয় নির্ধারণই” হোক সরকারের প্রথম এবং প্রধান অগ্রাধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মনে রাখা দরকার, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে দেশের কোটি কোটি পরিবারকে প্রতিদিন সাধ এবং সাধ্যের সঙ্গে আপস করতে হচ্ছে। পারিবারিক খরচ মেটাতে এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে অনেকের কাছেই “সংস্কারের চেয়ে সংসার” অগ্রাধিকার হয়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়।’

বাজার নিয়ন্ত্রণ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এই স্পর্শকাতর ইস্যু ব্যবহার করার সুযোগ নিতে পারে, এমনটা মনে করেন বিএনপি নেতা।

জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও তারেক সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জনগণকে আস্থায় রাখা ও জনগণের আস্থায় থাকার জন্য সরকারকে তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো কাজ কিংবা কথা যেন ছাত্র-জনতার ঐক্যে ফাটল ধরার কারণ না হয়, সেই বিষয়ে সরকারকে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে।’

জনগণের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তি এবং পলাতক স্বৈরাচার যাতে গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যকে লক্ষ্যচ্যুত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের চলমান পরিস্থিতি সরকারকে আরেকটু সময় দেওয়া ও আরেকটু ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘শান্ত থাকুন। পরিস্থিতির ওপর সতর্ক এবং সজাগ দৃষ্টি রাখুন।’

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রাপথে ষড়যন্ত্রকারীদের বাধা বিচক্ষণতার সঙ্গে অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে জনগণকে চরম মূল্য দিতে হবে, এমন হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না, মাঠে নামলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে: ফখরুল

­যশোর প্রতিনিধি
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’

যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। সেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।

যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনশনরত আমজনতার তারেকের প্রতি সংহতি জানাল বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়েছে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়েছে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, তারেক রহমান যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই তিনি প্রাপ্য।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে অনশনরত তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘তারেকের রাজনৈতিক দল “আমজনতার দল” নিবন্ধনের জন্য কমিশনে ইতিমধ্যে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনটা গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি দেখেছি যে আরও গুরুত্বহীন কিছু সংগঠন আমার কাছে মনে হয়েছে তারাও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকেরটা দেওয়া হলো না কেন, আমি এটা বুঝতে পারলাম না। তারেক এই দেশের স্বার্থে কথা বলেছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কথা বলেছে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তার বৈধতার জন্য নির্বাচন কমিশনে সে আবেদন করেছে। সে তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চায়নি। সে আইনসম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকত, তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী অনেক কার্যকলাপ করত। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ তো করেইনি বরং রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে সে কথা বলেছে। কিন্তু তার নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না...তাহলে আপনারা (ইসি) কাদের নিবন্ধন দেন, আমি জানি না।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘কাউকে আমি ছোট করতে চাই না। কিন্তু তার যে চিন্তা এবং তার রাজনৈতিক যে সংগ্রাম এবং কর্মসূচি, সেই অনুযায়ী সে যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই সে প্রাপ্য। এই ন্যায়সংগত কারণে যে অনশন করছে...তার এই ৫০ ঘণ্টা যে অনশন করছে, এই অনশন কর্মসূচির প্রতি আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।’

গত মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তার পর থেকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে আমরণ অনশনে বসেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক। ইতিমধ্যে তারেকের অনশনে সংহতি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)।

তারেক অনশনে বসার পর নিবন্ধন না পাওয়া বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, মৌলিক বাংলাসহ কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে কয়েকজন ইসির ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপির মনোনয়ন ফরমের দাম ১০ হাজার টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৪
রাজধানীর বাংলামোটরে বৃহস্পতিবার এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বাংলামোটরে বৃহস্পতিবার এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জন্য আবেদন ফরম উন্মুক্ত করা হয়েছে; যা ১০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।

রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

তিনি বলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অনলাইন (nomination.ncpbd.org) ও সারা দেশে দলের বিভাগীয় সম্পাদকদের কাছ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আবেদন ফরমের সর্বনিম্ন মূল্য ১০ হাজার টাকা। কেউ চাইলে এর চেয়ে বেশি টাকা দিয়েও ফরম কিনতে পারবেন। তবে জুলাই আন্দোলনে আহত এবং দিনমজুররা ২ হাজার টাকা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম এবং ১০ জন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমেও ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলের প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিতে চাই না। জনগণের প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিতে চাই। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফরম সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলবে। ১৫ নভেম্বরের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত বা বাতিল করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, দেশে কিছু ব্যক্তি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নির্বাচন নিয়ে সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের বিশ্লেষণমূলক ‘‘রি-ইমাজিনিং বাংলাদেশ’স পলিটিক্যাল ফিউচার’’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে ‘ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ’ নামের সংগঠন।

সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনকে বিলম্বিত বা বাতিল করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে কিছু ব্যক্তি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নির্বাচন নিয়ে সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এ সংকট মোকাবিলায় নির্বাচন সফল করতে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সবচেয়ে নিরাপদ সময় হলো আগামী ফেব্রুয়ারি। এরপর রোজা চলে আসবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, দল ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, তবে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে। পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) লাগবে, তবে এর ব্যাখ্যা যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে না। পিআর হলে এমন সময়ও আসতে পারে, যখন দেশে কোনো সরকার গঠন সম্ভব হবে না।

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা বর্তমানে সংস্কারের জন্য উৎসাহী হয়ে উঠেছেন, তাঁদের জানা উচিত বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০-এর মাধ্যমে ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া ভিডিওবার্তায় বক্তব্য দেন সমাজকর্মী ও নেলসন ম্যান্ডেলার নাতনি এনডিলেকা ম্যান্ডেলা। অনুষ্ঠানে লন্ডনের নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লিডারশিপ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি বিভাগের অধ্যাপক আলিয়ার হোসেনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত