তানিম আহমেদ

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, রমজান মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো থেকে নেতা- কর্মীদের সমন্বয়ে দলের জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে ২১৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিভিন্ন জেলায় দলকে সংগঠিত করতে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। চলতি মাসে ‘ইফতার’ ও স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে দলের কার্যক্রম। তবে এপ্রিলে বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথের আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো করে দল তৈরি করতে হলো। অনেক কিছুই এখনো বাকি। এই মাসে আমরা সারা দেশে সংগঠন গোছানোর কাজ করব।’
জানা গেছে, দল সংগঠিত করার লক্ষ্যে চলতি রমজান মাসে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার পার্টি করবে এনসিপি। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও স্থানীয়ভাবে ইফতারের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। দলের নেতারা জানিয়েছেন, ১০ রমজানের মধ্যে এনসিপির নতুন কমিটি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এরপরই দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করেও দলটির রাজধানীতে সমাবেশের চিন্তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে আমাদের সংগঠক টিম ধারাবাহিক বৈঠক করছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো কীভাবে দলের কমিটিতে আনা যায়, সে পলিসি ঠিক করছে তারা। সেটা চলতি রমজান মাসের মধ্যেই শেষ হবে। দলের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও এ মাসের মধ্যে শেষ করব।’
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের শর্তপূরণকে টার্গেট করে সংগঠন গোছানো শুরু করেছে এনসিপি। নেতারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার শর্তসমূহ মার্চের মধ্যে পূরণ করতে চায় নতুন রাজনৈতিক দলটি। এ লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের সংগঠক টিম শনিবার থেকেই নিয়মিত বৈঠক করছে। কমিটিতে বিতর্কিত কেউ যাতে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে, নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য যেকোনো সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা দরখাস্ত আহ্বান করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তবে অতীতে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর পরেই নতুন দলের নিবন্ধনের আহ্বান করত ইসি। দলগুলো নিবন্ধনের জন্য ইসির কাছে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা কার্যালয়, অন্তত ১০০টি উপজেলায় কার্যালয় এবং প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তত ২০০ জন ভোটারের তালিকাভুক্তি থাকতে হবে। এ ছাড়া দলের গঠনতন্ত্র, লোগো এবং পতাকার ছবি, দলের তহবিলের উৎস, ব্যাংক হিসাব জমা দিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন দলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়, যদি দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। তাহলে তারা আবেদন করবে বা নির্বাচন কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন চাইতে পারে। আবেদনের ক্ষেত্রে তাদের গঠনতন্ত্রটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের গঠনতন্ত্রে অনেকগুলো জিনিস থাকতে হবে। যেমন সংবিধানপরিপন্থী কিছু থাকতে পারবে না, দলের প্রতিটি স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী থাকতে হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
তবে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম আপাতত নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা যখন প্রয়োজন মনে করি, তখন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকি। এটা নিয়ে কাজ করা শুরু করিনি এখনো।’
এনসিপির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দল আত্মপ্রকাশের আগে থেকেই গঠনতন্ত্রসহ দলের স্লোগান, লোগো, নির্বাচনী প্রতীক ও কর্মসূচি নির্ধারণ নিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে দলের প্রতীক হিসেবে কলম, বই, বাঘ ও ইলিশ নিয়ে আলোচনা রয়েছে। দলের জেলা, উপজেলা কমিটি গঠন ও অফিস প্রতিষ্ঠা করে চলতি মাসের মধ্যেই নিবন্ধনের আবেদন করতে চায় দলটি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
দলের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, চলতি মাসে দল গুছিয়ে উঠতে পারলে এপ্রিলেই স্থানীয় নির্বাচন, গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধানের দাবি ছাড়াও বিভিন্ন জনদাবিতে রাজপথে নামবে এনসিপি। বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চসহ বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে দলটির মধ্যে।

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, রমজান মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো থেকে নেতা- কর্মীদের সমন্বয়ে দলের জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে ২১৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিভিন্ন জেলায় দলকে সংগঠিত করতে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। চলতি মাসে ‘ইফতার’ ও স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে দলের কার্যক্রম। তবে এপ্রিলে বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথের আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো করে দল তৈরি করতে হলো। অনেক কিছুই এখনো বাকি। এই মাসে আমরা সারা দেশে সংগঠন গোছানোর কাজ করব।’
জানা গেছে, দল সংগঠিত করার লক্ষ্যে চলতি রমজান মাসে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার পার্টি করবে এনসিপি। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও স্থানীয়ভাবে ইফতারের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। দলের নেতারা জানিয়েছেন, ১০ রমজানের মধ্যে এনসিপির নতুন কমিটি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এরপরই দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করেও দলটির রাজধানীতে সমাবেশের চিন্তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে আমাদের সংগঠক টিম ধারাবাহিক বৈঠক করছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো কীভাবে দলের কমিটিতে আনা যায়, সে পলিসি ঠিক করছে তারা। সেটা চলতি রমজান মাসের মধ্যেই শেষ হবে। দলের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও এ মাসের মধ্যে শেষ করব।’
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের শর্তপূরণকে টার্গেট করে সংগঠন গোছানো শুরু করেছে এনসিপি। নেতারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার শর্তসমূহ মার্চের মধ্যে পূরণ করতে চায় নতুন রাজনৈতিক দলটি। এ লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের সংগঠক টিম শনিবার থেকেই নিয়মিত বৈঠক করছে। কমিটিতে বিতর্কিত কেউ যাতে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে, নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য যেকোনো সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা দরখাস্ত আহ্বান করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তবে অতীতে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর পরেই নতুন দলের নিবন্ধনের আহ্বান করত ইসি। দলগুলো নিবন্ধনের জন্য ইসির কাছে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা কার্যালয়, অন্তত ১০০টি উপজেলায় কার্যালয় এবং প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তত ২০০ জন ভোটারের তালিকাভুক্তি থাকতে হবে। এ ছাড়া দলের গঠনতন্ত্র, লোগো এবং পতাকার ছবি, দলের তহবিলের উৎস, ব্যাংক হিসাব জমা দিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন দলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়, যদি দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। তাহলে তারা আবেদন করবে বা নির্বাচন কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন চাইতে পারে। আবেদনের ক্ষেত্রে তাদের গঠনতন্ত্রটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের গঠনতন্ত্রে অনেকগুলো জিনিস থাকতে হবে। যেমন সংবিধানপরিপন্থী কিছু থাকতে পারবে না, দলের প্রতিটি স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী থাকতে হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
তবে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম আপাতত নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা যখন প্রয়োজন মনে করি, তখন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকি। এটা নিয়ে কাজ করা শুরু করিনি এখনো।’
এনসিপির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দল আত্মপ্রকাশের আগে থেকেই গঠনতন্ত্রসহ দলের স্লোগান, লোগো, নির্বাচনী প্রতীক ও কর্মসূচি নির্ধারণ নিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে দলের প্রতীক হিসেবে কলম, বই, বাঘ ও ইলিশ নিয়ে আলোচনা রয়েছে। দলের জেলা, উপজেলা কমিটি গঠন ও অফিস প্রতিষ্ঠা করে চলতি মাসের মধ্যেই নিবন্ধনের আবেদন করতে চায় দলটি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
দলের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, চলতি মাসে দল গুছিয়ে উঠতে পারলে এপ্রিলেই স্থানীয় নির্বাচন, গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধানের দাবি ছাড়াও বিভিন্ন জনদাবিতে রাজপথে নামবে এনসিপি। বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চসহ বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে দলটির মধ্যে।
তানিম আহমেদ

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, রমজান মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো থেকে নেতা- কর্মীদের সমন্বয়ে দলের জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে ২১৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিভিন্ন জেলায় দলকে সংগঠিত করতে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। চলতি মাসে ‘ইফতার’ ও স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে দলের কার্যক্রম। তবে এপ্রিলে বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথের আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো করে দল তৈরি করতে হলো। অনেক কিছুই এখনো বাকি। এই মাসে আমরা সারা দেশে সংগঠন গোছানোর কাজ করব।’
জানা গেছে, দল সংগঠিত করার লক্ষ্যে চলতি রমজান মাসে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার পার্টি করবে এনসিপি। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও স্থানীয়ভাবে ইফতারের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। দলের নেতারা জানিয়েছেন, ১০ রমজানের মধ্যে এনসিপির নতুন কমিটি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এরপরই দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করেও দলটির রাজধানীতে সমাবেশের চিন্তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে আমাদের সংগঠক টিম ধারাবাহিক বৈঠক করছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো কীভাবে দলের কমিটিতে আনা যায়, সে পলিসি ঠিক করছে তারা। সেটা চলতি রমজান মাসের মধ্যেই শেষ হবে। দলের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও এ মাসের মধ্যে শেষ করব।’
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের শর্তপূরণকে টার্গেট করে সংগঠন গোছানো শুরু করেছে এনসিপি। নেতারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার শর্তসমূহ মার্চের মধ্যে পূরণ করতে চায় নতুন রাজনৈতিক দলটি। এ লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের সংগঠক টিম শনিবার থেকেই নিয়মিত বৈঠক করছে। কমিটিতে বিতর্কিত কেউ যাতে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে, নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য যেকোনো সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা দরখাস্ত আহ্বান করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তবে অতীতে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর পরেই নতুন দলের নিবন্ধনের আহ্বান করত ইসি। দলগুলো নিবন্ধনের জন্য ইসির কাছে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা কার্যালয়, অন্তত ১০০টি উপজেলায় কার্যালয় এবং প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তত ২০০ জন ভোটারের তালিকাভুক্তি থাকতে হবে। এ ছাড়া দলের গঠনতন্ত্র, লোগো এবং পতাকার ছবি, দলের তহবিলের উৎস, ব্যাংক হিসাব জমা দিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন দলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়, যদি দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। তাহলে তারা আবেদন করবে বা নির্বাচন কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন চাইতে পারে। আবেদনের ক্ষেত্রে তাদের গঠনতন্ত্রটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের গঠনতন্ত্রে অনেকগুলো জিনিস থাকতে হবে। যেমন সংবিধানপরিপন্থী কিছু থাকতে পারবে না, দলের প্রতিটি স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী থাকতে হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
তবে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম আপাতত নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা যখন প্রয়োজন মনে করি, তখন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকি। এটা নিয়ে কাজ করা শুরু করিনি এখনো।’
এনসিপির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দল আত্মপ্রকাশের আগে থেকেই গঠনতন্ত্রসহ দলের স্লোগান, লোগো, নির্বাচনী প্রতীক ও কর্মসূচি নির্ধারণ নিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে দলের প্রতীক হিসেবে কলম, বই, বাঘ ও ইলিশ নিয়ে আলোচনা রয়েছে। দলের জেলা, উপজেলা কমিটি গঠন ও অফিস প্রতিষ্ঠা করে চলতি মাসের মধ্যেই নিবন্ধনের আবেদন করতে চায় দলটি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
দলের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, চলতি মাসে দল গুছিয়ে উঠতে পারলে এপ্রিলেই স্থানীয় নির্বাচন, গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধানের দাবি ছাড়াও বিভিন্ন জনদাবিতে রাজপথে নামবে এনসিপি। বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চসহ বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে দলটির মধ্যে।

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, রমজান মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো থেকে নেতা- কর্মীদের সমন্বয়ে দলের জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলো গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে ২১৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিভিন্ন জেলায় দলকে সংগঠিত করতে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। চলতি মাসে ‘ইফতার’ ও স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে দলের কার্যক্রম। তবে এপ্রিলে বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথের আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো করে দল তৈরি করতে হলো। অনেক কিছুই এখনো বাকি। এই মাসে আমরা সারা দেশে সংগঠন গোছানোর কাজ করব।’
জানা গেছে, দল সংগঠিত করার লক্ষ্যে চলতি রমজান মাসে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার পার্টি করবে এনসিপি। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও স্থানীয়ভাবে ইফতারের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। দলের নেতারা জানিয়েছেন, ১০ রমজানের মধ্যে এনসিপির নতুন কমিটি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এরপরই দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করেও দলটির রাজধানীতে সমাবেশের চিন্তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে আমাদের সংগঠক টিম ধারাবাহিক বৈঠক করছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো কীভাবে দলের কমিটিতে আনা যায়, সে পলিসি ঠিক করছে তারা। সেটা চলতি রমজান মাসের মধ্যেই শেষ হবে। দলের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও এ মাসের মধ্যে শেষ করব।’
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের শর্তপূরণকে টার্গেট করে সংগঠন গোছানো শুরু করেছে এনসিপি। নেতারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার শর্তসমূহ মার্চের মধ্যে পূরণ করতে চায় নতুন রাজনৈতিক দলটি। এ লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের সংগঠক টিম শনিবার থেকেই নিয়মিত বৈঠক করছে। কমিটিতে বিতর্কিত কেউ যাতে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে, নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য যেকোনো সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা দরখাস্ত আহ্বান করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তবে অতীতে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর পরেই নতুন দলের নিবন্ধনের আহ্বান করত ইসি। দলগুলো নিবন্ধনের জন্য ইসির কাছে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা কার্যালয়, অন্তত ১০০টি উপজেলায় কার্যালয় এবং প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তত ২০০ জন ভোটারের তালিকাভুক্তি থাকতে হবে। এ ছাড়া দলের গঠনতন্ত্র, লোগো এবং পতাকার ছবি, দলের তহবিলের উৎস, ব্যাংক হিসাব জমা দিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন দলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়, যদি দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। তাহলে তারা আবেদন করবে বা নির্বাচন কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন চাইতে পারে। আবেদনের ক্ষেত্রে তাদের গঠনতন্ত্রটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের গঠনতন্ত্রে অনেকগুলো জিনিস থাকতে হবে। যেমন সংবিধানপরিপন্থী কিছু থাকতে পারবে না, দলের প্রতিটি স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী থাকতে হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
তবে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম আপাতত নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা যখন প্রয়োজন মনে করি, তখন নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকি। এটা নিয়ে কাজ করা শুরু করিনি এখনো।’
এনসিপির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দল আত্মপ্রকাশের আগে থেকেই গঠনতন্ত্রসহ দলের স্লোগান, লোগো, নির্বাচনী প্রতীক ও কর্মসূচি নির্ধারণ নিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে দলের প্রতীক হিসেবে কলম, বই, বাঘ ও ইলিশ নিয়ে আলোচনা রয়েছে। দলের জেলা, উপজেলা কমিটি গঠন ও অফিস প্রতিষ্ঠা করে চলতি মাসের মধ্যেই নিবন্ধনের আবেদন করতে চায় দলটি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
দলের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, চলতি মাসে দল গুছিয়ে উঠতে পারলে এপ্রিলেই স্থানীয় নির্বাচন, গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধানের দাবি ছাড়াও বিভিন্ন জনদাবিতে রাজপথে নামবে এনসিপি। বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চসহ বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে দলটির মধ্যে।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৪ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
০৪ মার্চ ২০২৫
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
০৪ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৪ মিনিট আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
০৪ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৪ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আত্মপ্রকাশের পর এবার দল গোছাতে মন দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের এই দলের লক্ষ্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটি ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। এই কারণে কেন্দ্রের পর এবার তৃণমূলে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
০৪ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৪ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে