নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনায় চলমান তর্ক-বিতর্ককে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এই বিতর্কের জেরে পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে, যা হতাশা তৈরি করছে বলে মনে করছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে তর্ক-বিতর্ক ভালো কথা। কিন্তু এমন জায়গায় যাচ্ছি মাঝে মাঝে, যে জায়গায় গিয়ে হতাশা এসে যায়।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অর্পণ আলোক সংঘের উদ্যোগে ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি হতাশাবাদী কখনো ছিলাম না। হতাশাবাদী হতে চাইও না। কিন্তু এটা তো সত্য কথা যে (হতাশ) হতে হচ্ছে। আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, আমি যখন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই, তার আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই, তখন যদি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে এবং সেটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই।’
বিরাজমান সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমি যদি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে পারি, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি, সুষ্ঠু নির্বাচন করে আমি যদি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সংসদ গঠন করতে পারি, তাহলে সেখানে আমি জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারব। আমি মনে করি, আপাতত এটা একটা ভালো পথ হবে, যেখানে গিয়ে আমি হয়তো-বা কিছুটা সমস্যার সমাধান করতে পারব।’
আমলাদের ভূমিকার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আপনি সচিবালয়ে যাবেন, সেখানে গেলে ওই যে আমলারা বসে আছেন, তাঁরাই সবকিছু নির্ধারণ করেন। আমাদের উপদেষ্টা যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন এখন, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা অসহায়। তারপরও আমরা আশা করি, তাঁরা (উপদেষ্টারা) এত দিন যে চেষ্টা করেছেন, সে চেষ্টাটা নিয়ে, সংস্কারের যেসব কমিশন আছে, তাঁরাসহ আমরা সবাই মিলে একটা শুরু করতে পারি, যে শুরুটা দিয়ে আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু।
সভা সঞ্চালনা করেন অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন।
এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সেমিনারে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণের মনোজগতে যে পরিবর্তন এসেছে, যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা জেগেছে—যে রাজনৈতিক দল সেটা বুঝতে পারবে না, অনুধাবন করতে পারবে না, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে তাদের কোনো জায়গা থাকবে না। নতুন বাংলাদেশে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশার জায়গাটা অন্য জায়গায় চলে গেছে। যেসব রাজনৈতিক দল জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝবে না, তাদের বাংলাদেশে কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম বন্ধসহ যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো ঘটারই কথা। আমি কিন্তু মোটেও আশ্চর্য হয়নি ঘটনাগুলো ঘটেছিল বলে। কারণ, জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করলে, এ ধরনের ঘটনা না ঘটলে হাসিনা রেজিম ক্ষমতায় থাকতে পারত না, সম্ভবই ছিল না। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সাংবাদিকতা শুধু নয়; যাঁরা সত্যিকার অর্থে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন, তাঁরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারেননি। ব্যবসা ছিল লুটপাটের ব্যবসা। সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ ছিল না। একইভাবে সাংবাদিকতার বেলায়ও তা-ই হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনায় চলমান তর্ক-বিতর্ককে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এই বিতর্কের জেরে পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে, যা হতাশা তৈরি করছে বলে মনে করছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে তর্ক-বিতর্ক ভালো কথা। কিন্তু এমন জায়গায় যাচ্ছি মাঝে মাঝে, যে জায়গায় গিয়ে হতাশা এসে যায়।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অর্পণ আলোক সংঘের উদ্যোগে ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি হতাশাবাদী কখনো ছিলাম না। হতাশাবাদী হতে চাইও না। কিন্তু এটা তো সত্য কথা যে (হতাশ) হতে হচ্ছে। আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, আমি যখন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই, তার আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই, তখন যদি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে এবং সেটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই।’
বিরাজমান সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমি যদি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে পারি, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি, সুষ্ঠু নির্বাচন করে আমি যদি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সংসদ গঠন করতে পারি, তাহলে সেখানে আমি জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারব। আমি মনে করি, আপাতত এটা একটা ভালো পথ হবে, যেখানে গিয়ে আমি হয়তো-বা কিছুটা সমস্যার সমাধান করতে পারব।’
আমলাদের ভূমিকার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আপনি সচিবালয়ে যাবেন, সেখানে গেলে ওই যে আমলারা বসে আছেন, তাঁরাই সবকিছু নির্ধারণ করেন। আমাদের উপদেষ্টা যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন এখন, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা অসহায়। তারপরও আমরা আশা করি, তাঁরা (উপদেষ্টারা) এত দিন যে চেষ্টা করেছেন, সে চেষ্টাটা নিয়ে, সংস্কারের যেসব কমিশন আছে, তাঁরাসহ আমরা সবাই মিলে একটা শুরু করতে পারি, যে শুরুটা দিয়ে আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু।
সভা সঞ্চালনা করেন অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন।
এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সেমিনারে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণের মনোজগতে যে পরিবর্তন এসেছে, যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা জেগেছে—যে রাজনৈতিক দল সেটা বুঝতে পারবে না, অনুধাবন করতে পারবে না, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে তাদের কোনো জায়গা থাকবে না। নতুন বাংলাদেশে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশার জায়গাটা অন্য জায়গায় চলে গেছে। যেসব রাজনৈতিক দল জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝবে না, তাদের বাংলাদেশে কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম বন্ধসহ যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো ঘটারই কথা। আমি কিন্তু মোটেও আশ্চর্য হয়নি ঘটনাগুলো ঘটেছিল বলে। কারণ, জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করলে, এ ধরনের ঘটনা না ঘটলে হাসিনা রেজিম ক্ষমতায় থাকতে পারত না, সম্ভবই ছিল না। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সাংবাদিকতা শুধু নয়; যাঁরা সত্যিকার অর্থে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন, তাঁরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারেননি। ব্যবসা ছিল লুটপাটের ব্যবসা। সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ ছিল না। একইভাবে সাংবাদিকতার বেলায়ও তা-ই হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও নতুন সংবিধানের দাবি আবার জানাল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলেছে, তাদের এসব দাবি আদায় না হলে সে নির্বাচনে এনসিপি অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
৬ মিনিট আগেজুলাই জাতীয় সনদ শহীদদের রক্তস্নাত। ছাত্র-জনতা দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য জীবন দিয়েছে। এ কারণে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা এবং একে আইনগত ভিত্তি দেওয়া দরকার। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার বিকেলে ‘জুলাই সনদ: আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবায়ন’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৩১ মিনিট আগেপাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সরকারি সফরে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তাঁর বাসভবন ফিরোজায় যাবেন। আগামীকাল রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশনে প্রথমে এনসিপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর জামায়াতে ইসলামী এবং সন্ধ্যায় বিএনপির প্রতিনি
৪ ঘণ্টা আগে