নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দীর্ঘ পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও রোহিঙ্গা নিয়ে দেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এমন অভিযোগ তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শুরু থেকেই এই সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বোঝা বহন করে চলেছে। প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু এই সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছে। সেই হিসাবে গত চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং এই সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তেই থাকবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা একদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও সামাজিকভাবে জীবন-জীবিকায় চরম অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাদক ব্যবসা, নারী পাচার এবং নানাবিধ অসামাজিক ও আইনবিরোধী কার্যকলাপে সৃষ্ট অশান্ত ও অস্থির পরিস্থিতি, মাদক চোরাচালান ও মাদক পাচারে রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়া, রোহিঙ্গাদের অন্তর্দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গা নেতা হত্যা ইত্যাদি বিষয় চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘অনেকে ভালো ভবিষ্যতের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে যেমন সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করছে। অন্যদিকে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগণের আবাসন ও খাদ্যের জোগান দেওয়া, স্যানিটারি ব্যবস্থাসহ পরিচ্ছন্নতা বিধান, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা সন্তানদের শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা, বিনোদন, জীবনাচার ইত্যাদি বিষয় অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনানির্ভর এক মহা কর্মযজ্ঞ। বিশেষ করে করোনা-পরবর্তী সংকটকালে ইতিমধ্যে ১৭ কোটি মানুষের ভারে ভারাক্রান্ত বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গাদের এই অতিরিক্ত বোঝা বহন করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাসংকট বাংলাদেশের একার সংকট নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাসংকট যে একটি বৈশ্বিক সংকট, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সে বিষয়ে যথাযথভাবে উদ্বুদ্ধ কিংবা বোঝাতে পারেনি। বিশ্বের অন্যান্য মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে সাড়া দেয় বা তৎপর হয়, রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে তারা সেভাবে এগিয়ে আসেনি। এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ সরকারের চরম কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
দীর্ঘ পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও রোহিঙ্গা নিয়ে দেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এমন অভিযোগ তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শুরু থেকেই এই সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বোঝা বহন করে চলেছে। প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু এই সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছে। সেই হিসাবে গত চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং এই সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তেই থাকবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা একদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও সামাজিকভাবে জীবন-জীবিকায় চরম অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাদক ব্যবসা, নারী পাচার এবং নানাবিধ অসামাজিক ও আইনবিরোধী কার্যকলাপে সৃষ্ট অশান্ত ও অস্থির পরিস্থিতি, মাদক চোরাচালান ও মাদক পাচারে রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়া, রোহিঙ্গাদের অন্তর্দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গা নেতা হত্যা ইত্যাদি বিষয় চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘অনেকে ভালো ভবিষ্যতের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে যেমন সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করছে। অন্যদিকে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগণের আবাসন ও খাদ্যের জোগান দেওয়া, স্যানিটারি ব্যবস্থাসহ পরিচ্ছন্নতা বিধান, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা সন্তানদের শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা, বিনোদন, জীবনাচার ইত্যাদি বিষয় অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনানির্ভর এক মহা কর্মযজ্ঞ। বিশেষ করে করোনা-পরবর্তী সংকটকালে ইতিমধ্যে ১৭ কোটি মানুষের ভারে ভারাক্রান্ত বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গাদের এই অতিরিক্ত বোঝা বহন করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাসংকট বাংলাদেশের একার সংকট নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাসংকট যে একটি বৈশ্বিক সংকট, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সে বিষয়ে যথাযথভাবে উদ্বুদ্ধ কিংবা বোঝাতে পারেনি। বিশ্বের অন্যান্য মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে সাড়া দেয় বা তৎপর হয়, রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে তারা সেভাবে এগিয়ে আসেনি। এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ সরকারের চরম কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
বৈঠকে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন।
২৪ মিনিট আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বড় একটি অংশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কলকাতার নিউটাউনে বসে তাঁরা এখন আয়েশ ও নানা কর্মকান্ড করছেন। এ লক্ষ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাবেক সংসদ সদস্য প্রতিদিন অনলাইন বৈঠক ও রাজনৈতিক পরিকল্পনায় ব্যস্ত।
১৭ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার বিকেলে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করীম এসব কথা বলেন। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, সব গণহত্যার বিচার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে ইসলামী আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের জেলা
১৮ ঘণ্টা আগেআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণ চায় আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। একই সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্বে ভোটার নয় এমন স্কুল ছাত্রদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
১৯ ঘণ্টা আগে