নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন না থাকলেও তাদের প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। এই সরকারের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী চেতনার জায়গা থেকে। গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর—শ্রমিক মেহনতিদের অধিকারের প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক।
গত এক বছরে এই সরকারকে কত নম্বর দেবেন—এই প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, ‘টেনেটুনে সরকারকে আমরা পাস করিয়ে দিচ্ছি, কারণ, এটা আমাদেরই সরকার, কিছুটা পক্ষপাত থাকবেই। সরকার ব্যর্থ হলে আমাদেরও দায় থাকবে। তাই ৩৩ না পেলেও গ্রেস মার্কে পাস দিচ্ছি। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে সরকার ভালো পারফরম করছে। আশা করছি, এক-দুই মাসের মধ্যে বি-প্লাস দিতে পারব। আর যদি ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে সরকার এ-প্লাস পাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় দুটি ভুল হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে দুটি বড় দুর্বলতা ছিল—একটি হলো, উপদেষ্টা মনোনয়নে ছাত্রদের মত নিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করা। অন্যটি, সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ না করা। এসব কারণে দুর্বল উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে এক বছর পথ চলতে হয়েছে, যা এড়ানো যেত। এতে শ্রমিকদের হাহাকার, মানুষের আকুতি-বেদনার কিছুটা হলেও অবসান ঘটানো সম্ভব হতো।’
শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করা শ্রমিকদের কোনো জায়গা নেই। এক বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি, তারা এখনো ন্যূনতম মানবিক মজুরি পাচ্ছে না। অনেক কারখানা এখনো বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার। সামান্য আর্থিক সহায়তা দিলে অনেক কারখানা চালু করা সম্ভব হতো। এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা করা যেত, সেটাও হয়নি। শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। অন্তর্বর্তী সরকার যেন শ্রমিকদের জন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেয় এবং অন্তত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমন্ত্রণ পেলেও আমরা অনুষ্ঠানে যাইনি, কারণ, এটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। একধরনের লুকোচুরির মাধ্যমে ঘোষণাপত্র তৈরি হয়েছে। শুধু সাক্ষী হতে না চেয়ে আমরা অংশ নিইনি—এটাই ছিল আমাদের প্রতিবাদ।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকটা কেটে গেছে, মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে আস্থা ফিরছে। গত ১৬-১৭ বছর ধরে মানুষ সঠিক নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। দেশে যে নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা ছিল, সেখানে নির্বাচনকাল ঘোষণায় কিছুটা স্থিতি এসেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আরও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সংশোধন চূড়ান্ত করা উচিত নির্বাচন কমিশনের।
এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ শ্রমিক নেতা ও সাধারণ শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন না থাকলেও তাদের প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। এই সরকারের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী চেতনার জায়গা থেকে। গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর—শ্রমিক মেহনতিদের অধিকারের প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক।
গত এক বছরে এই সরকারকে কত নম্বর দেবেন—এই প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, ‘টেনেটুনে সরকারকে আমরা পাস করিয়ে দিচ্ছি, কারণ, এটা আমাদেরই সরকার, কিছুটা পক্ষপাত থাকবেই। সরকার ব্যর্থ হলে আমাদেরও দায় থাকবে। তাই ৩৩ না পেলেও গ্রেস মার্কে পাস দিচ্ছি। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে সরকার ভালো পারফরম করছে। আশা করছি, এক-দুই মাসের মধ্যে বি-প্লাস দিতে পারব। আর যদি ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে সরকার এ-প্লাস পাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় দুটি ভুল হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে দুটি বড় দুর্বলতা ছিল—একটি হলো, উপদেষ্টা মনোনয়নে ছাত্রদের মত নিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করা। অন্যটি, সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ না করা। এসব কারণে দুর্বল উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে এক বছর পথ চলতে হয়েছে, যা এড়ানো যেত। এতে শ্রমিকদের হাহাকার, মানুষের আকুতি-বেদনার কিছুটা হলেও অবসান ঘটানো সম্ভব হতো।’
শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করা শ্রমিকদের কোনো জায়গা নেই। এক বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি, তারা এখনো ন্যূনতম মানবিক মজুরি পাচ্ছে না। অনেক কারখানা এখনো বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার। সামান্য আর্থিক সহায়তা দিলে অনেক কারখানা চালু করা সম্ভব হতো। এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা করা যেত, সেটাও হয়নি। শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। অন্তর্বর্তী সরকার যেন শ্রমিকদের জন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেয় এবং অন্তত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমন্ত্রণ পেলেও আমরা অনুষ্ঠানে যাইনি, কারণ, এটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। একধরনের লুকোচুরির মাধ্যমে ঘোষণাপত্র তৈরি হয়েছে। শুধু সাক্ষী হতে না চেয়ে আমরা অংশ নিইনি—এটাই ছিল আমাদের প্রতিবাদ।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকটা কেটে গেছে, মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে আস্থা ফিরছে। গত ১৬-১৭ বছর ধরে মানুষ সঠিক নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। দেশে যে নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা ছিল, সেখানে নির্বাচনকাল ঘোষণায় কিছুটা স্থিতি এসেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আরও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সংশোধন চূড়ান্ত করা উচিত নির্বাচন কমিশনের।
এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ শ্রমিক নেতা ও সাধারণ শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন না থাকলেও তাদের প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। এই সরকারের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী চেতনার জায়গা থেকে। গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর—শ্রমিক মেহনতিদের অধিকারের প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক।
গত এক বছরে এই সরকারকে কত নম্বর দেবেন—এই প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, ‘টেনেটুনে সরকারকে আমরা পাস করিয়ে দিচ্ছি, কারণ, এটা আমাদেরই সরকার, কিছুটা পক্ষপাত থাকবেই। সরকার ব্যর্থ হলে আমাদেরও দায় থাকবে। তাই ৩৩ না পেলেও গ্রেস মার্কে পাস দিচ্ছি। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে সরকার ভালো পারফরম করছে। আশা করছি, এক-দুই মাসের মধ্যে বি-প্লাস দিতে পারব। আর যদি ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে সরকার এ-প্লাস পাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় দুটি ভুল হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে দুটি বড় দুর্বলতা ছিল—একটি হলো, উপদেষ্টা মনোনয়নে ছাত্রদের মত নিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করা। অন্যটি, সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ না করা। এসব কারণে দুর্বল উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে এক বছর পথ চলতে হয়েছে, যা এড়ানো যেত। এতে শ্রমিকদের হাহাকার, মানুষের আকুতি-বেদনার কিছুটা হলেও অবসান ঘটানো সম্ভব হতো।’
শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করা শ্রমিকদের কোনো জায়গা নেই। এক বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি, তারা এখনো ন্যূনতম মানবিক মজুরি পাচ্ছে না। অনেক কারখানা এখনো বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার। সামান্য আর্থিক সহায়তা দিলে অনেক কারখানা চালু করা সম্ভব হতো। এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা করা যেত, সেটাও হয়নি। শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। অন্তর্বর্তী সরকার যেন শ্রমিকদের জন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেয় এবং অন্তত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমন্ত্রণ পেলেও আমরা অনুষ্ঠানে যাইনি, কারণ, এটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। একধরনের লুকোচুরির মাধ্যমে ঘোষণাপত্র তৈরি হয়েছে। শুধু সাক্ষী হতে না চেয়ে আমরা অংশ নিইনি—এটাই ছিল আমাদের প্রতিবাদ।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকটা কেটে গেছে, মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে আস্থা ফিরছে। গত ১৬-১৭ বছর ধরে মানুষ সঠিক নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। দেশে যে নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা ছিল, সেখানে নির্বাচনকাল ঘোষণায় কিছুটা স্থিতি এসেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আরও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সংশোধন চূড়ান্ত করা উচিত নির্বাচন কমিশনের।
এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ শ্রমিক নেতা ও সাধারণ শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন না থাকলেও তাদের প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। এই সরকারের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী চেতনার জায়গা থেকে। গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর—শ্রমিক মেহনতিদের অধিকারের প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক।
গত এক বছরে এই সরকারকে কত নম্বর দেবেন—এই প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, ‘টেনেটুনে সরকারকে আমরা পাস করিয়ে দিচ্ছি, কারণ, এটা আমাদেরই সরকার, কিছুটা পক্ষপাত থাকবেই। সরকার ব্যর্থ হলে আমাদেরও দায় থাকবে। তাই ৩৩ না পেলেও গ্রেস মার্কে পাস দিচ্ছি। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে সরকার ভালো পারফরম করছে। আশা করছি, এক-দুই মাসের মধ্যে বি-প্লাস দিতে পারব। আর যদি ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে সরকার এ-প্লাস পাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় দুটি ভুল হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে দুটি বড় দুর্বলতা ছিল—একটি হলো, উপদেষ্টা মনোনয়নে ছাত্রদের মত নিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করা। অন্যটি, সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ না করা। এসব কারণে দুর্বল উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে এক বছর পথ চলতে হয়েছে, যা এড়ানো যেত। এতে শ্রমিকদের হাহাকার, মানুষের আকুতি-বেদনার কিছুটা হলেও অবসান ঘটানো সম্ভব হতো।’
শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করা শ্রমিকদের কোনো জায়গা নেই। এক বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিকদের জীবন নিরাপদ হয়নি, তারা এখনো ন্যূনতম মানবিক মজুরি পাচ্ছে না। অনেক কারখানা এখনো বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার। সামান্য আর্থিক সহায়তা দিলে অনেক কারখানা চালু করা সম্ভব হতো। এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা করা যেত, সেটাও হয়নি। শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। অন্তর্বর্তী সরকার যেন শ্রমিকদের জন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেয় এবং অন্তত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমন্ত্রণ পেলেও আমরা অনুষ্ঠানে যাইনি, কারণ, এটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে। কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। একধরনের লুকোচুরির মাধ্যমে ঘোষণাপত্র তৈরি হয়েছে। শুধু সাক্ষী হতে না চেয়ে আমরা অংশ নিইনি—এটাই ছিল আমাদের প্রতিবাদ।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকটা কেটে গেছে, মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে আস্থা ফিরছে। গত ১৬-১৭ বছর ধরে মানুষ সঠিক নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। দেশে যে নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা ছিল, সেখানে নির্বাচনকাল ঘোষণায় কিছুটা স্থিতি এসেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আরও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সংশোধন চূড়ান্ত করা উচিত নির্বাচন কমিশনের।
এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ শ্রমিক নেতা ও সাধারণ শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তাও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত
৪ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
২২ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেজামায়াত আমির বলেন, ‘৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা মোতাবেক পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জুলাই সনদে আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা না হলে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আগামীকাল জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। জুলাই সনদ ঘিরে যেসব বিষয় নিষ্পত্তি হয়নি, সেগুলো আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের কোনো সুযোগ যদি দেখি, তাহলে আমাদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি থাকবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় সেমিনার বাস্তবায়ন কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তা-ও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত না নিয়ে এটাকে উপেক্ষা করবেন কীভাবে?
‘কেউ কেউ বলছেন, এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন হবে। এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে মেজর কিছু সমস্যা আছে। সে জন্য কোনোভাবে এক দিনে গণভোট করা যাবে না। নভেম্বরে গণভোট করতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দু-একজন উপদেষ্টা গণতন্ত্রে উত্তরণের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে একটি বিশেষ দলের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রেখে প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকতে বলেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এত সংস্কার করে লাভটা কী হবে, যদি একটা দলের পকেটে রাষ্ট্রকে ঢোকানোর জন্য এখনই বদলির একটা ডিজাইন সাজিয়ে নেওয়া হয়? প্রধান উপদেষ্টা এখনই যদি এ ব্যাপারে খেয়াল না করেন, তাহলে আমাদের সব রক্তদান, অভ্যুত্থান ও চার্টার বৃথা হয়ে যাবে।’
জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জুলাই সনদে আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা না হলে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আগামীকাল জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। জুলাই সনদ ঘিরে যেসব বিষয় নিষ্পত্তি হয়নি, সেগুলো আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের কোনো সুযোগ যদি দেখি, তাহলে আমাদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি থাকবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় সেমিনার বাস্তবায়ন কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তা-ও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত না নিয়ে এটাকে উপেক্ষা করবেন কীভাবে?
‘কেউ কেউ বলছেন, এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন হবে। এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে মেজর কিছু সমস্যা আছে। সে জন্য কোনোভাবে এক দিনে গণভোট করা যাবে না। নভেম্বরে গণভোট করতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দু-একজন উপদেষ্টা গণতন্ত্রে উত্তরণের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে একটি বিশেষ দলের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রেখে প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকতে বলেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এত সংস্কার করে লাভটা কী হবে, যদি একটা দলের পকেটে রাষ্ট্রকে ঢোকানোর জন্য এখনই বদলির একটা ডিজাইন সাজিয়ে নেওয়া হয়? প্রধান উপদেষ্টা এখনই যদি এ ব্যাপারে খেয়াল না করেন, তাহলে আমাদের সব রক্তদান, অভ্যুত্থান ও চার্টার বৃথা হয়ে যাবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
০৮ আগস্ট ২০২৫জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
২২ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেজামায়াত আমির বলেন, ‘৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা মোতাবেক পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
এক ফেসবুক পোস্টে রিফাত রশিদ লিখেছেন, ‘আমাদের হাসনাত আবদুল্লাহ ভাইয়ের পুত্রসন্তান হইসে। জাতির ভাতিজার সুস্থতা কামনা করছি।’
এর আগে গত বছরের ১১ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত ও তাঁর স্ত্রী দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
এক ফেসবুক পোস্টে রিফাত রশিদ লিখেছেন, ‘আমাদের হাসনাত আবদুল্লাহ ভাইয়ের পুত্রসন্তান হইসে। জাতির ভাতিজার সুস্থতা কামনা করছি।’
এর আগে গত বছরের ১১ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত ও তাঁর স্ত্রী দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
০৮ আগস্ট ২০২৫প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তাও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত
৪ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেজামায়াত আমির বলেন, ‘৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা মোতাবেক পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে হাইকমিশনার জামায়াত আমিরের শারীরিক খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কানাডার সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনতা ও কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় হবে বলে উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে আরও ছিলেন—হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মার্কাস ডেভিস, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস ও পলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার মি. নিসার আহমেদ।
বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন—সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে হাইকমিশনার জামায়াত আমিরের শারীরিক খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কানাডার সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনতা ও কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় হবে বলে উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে আরও ছিলেন—হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মার্কাস ডেভিস, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস ও পলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার মি. নিসার আহমেদ।
বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন—সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
০৮ আগস্ট ২০২৫প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তাও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত
৪ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
২২ মিনিট আগেজামায়াত আমির বলেন, ‘৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা মোতাবেক পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটা আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেল। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা মোতাবেক পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে হ্যান্ডেল করব।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রায়োরিটি আছে। ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটা ইনক্লুসিভ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।
‘আমরা এমন একটা সমাজ চাইছি, যে সমাজের শাসকেরা মাফ চাইবে জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি, ঘাটতির জন্য। তারা কারও কাছ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েশন চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটা আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেল। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা মোতাবেক পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে হ্যান্ডেল করব।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রায়োরিটি আছে। ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটা ইনক্লুসিভ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।
‘আমরা এমন একটা সমাজ চাইছি, যে সমাজের শাসকেরা মাফ চাইবে জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি, ঘাটতির জন্য। তারা কারও কাছ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েশন চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘গত এক বছরে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য আরও বেড়েছে। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ও কর্মহীনতা বেড়েছে, বিনিয়োগ পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকেরা প্রতিদিন বুকচাপা কষ্ট নিয়ে দিন পার করছেন।’
০৮ আগস্ট ২০২৫প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তাও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত
৪ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
২২ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে