Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীর সফরের অর্জন শূন্য: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ মে ২০২৩, ১৫: ০২
প্রধানমন্ত্রীর সফরের অর্জন শূন্য: মির্জা ফখরুল

প্রধানমন্ত্রীর চলতি সফর নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সফরের অর্জন শূন্য বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ বুধবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সফরের অর্জন জিরো। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে এক-আধ দিন বোকা বানানো যায়, বেশি দিন যায় না। আওয়ামী লীগ এই কাজটাই করে যাচ্ছে। কিন্তু এইবার জনগণ তাঁদের জারিজুরি বুঝে গেছে।’ 

আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ঋণসহায়তা নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, সরকার প্রথম থেকেই মিথ্যা প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাঁরা মিথ্যা বলে প্রচার করতে চায় যে, এই সফরটা তাদের সফল হয়েছে।

‘বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই’—প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তো তাদের (সরকার) সঙ্গে আলোচনা করতে চাইনি। কারণ তাদের সঙ্গে আলোচনার যে পূর্ব অভিজ্ঞতা, তাতে আলোচনার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। তারা মিথ্যা কথা বলে এবং জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে।’ 

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম ও বিএনপির মহাসচিবের পাশাপাশি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক শিষ্টাচার চর্চার আহ্বান জানালেন জাপার রুহুল আমির হাওলাদার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। ফাইল ছবি
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। ফাইল ছবি

অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণেই আজ সব ক্ষেত্রে চরম অনৈক্য সৃষ্টির হয়েছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আদৌ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা। সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এই সংশয় ও অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। কোনো কারণে যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে নির্বাচনের পর দেশ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।’

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে আজ সর্বক্ষেত্রে অনৈক্য বিরাজমান। আমাদের ওই ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে বিশ্ব দরবারে জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে মতের পার্থক্য থাকতে পারে, অবস্থানগত দূরত্ব থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিহিংসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা বিশ্বাস করি গণতান্ত্রিক চর্চায় ও নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায়।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ফখরুল আহসান শাহজাদা, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদার, নাসির উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল আরেফিন মাসুম, আব্দুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, আল মামুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই আন্দোলনে দূর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান: মঈন খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাসাসের আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাসাসের আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছাত্ররা থাকলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দূর থেকে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) এক প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনকে যাঁরা শুধু ছাত্রদের হাতে কেন্দ্রীভূত করতে চান, তাঁরা নিজস্ব ইচ্ছায় করতে পারেন, তবে সেটা সঠিক বিশ্লেষণ না। ৩৬ জুলাইয়ে জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ছাত্ররা জুলাই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। কিন্তু তারেক রহমান ১০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট একদিনে হয়নি, বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ আন্দোলনের সফলতা এসেছে।  

নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করাই এখন চ্যালেঞ্জ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলগুলোর টানাপোড়েন: রাজনীতির মাঠে উত্তাপ

  • আগামীকাল রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে গণসমাবেশ করবে জামায়াত
  • নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা বলে মনে করছে বিএনপি, রাজপথে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত
  • ‘লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৩
দলগুলোর টানাপোড়েন: রাজনীতির মাঠে উত্তাপ

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার টানাপোড়েন এখন চরমে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিনের সংলাপে যেসব বিষয় নিয়ে ঐকমত্য এসেছিল, তার বাস্তবায়ন নিয়ে এখন বিপরীত অবস্থানে চলে গেছে বড় দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। প্রতিদিনই চলছে কথার লড়াই। আলোচনার টেবিল ছেড়ে এখন মাঠের কর্মসূচিতে চলে গেছে দলগুলো। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করার দাবিতে অনড় জামায়াত। একই সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করার দাবিও জানিয়েছে দলটি। এসব দাবির পক্ষে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নেজামে ইসলাম পার্টি, ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথের কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। এই সমাবেশকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

জামায়াতসহ ৮ দলের এমন কর্মসূচিকে নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা বলে মনে করছে বিএনপি। এ অবস্থায় দলটি রাজপথে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ৭ নভেম্বর রাজধানীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের শোভাযাত্রায় এমন ইঙ্গিত দেন দলটির নেতারা।

মাঠের কর্মসূচির পাশাপাশি কথার যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়ছেন রাজনৈতিক নেতারা। গতকাল রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা তীব্র হলেও একটি পক্ষ তা বিলম্বিত করতে মাঠে নেমেছে।’ তাদের উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা বিলম্বিত (নির্বাচন) করতে চায়, তারা কি গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ? বিশ্বাস করা যায়?’

জামায়াত অবশ্য মনে করে গণতন্ত্রে আলোচনার পাশাপাশি রাজপথে আওয়াজ তোলা, দুটোই চলে। সম্প্রতি এক কর্মসূচিতে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা এখনো নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনে আছি। সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে তাহলে আঙুল বাঁকা করব; কিন্তু ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই, বুঝে নিন। নো হাঙ্কি-পাঙ্কি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।’

১১ নভেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে গতকাল প্রস্তুতি সভা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ওই সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, আমাদের দাবির গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধান উপদেষ্টা কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন; কিন্তু আমাদের হতাশ হতে হয়েছে। তাই আমাদের আগে ঘোষিত কর্মসূচি মাঠে প্রতিফলিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আমরা যাঁরা চব্বিশের জুলাইয়ে জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছি, তাঁরা প্রয়োজনে আবারও রাজপথে গণজোয়ার তৈরি করব।’

বিরাজমান পরিস্থিতিকে মোটেও ‘ভালো’ মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বড় ধরনের এক প্রতিবন্ধকতাও দেখছেন তাঁরা। উত্তেজনার মূলে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাকে দায়ী করে বিশ্লেষকেরা বলছেন, দলগুলো নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের তরফে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক জায়গায় আসার অনুরোধেও গা করেনি দলগুলো। এতে মাঠের রাজনৈতিক দলগুলোর বিবাদে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (অব.) শিক্ষক অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তেজনা প্রশমন না হলে নেতিবাচক প্রভাব থেকে যাবে। নির্বাচন হওয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি আশঙ্কার দিক। সবারই প্রশ্ন, তাহলে নির্বাচন কীভাবে সম্ভব হবে? এখানে নির্বাচন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সবার একটি নির্বাচিত সরকারের প্রত্যাশা। সেভাবে সহতম না থাকলে রাজনীতিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এদিকে আগামী ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনার নামে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। সেদিন ঢাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের পেজ থেকে এ ঘোষণা আসে। এ কর্মসূচি ঘিরে ক্ষণে-ক্ষণে দলটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে, যেখানে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।

দলগুলোর এমন কর্মসূচি দেখে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এসব কর্মসূচি ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা করে তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, ১১ নভেম্বর পুরানা পল্টনে সমাবেশ ও ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’কে সামনে রেখে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ সদস্যদের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। রায়ট গিয়ার, হেলমেট, বডি আর্মারসহ পূর্ণ প্রস্তুতিতে তারা অবস্থান নেয়। এ সময় পথচারীদের সন্দেহ হলে ব্যাগ তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। সন্দেহজনক যানবাহন থামিয়ে তল্লাশিও করা হয়।

ডিএমপির কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘ডিসপ্লে এক্সারসাইজ’ চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটি নিয়মিত মহড়া, এর সঙ্গে অন্য কোনো বিশেষ ঘটনাবলির সম্পৃক্ততা নেই।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, এটি আমাদের নিয়মিত নিরাপত্তা মহড়া। ফোর্স মোবিলাইজেশনের একটি অংশ, যা নিয়মিতই হয়ে থাকে।

কোনো নিরাপত্তাঝুঁকির প্রস্তুতি কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই। এটি আমাদের রুটিন কার্যক্রমের অংশ। ‘ফোর্স মোবিলাইজেশন’ প্রক্রিয়ায় সাধারণত জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বাহিনীকে একত্র করা, প্রস্তুত রাখা ও মোতায়েনের অনুশীলন করা হয়। এতে রিজার্ভ ফোর্স সক্রিয় করা, জনবল ও সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখাসহ নানা অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকে।’

সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ও চার্জ পয়েন্টের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাতদিন ঝটিকা মিছিল করছে। এ ছাড়া ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ বাড়তি সতর্ক অবস্থানে থাকলেও, পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির প্রার্থিতা: ৭ জেলায় বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

  • গৌরীপুরে সংঘর্ষের সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু।
  • লাকসামে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত নেত্রীসহ আহত ১৫।
  • গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ময়মনসিংহ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল। গতকাল গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল। গতকাল গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের কারণে গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামের এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়া কুমিল্লার লাকসামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত নেত্রী সামিরা আজিম দোলাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ময়মনসিংহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন আটজন। গাইবান্ধার সাঘাটায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। বগুড়া-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ হয়েছে। রংপুর, শেরপুর ও চাঁদপুরেও বিক্ষোভ করেছে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিতদের অনুসারীরা।

গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরনের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা চলছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থকেরা সেখানে গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় মারা যান তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামের এক ছাত্রদল কর্মী।

গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তালুকদার আকাশ বলেন, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনের সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবিদ। এ সময় তাঁকে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জ্ঞান ফিরে না আসায় দ্রুত সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্টফেল করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে কোনো আঘাতে আবিদ মারা যায়নি।

তানজিন আহমেদ আবিদ ময়মনসিংহের কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। তাঁর বাবা দক্ষিণ জেলা ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম দেওয়ান মো. আবুল হোসেন।

কুমিল্লার লাকসামে গতকাল বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত সামিরা আজিম দোলাও রয়েছেন। তিনি সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে।

গতকাল কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও এলাকায় গণসংযোগে যান সামিরা আজিম দোলা। এ সময় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মো. আবুল কালামের অনুসারীদের সঙ্গে তাঁর সমর্থকদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সামিরা আজিম দোলা বলেন, ‘পূর্বঘোষিত গণসংযোগে যাওয়ার পথে আবুল কালামের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।’

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, ‘তাঁরা গণসংযোগের নামে এলাকায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে দুজনের মাথা ফেটে যায় এবং সাত-আটজন আহত হয়।’

এদিকে কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে গতকাল নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব চৌধুরীর স্ত্রী নাসরিন খানম।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের বদলে মনিরুল হক চৌধুরীকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ তিনি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে অপেক্ষাকৃত ‘কম পরিচিত’। দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশেও তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে প্রার্থিতা পরিবর্তন না করা হলে এ আসনে দলের বিজয় নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের ঘোষিত শোডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় গতকাল জেলার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এ-সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়, একই দিনে বিএনপির দুই পক্ষের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়কে গতকাল প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকতের অনুসারীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী শাহজাহান মিঞার বদলে শাহিন শওকতকে সম্ভাব্য প্রার্থী করার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু করে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। এ সময় তাঁরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এতে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে নেতা-কর্মীদের একাংশ। গতকাল সন্ধ্যায় সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের এক সমাবেশে তাঁকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গত শুক্রবার নির্বাচনী সমাবেশে দেওয়া কাজী রফিকুল ইসলামের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ধানের শীষের বিজয় মানে নৌকার বিজয়।’ তবে তাঁর দাবি, ওই ভিডিও সম্পাদিত।

যদিও সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির বলেন, সমাবেশে উপস্থিত লোকজন আমাকে বলেছেন, কাজী রফিকুল ইসলাম ‘ধানের শীষের বিজয় মানে নৌকার বিজয় বলেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি ১৭ বছর দলকে সংগঠিত করেছি। মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। তারপরেও এলাকা ছেড়ে যাইনি। বিশ্বাস ছিল মনোনয়ন পাব। তবে আমি এখনো হতাশ নই, আমার বিশ্বাস মনোনয়ন পরিবর্তন হবে।’

রংপুর-৩ (সদর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত মাহফুজ উন নবী ডনের সমর্থনে নগরীতে গণমিছিল হয়েছে। জিলা স্কুল মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোড হয়ে বুদু বাবুর মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডলের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত তিন প্রার্থীর অনুসারীরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এর আয়োজন করা হয়।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মাসুদের অনুসারীরা। গতকাল বিকেলে শহরের রঘুনাথ বাজারে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানকে সম্ভাব্য প্রার্থী করার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সন্ধ্যার পর ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হওয়া মিছিলটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। পরে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কে অগ্নিসংযোগ ও অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা।

[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা]

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত