নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে আটক ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রচিন্তা। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রনৈতিক জার্নালটি এই উদ্বেগ জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রচিন্তা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে উদ্যোক্তা ও মডেল মেঘনা আলমকে সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ও ‘‘কালো আইনের’’ আওতায় ৩০ দিনের জন্য আটক করা হয়েছে এবং এই পুরো প্রক্রিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিশ্বাসযোগ্যতা, মানবিকতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতিকে ভয়ানকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মেঘনা আলমের ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল ব্যক্তি—যাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়েছেন—রাতের আঁধারে মেঘনা আলমের বাসায় প্রবেশ করে প্রথমে পরিচয় গোপন করেন, পরে মাদকের মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যান। ঘটনাটির পর ঢাকা মহানগর পুলিশ, থানা ও গোয়েন্দা বাহিনীর মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে আসে। থানা বলে, তারা কিছু জানে না; ডিবি বলে, তারা কিছু করেনি এবং কয়েক ঘণ্টা পরে ডিবিই তাঁকে আটক করার কথা স্বীকার করে। এই ‘‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’’ স্টাইলের নাগরিক অধিকার হরণ আমাদের রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির চরম অভাবকে স্পষ্ট করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মেঘনা আলমকে যে আইনে আটক করা হয়েছে, সেটি হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন—বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের সবচেয়ে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত আইনগুলোর একটি। আইনটি মূলত অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচিত এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিতাড়িত স্বৈরাচার সরকার ঠিক এই আইনকে হাতিয়ার করে হাজার হাজার মানুষকে গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূতভাবে খুন করেছিল। আমাদের দেশে এখনো এমন এক ‘‘আইনানুগ গুমের কাঠামো’’ টিকে আছে, যার মাধ্যমে মানুষকে প্রথমে নিখোঁজ করা হয় এবং পরে এই আইনের মারপ্যাঁচে তাঁকে জেলবন্দী করে রাখা হয়। একে সবাই ‘গুম’ বলেই জানে—যেটা কেবল বেআইনি নয়, রাষ্ট্রীয় বর্বরতা ও নৈতিক অধঃপতনের এক ভয়াবহ রূপ।
এই কালো আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা রাষ্ট্র সমালোচকদের বিরুদ্ধে দমননীতি চালু রাখা। একে গণতন্ত্রের ছায়ায় স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার ‘আইনি প্যাকেজ’ বলা চলে। আজ যখন আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি—গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে বিতাড়িত করেছি—তখন এই আইন টিকে থাকা কেবল নৈতিক ও আইনি বিভ্রান্তিই নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধজয়ী একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের আত্মবিরোধিতার নিদর্শন।
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এ ঘটনার পেছনে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠে এসেছে। এই রাষ্ট্রদূত তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রতি প্রতিশোধ নিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছেন—এটি কেবল অনভিপ্রেত নয়, বরং বাংলাদেশের ওপর একটি পরোক্ষ কূটনৈতিক আগ্রাসন। রাষ্ট্র যদি এ ক্ষেত্রে নীরব থাকে, তাহলে তা হবে এর সার্বভৌমত্বের প্রতি আত্মঘাতী বিশ্বাসঘাতকতা।’
উদ্ভূত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রচিন্তা জোরালোভাবে দাবি করছে
রাষ্ট্রচিন্তা বিশ্বাস করে, একটি রাষ্ট্রের মর্যাদা তখনোই রক্ষা পায়, যখন সে তার দুর্বলতম নাগরিকের অধিকার রক্ষা করতে পারে। আর নাগরিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অন্ধ অপব্যবহার শুধু একটি আইনি অন্যায় নয়, এটি একটি নৈতিক ব্যর্থতা, যার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও খবর পড়ুন:
বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে আটক ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রচিন্তা। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রনৈতিক জার্নালটি এই উদ্বেগ জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রচিন্তা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে উদ্যোক্তা ও মডেল মেঘনা আলমকে সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ও ‘‘কালো আইনের’’ আওতায় ৩০ দিনের জন্য আটক করা হয়েছে এবং এই পুরো প্রক্রিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিশ্বাসযোগ্যতা, মানবিকতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতিকে ভয়ানকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মেঘনা আলমের ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল ব্যক্তি—যাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়েছেন—রাতের আঁধারে মেঘনা আলমের বাসায় প্রবেশ করে প্রথমে পরিচয় গোপন করেন, পরে মাদকের মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যান। ঘটনাটির পর ঢাকা মহানগর পুলিশ, থানা ও গোয়েন্দা বাহিনীর মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে আসে। থানা বলে, তারা কিছু জানে না; ডিবি বলে, তারা কিছু করেনি এবং কয়েক ঘণ্টা পরে ডিবিই তাঁকে আটক করার কথা স্বীকার করে। এই ‘‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’’ স্টাইলের নাগরিক অধিকার হরণ আমাদের রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির চরম অভাবকে স্পষ্ট করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মেঘনা আলমকে যে আইনে আটক করা হয়েছে, সেটি হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন—বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের সবচেয়ে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত আইনগুলোর একটি। আইনটি মূলত অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচিত এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিতাড়িত স্বৈরাচার সরকার ঠিক এই আইনকে হাতিয়ার করে হাজার হাজার মানুষকে গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূতভাবে খুন করেছিল। আমাদের দেশে এখনো এমন এক ‘‘আইনানুগ গুমের কাঠামো’’ টিকে আছে, যার মাধ্যমে মানুষকে প্রথমে নিখোঁজ করা হয় এবং পরে এই আইনের মারপ্যাঁচে তাঁকে জেলবন্দী করে রাখা হয়। একে সবাই ‘গুম’ বলেই জানে—যেটা কেবল বেআইনি নয়, রাষ্ট্রীয় বর্বরতা ও নৈতিক অধঃপতনের এক ভয়াবহ রূপ।
এই কালো আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা রাষ্ট্র সমালোচকদের বিরুদ্ধে দমননীতি চালু রাখা। একে গণতন্ত্রের ছায়ায় স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার ‘আইনি প্যাকেজ’ বলা চলে। আজ যখন আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি—গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে বিতাড়িত করেছি—তখন এই আইন টিকে থাকা কেবল নৈতিক ও আইনি বিভ্রান্তিই নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধজয়ী একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের আত্মবিরোধিতার নিদর্শন।
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এ ঘটনার পেছনে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠে এসেছে। এই রাষ্ট্রদূত তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রতি প্রতিশোধ নিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছেন—এটি কেবল অনভিপ্রেত নয়, বরং বাংলাদেশের ওপর একটি পরোক্ষ কূটনৈতিক আগ্রাসন। রাষ্ট্র যদি এ ক্ষেত্রে নীরব থাকে, তাহলে তা হবে এর সার্বভৌমত্বের প্রতি আত্মঘাতী বিশ্বাসঘাতকতা।’
উদ্ভূত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রচিন্তা জোরালোভাবে দাবি করছে
রাষ্ট্রচিন্তা বিশ্বাস করে, একটি রাষ্ট্রের মর্যাদা তখনোই রক্ষা পায়, যখন সে তার দুর্বলতম নাগরিকের অধিকার রক্ষা করতে পারে। আর নাগরিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অন্ধ অপব্যবহার শুধু একটি আইনি অন্যায় নয়, এটি একটি নৈতিক ব্যর্থতা, যার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও খবর পড়ুন:
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশ একটি নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেএনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
২ ঘণ্টা আগেগণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেপাটওয়ারী বলেন, ‘যেভাবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষের জয় হয়েছিল, তেমনি আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে এনসিপির শাপলা প্রতীকে দেশের মানুষ ভোটের বিপ্লব ঘটাবে। এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে