নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিপুল বাজেট ঘাটতি নিয়ে ঋণনির্ভর এই বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপির আমলে ‘কালোটাকা সাদা করা’র বিষয়টি ছিল কি না, সেটি মনে করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মতে, অপ্রদর্শিত আয় আর কালোটাকা এক নয়।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিএনপিকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে এবারের বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই বাজেট দেখে বুঝতে পারছেন, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে কারা ঘুরছে? পুরো বাজেটটাই একটা ভিক্ষার ঝুলি। এর মধ্যে নিজস্ব কিছুই নাই। আজকে যে পরিমাণ ঋণের বোঝা দাঁড়িয়েছে ... আর ঘাটতি বাজেট তো বটেই। সেই ঘাটতি মেটাবে কী দিয়ে: বৈদেশিক আর ডোমেস্টিক ঋণ।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত এই বাজেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি।
প্রস্তাবিত বাজেটে এরই মধ্যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির আমলেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে এ বিষয়ে বিএনপির সমালোচনা করার নৈতিক অবস্থান আছে কি না—জানতে চাওয়া হয় বিএনপির মহাসচিবের কাছে।
উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠিক মনে করতে পারছি না, আমার মনে নেই ...। কালোটাকা সাদা করা যদি হয়ে থাকে, তবে অর্থনৈতিক একটা ব্যাকআপ ছিল।’ তিনি বলেন, ‘অপ্রদর্শিত আয় এবং কালোটাকার মধ্যে পার্থক্য আছে। বলা ছিল অপ্রদর্শিত আয়। অর্থাৎ আমি ঠিকভাবে আয় করেছিলাম, সেটা দেখানোর একটা ব্যাপার ছিল হয়তোবা। তবে আমি নিজেও বিষয়টা নিয়ে পরিষ্কার না।’
বিএনপির আমলে দেশের অর্থনীতি যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো ছিল বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিল। জিয়াউর রহমান একটা তলাবিহীন ঝুড়ির অবস্থা থেকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে উন্নত করেছেন। একইভাবে খালেদা জিয়ার সময়ও “ইমার্জিং টাইগার” বলা হতো। এখনকার মহাসংকট তখন ছিল না, অর্থনীতি একটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিপুল বাজেট ঘাটতি নিয়ে ঋণনির্ভর এই বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপির আমলে ‘কালোটাকা সাদা করা’র বিষয়টি ছিল কি না, সেটি মনে করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মতে, অপ্রদর্শিত আয় আর কালোটাকা এক নয়।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিএনপিকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে এবারের বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই বাজেট দেখে বুঝতে পারছেন, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে কারা ঘুরছে? পুরো বাজেটটাই একটা ভিক্ষার ঝুলি। এর মধ্যে নিজস্ব কিছুই নাই। আজকে যে পরিমাণ ঋণের বোঝা দাঁড়িয়েছে ... আর ঘাটতি বাজেট তো বটেই। সেই ঘাটতি মেটাবে কী দিয়ে: বৈদেশিক আর ডোমেস্টিক ঋণ।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত এই বাজেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি।
প্রস্তাবিত বাজেটে এরই মধ্যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির আমলেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে এ বিষয়ে বিএনপির সমালোচনা করার নৈতিক অবস্থান আছে কি না—জানতে চাওয়া হয় বিএনপির মহাসচিবের কাছে।
উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠিক মনে করতে পারছি না, আমার মনে নেই ...। কালোটাকা সাদা করা যদি হয়ে থাকে, তবে অর্থনৈতিক একটা ব্যাকআপ ছিল।’ তিনি বলেন, ‘অপ্রদর্শিত আয় এবং কালোটাকার মধ্যে পার্থক্য আছে। বলা ছিল অপ্রদর্শিত আয়। অর্থাৎ আমি ঠিকভাবে আয় করেছিলাম, সেটা দেখানোর একটা ব্যাপার ছিল হয়তোবা। তবে আমি নিজেও বিষয়টা নিয়ে পরিষ্কার না।’
বিএনপির আমলে দেশের অর্থনীতি যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো ছিল বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিল। জিয়াউর রহমান একটা তলাবিহীন ঝুড়ির অবস্থা থেকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে উন্নত করেছেন। একইভাবে খালেদা জিয়ার সময়ও “ইমার্জিং টাইগার” বলা হতো। এখনকার মহাসংকট তখন ছিল না, অর্থনীতি একটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
৪ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় জামায়াত এনসিপিকে ৩০টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে, নাকি মিত্রতা শুধুই নির্বাচনী সমঝোতার পর্যায়ে থাকবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। আলোচনা চলছে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
দল দুটি যখন নির্বাচনে এক হয়ে লড়ার আলাপ করছে, তখন অসন্তোষের সুর বাজছে এনসিপির নেতৃত্বাধীন তিন দলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলেছেন, এনসিপিকে খুব বেশি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়নি বিএনপি। তা ছাড়া তারা গণভোট ও সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণভোটে ‘না’ ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। অন্যদিকে সংস্কার ও গণভোট প্রশ্নে জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান একই।
এর বাইরে মূলত দুটি কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাচ্ছে এনসিপি। এর একটি হলো, প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং অন্যটি নির্বাচনী তহবিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ফান্ডিং একটা বড় বিষয়। জামায়াত এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আর প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সংসদে এনসিপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, অন্য দলের সঙ্গেও চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।’
তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার আলোচনার বিষয়টি সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে এনসিপি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। বুধবার রাতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত আটটায় শুরু হয় এই বৈঠক। চলে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। নির্বাহী কাউন্সিলের অর্ধশতাধিক সদস্যের মধ্যে ৩০-৩৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, সেখানে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপি কী কী সুবিধা পাবে, কোন দল কোন কোন আসনে ছাড় দেবে, সার্বিক বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে জামায়াতের বিপক্ষে থাকা বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ডা. তাজনূভা জাবীন, সামান্তা শারমিনের মতো নারী সদস্যরাও ওই বৈঠকে ছিলেন না। বৈঠকে থাকা অন্তত দুজন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান।
তবে অনেকেই শর্ত সাপেক্ষে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন। তাঁরা বলেন, একাত্তরে জামায়াতের অবস্থানের জন্য ক্ষমা চাওয়া, নারী ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা, অন্য দলের মধ্যে ঢুকে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করা—এসব শর্ত মেনে নিলে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতগুলো আসনে তারা ছাড় দেবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
তবে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সাবেক নেতা। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলেই মনে করি আমি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ফেসবুক পোস্টে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এনসিপি। তিনি দাবি করেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া জামায়াত জিতলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধীদলীয় নেতা করা হবে এমন আলাপ চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এনসিপির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গঠন হওয়া তিন দলের গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে চলছে ভাঙনের সুর। জোটের সদস্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের একমাত্র সূত্র ও শর্ত ছিল বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে বাংলাদেশের পন্থার রাজনীতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি। এই শর্তে একবার জোট গঠনের আলাপ স্থগিতও হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই শর্ত নিশ্চিত করেই জোট তৈরি হয়। কাজেই জোটের কোনো সঙ্গী যদি বিএনপি বা জামায়াত বা উভয়ের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার বা জোটের সংলাপে যুক্ত হয়, তারা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে ভাবা হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় জামায়াত এনসিপিকে ৩০টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে, নাকি মিত্রতা শুধুই নির্বাচনী সমঝোতার পর্যায়ে থাকবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। আলোচনা চলছে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
দল দুটি যখন নির্বাচনে এক হয়ে লড়ার আলাপ করছে, তখন অসন্তোষের সুর বাজছে এনসিপির নেতৃত্বাধীন তিন দলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলেছেন, এনসিপিকে খুব বেশি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়নি বিএনপি। তা ছাড়া তারা গণভোট ও সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণভোটে ‘না’ ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। অন্যদিকে সংস্কার ও গণভোট প্রশ্নে জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান একই।
এর বাইরে মূলত দুটি কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাচ্ছে এনসিপি। এর একটি হলো, প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং অন্যটি নির্বাচনী তহবিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ফান্ডিং একটা বড় বিষয়। জামায়াত এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আর প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সংসদে এনসিপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, অন্য দলের সঙ্গেও চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।’
তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার আলোচনার বিষয়টি সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে এনসিপি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। বুধবার রাতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত আটটায় শুরু হয় এই বৈঠক। চলে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। নির্বাহী কাউন্সিলের অর্ধশতাধিক সদস্যের মধ্যে ৩০-৩৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, সেখানে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপি কী কী সুবিধা পাবে, কোন দল কোন কোন আসনে ছাড় দেবে, সার্বিক বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে জামায়াতের বিপক্ষে থাকা বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ডা. তাজনূভা জাবীন, সামান্তা শারমিনের মতো নারী সদস্যরাও ওই বৈঠকে ছিলেন না। বৈঠকে থাকা অন্তত দুজন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান।
তবে অনেকেই শর্ত সাপেক্ষে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন। তাঁরা বলেন, একাত্তরে জামায়াতের অবস্থানের জন্য ক্ষমা চাওয়া, নারী ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা, অন্য দলের মধ্যে ঢুকে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করা—এসব শর্ত মেনে নিলে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতগুলো আসনে তারা ছাড় দেবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
তবে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সাবেক নেতা। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলেই মনে করি আমি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ফেসবুক পোস্টে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এনসিপি। তিনি দাবি করেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া জামায়াত জিতলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধীদলীয় নেতা করা হবে এমন আলাপ চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এনসিপির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গঠন হওয়া তিন দলের গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে চলছে ভাঙনের সুর। জোটের সদস্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের একমাত্র সূত্র ও শর্ত ছিল বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে বাংলাদেশের পন্থার রাজনীতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি। এই শর্তে একবার জোট গঠনের আলাপ স্থগিতও হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই শর্ত নিশ্চিত করেই জোট তৈরি হয়। কাজেই জোটের কোনো সঙ্গী যদি বিএনপি বা জামায়াত বা উভয়ের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার বা জোটের সংলাপে যুক্ত হয়, তারা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে ভাবা হবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিপুল বাজেট ঘাটতি নিয়ে ঋণনির্ভর এই বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপির আমলে ‘কালোটাকা সাদা করা’র বিষয়টি ছিল কি না, সেটি মনে করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মতে, অপ্রদর্শিত আয় আর কালোটা
০৯ জুন ২০২৪
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
৪ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
প্রত্যয়ী কণ্ঠে তারেক রহমান জানান, দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের জন্য তাঁর একটি পরিকল্পনা আছে। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন, আমরা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’
এক-এগারোর প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে। কারামুক্ত হওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যান তিনি। এরপর প্রায় দেড় যুগ কেটে গেছে নির্বাসনে। মাতৃভূমি থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন তিনি। মা খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের দায়িত্ব নেন তিনি। দুর্দিনে ঐক্যবদ্ধ রাখেন দলকে।
প্রেক্ষাপট বদলে যায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতীক্ষা শুরু হয়। অবশেষে সেদিন এলো গতকাল বৃহস্পতিবার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। বিমানবন্দর থেকেই জুবাইদা ও জাইমা চলে যান গুলশানের বাসা ফিরোজায়। বিমানবন্দর থেকে গাড়িবহর নিয়ে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রা শুরু করেন
তারেক রহমান। যেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের আশপাশের সড়ক ও পূর্বাচলে সমবেত হয়েছিলেন লাখ লাখ নেতা-কর্মী। লাল-সবুজে আবৃত বাসে করে উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দিতে দিতে সংবর্ধনাস্থলে যান তারেক রহমান। এতে ৭ কিলোমিটার দূরত্বের ওই পথ যেতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।
সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তৃতার শুরুতেই ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ সম্বোধন করে তারেক রহমান বলেন, ‘একাত্তর সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিলেন। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চান। তাঁরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ চান, তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবেন।’
বিএনপির নেতা আরও বলেন, ‘আজ আমাদের সময় এসেছে, সবাই মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছেন, এ দেশে একইভাবে সমতলেরও মানুষ আছেন; এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন।’
সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু, যেহোক না কেন, ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ইনশা আল্লাহ ঘরে আবার ফিরে আসতে পারেন।’
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখায় গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা যে ধর্মের মানুষ হই, আমরা যে শ্রেণির মানুষ হই, যে রাজনৈতিক দলেরই সদস্য হই, অথবা একজন নির্দলীয় ব্যক্তি হই, আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে; যেকোনো মূল্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিত্যাগ করতে হবে; যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারেন। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক, যেকোনো বয়স, যেকোনো শ্রেণি, যেকোনো পেশা, যেকোনো ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকেন, এ হোক আমাদের চাওয়া।’
এ রকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদেরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারের হাতে শত শত, হাজারো মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২৪ সাল, মাত্র সেদিনের ঘটনা। আমরা দেখেছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা কীভাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের এই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য।’
আততায়ীর গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির নিহতের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এই বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের এক সাহসী প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন।’
বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আজ চব্বিশের আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন ওসমান হাদিসহ, একাত্তরে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় বিভিন্নভাবে খুন-গুমের শিকার হয়েছেন, এ মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে আমরা সবাই মিলে কাজ করব; যেখানে আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি’। সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, মার্টিন লুথার কিং... নামটি শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা? মার্টিন লুথার কিং, তাঁর একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবার সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ উপস্থিত আছেন, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। প্রত্যেকটি, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে।’
কোনো দেশের নাম উচ্চারণ না করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচরেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত রয়েছে। আমাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হবে, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের আজ গ্রহণ করতে হবে, যেন এ দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি; শক্ত ভিত্তির ওপরে, গণতান্ত্রিক ভিত্তি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরে যেন এ দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
মঞ্চে এবং মঞ্চের বাইরে থাকা জাতীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে চাওয়ার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, যেকোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর, শান্ত থাকতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন, আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি, হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী, আজ আপনি যদি আমাদেরকে রহমত দেন, তাহলে আমরা এ দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব।’
মহানবীর (সা.) আদর্শে ন্যায়পরায়ণতার আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসুন, আজ আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি, ইনশা আল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আসবেন, আমরা সবাই নবী করিম (সা.)-এর যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এ সময় মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা জানেন, এখান থেকে আমি আমার মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে যাব। এই একটি মানুষ, যে মানুষটি এ দেশের মাটি, এ দেশের মানুষকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছেন। তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে, আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ সে সম্পর্কে অবগত আছেন। সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমি চাইব, আজ আল্লাহর দরবারে আপনারা দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ উনাকে তৌফিক দেন, উনি যেন সুস্থ হতে পারেন।’
বক্তৃতার শেষ প্রান্তে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি স্লোগান ধরেন, ‘আসুন প্রিয় ভাই-বোনেরা, সবাই মিলে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।’
সাড়ে ১৬ মিনিটের বক্তৃতার পরও যেন শেষ হলো না তারেক রহমানের কথা। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় নিতে নিতে আবার ফিরে আসেন মাইকের কাছে। নিজের পরিকল্পনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, উই হ্যাভ এ প্ল্যান। উই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অ্যান্ড ফর দ্য কান্ট্রি। ইনশা আল্লাহ আমরা সে প্ল্যান বাস্তবায়ন করব।’
সংবর্ধনা মঞ্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম), এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
প্রত্যয়ী কণ্ঠে তারেক রহমান জানান, দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের জন্য তাঁর একটি পরিকল্পনা আছে। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন, আমরা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’
এক-এগারোর প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে। কারামুক্ত হওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যান তিনি। এরপর প্রায় দেড় যুগ কেটে গেছে নির্বাসনে। মাতৃভূমি থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন তিনি। মা খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের দায়িত্ব নেন তিনি। দুর্দিনে ঐক্যবদ্ধ রাখেন দলকে।
প্রেক্ষাপট বদলে যায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতীক্ষা শুরু হয়। অবশেষে সেদিন এলো গতকাল বৃহস্পতিবার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। বিমানবন্দর থেকেই জুবাইদা ও জাইমা চলে যান গুলশানের বাসা ফিরোজায়। বিমানবন্দর থেকে গাড়িবহর নিয়ে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রা শুরু করেন
তারেক রহমান। যেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের আশপাশের সড়ক ও পূর্বাচলে সমবেত হয়েছিলেন লাখ লাখ নেতা-কর্মী। লাল-সবুজে আবৃত বাসে করে উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দিতে দিতে সংবর্ধনাস্থলে যান তারেক রহমান। এতে ৭ কিলোমিটার দূরত্বের ওই পথ যেতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।
সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তৃতার শুরুতেই ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ সম্বোধন করে তারেক রহমান বলেন, ‘একাত্তর সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিলেন। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চান। তাঁরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ চান, তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবেন।’
বিএনপির নেতা আরও বলেন, ‘আজ আমাদের সময় এসেছে, সবাই মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছেন, এ দেশে একইভাবে সমতলেরও মানুষ আছেন; এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন।’
সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু, যেহোক না কেন, ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ইনশা আল্লাহ ঘরে আবার ফিরে আসতে পারেন।’
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখায় গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা যে ধর্মের মানুষ হই, আমরা যে শ্রেণির মানুষ হই, যে রাজনৈতিক দলেরই সদস্য হই, অথবা একজন নির্দলীয় ব্যক্তি হই, আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে; যেকোনো মূল্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিত্যাগ করতে হবে; যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারেন। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক, যেকোনো বয়স, যেকোনো শ্রেণি, যেকোনো পেশা, যেকোনো ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকেন, এ হোক আমাদের চাওয়া।’
এ রকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদেরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারের হাতে শত শত, হাজারো মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২৪ সাল, মাত্র সেদিনের ঘটনা। আমরা দেখেছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা কীভাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের এই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য।’
আততায়ীর গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির নিহতের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এই বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের এক সাহসী প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন।’
বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আজ চব্বিশের আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন ওসমান হাদিসহ, একাত্তরে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় বিভিন্নভাবে খুন-গুমের শিকার হয়েছেন, এ মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে আমরা সবাই মিলে কাজ করব; যেখানে আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি’। সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, মার্টিন লুথার কিং... নামটি শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা? মার্টিন লুথার কিং, তাঁর একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবার সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ উপস্থিত আছেন, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। প্রত্যেকটি, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে।’
কোনো দেশের নাম উচ্চারণ না করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচরেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত রয়েছে। আমাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হবে, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের আজ গ্রহণ করতে হবে, যেন এ দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি; শক্ত ভিত্তির ওপরে, গণতান্ত্রিক ভিত্তি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরে যেন এ দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
মঞ্চে এবং মঞ্চের বাইরে থাকা জাতীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে চাওয়ার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, যেকোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর, শান্ত থাকতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন, আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি, হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী, আজ আপনি যদি আমাদেরকে রহমত দেন, তাহলে আমরা এ দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব।’
মহানবীর (সা.) আদর্শে ন্যায়পরায়ণতার আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসুন, আজ আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি, ইনশা আল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আসবেন, আমরা সবাই নবী করিম (সা.)-এর যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এ সময় মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা জানেন, এখান থেকে আমি আমার মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে যাব। এই একটি মানুষ, যে মানুষটি এ দেশের মাটি, এ দেশের মানুষকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছেন। তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে, আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ সে সম্পর্কে অবগত আছেন। সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমি চাইব, আজ আল্লাহর দরবারে আপনারা দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ উনাকে তৌফিক দেন, উনি যেন সুস্থ হতে পারেন।’
বক্তৃতার শেষ প্রান্তে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি স্লোগান ধরেন, ‘আসুন প্রিয় ভাই-বোনেরা, সবাই মিলে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।’
সাড়ে ১৬ মিনিটের বক্তৃতার পরও যেন শেষ হলো না তারেক রহমানের কথা। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় নিতে নিতে আবার ফিরে আসেন মাইকের কাছে। নিজের পরিকল্পনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, উই হ্যাভ এ প্ল্যান। উই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অ্যান্ড ফর দ্য কান্ট্রি। ইনশা আল্লাহ আমরা সে প্ল্যান বাস্তবায়ন করব।’
সংবর্ধনা মঞ্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম), এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিপুল বাজেট ঘাটতি নিয়ে ঋণনির্ভর এই বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপির আমলে ‘কালোটাকা সাদা করা’র বিষয়টি ছিল কি না, সেটি মনে করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মতে, অপ্রদর্শিত আয় আর কালোটা
০৯ জুন ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
৪ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক রহমান। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
গতকাল বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এসব তথ্য জানান। একই সঙ্গে তারেক রহমানের আগামী শনিবারের (২৭ ডিসেম্বর) কর্মসূচিও জানান তিনি।
শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান। এরপর ভোটার হতে যাবেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন পঙ্গু হাসপাতালে।
নির্বাচন কমিশনে নাকি থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান কখন, কোথায় ভোটার হবেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই।’
আততায়ীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকে এখনো পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নেবেন তারেক রহমান।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক রহমান। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
গতকাল বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এসব তথ্য জানান। একই সঙ্গে তারেক রহমানের আগামী শনিবারের (২৭ ডিসেম্বর) কর্মসূচিও জানান তিনি।
শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান। এরপর ভোটার হতে যাবেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন পঙ্গু হাসপাতালে।
নির্বাচন কমিশনে নাকি থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান কখন, কোথায় ভোটার হবেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই।’
আততায়ীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকে এখনো পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নেবেন তারেক রহমান।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিপুল বাজেট ঘাটতি নিয়ে ঋণনির্ভর এই বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপির আমলে ‘কালোটাকা সাদা করা’র বিষয়টি ছিল কি না, সেটি মনে করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মতে, অপ্রদর্শিত আয় আর কালোটা
০৯ জুন ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১৮ মিনিট আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিপুল বাজেট ঘাটতি নিয়ে ঋণনির্ভর এই বাজেটকে ‘ভিক্ষার ঝুলি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপির আমলে ‘কালোটাকা সাদা করা’র বিষয়টি ছিল কি না, সেটি মনে করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মতে, অপ্রদর্শিত আয় আর কালোটা
০৯ জুন ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
৪ ঘণ্টা আগে