Ajker Patrika

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে এবার রাজশাহীতে ধর্মঘটের ডাক

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ২২: ১৩
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে এবার রাজশাহীতে ধর্মঘটের ডাক

এবার রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন ও থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ বিভিন্ন ১১ দফা দাবি আদায়ের কথা বলে ১ ডিসেম্বর থেকে পুরো বিভাগে এ ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিকদের এক যৌথ সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জু বিপ্লব সভায় বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে নয়, পরিবহন মালিক শ্রমিকরা তাদের নায্য দাবির স্বপক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।’

এর আগেও বিএনপির একাধিক বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ‘মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বন্ধসহ’ নানা দাবি আদায়ের কথা বলে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়। বাসের সঙ্গে কোথাও কোথাও নৌযান চলাচলও বন্ধ রাখেন মালিক-শ্রমিকরা। তবে বিএনপি বলছে, এসব নানা অজুহাত দেখিয়ে বিএনপির গণসমাবেশ ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলে প্ররোচনায় এসব ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে।

রাজশাহীর পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবিগুলো হল- হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে থ্রি হুইলার (নসিমন, করিমন, সিএনজি) পরিচালনা করা, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস, সকল প্রকার সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স, টোকেন, ফিটনেস) আস্বাভাবিক হার বৃদ্ধি হ্রাস, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন,পরিবহনের যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক থাকার পরে পুলিশের নানাবিধ হয়রানি বন্ধ, উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি বাস পরিচালনা করা, মহাসড়কে হাট-বাজার পরিচালনা বন্ধ, যাত্রী ওঠা নামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা ও ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করা।

সভায় অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জু বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতি সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমানসহ আট জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপির ভোটের সিদ্ধান্ত সরকারের পদক্ষেপ দেখে

অর্চি হক, ঢাকা 
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না, তা পর্যালোচনা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য দলটি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে। সরকারের পদক্ষেপ দেখেই নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।

এনসিপির সাধারণ সভায় গত শুক্রবার রাতে দলের কেন্দ্রীয় সদস্যদের সামনে এসব বিষয়ে পর্যালোচনা তুলে ধরেন নেতারা। এই সভায় এনিসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে নাকি এককভাবে নির্বাচনে যাবে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়। তবে কোনো বিষয় নিয়েই এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি দলটি। পরবর্তী সভায় এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা।

সভায় অংশ নেওয়া একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভায় মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে গেলে জোটবদ্ধ হয়ে যাবে, নাকি এককভাবে যাবে। নেতারা এই দুটো বিষয়ের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন।’

সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় দেড় শ সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা ঢাকার বাইরে থাকায় অংশ নিতে পারেননি। তাই সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সভায় সব নেতার উপস্থিতিতে নির্বাচন বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দেশের বাইরে আছেন। আর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লায় রয়েছেন। এ ছাড়া অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যাসহ নানা কারণে নির্বাহী সদস্যদের বেশ কয়েকজন শুক্রবারের সভায় অংশ নিতে পারেননি। তাই এই সভায় বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভায় অংশ নেওয়া সদস্যদের একটি বড় অংশ জুলাই সনদের বাস্তবায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া এবং একক নির্বাচনের পক্ষে মত জানিয়েছেন। দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভায় বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। সবাই সবার মতামত তুলে ধরেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পথ ধরে দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ হতে যাচ্ছে। আমরা জানিয়েছি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া এই গণতান্ত্রিক উত্তরণ পূর্ণতা পাবে না। তাই আমরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে এই সনদকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছি।’

এনসিপির দাবি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ নিয়ে যে সুপারিশ দিয়েছে, তা কোনোরূপ পরিবর্তন না করে সরকার বাস্তবায়নের আদেশ জারি করুক। সরকার এই আদেশ জারি না করলে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না বলে মনে করে দলটির নেতারা। জুলাই সনদ আদেশ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন করা হলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে বলেও তাঁদের আশঙ্কা।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ ছাড়া নির্বাচন করতে গেলে একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। সেটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। তাই জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ দেখে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বললেন চব্বিশের শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করেন চব্বিশের শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করেন চব্বিশের শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করেছেন চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন তাঁরা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, শহীদ মীর মুগ্ধের ছোট ভাই সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এই খবর জানিয়ে আতিকুর রহমান রুমন গণমাধ্যমকে বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপকালে চব্বিশের শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বিএনপির সঙ্গে একযোগ কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে শহীদ ওয়াসিমের বাবা শফি আলম, শহীদ মাহমুদুর রহমানের বোন (জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠকারী) সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী, শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বাবা মাহবুবুর রহমান, শহীদ ফয়সাল আহম্মেদ শান্তর বাবা মো. জাকির হোসেন এবং চব্বিশের জুলাই গণ-আন্দোলন চলাকালে আহত মো. ফারহান জামিল তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বলে জানান রুমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনী প্রচারণার তোড়ে বন্ধ হবে ‘ঋণ করে ঘি খেতে’ চাওয়াদের অপপ্রচার: সালাহউদ্দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫০
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ধানের শীষের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণার তোড়ে ‘যারা ঋণ করে ঘি খেতে চাচ্ছেন’, তাঁদের সমস্ত অপপ্রচার বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীতে এক সভায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।

‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর উপলক্ষে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য। কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনের মাল্টিপারপাস হলে সভার আয়োজন করেছিল ছাত্রদল।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ একটা গণভোটের আয়োজন করা এর আগে, একই ইস্যুতে, যেখানে ফল একই হবে। সে জন্য ব্যয়বহুল শুধু নয়, একটা বিশাল আয়োজন আরেকটি অনুষ্ঠানের জন্য করা—এটা অগ্রহণযোগ্য, অযৌক্তিক। শুধু আমরা জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে, জনসম্মতি নেওয়ার জন্য এই গণভোটের প্রস্তাব করেছিলাম এবং সেই গণভোটটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে কত দিন থাকে? বাকি এক মাস এক সপ্তাহ। এর মধ্যে আমরা সবাই নির্বাচনী মাঠে যার যার নির্বাচনী এলাকায় আমাদের ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেবে যাব। এই প্রচারণার তোড়ে যাঁরা ঋণ করে ঘি খেতে চাচ্ছে, তাঁদের সমস্ত অপপ্রচার বন্ধ হয়ে যাবে।’

এর আগে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান থাকব—নির্বাচন কমিশনকে যেভাবে অনুরোধ করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য, সেটা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই আশা করি আপনারা তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাবেন। অবশ্য আপনাদের সরকারের আহ্বানের আর কোনো প্রয়োজনও নেই। কারণ নির্বাচন কমিশনকে যে ইন্সট্রাকশন আপনারা দিয়েছেন, সেই হিসেবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তারা আনুমানিক দুমাস সময় হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ–গণভোট

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ১০
এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

জুলাই সনদ ও গণভোট নিয়ে সৃষ্ট মতভেদ নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকার নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করে একটি দলের পক্ষ নিয়ে তাদেরকে দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা।

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগের দিন আজ শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিকেলে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রদল।

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশে বলতে চাচ্ছি, আমরা মনে করেছিলাম, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করবে। অন্তর্বর্তী সরকার অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবেন। অথচ এখন আপনারা রেফারি হয়ে হাত দিয়ে একটা গোল দিয়ে দিয়েছেন। এখন বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সাত দিনের মধ্যে, না হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

দলগুলোকে এভাবে সময় বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়, এটা আপনারা যেন সব সময় ইয়াদ (মনে) রাখেন। আপনাদের এ রকম কোনো এখতিয়ার নাই, আমাদেরকে ডিকটেট (আদেশ) করার যে, সাত দিনের ভিতরে আপনার সিদ্ধান্ত না হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের বোধ হয় মানায় না!’

সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যোগাযোগ রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটা এনসিপি হোক, জামায়াত হোক বা অন্যান্য পার্টি হোক। সবার সাথে আমরা গণতান্ত্রিক কালচার (সংস্কৃতি) হিসেবে রাজনৈতিক যোগাযোগ এবং আলাপ–আলোচনা, সম্পর্ক রাখব। কিন্তু কোনো বিষয়ে আলোচনা করার জন্য কোনো রেফারির ভূমিকায় কোনো দলকে দিয়ে আপনারা আহ্বান জানাবেন ইনডাইরেক্টলি, সেটা বোধ হয় সঠিক হচ্ছে না।’

জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা যাঁরা ১৯৭১ সালে উল্টা দিকে যাত্রা করেছিলেন, ১৯৪৭ সালে বিপরীত দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, জাতীয় পার্টির হাত ধরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেবের সহচর হয়েছিলেন, আপনারা আবার যদি আওয়ামী লীগের হাত ধরে পুনরুত্থান চান, কী পরিণতি হবে, আল্লাহ মালুম! আপনারা যা শুরু করেছেন, তাতে করে উৎসাহিত হবে পতিত ফ্যাসিস্ট। তাতে উৎসাহিত হবে বাংলাদেশে অন্য যেকোনো রকমের অগণতান্ত্রিক শক্তি।

‘কিন্তু সে জন্য যদি আপনারা বলতে চান যে, আপনারা খেতে পারবেন না, সে জন্য বাড়া ভাতে ছাই ছিটিয়ে দিবেন। সেটা বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো গ্রহণ করবে না। সেই সুযোগ দেবে না।’

জামায়াতের নায়েবে আমিরের দুদিন আগের বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আপনারা ঘি খেতে চান, খান। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের এই ময়দানকে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আর উত্তপ্ত হতে দেব না। ঠিক। আপনারা বলেছেন, ১১ তারিখ পর্যন্ত আলটিমেটাম। আলটিমেটাম দিচ্ছেন সরকারকে? তো সরকার তো আপনাদের পক্ষে সুপারিশ দিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তো আপনারা যা চান, তাই দিয়েছে। সে জন্য আপনারা তার সাথে সুর মিলিয়ে তাই কথা বলছেন।’

দেশে গণভোটের কোনো প্রয়োজন নেই বলে স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করে এই বিএনপির নেতা বলেন, এই গণভোটের মধ্য দিয়ে আইন প্রণীত হয়ে যাবে। এই গণভোটটার মধ্য দিয়ে সংবিধান পরিবর্তিত হয়ে যাবে। কিন্তু একটা নৈতিক বাধ্যবাধকতা সংসদ সদস্যদের ওপরে এবং আগামী সংসদের ওপরে আরোপিত হবে যে, জনগণ চায় এই সংস্কার বাস্তবায়ন হোক অথবা চায় না। নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের বিকল্প নেই।

১৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘১৩ তারিখ বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি রায় (রায়ের তারিখ) ঘোষণা হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সেদিন নাকি লকডাউন সারা বাংলাদেশে। মানুষ বলে না যে, পাগলের সুখ মনে মনে। এই এক বছরের ভেতরে কীভাবে আপনাদের মনে হলো যে, ফ্যাসিস্ট পতিত শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির পক্ষে বাংলাদেশে লড়া, আপনারা আহ্বান করবেন আর জনগণ সাড়া দেবে? যদি দুঃসাহস থাকে আপনারা আসেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকে কীভাবে আপ্যায়ন করে দেখব। আমরা তো চাই, আপনারা এসে বিচারের মুখোমুখি হোন।’

দেশ ক্রমেই অস্থিতিশীল হচ্ছে বলে মন্তব্য করে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হচ্ছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অনেক কিছু বলা হচ্ছে। কারা রাজপথকে উত্তপ্ত করে রাখতে চায়, কারা গত এক বছর দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ভারতকে সুযোগ করে দিচ্ছে, ইতিহাসে তাদের কথা লেখা থাকবে। ভারত চায় অস্থিতিশীল বাংলাদেশ। ভারতের সে প্রত্যাশা যারা পূরণ করতে চায়, তাদেরকে আমরা ক্ষমা করব না।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ সরকারকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় কর্মকাণ্ড শুরু করার আহ্বান জানান। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদেরকে সমর্থন করেছি, করব ওই সীমারেখার মধ্যে। আর যদি মনে করেন, আরেকটি রাজনৈতিক দল দিয়ে আমাদেরকে আহ্বান জানাবেন আলোচনার জন্য।

‘তারা কারা? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যদি আমাদেরকে আহ্বান জানায় কোনো বিষয়ে আলোচনা করার জন্য, যেকোনো ইস্যুতে, আমরা সব সময় আলোচনায় আগ্রহী, যাব। কিন্তু অন্য কোনো একটি রাজনৈতিক দল দিয়ে আমাদেরকে আহ্বান জানানো হচ্ছে কেন?’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে আসা সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে দলের গুরুতর আপত্তির কথা বলেছেন। বিএনপির ভাষ্যমতে, গত ১৭ অক্টোবর যে জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করেছিল, সেটি তারা বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব জমা দিয়েছে, তাতে তাদের আপত্তি রয়েছে।

দলটি বলেছে, ওই প্রস্তাবের তফসিলে উল্লেখিত সনদে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ছাড়া সনদ বাস্তবায়নে গণভোট কবে হবে, তা নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার পক্ষে। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামী চায়, আগে গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার পর তার আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে জুলাই সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। গত রোববার উপদেষ্টা পরিষদের এক সভা থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

এ বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। মির্জা ফখরুল তখন তাঁকে বলেছিলেন, দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ বিষয়ে অবস্থান জানাবেন। বিষয়টি নিয়ে আজ আলোচনা সভায় দলের পক্ষ থেকে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত