নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এখনো মামলা-বাণিজ্য, ঘুষ-বাণিজ্য চলমান উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, এত কিছুর পরও সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।
আজ শনিবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা আয়োজন করে উর্দু স্পিকিং পিপলস ইয়ুথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম)।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মান্না বলেন, ‘একটা মামলা হলে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয়, যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা জানেন। গ্রেপ্তার না করলেও প্রতিপক্ষ ফোন করে বলে, “মামলা থেকে নাম কাটাতে হবে, এত টাকা দিতে হবে”—এ ঘুষ-বাণিজ্য, গ্রেপ্তার-বাণিজ্য সবই চলছে। অথচ সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে! আইনশৃঙ্খলা ভালো হলে কেন এক দিনে তিনটা বড় অপরাধের খবর পত্রিকার প্রথম পাতায় আসে?’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার করতে হলে পুলিশের সংস্কার আগে করতে হবে। ডিসেম্বরে ভোট করবেন এই পুলিশ দিয়ে? আমি বলি, যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘এত বড় আন্দোলন ও কিশোরদের আত্মত্যাগের পরও যাদের পরিবর্তন হওয়ার কথা, তা হয়নি। পুলিশ তো মামলা পর্যন্ত নেয় না। একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে শহীদ মিনার থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ আমার কর্মীকে ছুরি মেরেছে, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। অথচ দু-দিন পর প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগে আমার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন আপন ছোট ভাইয়ের নামেও মামলা নিয়েছে।’
সভার সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু অভিযোগ করেন, উর্দুভাষী ক্যাম্পের জমি দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, মিরপুর মডেল থানার বেশ কয়েকটি মামলায় সংগঠনের নেতা ও সদস্যদের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে অনেকে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে পলাতক এবং তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ।

দেশে এখনো মামলা-বাণিজ্য, ঘুষ-বাণিজ্য চলমান উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, এত কিছুর পরও সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।
আজ শনিবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা আয়োজন করে উর্দু স্পিকিং পিপলস ইয়ুথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম)।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মান্না বলেন, ‘একটা মামলা হলে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয়, যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা জানেন। গ্রেপ্তার না করলেও প্রতিপক্ষ ফোন করে বলে, “মামলা থেকে নাম কাটাতে হবে, এত টাকা দিতে হবে”—এ ঘুষ-বাণিজ্য, গ্রেপ্তার-বাণিজ্য সবই চলছে। অথচ সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে! আইনশৃঙ্খলা ভালো হলে কেন এক দিনে তিনটা বড় অপরাধের খবর পত্রিকার প্রথম পাতায় আসে?’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার করতে হলে পুলিশের সংস্কার আগে করতে হবে। ডিসেম্বরে ভোট করবেন এই পুলিশ দিয়ে? আমি বলি, যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘এত বড় আন্দোলন ও কিশোরদের আত্মত্যাগের পরও যাদের পরিবর্তন হওয়ার কথা, তা হয়নি। পুলিশ তো মামলা পর্যন্ত নেয় না। একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে শহীদ মিনার থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ আমার কর্মীকে ছুরি মেরেছে, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। অথচ দু-দিন পর প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগে আমার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন আপন ছোট ভাইয়ের নামেও মামলা নিয়েছে।’
সভার সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু অভিযোগ করেন, উর্দুভাষী ক্যাম্পের জমি দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, মিরপুর মডেল থানার বেশ কয়েকটি মামলায় সংগঠনের নেতা ও সদস্যদের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে অনেকে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে পলাতক এবং তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
সংবিধানে গণভোট নেই যারা বলছেন তাঁদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সংবিধান মেনে সব করলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা কোথাও লেখা নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা উনত্রিশ সালে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্পেসিফিক কোনো প্রস্তাব দিইনি যে, আদেশ কে জারি করবে। আমরা একটা সাংবিধানিকতার মধ্যে আছি; সাংবিধানিকভাবে এ সরকার শপথ নিয়েছে; সবকিছু আইনানুগভাবে চলছে। এখন কোনো অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা এই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির। যদি কোনো আদেশ জারি করতে হয়, সেই আদেশের মর্যাদা যদি আইনি হয়, সেই আদেশ জারি করার মতো কোনো সাংবিধানিক অবস্থা এখন বাংলাদেশে নেই। কারণ, প্রেসিডেন্টের অর্ডার জারি করার একটা বিধান একসময় ছিল, যত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়নি, আপনারা সবাই জানেন, সে রকম পিও অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট অর্ডার নিয়ে তখন রাষ্ট্রটা চলত। সংবিধান গৃহীত হয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির আর কোনো বিধান রইল না, সেটা বিলুপ্ত হলো। এখন কী রকম আদেশ দেবে? সেই আদেশের মর্যাদা কি আইনি হবে? সেটা এখনো সরকার নির্ধারণ করেনি। একমাত্র অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা ছাড়া রাষ্ট্রপতির অন্য কোনোভাবে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা এখন নেই। কিন্তু আদেশ জারি করার কোনো বিধান বর্তমান সংবিধানে নেই।
‘কিন্তু যদি এখন কোনো প্রজ্ঞাপনকে আদেশ নামকরণ করতে চায় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে, সেটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার প্রকাশ করতে পারে, গেজেট নোটিফিকেশন, সেটা আইন হবে না। এখন সরকার যদি আলোচনার আহ্বান জানায়, সে ক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে, রাজপথে তো নয়।’
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিকের ওপর কোনো দায় বর্তাবে না অর্থাৎ পরিবর্তিত সনদ দলগুলো মানতে বাধ্য থাকবে না।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সনদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন দফায় কিছু নোট অব ডিসেন্ট আছে। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলোর ক্ষেত্রে সনদে বলা আছে যে, দলগুলো যদি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট পায়, নোট অব ডিসেন্টগুলো তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে আমরা এক শ ভাগ একমত, এখনো আমরা সেই জায়গায় আছি এবং আমরা স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে নেই। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের উপায়সংক্রান্ত যে সুপারিশ দিয়েছে, তার মধ্যে নোট অব ডিসেন্ডের অংশগুলোর উল্লেখ নেই, একদম নেই। শুধু প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে ৪৮টা দফা দিয়ে তারা একটা তফসিল করেছে। সেই তফসিলে প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে গণভোটের প্রস্তাব করেছে।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ওপরে আমরা রাজি হয়েছিলাম। সে জায়গায় আমরা আছি। এখন এই স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে গিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে অযৌক্তিক ও নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে যে আন্দোলন করছে, সে ব্যাপারে তারা তাদের বক্তব্য দিতে পারে। কিন্তু সনদে স্বাক্ষরিত যে বিষয়গুলো আছে, তার বাইরে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল, যারা সনদে স্বাক্ষর করেছে, তাদের ওপরে কোনো দায়দায়িত্ব বর্তায় না বা তারা মানতে বাধ্য নয়। এই মেসেজটা দেওয়ার জন্যই আজকে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।’

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্পেসিফিক কোনো প্রস্তাব দিইনি যে, আদেশ কে জারি করবে। আমরা একটা সাংবিধানিকতার মধ্যে আছি; সাংবিধানিকভাবে এ সরকার শপথ নিয়েছে; সবকিছু আইনানুগভাবে চলছে। এখন কোনো অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা এই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির। যদি কোনো আদেশ জারি করতে হয়, সেই আদেশের মর্যাদা যদি আইনি হয়, সেই আদেশ জারি করার মতো কোনো সাংবিধানিক অবস্থা এখন বাংলাদেশে নেই। কারণ, প্রেসিডেন্টের অর্ডার জারি করার একটা বিধান একসময় ছিল, যত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়নি, আপনারা সবাই জানেন, সে রকম পিও অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট অর্ডার নিয়ে তখন রাষ্ট্রটা চলত। সংবিধান গৃহীত হয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির আর কোনো বিধান রইল না, সেটা বিলুপ্ত হলো। এখন কী রকম আদেশ দেবে? সেই আদেশের মর্যাদা কি আইনি হবে? সেটা এখনো সরকার নির্ধারণ করেনি। একমাত্র অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা ছাড়া রাষ্ট্রপতির অন্য কোনোভাবে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা এখন নেই। কিন্তু আদেশ জারি করার কোনো বিধান বর্তমান সংবিধানে নেই।
‘কিন্তু যদি এখন কোনো প্রজ্ঞাপনকে আদেশ নামকরণ করতে চায় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে, সেটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার প্রকাশ করতে পারে, গেজেট নোটিফিকেশন, সেটা আইন হবে না। এখন সরকার যদি আলোচনার আহ্বান জানায়, সে ক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে, রাজপথে তো নয়।’
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিকের ওপর কোনো দায় বর্তাবে না অর্থাৎ পরিবর্তিত সনদ দলগুলো মানতে বাধ্য থাকবে না।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সনদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন দফায় কিছু নোট অব ডিসেন্ট আছে। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলোর ক্ষেত্রে সনদে বলা আছে যে, দলগুলো যদি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট পায়, নোট অব ডিসেন্টগুলো তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে আমরা এক শ ভাগ একমত, এখনো আমরা সেই জায়গায় আছি এবং আমরা স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে নেই। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের উপায়সংক্রান্ত যে সুপারিশ দিয়েছে, তার মধ্যে নোট অব ডিসেন্ডের অংশগুলোর উল্লেখ নেই, একদম নেই। শুধু প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে ৪৮টা দফা দিয়ে তারা একটা তফসিল করেছে। সেই তফসিলে প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে গণভোটের প্রস্তাব করেছে।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ওপরে আমরা রাজি হয়েছিলাম। সে জায়গায় আমরা আছি। এখন এই স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে গিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে অযৌক্তিক ও নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে যে আন্দোলন করছে, সে ব্যাপারে তারা তাদের বক্তব্য দিতে পারে। কিন্তু সনদে স্বাক্ষরিত যে বিষয়গুলো আছে, তার বাইরে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল, যারা সনদে স্বাক্ষর করেছে, তাদের ওপরে কোনো দায়দায়িত্ব বর্তায় না বা তারা মানতে বাধ্য নয়। এই মেসেজটা দেওয়ার জন্যই আজকে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।’

দেশে এখনো মামলা-বাণিজ্য, ঘুষ-বাণিজ্য চলমান উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, এত কিছুর পরও সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।
০১ মার্চ ২০২৫
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
সংবিধানে গণভোট নেই যারা বলছেন তাঁদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সংবিধান মেনে সব করলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা কোথাও লেখা নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা উনত্রিশ সালে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। ২৬-এ নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের কথা একটাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। গণভোটের ব্যাপারে সকল দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন?’

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন আর কোনো সংশয় সন্দেহ থাকবে না। আমরা চাই আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এইটা নিয়ে কেউ ধূম্রজাল সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাবেন না। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে ফেলবেন না।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে একটা চার্টার তৈরি হয়েছে। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথা, সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলবে বাকিরা তাই মেনে নেবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, কেউ কেউ তা মেনে নিতে রাজি নন। যদি আপনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখান জাতীয় নির্বাচনে আপনি শ্রদ্ধা দেখাবেন কীভাবে? এই জায়গায় আসতে হবে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সকল বায়না ভুলে যান। জুলাই শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। জুলাইয়ে যারা লড়াই করেছে, এখনো কষ্ট করছে, মেহেরবানি করে তাদের বোঝার চেষ্টা করুন।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। ২৬-এ নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের কথা একটাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। গণভোটের ব্যাপারে সকল দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন?’

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন আর কোনো সংশয় সন্দেহ থাকবে না। আমরা চাই আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এইটা নিয়ে কেউ ধূম্রজাল সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাবেন না। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে ফেলবেন না।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে একটা চার্টার তৈরি হয়েছে। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথা, সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলবে বাকিরা তাই মেনে নেবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, কেউ কেউ তা মেনে নিতে রাজি নন। যদি আপনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখান জাতীয় নির্বাচনে আপনি শ্রদ্ধা দেখাবেন কীভাবে? এই জায়গায় আসতে হবে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সকল বায়না ভুলে যান। জুলাই শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। জুলাইয়ে যারা লড়াই করেছে, এখনো কষ্ট করছে, মেহেরবানি করে তাদের বোঝার চেষ্টা করুন।’

দেশে এখনো মামলা-বাণিজ্য, ঘুষ-বাণিজ্য চলমান উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, এত কিছুর পরও সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।
০১ মার্চ ২০২৫
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
সংবিধানে গণভোট নেই যারা বলছেন তাঁদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সংবিধান মেনে সব করলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা কোথাও লেখা নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা উনত্রিশ সালে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আপনারা অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য আগে গণভোট দিন, তারপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করুন। জাতি আপনাদের সহযোগিতা করবে।’
রাজধানীর পল্টনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসেই গণভোট আয়োজন; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা—এই পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করছে জামায়াতে ইসলামী।
তাদের সঙ্গে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামপন্থী এই আট দল আজ পল্টনে সমাবেশের ডাক দেয়।
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
ষড়যন্ত্রের সুযোগ বন্ধ করে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, দাবি উঠেছে এক দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের। তাহলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টসহ যা যা সংশোধন হয়েছে, গণভোটের আইনি ভিত্তি যদি না হয়, তাহলে কিসের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হবে?
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দফায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করেছিলাম। আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের বিচারপ্রক্রিয়া যখন এগিয়ে যাচ্ছে, যখন এই নভেম্বরে মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তখনই ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশজুড়ে ককটেল, গাড়িতে আগুন দিয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ঢাকায় হোটেলে-হোটেলে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। আপনারা অভিযান চালিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আপনারা অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য আগে গণভোট দিন, তারপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করুন। জাতি আপনাদের সহযোগিতা করবে।’
রাজধানীর পল্টনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসেই গণভোট আয়োজন; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা—এই পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করছে জামায়াতে ইসলামী।
তাদের সঙ্গে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামপন্থী এই আট দল আজ পল্টনে সমাবেশের ডাক দেয়।
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
ষড়যন্ত্রের সুযোগ বন্ধ করে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, দাবি উঠেছে এক দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের। তাহলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টসহ যা যা সংশোধন হয়েছে, গণভোটের আইনি ভিত্তি যদি না হয়, তাহলে কিসের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হবে?
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দফায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করেছিলাম। আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের বিচারপ্রক্রিয়া যখন এগিয়ে যাচ্ছে, যখন এই নভেম্বরে মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তখনই ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশজুড়ে ককটেল, গাড়িতে আগুন দিয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ঢাকায় হোটেলে-হোটেলে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। আপনারা অভিযান চালিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন।’

দেশে এখনো মামলা-বাণিজ্য, ঘুষ-বাণিজ্য চলমান উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, এত কিছুর পরও সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।
০১ মার্চ ২০২৫
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সংবিধানে গণভোট নেই যারা বলছেন তাঁদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সংবিধান মেনে সব করলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা কোথাও লেখা নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা উনত্রিশ সালে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংবিধানে গণভোট নেই যারা বলছেন তাঁদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সংবিধান মেনে সব করলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা কোথাও লেখা নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা উনত্রিশ সালে।
আজ মঙ্গলবার পল্টন মোড়ে নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দাবিতে আয়োজিত ৮ দলের গণসমাবেশে এ কথা বলেন হামিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুরা কেউ কেউ বলে—সংবিধানে গণভোট নাই। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের আমলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে গণভোট বাতিল করেছিল শেখ হাসিনা। আজকে যারা বলে সংবিধানে এটা নাই, তারা কি হাসিনার সুরে কথা বলে না?’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যারা বলে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা—৫ বছর পরপর নির্বাচনের কথা সংবিধানে লেখা আছে। চব্বিশে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন হবে কোথায় লেখা আছে? সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে উনত্রিশ সালে।’
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘এই সমাজকে যদি আরও শক্তিশালী করতে, নতুন বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করতে হলে সংস্কারের প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট দেওয়া ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে এ জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনারা আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র বাংলার মাটিতে হতে দেবে না। সরকারকে বলতে চাই জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন।’

সংবিধানে গণভোট নেই যারা বলছেন তাঁদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সংবিধান মেনে সব করলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা কোথাও লেখা নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা উনত্রিশ সালে।
আজ মঙ্গলবার পল্টন মোড়ে নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দাবিতে আয়োজিত ৮ দলের গণসমাবেশে এ কথা বলেন হামিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুরা কেউ কেউ বলে—সংবিধানে গণভোট নাই। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের আমলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে গণভোট বাতিল করেছিল শেখ হাসিনা। আজকে যারা বলে সংবিধানে এটা নাই, তারা কি হাসিনার সুরে কথা বলে না?’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যারা বলে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা—৫ বছর পরপর নির্বাচনের কথা সংবিধানে লেখা আছে। চব্বিশে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে ছাব্বিশ সালে নির্বাচন হবে কোথায় লেখা আছে? সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে উনত্রিশ সালে।’
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘এই সমাজকে যদি আরও শক্তিশালী করতে, নতুন বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করতে হলে সংস্কারের প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট দেওয়া ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে এ জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনারা আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র বাংলার মাটিতে হতে দেবে না। সরকারকে বলতে চাই জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন।’

দেশে এখনো মামলা-বাণিজ্য, ঘুষ-বাণিজ্য চলমান উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, এত কিছুর পরও সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।
০১ মার্চ ২০২৫
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৪ ঘণ্টা আগে