Ajker Patrika

বিএনপির ইফতারে সাংবাদিকদের মারধর, আওয়ামী লীগকে দুষলেন ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩, ২১: ৫০
বিএনপির ইফতারে সাংবাদিকদের মারধর, আওয়ামী লীগকে দুষলেন ফখরুল

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার মিরপুরের পল্লবীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঘটনাটি ঘটে। এতে এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি ইমরুল আহসান জনিসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তিনি মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবাইকে শৃঙ্খলার মধ্যে আসতে হবে। আওয়ামী লীগের দালালেরা অনুষ্ঠানে ঢুকে বিশৃঙ্খলা করেছে। সরকারের দালালেরা গণমাধ্যমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে, বিশৃঙ্খলা করছে।’ 

আহত সাংবাদিক ইমরুল আহসান জনির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে উপস্থিত অন্য সাংবাদিকেরা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় কয়েকজন ক্যামেরাপারসন আহত হয়েছেন। দুটি টেলিভিশনের ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে।’ 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংগ্রাম করছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এমন একটি সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছে, যে সরকার মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না, মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। তারা যেকোনো উপায়ে হোক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চায়। তাঁদের অত্যাচার থেকে কেউ বাদ যাচ্ছে না। ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে নওগাঁয় একজন অসহায় নিরপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধু মামলা নয়, এই সরকার আরও তিনজন শ্রদ্ধেয় সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তাঁরা হলেন সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। আজকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা কোনোটাই নেই দেশে।’ 

এ সময় আরও উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত