তানিম আহমেদ, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। বিষয়টি সুরাহা না হলে সনদে স্বাক্ষর করে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করে দলগুলো। তাই সনদে শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করবে কি না, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ও বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে দলগুলো। তবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এতে সবার মতের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। সনদে স্বাক্ষরের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আজ শনিবার বিকেল ৫টার মধ্যে দুই ব্যক্তির নাম পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দলগুলোর কাছ থেকে কমিশন কোনো নাম পায়নি বলে জানা গেছে।
বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল দলীয় ফোরামের বৈঠকে নাম পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল বলে দলটির একটি সূত্র জানায়। তবে রাত ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক শেষ হয়নি।
জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে মূল্যায়ন করতে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা গতকাল বৈঠকে বসেন। দলটি জুলাই সনদের বিষয়ে ভাবছে বলে জানিয়েছেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সনদের বিষয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। সেটি এখনো শেষ হয়নি।’ স্বাক্ষরের জন্য কমিশনে নাম পাঠানো হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখি আমরা পরামর্শ করি। তারপর সিদ্ধান্ত জানাব।’
অন্যদিকে এনসিপিও চূড়ান্ত জুলাই সনদের বিষয়ে মূল্যায়ন করতে গতকাল রাতে বৈঠকে বসে। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস্তবায়ন পদ্ধতি কমিশন যদি সরকারের দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে তো সেটি পরের সংসদ বা অনিশ্চয়তায় ঠেলে দেওয়ার নামান্তর। এ অবস্থায় স্বাক্ষর করা হবে কি না, তা দলীয় ফোরামে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে ইসলামী আন্দোলন। সে নিশ্চয়তা পেলে দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন। তিনি বলেন, ‘দলগুলোতে কমিশনকে একটি পরামর্শ দিয়েছে। সেটি যদি মানে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব, স্বাক্ষর করব কি করব না।’
জুলাই সনদে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের বিষয়ে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ। কিন্তু চূড়ান্ত সনদে কোটা আন্দোলন থাকলেও ২০১৮ সালের কথা নির্দিষ্ট না থাকায় সনদে স্বাক্ষর নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দলটি। দলটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। চূড়ান্ত সনদে সেটি দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে আমরা সনদে স্বাক্ষর করব কি না, তা দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেব।’
জুলাই সনদে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বসহ বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী)। এসব বিষয়ে সমাধান না হলে দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে সূত্রে জানা গেছে। সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জাতীয় সনদে রাখার পক্ষে সিপিবি। অন্যদিকে স্বাক্ষরকারী দলগুলো সনদের বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলতে পারবে না—এমন বিষয়ে আপত্তি দলটির। এ বিষয় থাকলে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বিষয়গুলোর সমাধান হলেই কমিশনে নাম পাঠাবে দলটি।
এদিকে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটির পক্ষ থেকে মহাসচিব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও সহসভাপতি তানিয়া রবের নাম পাঠানো হবে। শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুজনের নাম আমরা কমিশনে পাঠাব।’
এদিকে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের সদস্যরা। দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন শুধু একটি সাধারণ নির্বাচনই নয়, এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে আগামীর বাংলাদেশের পথরেখা। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।’
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ সব বিষয় প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়। সেখানে সনদ বাস্তবায়নে দলগুলোর প্রস্তাবের সুবিধা-অসুবিধাগুলো বলা হয়। একই সঙ্গে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর একমত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলোর অবস্থানও প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়।
বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্বাচনের ডামাডোলে যাতে সংস্কারের প্রশ্ন পিছিয়ে না পড়ে, সে জায়গায় গুরুত্ব দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া জরুরি বিষয়। তা আগামী নির্বাচনকে যথাযথ ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রয়োজনীয়। সেটিতে প্রধান উপদেষ্টা সমর্থনও জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার জোর দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
আগামীকাল রোববার সকালে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। বিকেলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে কমিশন। সেটি সোমবারেও গড়াতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে। কিছু বিষয়ে অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সুস্পষ্ট সমর্থন পেয়েছে কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে। তাই সরকার সনদ বাস্তবায়নে দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হতে পারবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। বিষয়টি সুরাহা না হলে সনদে স্বাক্ষর করে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করে দলগুলো। তাই সনদে শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করবে কি না, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ও বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে দলগুলো। তবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এতে সবার মতের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। সনদে স্বাক্ষরের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আজ শনিবার বিকেল ৫টার মধ্যে দুই ব্যক্তির নাম পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দলগুলোর কাছ থেকে কমিশন কোনো নাম পায়নি বলে জানা গেছে।
বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল দলীয় ফোরামের বৈঠকে নাম পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল বলে দলটির একটি সূত্র জানায়। তবে রাত ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক শেষ হয়নি।
জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে মূল্যায়ন করতে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা গতকাল বৈঠকে বসেন। দলটি জুলাই সনদের বিষয়ে ভাবছে বলে জানিয়েছেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সনদের বিষয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। সেটি এখনো শেষ হয়নি।’ স্বাক্ষরের জন্য কমিশনে নাম পাঠানো হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখি আমরা পরামর্শ করি। তারপর সিদ্ধান্ত জানাব।’
অন্যদিকে এনসিপিও চূড়ান্ত জুলাই সনদের বিষয়ে মূল্যায়ন করতে গতকাল রাতে বৈঠকে বসে। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস্তবায়ন পদ্ধতি কমিশন যদি সরকারের দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে তো সেটি পরের সংসদ বা অনিশ্চয়তায় ঠেলে দেওয়ার নামান্তর। এ অবস্থায় স্বাক্ষর করা হবে কি না, তা দলীয় ফোরামে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে ইসলামী আন্দোলন। সে নিশ্চয়তা পেলে দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন। তিনি বলেন, ‘দলগুলোতে কমিশনকে একটি পরামর্শ দিয়েছে। সেটি যদি মানে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব, স্বাক্ষর করব কি করব না।’
জুলাই সনদে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের বিষয়ে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ। কিন্তু চূড়ান্ত সনদে কোটা আন্দোলন থাকলেও ২০১৮ সালের কথা নির্দিষ্ট না থাকায় সনদে স্বাক্ষর নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দলটি। দলটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। চূড়ান্ত সনদে সেটি দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে আমরা সনদে স্বাক্ষর করব কি না, তা দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেব।’
জুলাই সনদে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বসহ বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী)। এসব বিষয়ে সমাধান না হলে দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে সূত্রে জানা গেছে। সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জাতীয় সনদে রাখার পক্ষে সিপিবি। অন্যদিকে স্বাক্ষরকারী দলগুলো সনদের বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলতে পারবে না—এমন বিষয়ে আপত্তি দলটির। এ বিষয় থাকলে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বিষয়গুলোর সমাধান হলেই কমিশনে নাম পাঠাবে দলটি।
এদিকে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটির পক্ষ থেকে মহাসচিব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও সহসভাপতি তানিয়া রবের নাম পাঠানো হবে। শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুজনের নাম আমরা কমিশনে পাঠাব।’
এদিকে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের সদস্যরা। দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন শুধু একটি সাধারণ নির্বাচনই নয়, এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে আগামীর বাংলাদেশের পথরেখা। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।’
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ সব বিষয় প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়। সেখানে সনদ বাস্তবায়নে দলগুলোর প্রস্তাবের সুবিধা-অসুবিধাগুলো বলা হয়। একই সঙ্গে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর একমত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলোর অবস্থানও প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়।
বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্বাচনের ডামাডোলে যাতে সংস্কারের প্রশ্ন পিছিয়ে না পড়ে, সে জায়গায় গুরুত্ব দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া জরুরি বিষয়। তা আগামী নির্বাচনকে যথাযথ ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রয়োজনীয়। সেটিতে প্রধান উপদেষ্টা সমর্থনও জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার জোর দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
আগামীকাল রোববার সকালে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। বিকেলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে কমিশন। সেটি সোমবারেও গড়াতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে। কিছু বিষয়ে অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সুস্পষ্ট সমর্থন পেয়েছে কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে। তাই সরকার সনদ বাস্তবায়নে দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হতে পারবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৩ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
অনিবার্য কারণে ঘোষিত মাদারীপুর-১ আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
অনিবার্য কারণে ঘোষিত মাদারীপুর-১ আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। বিষয়টি সুরাহা না হলে সনদে স্বাক্ষর করে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করে দলগুলো।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৩ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। বিষয়টি সুরাহা না হলে সনদে স্বাক্ষর করে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করে দলগুলো।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। বিষয়টি সুরাহা না হলে সনদে স্বাক্ষর করে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করে দলগুলো।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। বিষয়টি সুরাহা না হলে সনদে স্বাক্ষর করে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করে দলগুলো।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৩ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
৪ ঘণ্টা আগে