নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অনলাইন পোর্টাল নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আয়নাঘরের মতো কথাগুলো আমরা বহু আগে থেকেই বলছি। নেত্র নিউজ বলেছে বলেই আপনারা গুরুত্ব দিচ্ছেন, বিশ্ববাসী গুরুত্ব দিচ্ছে।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু এই যে গুম করে নিয়ে যায়, গুম করে রাখে, তাদের অনেককে মেরে ফেলে, তাদের অনেককে হয়তো ছেড়ে দেয়, ভয়ে কেউ কোনো কথা বলে না—এই কথাগুলো বহুবার বলেছি। আজকে নেত্র নিউজের নিউজটা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে সবাই জানতে পারছি যে, এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে গুম করে হত্যা করেই তো একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকে, টিকে থাকতে চায়, টিকে থাকার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টাটাই তাঁরা করছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘আয়নাঘর’ নিয়ে জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির দুরবস্থার জন্য ‘সরকারের দুর্নীতিকে’ দায়ী করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতি এবং ব্যর্থতার কারণেই আজ দেশে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নাই, সেখানে সরকার টাকা দিচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে গেছে। দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে।’
বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হরতাল আর অবরোধ—এই ধরনের বিষয়গুলোই শুধু আন্দোলন নয়। মানুষকে আস্তে আস্তে তৈরি করে তাদের রাস্তায় নামানোর জন্য সম্পৃক্ত করাটাই হচ্ছে আন্দোলন। সেই কাজটাই আমরা করছি। আওয়ামী সরকারের নির্যাতন সহ্য করেও মানুষ এখন রাস্তায় বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। মানুষ যখন বেরিয়ে আসবে, রাজপথ যখন দখল করবে, তখনই আন্দোলনটা চরম পর্যায়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কখনোই তাঁর কোনো কথা বিশ্বাস করি না। একটিমাত্র কারণেই যে, তাঁরা যা বলেন, তা করেন না। কথাবার্তায় তাঁরা প্রতারকের ভূমিকা পালন করেন।’
এদিকে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের এশিয়া-প্যাসিফিক শাখার প্রধান ররি মুনগোবেনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে চার প্রতিনিধি দল মুনগোবেনের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়াল, মানবাধিকারবিষয়ক কমিটির ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস।
দীর্ঘ ৫০ মিনিটের বৈঠক শেষে হোটেল লাউঞ্জে সাংবাদিকদের আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন, সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য তাঁকে বলেছি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আমরা ব্যাখ্যা করেছি, যেটা পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে এসেছে।’
হাইকমিশনার কী বলেছেন জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘তিনি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তিনি ফিডব্যাক দেবেন না আমাদের। আপনাদের সঙ্গে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সংবাদ সম্মেলন আছে বিকেলে, সেখানে হয়তো বলবেন।’
শ্যামা ওবায়েদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আপনারা (গণমাধ্যমের সাংবাদিক) যেভাবে দেখেন, বিএনপি সেভাবেই দেখে। সারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নতুন করে বলার কিছু নেই। সবই আপনারা জানেন, সকলে জানে।’
এর আগে গত রোববার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন।
অনলাইন পোর্টাল নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আয়নাঘরের মতো কথাগুলো আমরা বহু আগে থেকেই বলছি। নেত্র নিউজ বলেছে বলেই আপনারা গুরুত্ব দিচ্ছেন, বিশ্ববাসী গুরুত্ব দিচ্ছে।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু এই যে গুম করে নিয়ে যায়, গুম করে রাখে, তাদের অনেককে মেরে ফেলে, তাদের অনেককে হয়তো ছেড়ে দেয়, ভয়ে কেউ কোনো কথা বলে না—এই কথাগুলো বহুবার বলেছি। আজকে নেত্র নিউজের নিউজটা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে সবাই জানতে পারছি যে, এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে গুম করে হত্যা করেই তো একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকে, টিকে থাকতে চায়, টিকে থাকার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টাটাই তাঁরা করছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘আয়নাঘর’ নিয়ে জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির দুরবস্থার জন্য ‘সরকারের দুর্নীতিকে’ দায়ী করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতি এবং ব্যর্থতার কারণেই আজ দেশে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নাই, সেখানে সরকার টাকা দিচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে গেছে। দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে।’
বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হরতাল আর অবরোধ—এই ধরনের বিষয়গুলোই শুধু আন্দোলন নয়। মানুষকে আস্তে আস্তে তৈরি করে তাদের রাস্তায় নামানোর জন্য সম্পৃক্ত করাটাই হচ্ছে আন্দোলন। সেই কাজটাই আমরা করছি। আওয়ামী সরকারের নির্যাতন সহ্য করেও মানুষ এখন রাস্তায় বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। মানুষ যখন বেরিয়ে আসবে, রাজপথ যখন দখল করবে, তখনই আন্দোলনটা চরম পর্যায়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কখনোই তাঁর কোনো কথা বিশ্বাস করি না। একটিমাত্র কারণেই যে, তাঁরা যা বলেন, তা করেন না। কথাবার্তায় তাঁরা প্রতারকের ভূমিকা পালন করেন।’
এদিকে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের এশিয়া-প্যাসিফিক শাখার প্রধান ররি মুনগোবেনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে চার প্রতিনিধি দল মুনগোবেনের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়াল, মানবাধিকারবিষয়ক কমিটির ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস।
দীর্ঘ ৫০ মিনিটের বৈঠক শেষে হোটেল লাউঞ্জে সাংবাদিকদের আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন, সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য তাঁকে বলেছি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আমরা ব্যাখ্যা করেছি, যেটা পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে এসেছে।’
হাইকমিশনার কী বলেছেন জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘তিনি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তিনি ফিডব্যাক দেবেন না আমাদের। আপনাদের সঙ্গে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সংবাদ সম্মেলন আছে বিকেলে, সেখানে হয়তো বলবেন।’
শ্যামা ওবায়েদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আপনারা (গণমাধ্যমের সাংবাদিক) যেভাবে দেখেন, বিএনপি সেভাবেই দেখে। সারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নতুন করে বলার কিছু নেই। সবই আপনারা জানেন, সকলে জানে।’
এর আগে গত রোববার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন।
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
৬ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতি করতে গিয়ে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশকে একটি তাঁবেদারি রাষ্ট্রে, একটি বিশাল বড় জেলখানায় পরিণত করেছিল। বর্তমানে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও যাঁরা মনে করছেন নির্বাচন দিলে জনগণ ভোট দিয়ে বিএনপিকে সরকার গঠনে সহায়তা করবে, যাঁরা এ চিন্তা থেকে বিএনপির বিজয়...
৮ ঘণ্টা আগেজামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পরে মানুষের মধ্যে নতুন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। মানুষ আসলে আগামী দিনের জন্য একটা সুন্দর পলিটিক্যাল সিস্টেম চায়। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ এখন পিআরের পক্ষে মত দিচ্ছে। আমরা চাই, সবাই যেন বেস্ট পলিসিটা গ্রহণ করে নেয়। এতে দেশের মঙ্গল।’
৯ ঘণ্টা আগেনাশকতার অভিযোগে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় করা এক মামলা থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৬৫ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন অব্যাহতির এই আদেশ দেন।
১১ ঘণ্টা আগে