Ajker Patrika

৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোটের’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫: ৪৯
৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোটের’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আত্মপ্রকাশ করেছে প্রগতিশীল ইসলামী জোট। আজ বুধবার সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ হয়। জোটের নেতারা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন তাঁরা। 

ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে জোটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জোটের শরিক দলগুলোর চেয়ারম্যানরা কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 

এম এ আউয়াল ২০১৪ সালে তরিকত ফেডারেশন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। পরে অবশ্য ২০১৮ সালে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করেন। 

এম এ আউয়াল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠনের আগে প্রায় দেড় বছর ধরে সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। নির্বাচন সামনে রেখে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ঘোষণা করছি।’ 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা এখন আর সংবিধানে নেই জানিয়ে এম এ আউয়াল বলেন, ‘সংবিধানে যে জিনিসটা নেই, সেটার অধীনে কীভাবে আবার নির্বাচন হবে? সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমরা মনে করি, দেশের সংবিধানের মালিক দেশের জনগণ। সংবিধানই মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এই সংবিধানের আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে প্রগতিশীল ইসলামিক জোট অংশগ্রহণ করবে।’ 

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করবে জানিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে আইন আছে, সেটি যদি তারা যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন, তাহলে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না, তারা তো স্বাধীন। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটা প্রয়োগ করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।’ 
 
জোটের সমন্বয়কারী ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো কোনো দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের জনগণ সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। বিশ্বে নির্বাচন বর্জন যেখানে বিরল, সেখানে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়ে নির্বাচন বর্জনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করারই নামান্তর।’ 

নুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার ফায়দা লুটতে চায়। ইতিমধ্যে নানা বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে, যার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে নতুন করে আমাদের সামনে হাজির করেছে।’ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংবিধানিক শাসনক্ষমতা ও উন্নয়নের দিগন্তবিস্তারি প্রসার আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে জোটের সমন্বয়কারী বলেন, ‘এই লড়াই ও সংগ্রামকে আরও তাৎপর্যমণ্ডিত করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট প্রগতিশীল ইসলামী জোট আত্মপ্রকাশ করছে।’ 

জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে—ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি), ইসলামী লিবারেল পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের আসন পুনর্বহালের দাবিতে ইসিতে বিএনপি-জামায়াতের প্রতিনিধিরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাগেরহাটের আসন পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতের ১০ থেকে ১২ জন প্রতিনিধি ইসি ভবনে আসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাটের আসন পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতের ১০ থেকে ১২ জন প্রতিনিধি ইসি ভবনে আসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের আসন পুনর্বহাল নিয়ে আদালতের রায়ের পর নিজেদের দাবি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জেলার বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন প্রতিনিধি। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আসেন তাঁরা।

এ দলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা উপদেষ্টা ও তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির এবং জামায়াতের মনজুরুল ইসলাম রাহাতসহ ১০ থেকে ১২ জন প্রতিনিধি ছিলেন।

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন থেকে কমিয়ে তিনটি করে নির্বাচন কমিশন যে গেজেট জারি করেছিল, গতকাল সোমবার হাইকোর্ট তা অবৈধ ঘোষণা করে।

পরদিন আজ মঙ্গলবার বাগেরহাটের প্রতিনিধিরা নির্বাচন ভবনে এসে প্রথমে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং পরে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায়ের কপি আসেনি। আমরা এর আগেই ইসি সচিব ও সিইসির সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা বাগেরহাটের সব জনগণের আর্তি তাদের জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনি-বেআইনি যে প্রক্রিয়ায় হোক, ইসি যে কাজটি করেছে তা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে অবৈধ ও বেআইনি ঘোষিত হয়েছে। আমরা ইসিকে অনুরোধ জানাব, আপনারা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন। আর এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাবেন না, ওই অঞ্চলের জনগণের প্রতি নতুন করে চাপ সৃষ্টি হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই সনদের বাইরে গিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিলে স্বাক্ষরকারী দল মানতে বাধ্য নয়: বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিএনপির ফেসবুক পেজ
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিএনপির ফেসবুক পেজ

জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে লিখিত বিষয়ের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। এ ক্ষেত্রে সব দায়দায়িত্বই সরকারের ওপর বর্তাবে। এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ এ কথা বলেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ প্রায় এক বছর যাবৎ আলোচনার ভিত্তিতে কতিপয় নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ বিগত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয় এবং দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সকলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনো কোনো বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তা বিভ্রান্তিকর এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করার শামিল।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন দফায় কিছু নোট অব ডিসেন্ট আছে। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলোর ক্ষেত্রে বলাও আছে সনদে যে, দলগুলো যদি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট পায়, নোট অব ডিসেন্টগুলো তারা সেইভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে আমরা এক শতভাগ একমত এবং এখনো আমরা ওই জায়গাতেই আছি। কিন্তু সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত যে সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করেছে, সেখানে নোট অব ডিসেন্টগুলোর উল্লেখ নাই।’

বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সরকার আহ্বান জানালে আলোচনা হতে পারে, রাজপথে নয়।’

এদিকে দেশে হঠাৎ করে সৃষ্ট নৈরাজ্য প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকেরা জানতে চান দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা এবং সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাবে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কিনা?

এর জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না যে, এটার (মতবিরোধের) সুযোগ এটা।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না, নানাভাবে তারা দেশকে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

বিরাজমান পরিস্থিতি এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে বলে জানান শায়রুল।

এর আগে সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে স্থায়ী কমিটির সভা শুরু হয়। রাত সোয়া ১১টায় এই সভা শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদাবাজদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো: হাসনাত আবদুল্লাহ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৮
সভায় বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভায় বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপি অনেক কষ্ট করে দলটা টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী তাদের নেতাদের মাধ্যমে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। তারা অনেক সময় আমাদের বলে, ‘‘তোমরা দেশটাকে সঠিক পথে নাও। আমাদের দলটাকে তারা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমরা রক্ত ও ঘাম দিয়ে আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতার জন্য।’’’

হাসনাত বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে, যারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত নেই, তাদের আমরা আমাদের দলে নিয়ে নেব। যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে, তারা কখনো চাঁদাবাজি করতে পারে না।’

নিজ দল সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকেই এখন চায়ের দোকানে বসে মশকরা করে এনসিপি করেন, ভোটের পর আর খবর থাকবে না। আমি তাদের বলব—ভালো কাজ অল্পসংখ্যক লোক দিয়েই শুরু হয়। অনেক সময় বলা হয়, সমাজে যারা সংখ্যায় বেশি, তারাই কল্যাণকামী। এটা ভুল। কল্যাণকামীরা সব সময়ই কমসংখ্যক হয়। হাসিনার সময় যারা লড়াই-সংগ্রাম করেছে, তাদের সংখ্যাও কম ছিল।’

নিজ দলের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘জেলার আট উপজেলায় যে জনপ্রতিনিধি দরকার, সেই পরিমাণ লোক এখানে উপস্থিত হয়নি। তাহলে কীভাবে আপনারা কাজ করবেন। কোরাম করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো ১০ জন দিয়ে এনসিপির কমিটি হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা দেখছি ভালো নির্বাচন হবে। তবে অনেকেই ব্যালট না নিয়ে বুলেট বেছে নিয়েছে। তারা ভাবছে, বুলেটের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো নিয়ে যেতে পারবে। ইতিমধ্যে এনসিপির বিষয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে—যদি এনসিপিতে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচনের পরে খবর আছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা ভয় পায়, তারাই জনগণকে ভয় দেখায়। যারা ভয় দেখায়, তারা অতি নিকটবর্তী ক্ষতির মধ্যে আছে। যারা সাহসী মানুষ, তারা ভয় দেখায় না, তারা মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। একটি দল এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।’

এ সময় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ তালুকদারসহ অনেকে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় ছাত্রশক্তি নেতা মো. সাগর হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত