Ajker Patrika

এবার হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
এবার হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবার যে আন্দোলন শুরু করেছে তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এবার আন্দোলন শুরু করেছি। পরিষ্কার কথা-এবার হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সমস্ত দল এতে অংশগ্রহণ করবে। একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে। সে সরকার নতুন করে দেশের অর্থনীতিকে সজীব করে তুলবে।’ 

জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এটি বিএনপির নবম গণসমাবেশ।

গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ৬০০ নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে। এর মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এটাই এই সরকারের চরিত্র। এভাবে তারা বিরোধী দলকে নির্মূল করে দিতে চায়। এতে কি নির্মূল হয়েছে? রাজশাহীর মানুষ ভয় পেয়েছে? পায়নি। আরও উত্তালে জেগে উঠেছে। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে। এর বিকল্প নেই।’ 

রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে মাদ্রাসা মাঠ। ছবি: আজকের পত্রিকাআওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনীতি দল নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এটা একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা লুট করে করে সম্পদের পাহাড় করেছে। সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। কয়দিন আগে ২৫ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য তাদের জেলখানায় নেওয়া হয়েছিল। আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ব্যাংক খালি করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয় না। কয়দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯টা গায়েবি কোম্পানিকে টাকা দিয়ে ব্যাংক খালি করে দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ 

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। ওই সময় গানপাউডার দিয়ে একটা বাসেই ১১ জনকে হত্যা করেছিল। তারপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিলেন। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাঁচটা নির্বাচন হয়ে গেল। এরা ক্ষমতায় আসার পরে কী করল? ওই ব্যবস্থা পাল্টে দিল। কেন? তারা কিছুদিন পরে বুঝতে পারল দুর্নীতির কারণে, লুটপাটের কারণে জনগণ তাদের পছন্দ করছে না। তাই সেটা পাল্টে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ করল। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অন্যথা এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’ 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তাঁর? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেঁড়া করেছ সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেছে সংবিধানে, যার অধীনে একটা কথাও বলা যাবে না। সেই সংবিধান চলতে পারে না। এটাও সংশোধন হতে হবে।’ 

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে ‘গায়েবি’ মামলা নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ওটার মানে কি? ওই যে আপনারা ফেসবুকে সব পোস্ট দেন না? ওইটাতে যদি দেখা যায় কেউ কোন ইঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। জামিন নাই। কোন দেশ? দাবি করেন গণতান্ত্রিক দেশ, অথচ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। খারাপ কাজ করলে বলা যাবে না। এই দেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করেছিলাম, সকলের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা চায় না। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই, যেমন করে পারে বন্দুক-পিস্তল নিয়ে ক্ষমতায় বসে থাক। এই দেশ কি তাদের? এই দেশ আমাদের, এই দেশ জনগণের। এই দেশ শুধু তাদের ইচ্ছেমতো চলতে পারে না।’ 

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার ভাবে, বিএনপিকে এত পেটায়, এত মামলা দেই, তারপরও বিএনপি উঠে আসে কোত্থেকে? বিএনপি মাটি ফুটে বেরিয়ে আসে। এটাই বিএনপি। এ জন্য ভয় পেয়েছে। ১০ তারিখেও ভয় পেয়েছে। আমরা বলেছি, পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশটা করতে চাই। ওদের ঘুম নাই। ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজের ওপর আস্থা নেই বলে ভয় পান। সারাক্ষণ এই গেল, এই গেল, এই বিএনপি এল, বিএনপি এল ভাবতে থাকে।’ 

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টনে অনেক সমাবেশ করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে। ওই দিন তো কোনো সমস্যা হয় নাই। আজকে হঠাৎ আপনাদের মাথায় সমস্যা আসছে কেন? কারণ, আপনারা জানেন অনেক খারাপ কাজ করেছেন। আপনারা ভেতরে-ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।’ 

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকাসরকার জঙ্গি নিয়ে নতুন গল্প শুরু করেছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একটা নতুন গল্প করছে-দেশে জঙ্গি আসছে। অগ্নি সন্ত্রাস হচ্ছে। তারা জঙ্গি তৈরি করে বিএনপিকে ধরার জন্য। নিজেরা নিজেরা বাস পোড়ায়, আর বলে বিএনপি করছে। গুরুদাসপুরে একটা দোকান, ওই দোকানের মধ্যে নাকি ককটেল পেয়েছে। ওরা নিজেরা রাখে, তারপরে বলে এটা বিএনপির লোকজন করেছে। বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করে না। এটা ইতিহাসে নেই।’ 

আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমন দল করেন ছাত্রলীগের সম্মেলন চলে আপনাদের বক্তৃতাই দিতে দেয় না। বের করে দেয়। পত্রিকায় দেখলাম। এই আওয়ামী লীগ দেশের কিছু করতে পারবে না। দেশ আজ তলানিতে চলে গেছে। এমন অবস্থা তৈরি করেছে, এখন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার মতো ডলারও আমাদের হাতে নাই। থাকবে কোত্থেকে? সব পাচার হয়ে গেছে। বিদ্যুতের নাম করে যে লুট করেছে, প্রতি বছর ৭৮ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়। এই লুটপাট আর দেশে চলতে পারে না।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকার বলে উন্নয়ন হচ্ছে। মেগা উন্নয়ন। রাজশাহীতে কয়টা মেগা উন্নয়ন উন্নয়ন হয়েছে? কৃষক ভাইয়েরা? সারের দাম কত? সার পাওয়া যায়? ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছিল সরকার, চাকরি পায় আমার ছেলেরা? কৃষক ভাই ধানের ন্যায্যমূল্য পায় না। তারা (অর্থ পাচারকারীরা) হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে চলে যায়।’ 

ফখরুল বলেন, ‘খবরের কাগজ খুললেই খুন, ধর্ষণ মারামারি, কাটাকাটি ছাড়া খবর নাই। আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদের অত্যাচারে টেকা যায় না। বাড়ি দখল করে নেয়, দোকান দখল করে নেয়। আর কতকাল মানুষ এভাবে কষ্ট করবে? আজকে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। নইলে একাত্তরের স্বাধীনতা টিকবে না। সব ধ্বংস হয়ে যাবে।’ 

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ‘গায়েবি’ মামলা নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের আগে মামলা, হয়রানি। কেন ভাই পুলিশ? আপনারা কি এই দেশের সন্তান না? অত্যাচার নির্যাতন চালাবেন না। এই দেশের মানুষ কোনো দিন অন্যায় সহ্য করেনি। পরিষ্কার করে বলছি, আপনাদের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই। আপনারা রাষ্ট্রের কর্মচারী, আমরা রাষ্ট্রের মালিক। আপনাদের উচিত ছিল, এই ঈদগাহ মাঠ যখন ভরে গেল তখন নিজে থেকে বিদ্যুৎ দেওয়া, পানি দেওয়া, সেবা করা। তা না করে কষ্ট দিয়েছেন। এত অমানুষ আপনারা? এখানে যারা বসে আছে বয়স্ক মানুষেরা, প্রত্যেকে আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। আপনারা দেশের সমস্ত মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটা করবেন না। দেশের মানুষ অন্যায়কে ক্ষমা করবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করেছি। ১৪-১৫ বছর ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছি। আমাদের ভাই মারা গেছে, সন্তান মারা গেছে। অনেকে গুম হয়েছে। তাদের বাচ্চাগুলো জানে না তাদের বাবার কি অপরাধ। আমাদের ইলিয়াস আলী গুম হয়ে গেছে। তার মেয়েটা এখনো দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি তার বাবা ফিরে আসে।’ 

বিএনপির পরিষ্কার কথা-এবার হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। ছবি: আজকের পত্রিকারবিএনপির এই আন্দোলন মানুষের অধিকারের জন্য উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন বিএনপির জন্য নয়। বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য নয়। তারেক রহমানের জন্য আন্দোলন নয়। আমাদের মন্ত্রী হওয়ার জন্যও নয়। এই আন্দোলন অধিকারকে ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আমরা দুবার ভোট দিতে পারলাম না। ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছি।’ 

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে পদ্মার ঠান্ডা বাতাস গায়ে হু হু করে লেগেছে। তারপরও আপনারা এখান থেকে এক বিন্দুও সরেননি। রাজশাহীর মাটি সংগ্রামের মাটি। খেয়ে না খেয়ে থেকেছেন। কীসের ভালোবাসায়, কীসের তাগিদে আপনারা তিন ধরে এখানে কাটালেন? একটিমাত্র কারণ, আপনারা মুক্তি চান। ভয়াবহ দানবের হাত থেকে আপনারা মুক্তি চান।’ 

ফখরুল বলেন, ‘এই ময়দানে নেত্রীকে নিয়ে অনেক প্রোগ্রাম করেছি। আমাদের কি দায়িত্ব নেই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার? তাই জেগে উঠতে হবে। তরুণ-যুবকদের প্রতি আহ্বান রাখতে চাই, আপনারা জেগে উঠুন। দুর্বার গতিতে আসুন। এই ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’ 

এর আগে সকাল ৯টায় বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। এতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাদ্রাসা মাঠ। এ সমাবেশের আগে ধর্মঘট থাকায় তিন দিন আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা এসে অবস্থান করছিলেন। 

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন-স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল মাহমুদ টুকু। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, এমএ মতিন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল মান্নান তালুকদার, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬, ভারতে ১০

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এনসিপি নেতা সারওয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি: শহিদুল আলম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত