লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

দেশে এখন এক–এগারোর আশঙ্কা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা এবার কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র–জনতার রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারও তাঁবেদারি করার আর দরকার নেই। হাসিনার তাঁবেদারি করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারও কাছে আর মাথানত করব না। আমরা ৩ আগস্টেই বলেছিলাম, ওয়ান–ইলেভেন চাই না। ওয়ান–ইলেভেন নিয়ে মিছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ–বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই, সরকারকে সহযোগিতা করি এই সংস্কারগুলো করার জন্য। সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারও যদি দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দিকে চোখ রাঙাতে চায়, আমরা বসে থাকব না। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই। বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরও আমরা বিচারের আওতায় আনব। তাদের বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাব।’
চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের আগে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে আমাদের মা–বোনেরা গুম-খুন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, বাচ্চারা গুমের শিকার হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, জেল খেটেছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনিদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম। সংবর্ধনা শেষে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে উপজেলা হলরুমে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

দেশে এখন এক–এগারোর আশঙ্কা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা এবার কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র–জনতার রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারও তাঁবেদারি করার আর দরকার নেই। হাসিনার তাঁবেদারি করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারও কাছে আর মাথানত করব না। আমরা ৩ আগস্টেই বলেছিলাম, ওয়ান–ইলেভেন চাই না। ওয়ান–ইলেভেন নিয়ে মিছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ–বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই, সরকারকে সহযোগিতা করি এই সংস্কারগুলো করার জন্য। সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারও যদি দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দিকে চোখ রাঙাতে চায়, আমরা বসে থাকব না। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই। বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরও আমরা বিচারের আওতায় আনব। তাদের বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাব।’
চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের আগে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে আমাদের মা–বোনেরা গুম-খুন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, বাচ্চারা গুমের শিকার হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, জেল খেটেছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনিদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম। সংবর্ধনা শেষে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে উপজেলা হলরুমে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

দেশে এখন এক–এগারোর আশঙ্কা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা এবার কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র–জনতার রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারও তাঁবেদারি করার আর দরকার নেই। হাসিনার তাঁবেদারি করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারও কাছে আর মাথানত করব না। আমরা ৩ আগস্টেই বলেছিলাম, ওয়ান–ইলেভেন চাই না। ওয়ান–ইলেভেন নিয়ে মিছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ–বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই, সরকারকে সহযোগিতা করি এই সংস্কারগুলো করার জন্য। সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারও যদি দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দিকে চোখ রাঙাতে চায়, আমরা বসে থাকব না। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই। বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরও আমরা বিচারের আওতায় আনব। তাদের বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাব।’
চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের আগে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে আমাদের মা–বোনেরা গুম-খুন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, বাচ্চারা গুমের শিকার হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, জেল খেটেছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনিদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম। সংবর্ধনা শেষে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে উপজেলা হলরুমে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

দেশে এখন এক–এগারোর আশঙ্কা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা এবার কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র–জনতার রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারও তাঁবেদারি করার আর দরকার নেই। হাসিনার তাঁবেদারি করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারও কাছে আর মাথানত করব না। আমরা ৩ আগস্টেই বলেছিলাম, ওয়ান–ইলেভেন চাই না। ওয়ান–ইলেভেন নিয়ে মিছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ–বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই, সরকারকে সহযোগিতা করি এই সংস্কারগুলো করার জন্য। সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারও যদি দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দিকে চোখ রাঙাতে চায়, আমরা বসে থাকব না। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই। বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরও আমরা বিচারের আওতায় আনব। তাদের বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাব।’
চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের আগে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে আমাদের মা–বোনেরা গুম-খুন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, বাচ্চারা গুমের শিকার হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, জেল খেটেছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনিদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম। সংবর্ধনা শেষে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে উপজেলা হলরুমে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
৩ মিনিট আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
২৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর এই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। এরপর জোটের প্রার্থীর নিজদলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান নিয়ে বিএনপি আপত্তি তোলে। দলটি বলেছে, এ বিষয়ে সরকার কোনো আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিধান বাতিল করে আগের বিধান পুনর্বহালে আইন উপদেষ্টাকে লিখিত আবেদন জানায় বিএনপি। পরে ১২-দলীয় জোটও নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি নিয়ে লিখিত আবেদন জানায়।
কিন্তু জামায়াত ও এনসিপি ২০ ধারার এ সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়। কোনো একটি দলের চাপে অধ্যাদেশের সংশোধন পরিবর্তন না করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হুঁশিয়ারও করে এনসিপি।
এ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে সে বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না, নিজ দলের প্রতীকই নিতে হবে।
আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তাতে জোটভুক্ত হলেও মনোনীত প্রার্থীকে তাঁর দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আগের বিধান অনুযায়ী, জোটের প্রার্থীরা নিবন্ধিত দলের যেকোনো একটি প্রতীকে ভোট করতে পারতেন।
সাধারণত জোটভুক্ত ছোট দলের কয়েকজন প্রার্থী প্রধান দলগুলোর প্রতীক ব্যবহার করতেন এবং তাঁরা জয়ীও হতেন। কিন্তু এবার এই পথ বন্ধ হলো। এ বিষয়ে বিএনপিসহ আপত্তি জানানো দলগুলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল—জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়েক দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলের যাঁরা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন—‘‘ছোট দল’’ বলে কাউকে অসম্মান করছি না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট-বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তাঁরা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এরপর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে উল্টো দাবি জানানো হয়। জামায়াতসহ আটটি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে স্মারকলিপি দেয়। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনোভাবেই সংশোধিত বিধান পরিবর্তন করা যাবে না। জোটে ভোট করলেও স্ব স্ব দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আরপিও সংশোধনের চেষ্টার প্রতিবাদ জানান জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সবশেষে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। দলের সচিব আখতার হোসেন সেখানে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।’
আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।
গত রোববার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সিইসির কাছে চিঠি দেন। সেখানে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করার যে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, তা একটি ঐতিহাসিক ও নীতিগতভাবে সঠিক পদক্ষেপ। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিওর সংশোধনীর মাধ্যমে উক্ত বিধান অনুমোদিত হয়েছে এবং শুধু গেজেট প্রকাশ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এখন সরকার বা নির্বাচন কমিশন যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজনৈতিক চাপে পাস হওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার মাধ্যমে সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে শুধু কমিশনের স্বাধীনতার ওপরই আঘাত নয়, বরং পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও সরকারের কার্যক্রমের ওপরও আঘাত।’
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপদেষ্টা পরিষদের সংশোধনের পর নতুন করে আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দলগুলোর অবস্থানে ‘হতাশা’ প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর এই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। এরপর জোটের প্রার্থীর নিজদলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান নিয়ে বিএনপি আপত্তি তোলে। দলটি বলেছে, এ বিষয়ে সরকার কোনো আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিধান বাতিল করে আগের বিধান পুনর্বহালে আইন উপদেষ্টাকে লিখিত আবেদন জানায় বিএনপি। পরে ১২-দলীয় জোটও নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি নিয়ে লিখিত আবেদন জানায়।
কিন্তু জামায়াত ও এনসিপি ২০ ধারার এ সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়। কোনো একটি দলের চাপে অধ্যাদেশের সংশোধন পরিবর্তন না করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হুঁশিয়ারও করে এনসিপি।
এ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে সে বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না, নিজ দলের প্রতীকই নিতে হবে।
আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তাতে জোটভুক্ত হলেও মনোনীত প্রার্থীকে তাঁর দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আগের বিধান অনুযায়ী, জোটের প্রার্থীরা নিবন্ধিত দলের যেকোনো একটি প্রতীকে ভোট করতে পারতেন।
সাধারণত জোটভুক্ত ছোট দলের কয়েকজন প্রার্থী প্রধান দলগুলোর প্রতীক ব্যবহার করতেন এবং তাঁরা জয়ীও হতেন। কিন্তু এবার এই পথ বন্ধ হলো। এ বিষয়ে বিএনপিসহ আপত্তি জানানো দলগুলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল—জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়েক দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলের যাঁরা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন—‘‘ছোট দল’’ বলে কাউকে অসম্মান করছি না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট-বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তাঁরা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এরপর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে উল্টো দাবি জানানো হয়। জামায়াতসহ আটটি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে স্মারকলিপি দেয়। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনোভাবেই সংশোধিত বিধান পরিবর্তন করা যাবে না। জোটে ভোট করলেও স্ব স্ব দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আরপিও সংশোধনের চেষ্টার প্রতিবাদ জানান জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সবশেষে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। দলের সচিব আখতার হোসেন সেখানে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।’
আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।
গত রোববার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সিইসির কাছে চিঠি দেন। সেখানে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করার যে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, তা একটি ঐতিহাসিক ও নীতিগতভাবে সঠিক পদক্ষেপ। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিওর সংশোধনীর মাধ্যমে উক্ত বিধান অনুমোদিত হয়েছে এবং শুধু গেজেট প্রকাশ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এখন সরকার বা নির্বাচন কমিশন যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজনৈতিক চাপে পাস হওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার মাধ্যমে সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে শুধু কমিশনের স্বাধীনতার ওপরই আঘাত নয়, বরং পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও সরকারের কার্যক্রমের ওপরও আঘাত।’
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপদেষ্টা পরিষদের সংশোধনের পর নতুন করে আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দলগুলোর অবস্থানে ‘হতাশা’ প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশে এখন এক–এগারো নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণ
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
২৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের দায়িত্ব ‘সরকারকেই নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্যথায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, বাংলাদেশ নতুন করে একটি বড় সংকটের দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়গুলো সরকারকেই সমাধান করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় নির্বাচন আবারও একটা সংকটের মধ্যে পড়ল। অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো মোটাদাগে একটা ঐকমত্যে পৌঁছেছিল এবং সেই অনুযায়ী জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি আমরা। কিন্তু পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এমন কিছু জায়গায় পরিবর্তন এনেছে, যা অনেক রাজনৈতিক দলের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব না।’
মান্না আরও বলেন, ‘বিশেষ করে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়ার পর যেভাবে নোট অব ডিসেন্ট অকার্যকর হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা যে বিএনপি গ্রহণ করবে না, তা পরিষ্কার। নোট অব ডিসেন্টসহ কীভাবে গণভোট আয়োজন করা হবে, সরকারের কাছে সেই ব্যাপারে আমরা আগেই প্রশ্ন তুলেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ডিসেন্টিং অপিনিয়নসহ একটা প্যাকেজ আকারে গণভোটে যাওয়ার ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও সেই ভিত্তিতেই দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে সনদ প্রস্তুত করেছে।’
তবে জুলাই সনদ স্বাক্ষর-পরবর্তী সময়ে দলগুলোর সঙ্গে ‘আলোচনা ছাড়াই’ সেখান থেকে সরে এসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরির পথ সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে মান্না বলেন, এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে সব দায়-দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে ছেড়ে দিয়ে সাত দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মান্না বলেন, যেখানে কমিশন গঠন করে তিন মাসের বেশি সময় ধরে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সেখানে দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছাবে—এই প্রত্যাশা করা অবান্তর। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, সরকার সাত দিন পর নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে এত দিন ধরে সেশনের পর সেশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের দায়িত্ব ‘সরকারকেই নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্যথায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, বাংলাদেশ নতুন করে একটি বড় সংকটের দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়গুলো সরকারকেই সমাধান করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় নির্বাচন আবারও একটা সংকটের মধ্যে পড়ল। অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো মোটাদাগে একটা ঐকমত্যে পৌঁছেছিল এবং সেই অনুযায়ী জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি আমরা। কিন্তু পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এমন কিছু জায়গায় পরিবর্তন এনেছে, যা অনেক রাজনৈতিক দলের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব না।’
মান্না আরও বলেন, ‘বিশেষ করে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়ার পর যেভাবে নোট অব ডিসেন্ট অকার্যকর হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা যে বিএনপি গ্রহণ করবে না, তা পরিষ্কার। নোট অব ডিসেন্টসহ কীভাবে গণভোট আয়োজন করা হবে, সরকারের কাছে সেই ব্যাপারে আমরা আগেই প্রশ্ন তুলেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ডিসেন্টিং অপিনিয়নসহ একটা প্যাকেজ আকারে গণভোটে যাওয়ার ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও সেই ভিত্তিতেই দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে সনদ প্রস্তুত করেছে।’
তবে জুলাই সনদ স্বাক্ষর-পরবর্তী সময়ে দলগুলোর সঙ্গে ‘আলোচনা ছাড়াই’ সেখান থেকে সরে এসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরির পথ সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে মান্না বলেন, এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে সব দায়-দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে ছেড়ে দিয়ে সাত দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মান্না বলেন, যেখানে কমিশন গঠন করে তিন মাসের বেশি সময় ধরে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সেখানে দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছাবে—এই প্রত্যাশা করা অবান্তর। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, সরকার সাত দিন পর নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে এত দিন ধরে সেশনের পর সেশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

দেশে এখন এক–এগারো নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণ
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
অনিবার্য কারণে ঘোষিত মাদারীপুর-১ আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
অনিবার্য কারণে ঘোষিত মাদারীপুর-১ আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।

দেশে এখন এক–এগারো নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণ
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
৩ মিনিট আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
২৪ মিনিট আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

দেশে এখন এক–এগারো নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা তুঙ্গে। ‘সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে নির্বাচনে বিলম্ব’ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা এক–এগারো চাই না। একটি গণ
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
৩ মিনিট আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
২৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে