মতামত

শনিবার তালেবান সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আপাতত কাবুল শহরে ঢুকবে না। পশ্চিমা কূটনীতিক আর সৈন্যদের সরে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকবে তারা। কিন্তু রোববার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ করেই দেশ ছাড়েন। এই ঘটনা আফগানিস্তানের পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে তোলে।

ক. নির্বাচনে দাঁড়িয়ে প্রার্থীরা সাধারণত ভোটারদের কাছে গালভরা সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। এগুলো আসলে ভোটারদের মন ভুলিয়ে ভোট আদায়ের কৌশল ছাড়া কিছু নয়। যিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি যেমন জানেন এগুলো কোনো দিন বাস্তবায়ন করা হবে না, ভোটাররাও বিষয়টি বোঝেন না তা নয়। তবু ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বান বয়ে যায়।

শওকত ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে লিখেছিলেন, ‘আর তো কিছু শোনার প্রয়োজন করে না।’ ঘাতকদের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদীরা ঘাতক খুঁজে পায় তৃতীয় বিশ্বের সামাজিক নর্দমা থেকে!’ লিখেছিলেন, ‘এমন ফেরেবের গর্তে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চলে গেলেন বড় চড়া দাম দিয়ে। দেশপ্রেমের অভাব থাকলে তিনি

করোনা টিকার জন্য আর আমাদের বাইরের কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে করোনার টিকা। চীনের সিনোফার্ম ও বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে করোনার টিকা উৎপাদনের বৈশ্বিক ব্যবস্থার

ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। বিমানবন্দরের একটি উড়োজাহাজের দিকে জনস্রোত। যে যেভাবে পারছেন, উঠতে চাইছেন উড়োজাহাজে। যেকোনো মূল্যে দেশ থেকে সরে পড়তে হবে! আফগানিস্তানের কাবুল এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে থাকা উড়োজাহাজটিকে মনে হচ্ছিল সেই আদিকালে ঢাকার রামপুরা-সদরঘাট চলাচলকারী মুড়ির টিন বাস।

যে পথে গত কিছুদিন সুনসান নীরবতায় দম বন্ধ লাগত; সেই পথে ঘন হয়ে রিকশায় বসা একজোড়া তরুণ-তরুণীর উচ্ছ্বাস আর উদ্দামতায় চোখ আটকে গেল। ছেলেটি মেয়েটির এলো চুল ঠিক করে দিচ্ছে। আর মেয়েটি অপলক চেয়ে আছে ছেলেটির দিকে! মনে হলো–আহা…কত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাদের এ চোখের মিলন!

পৃথিবীর বৃহত্তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা টোকিও ২০২০ অলিম্পিক শেষ হলো সম্প্রতি। এবারের প্রতিযোগিতা করোনা অতিমারির কারণে নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে, দর্শকশূন্য পরিবেশে। জাপানিরা এই করোনা মহামারির সময়েও অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করল এই মহাযজ্ঞ

ক্ষমতা দখলের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কবিতা লেখা শুরু করেন। তাঁর চকচকে কবিতার বই বের হয়, পত্রপত্রিকার প্রথম পাতায় কিংবা সাহিত্য পাতায় এরশাদের কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। নবগঠিত কবিতা পরিষদকে প্রতিহত করার জন্য এরশাদ কবি সংঘ গঠন করেন

শিক্ষার্থীকেই। বাক্যটির সরল অর্থ হলো, কোনো কিছুকেই অবহেলা করতে নেই। যা অবহেলা করা হচ্ছে, তার মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে অপার সম্ভাবনা। আমরা যা শিখি বাস্তব জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই তার সবকিছু প্রয়োগ করি না। ফল প্রত্যাশা করে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করা ভালো

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গণহত্যার রাতের দুঃসহ স্মৃতি বাঙালি জাতিকে বারবার রক্তাক্ত ও বিষণ্ণ করে তোলে। আজও মানুষ স্তম্ভিত ও ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে ইতিহাসের কলঙ্কিত, জঘন্যতম ও অভিশপ্ত সেই সময়ের কথা ভেবে। সেদিন ভোররাতে ঘাতকের নিষ্ঠুর ও হিংস্রতম আক্রমণে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনত

প্রবীণ রাজনীতিক ও চলচ্চিত্রকার শফি বিক্রমপুরী একটি গল্প শুনিয়েছিলেন। রাজনৈতিক নেতার বালকপুত্র পিতার কাছে বায়না ধরল সে রাজনীতি করবে, তাকে রাজনীতি শেখাতে হবে। পিতা বললেন, বাবা, রাজনীতি কোনো ভালো কাজ নয়।

একবার পুজোর ছুটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখান থেকে দুই মাতুল সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় আর গিরীন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে স্টিমারে করে কলকাতায় ফিরছেন। সে সময় পাটনা থেকে কলকাতায় নিয়মিত স্টিমার সার্ভিস ছিল।

আগে কখনো এমনটি দেখা যায়নি; এখন তা বারবার ঘটছে। এখনই কেন তা বারবার ঘটছে? আর তা কেন পদ্মা সেতুতেই হবে? আর কিছু কি নেই ধাক্কা খাওয়ার জন্য? ঘুরেফিরে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাতটা লাগছে, কেন? এ ঘটনার পর বারবার একটি প্রশ্ন মনে ঘুরছে, তা হলো—এটা যে বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু, ফেরিগুলো ‘চিনিল কেমনে!’

পরীমণির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধটি আমি খুঁজে পেয়েছি এবং সম্ভবত এর জন্য তাঁর শাস্তি অবশ্যম্ভাবী। যদিও এর সব কটিই সবার জানা এবং বহুল আলোচিত। তবু আবার বলি, তিনি হাজার কোটি টাকা লোপাট করেননি। খুন, হত্যা, গুমের মতো অপরাধ করেননি, মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে তা ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গেছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ তো হলো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর আরও আধুনিকায়ন হবে, সেটিও নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে এখন বড্ড প্রয়োজন নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যে পরিণত হয়। এর পর ঠিকই পাকিস্তান আর্মির জেনারেল জিয়াউল হক ভুট্টোকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করে।

১৯৪৪ সালের ১১ মার্চ  বাঁশখালীর শেখেরখীলে জন্ম নেন শহীদ মৌলভী সৈয়দ। অবাক করা ব্যাপার হলো, বঙ্গবন্ধু এবং শহীদ মৌলভী সৈয়দের জন্ম, মৃত্যুর মাস একই। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সারা দেশে যে কজন বিপ্লবী অস্ত্র