সম্পাদকীয়
ক্ষমতা দখলের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কবিতা লেখা শুরু করেন। তাঁর চকচকে কবিতার বই বের হয়, পত্রপত্রিকার প্রথম পাতায় কিংবা সাহিত্য পাতায় এরশাদের কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। নবগঠিত কবিতা পরিষদকে প্রতিহত করার জন্য এরশাদ কবি সংঘ গঠন করেন। আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবের আয়োজন করেন। নানা দেশ থেকে কবি ও সাংবাদিকেরা এই সম্মেলনে যোগ দিলেও দেশের শীর্ষ কবি-লেখক এবং নবীন কবিরাও এই সম্মেলন বর্জন করেন। ফলে উৎসবটি ছিল প্রাণহীন।
যে কবিরা সরকারি চাকরি করতেন, তাঁদের কবি সংঘে যোগ দিতে বাধ্য করেন এরশাদ। চাকরির কারণে এরশাদকে পছন্দ না করলেও অনেক কবি সেই সংঘে যোগ দিতে বাধ্য হন। তবে অনেক চাটুকার কবিও জুটে যায় এরশাদের সঙ্গে। কবি সাইয়িদ আতীকুল্লাহ তখন ছিলেন জনতা ব্যাংকের জনসংযোগ অফিসার। প্রগতিশীল আন্দোলনের একজন যথার্থ কর্মী তিনি। পঠন-পাঠনে তাঁর ব্যাপ্তি ছিল ঈর্ষণীয়।
রাষ্ট্রপতি এরশাদ কবি সংঘ গঠন করার পর একটি কবিতা পাঠের আসরে সাইয়িদ আতীকুল্লাকে কবিতা পাঠের অনুরোধ করলে তিনি তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। এতে এরশাদ খুশি হননি। তিনি যে খুশি হননি, তার প্রকাশ ঘটে অল্পদিনের মধ্যেই। জনতা ব্যাংকের প্রধান অফিস থেকে সাইয়িদ আতীকুল্লাহকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয় চট্টগ্রামে। শাস্তিটা যেন দ্রুত কার্যকর হয়, সে জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ওপর উপর্যুপরি চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে। সাইয়িদ আতীকুল্লাহ এ অবস্থায় পদত্যাগ করাকেই ঠিক পথ বলে মনে করেন।
এরশাদের কবিতা সংঘের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য তিনি ব্যাংক থেকে তাঁর প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা বঞ্চিত হন। কবির এই ভূমিকা ছিল অন্য অনেকের জন্য দৃষ্টান্তস্থানীয়। এরপর কিছুকাল বেকার ছিলেন তিনি। সংবাদ সম্পাদক আহমদুল কবির তাঁকে সংবাদে বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে যোগ দিতে আহ্বান জানান। তিনি সে অনুরোধ রেখেছিলেন।
সূত্র: আবুল হাসনাত, হারানো সিঁড়ির চাবির খোঁজে, পৃষ্ঠা ২৪৫-২৪৬
ক্ষমতা দখলের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কবিতা লেখা শুরু করেন। তাঁর চকচকে কবিতার বই বের হয়, পত্রপত্রিকার প্রথম পাতায় কিংবা সাহিত্য পাতায় এরশাদের কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। নবগঠিত কবিতা পরিষদকে প্রতিহত করার জন্য এরশাদ কবি সংঘ গঠন করেন। আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবের আয়োজন করেন। নানা দেশ থেকে কবি ও সাংবাদিকেরা এই সম্মেলনে যোগ দিলেও দেশের শীর্ষ কবি-লেখক এবং নবীন কবিরাও এই সম্মেলন বর্জন করেন। ফলে উৎসবটি ছিল প্রাণহীন।
যে কবিরা সরকারি চাকরি করতেন, তাঁদের কবি সংঘে যোগ দিতে বাধ্য করেন এরশাদ। চাকরির কারণে এরশাদকে পছন্দ না করলেও অনেক কবি সেই সংঘে যোগ দিতে বাধ্য হন। তবে অনেক চাটুকার কবিও জুটে যায় এরশাদের সঙ্গে। কবি সাইয়িদ আতীকুল্লাহ তখন ছিলেন জনতা ব্যাংকের জনসংযোগ অফিসার। প্রগতিশীল আন্দোলনের একজন যথার্থ কর্মী তিনি। পঠন-পাঠনে তাঁর ব্যাপ্তি ছিল ঈর্ষণীয়।
রাষ্ট্রপতি এরশাদ কবি সংঘ গঠন করার পর একটি কবিতা পাঠের আসরে সাইয়িদ আতীকুল্লাকে কবিতা পাঠের অনুরোধ করলে তিনি তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। এতে এরশাদ খুশি হননি। তিনি যে খুশি হননি, তার প্রকাশ ঘটে অল্পদিনের মধ্যেই। জনতা ব্যাংকের প্রধান অফিস থেকে সাইয়িদ আতীকুল্লাহকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয় চট্টগ্রামে। শাস্তিটা যেন দ্রুত কার্যকর হয়, সে জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ওপর উপর্যুপরি চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে। সাইয়িদ আতীকুল্লাহ এ অবস্থায় পদত্যাগ করাকেই ঠিক পথ বলে মনে করেন।
এরশাদের কবিতা সংঘের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য তিনি ব্যাংক থেকে তাঁর প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা বঞ্চিত হন। কবির এই ভূমিকা ছিল অন্য অনেকের জন্য দৃষ্টান্তস্থানীয়। এরপর কিছুকাল বেকার ছিলেন তিনি। সংবাদ সম্পাদক আহমদুল কবির তাঁকে সংবাদে বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে যোগ দিতে আহ্বান জানান। তিনি সে অনুরোধ রেখেছিলেন।
সূত্র: আবুল হাসনাত, হারানো সিঁড়ির চাবির খোঁজে, পৃষ্ঠা ২৪৫-২৪৬
নজরুলের মূল শক্তি ছিল তাঁর গতি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কোমলে-কঠোরে গড়া ছিল তাঁর জীবন। তাই প্রেমের কবিতা, সাম্যের কবিতা, ইসলামি কবিতা কিংবা শ্যামা সংগীত, কোনোখানেই তিনি স্থির হয়ে দাঁড়াননি। যা কিছু সুন্দর, তার প্রতি আস্থা রেখেছেন আজীবন।
৬ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসে সপ্তাহখানেক আগে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডেরিখ মার্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার...
৬ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের তারাকান্দা এন ইসলামিয়া একাডেমি কলেজে একজন আয়াকে প্রভাষক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে অফিস সহকারী নিয়োগ এবং একই প্রভাষককে দুই বিষয়ে নিয়োগ দেখিয়ে ২২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের...
৭ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
১ দিন আগে