লেখক, প্রধান শিক্ষক, সাতকানিয়া বাজালিয়া উচ্চবিদ্যালয়
শহীদ মৌলভী সৈয়দ এর দুঃসাহসিক জীবন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার সশস্ত্র বিপ্লব ও আত্মদান নিয়ে লিখেছেন তাঁর আপন চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম হোসাইনী।
১৯৪৪ সালের ১১ মার্চ বাঁশখালীর শেখেরখীলে জন্ম নেন শহীদ মৌলভী সৈয়দ। অবাক করা ব্যাপার হলো, বঙ্গবন্ধু এবং শহীদ মৌলভী সৈয়দের জন্ম, মৃত্যুর মাস একই। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সারা দেশে যে কজন বিপ্লবী অস্ত্র হাতে মাঠে নেমেছেন তার অন্যতম তিনি। শুধু তাই নয় তিনি ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর সাবেক মেয়র মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ সশস্ত্র বিপ্লবীদের সংগঠিত করেছেন, ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, দেশে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনও করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে কজন প্রাণ দিয়েছেন মৌলভী সৈয়দ তাদের মধ্যে প্রথম শহীদ।
৬৯ এর গণ-আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধসহ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন দেশ ও দলের প্রতি অনুগত এক বীর।
১৯৭১ সালে তিনি কোথায় কীভাবে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোথায় কোথায় করতেন তা পরিবারের কেউ জানত না। অথচ তাকে ধরতে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে পাক সেনারা। তাঁর বাবা, দুই চাচাসহ চারজনকে ধরে নির্যাতন করে।
অথচ যুদ্ধের পর মৌলভী সৈয়দ এলাকায় এসেই রাজাকার, আল বদরদের এক বাক্যে ক্ষমা করে দেন। পরিবারের সবাইকে বলেন তাদের ক্ষমা করে দিতে।
যোগ দেন দেশ গঠনে। ১৯৭৩ সালে তাঁকে বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেন বঙ্গবন্ধু। প্রচারণা, পোস্টার ছাপানোসহ সব কাজ করার পর তাঁর প্রার্থিতা বাদ দিয়ে শাহজাহান নামে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতি এতটাই অনুগত ছিলেন, বিনা প্রতিবাদে শাহজাহানের পক্ষে নির্বাচনে প্রচারণা শুরু করেন। শাহজাহান বিপুল ভোটে জয়ী হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শুরু হয় তার অন্য জীবন। যুদ্ধের পর তখন তার বয়স ৩১ বছর, নগরীর দেওয়ানহাটে এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়। তিনি চিঠি লিখে জানিয়ে দেন এখন আর বিয়ে সম্ভব নয়, আর ফিরবেন কিনা তাও নিশ্চিত নয়। সে বিয়ে আর করা হলো না তাঁর।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেকেই যখন খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলান, তখন মৌলভী সৈয়দ ও মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করেন।
প্রশিক্ষণ নিতে ভারত যান, বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনও বিভিন্ন জায়গায় করেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালের ৬ আগস্ট যশোরে ধরা পড়েন তিনি। নিয়ে আসা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেখানেই নির্যাতনের মুখে শহীদ হন। পরে ১০ আগস্ট তার বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়। ১১ আগস্ট তার মরদেহ বুঝে পান বাবা একরাম শিকদার।
শহীদ মৌলভী সৈয়দ এর দুঃসাহসিক জীবন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার সশস্ত্র বিপ্লব ও আত্মদান নিয়ে লিখেছেন তাঁর আপন চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম হোসাইনী।
১৯৪৪ সালের ১১ মার্চ বাঁশখালীর শেখেরখীলে জন্ম নেন শহীদ মৌলভী সৈয়দ। অবাক করা ব্যাপার হলো, বঙ্গবন্ধু এবং শহীদ মৌলভী সৈয়দের জন্ম, মৃত্যুর মাস একই। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সারা দেশে যে কজন বিপ্লবী অস্ত্র হাতে মাঠে নেমেছেন তার অন্যতম তিনি। শুধু তাই নয় তিনি ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর সাবেক মেয়র মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ সশস্ত্র বিপ্লবীদের সংগঠিত করেছেন, ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, দেশে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনও করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে কজন প্রাণ দিয়েছেন মৌলভী সৈয়দ তাদের মধ্যে প্রথম শহীদ।
৬৯ এর গণ-আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধসহ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন দেশ ও দলের প্রতি অনুগত এক বীর।
১৯৭১ সালে তিনি কোথায় কীভাবে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোথায় কোথায় করতেন তা পরিবারের কেউ জানত না। অথচ তাকে ধরতে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে পাক সেনারা। তাঁর বাবা, দুই চাচাসহ চারজনকে ধরে নির্যাতন করে।
অথচ যুদ্ধের পর মৌলভী সৈয়দ এলাকায় এসেই রাজাকার, আল বদরদের এক বাক্যে ক্ষমা করে দেন। পরিবারের সবাইকে বলেন তাদের ক্ষমা করে দিতে।
যোগ দেন দেশ গঠনে। ১৯৭৩ সালে তাঁকে বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেন বঙ্গবন্ধু। প্রচারণা, পোস্টার ছাপানোসহ সব কাজ করার পর তাঁর প্রার্থিতা বাদ দিয়ে শাহজাহান নামে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতি এতটাই অনুগত ছিলেন, বিনা প্রতিবাদে শাহজাহানের পক্ষে নির্বাচনে প্রচারণা শুরু করেন। শাহজাহান বিপুল ভোটে জয়ী হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শুরু হয় তার অন্য জীবন। যুদ্ধের পর তখন তার বয়স ৩১ বছর, নগরীর দেওয়ানহাটে এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়। তিনি চিঠি লিখে জানিয়ে দেন এখন আর বিয়ে সম্ভব নয়, আর ফিরবেন কিনা তাও নিশ্চিত নয়। সে বিয়ে আর করা হলো না তাঁর।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেকেই যখন খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলান, তখন মৌলভী সৈয়দ ও মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করেন।
প্রশিক্ষণ নিতে ভারত যান, বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনও বিভিন্ন জায়গায় করেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালের ৬ আগস্ট যশোরে ধরা পড়েন তিনি। নিয়ে আসা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেখানেই নির্যাতনের মুখে শহীদ হন। পরে ১০ আগস্ট তার বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়। ১১ আগস্ট তার মরদেহ বুঝে পান বাবা একরাম শিকদার।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি পাঠাগারে আক্রমণ চালিয়ে কিছু ব্যক্তি সব বইপুস্তক নিয়ে যায়। তাদের ইচ্ছে ছিল আগুন দিয়ে লাইব্রেরিটি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের হস্তক্ষেপে লাইব্রেরিটি ভস্মীভূত হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
৪ ঘণ্টা আগেমে দিবস আসে প্রতিবছর, আসে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিতে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট আন্দোলনের আগুন আজও নিভে যায়নি, বরং সময়ের পরম্পরায় সেই আগুনই আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্নে।
৪ ঘণ্টা আগেজার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়।
৪ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের দিন। সংক্ষেপে মে দিবসের ইতিহাস বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ঘটা শ্রমিক আন্দোলনের কথা বলতে হবে। এই জায়গায় ১৮৮৬ সালের ১ মে দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকেরা।
৪ ঘণ্টা আগে