সম্পাদকীয়
গত বছরই এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একটা রেজিমের পতন ঘটিয়েছিল। এ জন্য অসংখ্য তাজা প্রাণ বলি দিতে হয়েছে। কিন্তু আমলাতন্ত্রে যে কোনো পরিবর্তন হয়নি, সেটা বুঝতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আমলারা নিজের গামলা ভরার বিষয়টি ভালো বোঝেন। এ নিয়েই ২০ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। খবর থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অফিস সময়ে অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের জন্য সম্মানী গ্রহণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের সভায় অংশগ্রহণের জন্য আলাদা সম্মানী গ্রহণের যে প্রথা প্রচলিত আছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ঘটায়। বিশেষত, যখন এই সভাগুলো অফিস চলাকালে অনুষ্ঠিত হয়, তখন কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়া একটা অনৈতিক ব্যাপার। যদি কোনো সভা অফিস সময়ের পরে অনুষ্ঠিত হয় এবং যেখানে কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সময় ও শ্রম দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে সম্মানী প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু অফিস চলাকালীন স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানী গ্রহণের প্রথা বন্ধ করাটা ন্যায়সংগত, এত দিন যা হয়েছে তা অন্যায়।
করোনা মহামারির সময় ‘মিটিং অ্যালাউন্স’ পরিহার করার যে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তা সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের একটি অংশের মধ্যে অফিস সময়ে সভা করে সম্মানী গ্রহণের প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। এই চর্চা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার চিত্রের পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরের সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে প্রশ্ন আকারে হাজির হয়। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রথা চালু থাকা উচিত নয়। একজন সরকারি কর্মকর্তা যখন তাঁর দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে কোনো সভায় অংশ নেন, তখন এর জন্য আলাদা সম্মানী দাবি করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত হতে পারে না। কারণ, তাঁরা তো চাকরি করার সুবাদে মাসিক বেতনসহ নানা ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এই নির্দেশনা একদিকে যেমন আর্থিক সাশ্রয় করবে, তেমনি অন্যদিকে কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যনিষ্ঠা বাড়াতে সহায়ক হবে। আমরা আশা করব, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারি দপ্তরেও এই নির্দেশনা কার্যকর করা হোক।
এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের দায়িত্ব হবে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করা এবং কোনো ধরনের ব্যতিক্রম যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয়কেও এই বিষয়ে উৎসাহিত করা উচিত, যাতে সরকারি ব্যয়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এই পদক্ষেপ সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধে সহায়ক হবে। তবে ব্যাপারটি শুধু নির্দেশনা আকারে হলে হবে না। এ নির্দেশনা কার্যকর করার জন্য রাষ্ট্রের সব মন্ত্রণালয়ের জন্য গেজেট আকারে জারি করতে হবে।
গত বছরই এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একটা রেজিমের পতন ঘটিয়েছিল। এ জন্য অসংখ্য তাজা প্রাণ বলি দিতে হয়েছে। কিন্তু আমলাতন্ত্রে যে কোনো পরিবর্তন হয়নি, সেটা বুঝতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আমলারা নিজের গামলা ভরার বিষয়টি ভালো বোঝেন। এ নিয়েই ২০ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। খবর থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অফিস সময়ে অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণের জন্য সম্মানী গ্রহণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের সভায় অংশগ্রহণের জন্য আলাদা সম্মানী গ্রহণের যে প্রথা প্রচলিত আছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ঘটায়। বিশেষত, যখন এই সভাগুলো অফিস চলাকালে অনুষ্ঠিত হয়, তখন কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়া একটা অনৈতিক ব্যাপার। যদি কোনো সভা অফিস সময়ের পরে অনুষ্ঠিত হয় এবং যেখানে কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সময় ও শ্রম দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে সম্মানী প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু অফিস চলাকালীন স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানী গ্রহণের প্রথা বন্ধ করাটা ন্যায়সংগত, এত দিন যা হয়েছে তা অন্যায়।
করোনা মহামারির সময় ‘মিটিং অ্যালাউন্স’ পরিহার করার যে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তা সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের একটি অংশের মধ্যে অফিস সময়ে সভা করে সম্মানী গ্রহণের প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। এই চর্চা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার চিত্রের পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরের সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে প্রশ্ন আকারে হাজির হয়। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রথা চালু থাকা উচিত নয়। একজন সরকারি কর্মকর্তা যখন তাঁর দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে কোনো সভায় অংশ নেন, তখন এর জন্য আলাদা সম্মানী দাবি করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত হতে পারে না। কারণ, তাঁরা তো চাকরি করার সুবাদে মাসিক বেতনসহ নানা ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এই নির্দেশনা একদিকে যেমন আর্থিক সাশ্রয় করবে, তেমনি অন্যদিকে কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যনিষ্ঠা বাড়াতে সহায়ক হবে। আমরা আশা করব, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারি দপ্তরেও এই নির্দেশনা কার্যকর করা হোক।
এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের দায়িত্ব হবে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করা এবং কোনো ধরনের ব্যতিক্রম যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয়কেও এই বিষয়ে উৎসাহিত করা উচিত, যাতে সরকারি ব্যয়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এই পদক্ষেপ সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধে সহায়ক হবে। তবে ব্যাপারটি শুধু নির্দেশনা আকারে হলে হবে না। এ নির্দেশনা কার্যকর করার জন্য রাষ্ট্রের সব মন্ত্রণালয়ের জন্য গেজেট আকারে জারি করতে হবে।
লুটপাটের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর দলবল। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়েছিলেন সম্পদ লুণ্ঠনের অধিকার। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে রয়ে গেছে লুটেরা সিন্ডিকেট। গণমাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখল
৭ ঘণ্টা আগেশান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
২০ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
২০ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০ ঘণ্টা আগে