সম্পাদকীয়
অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস ও ভিয়েতনামে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ‘পেস্টিসাইড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এশিয়া প্যাসিফিক’ (পানাপ)নামের গবেষণা সংস্থা ‘সোয়িং হার্ম: দ্য মাল্টিফেসেটেড ইমপ্যাক্ট অব পেস্টিসাইডস ইন ফোর কান্ট্রিজ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা এসব দেশের মানুষের ওপর স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কার চিত্র ফুটে উঠেছে। এ নিয়ে ৯ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা থেকে জানা যায়, কীটনাশকের দূষণের মাত্রায় লাওস সবার শীর্ষে অবস্থান করছে, সেখানকার খাবারে বিষাক্ত উপাদান ৯০ শতাংশের বেশি; ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, সেখানে প্রায় ৭৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ৪৬ শতাংশ খাবারে ক্ষতিকর কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব দেশের সবজি, চাল ও দুধে এই বিষাক্ততার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেশি।
পানাপের গবেষণা অনুযায়ী, কৃষক, নারী ও শিশুরা সরাসরি এই বিষাক্ত উপাদানের সংস্পর্শে আসার কারণে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ফসলের খেতে সরাসরি কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বাতাস, বৃষ্টির পানি ও মাটির সঙ্গে মিশে পানি, বাস্তুতন্ত্র এমনকি ধূলিকণাকেও বিষাক্ত করে তুলছে। অথচ বাস্তবতা হলো, এ ধরনের ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই পরিবেশবান্ধব উপায়ে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
লাওসের উদাহরণ বিশেষভাবে ভীতিকর। নিয়মিত সবজি খায় এমন ৪২ শতাংশ মানুষ কলিনেস্টেরেজ ইনহিবিশনে আক্রান্ত। এটি এমন একটি রোগ, যার কারণে অনিদ্রা, বমি, মাথা ঘোরাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে এটি বড় ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। মূলত অর্গানোফসফেট ও কার্বামেট কীটনাশকের প্রভাবেই এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ভারতে দুধ ও এলাচিতেও অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই ভয়াবহ চিত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে যে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জন্য এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ জন্য অবিলম্বে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কীটনাশকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে এর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহারে কৃষককে উৎসাহিত করতে হবে। কৃষককে নিরাপদ ও টেকসই কৃষিপদ্ধতির জন্য উৎসাহিত করে সরকারিভাবে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্যে কীটনাশকের উপস্থিতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। পাশাপাশি যাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করছেন, তাঁদের বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে অনেকেই উৎসাহিত হয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আকৃষ্ট হবেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে, খাদ্য শুধু ক্ষুধা নিবারণের উৎস নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনের ভিত্তি। যদি এই ভিত্তি বিষাক্ত হয়ে যায়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মহা বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই কালক্ষেপণ না করে, এখনই সম্মিলিতভাবে এই বিষাক্ত চক্র ভাঙার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অপরিসীম।
অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস ও ভিয়েতনামে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ‘পেস্টিসাইড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এশিয়া প্যাসিফিক’ (পানাপ)নামের গবেষণা সংস্থা ‘সোয়িং হার্ম: দ্য মাল্টিফেসেটেড ইমপ্যাক্ট অব পেস্টিসাইডস ইন ফোর কান্ট্রিজ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা এসব দেশের মানুষের ওপর স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কার চিত্র ফুটে উঠেছে। এ নিয়ে ৯ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা থেকে জানা যায়, কীটনাশকের দূষণের মাত্রায় লাওস সবার শীর্ষে অবস্থান করছে, সেখানকার খাবারে বিষাক্ত উপাদান ৯০ শতাংশের বেশি; ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, সেখানে প্রায় ৭৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ৪৬ শতাংশ খাবারে ক্ষতিকর কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব দেশের সবজি, চাল ও দুধে এই বিষাক্ততার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেশি।
পানাপের গবেষণা অনুযায়ী, কৃষক, নারী ও শিশুরা সরাসরি এই বিষাক্ত উপাদানের সংস্পর্শে আসার কারণে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ফসলের খেতে সরাসরি কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বাতাস, বৃষ্টির পানি ও মাটির সঙ্গে মিশে পানি, বাস্তুতন্ত্র এমনকি ধূলিকণাকেও বিষাক্ত করে তুলছে। অথচ বাস্তবতা হলো, এ ধরনের ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই পরিবেশবান্ধব উপায়ে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
লাওসের উদাহরণ বিশেষভাবে ভীতিকর। নিয়মিত সবজি খায় এমন ৪২ শতাংশ মানুষ কলিনেস্টেরেজ ইনহিবিশনে আক্রান্ত। এটি এমন একটি রোগ, যার কারণে অনিদ্রা, বমি, মাথা ঘোরাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে এটি বড় ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। মূলত অর্গানোফসফেট ও কার্বামেট কীটনাশকের প্রভাবেই এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ভারতে দুধ ও এলাচিতেও অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই ভয়াবহ চিত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে যে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জন্য এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ জন্য অবিলম্বে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কীটনাশকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে এর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহারে কৃষককে উৎসাহিত করতে হবে। কৃষককে নিরাপদ ও টেকসই কৃষিপদ্ধতির জন্য উৎসাহিত করে সরকারিভাবে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্যে কীটনাশকের উপস্থিতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। পাশাপাশি যাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করছেন, তাঁদের বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে অনেকেই উৎসাহিত হয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আকৃষ্ট হবেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে, খাদ্য শুধু ক্ষুধা নিবারণের উৎস নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনের ভিত্তি। যদি এই ভিত্তি বিষাক্ত হয়ে যায়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মহা বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই কালক্ষেপণ না করে, এখনই সম্মিলিতভাবে এই বিষাক্ত চক্র ভাঙার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অপরিসীম।
নেদারল্যান্ডসের নাগরিক পিটার ভ্যান উইঙ্গারডেন ও মিনকে ভ্যান উইঙ্গারডেন। তাঁরা ২০১২ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে বিজনেস ট্রিপে গিয়েছিলেন। সেখানে হারিকেন স্যান্ডির মুখোমুখি হন। হারিকেন স্যান্ডি ম্যানহাটানকে প্লাবিত করে। সেখানকার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়। ঝড়ের কারণে
১৭ ঘণ্টা আগেআমাদের পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রে শ্রমিকশ্রেণির প্রকৃত স্বার্থরক্ষার উপায় নেই। যেহেতু বিদ্যমান ব্যবস্থাটি হচ্ছে শ্রম-শোষণের এবং শ্রমিক-নিগ্রহের উর্বর ক্ষেত্র। সে ক্ষেত্রে শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থরক্ষা কিংবা সুরক্ষার উপায় নেই। শ্রমিকমাত্রই শ্রমবাজারে শ্রম বিনিয়োগ করবেন এবং বিনিময়ে পাবেন মজুরি।
১৭ ঘণ্টা আগেদিন দিন আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। মানসিক বিড়ম্বনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ধারণাটা হয়তো এ রকম যে, মরতে যখন হবেই তখন আজই কী আর কালইবা কী! স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা যখন নেই, তখন অস্বাভাবিক মৃত্যু যেকোনো সময় হতেই পারে। তবে মৃত্যুর প্রস্তুতিটা সহজ নয়; বেশ কঠিন।
১৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদী থেকে চিংড়ির পোনা সংগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। নদী থেকে এভাবে পোনা মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু তাদের দৈনিক আয় সামান্য হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তারা এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তারা বিকল্প জীবিকার কথা বলে
১৭ ঘণ্টা আগে