সম্পাদকীয়
আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা একটি বিভাগীয় শহর নয় শুধু, সারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ জন্য সমন্বিত পরিকল্পনার আলোকে সড়কব্যবস্থাকে বিন্যস্ত করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মহাপরিকল্পনার আলোকে সড়ক-মহাসড়ক ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়, সে প্রশ্নটি থেকে যায়। যে কারণে সড়কের কাজ সময়মতো শেষ হয় না।
ফলে বিপুল অর্থের অপচয় হয়। সেই সঙ্গে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতির দিকটিও উঠে আসে। তাই সড়ক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, রাজশাহীর তালাইমারী থেকে কাটাখালী বাজার পর্যন্ত যে সড়কটি চলে গেছে, এর দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। এর উত্তরে অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি রাজশাহী মহানগরীতে প্রবেশের প্রধান সড়কও। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কথা। কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে। ফলে খানাখন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম শহর রাজশাহী অনেক আগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সবুজের নগরী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। ইউনেসকো শহরটিকে গ্রিন সিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ল্যাম্পপোস্টগুলো রাতের বেলা আলো-আঁধারির আবহ তৈরি করে এখানে।
এ ছাড়া রাস্তার মাঝখান দিয়ে লাগানো সারি সারি সবুজ গাছের কারণে চমৎকার এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এই উন্নয়ন কিন্তু কম সময়ে সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়রকে কৃতিত্ব না দিয়ে উপায় নেই। কিন্তু মাত্র চার কিলোমিটার সড়কের কারণে পুরো নগরীর সৌন্দর্য যে হোঁচট খাচ্ছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
সারা দেশের সড়কে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনায় সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা কমানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, বাস্তবিক অর্থে তা পূরণ হচ্ছে না; বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়কে অব্যবস্থাপনা বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। আবার স্থানীয় পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এসব সড়ক টেকসইও হচ্ছে না।
রাজশাহীর এই সড়কের মতো দেশের এমন আরও অনেক সড়কের খবর প্রায়ই উঠে আসে খবরে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ প্রকল্পের অধিকাংশ প্রকল্প প্রণয়নই করা হয় অর্থ লোপাটের কথা চিন্তা করে। কে কত বেশি কমিশন দেবে তার ভিত্তিতেই নাকি কার্যাদেশ বণ্টন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের নির্মাণ ও সংস্কারকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন না করে দেশে যে হরিলুটের সংস্কৃতি চালু রয়েছে, তার অবসান হওয়া জরুরি।
কীভাবে অবসান হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই ভালো জানে। কিন্তু ‘কবে হবে?’—প্রশ্নটা মাথায় রয়েই যায়। যাঁরা ওই পথে চলাচল করেন, তাঁরাই জানেন প্রতিনিয়ত ‘কাঁটা সরিয়ে’ রাস্তা পার হওয়ার ঝক্কি কেমন। তাঁদের মাথায় এই প্রশ্ন রয়ে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা একটি বিভাগীয় শহর নয় শুধু, সারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ জন্য সমন্বিত পরিকল্পনার আলোকে সড়কব্যবস্থাকে বিন্যস্ত করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মহাপরিকল্পনার আলোকে সড়ক-মহাসড়ক ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়, সে প্রশ্নটি থেকে যায়। যে কারণে সড়কের কাজ সময়মতো শেষ হয় না।
ফলে বিপুল অর্থের অপচয় হয়। সেই সঙ্গে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতির দিকটিও উঠে আসে। তাই সড়ক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, রাজশাহীর তালাইমারী থেকে কাটাখালী বাজার পর্যন্ত যে সড়কটি চলে গেছে, এর দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। এর উত্তরে অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি রাজশাহী মহানগরীতে প্রবেশের প্রধান সড়কও। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কথা। কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে। ফলে খানাখন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম শহর রাজশাহী অনেক আগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সবুজের নগরী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। ইউনেসকো শহরটিকে গ্রিন সিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ল্যাম্পপোস্টগুলো রাতের বেলা আলো-আঁধারির আবহ তৈরি করে এখানে।
এ ছাড়া রাস্তার মাঝখান দিয়ে লাগানো সারি সারি সবুজ গাছের কারণে চমৎকার এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এই উন্নয়ন কিন্তু কম সময়ে সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়রকে কৃতিত্ব না দিয়ে উপায় নেই। কিন্তু মাত্র চার কিলোমিটার সড়কের কারণে পুরো নগরীর সৌন্দর্য যে হোঁচট খাচ্ছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
সারা দেশের সড়কে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনায় সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা কমানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, বাস্তবিক অর্থে তা পূরণ হচ্ছে না; বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়কে অব্যবস্থাপনা বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। আবার স্থানীয় পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এসব সড়ক টেকসইও হচ্ছে না।
রাজশাহীর এই সড়কের মতো দেশের এমন আরও অনেক সড়কের খবর প্রায়ই উঠে আসে খবরে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ প্রকল্পের অধিকাংশ প্রকল্প প্রণয়নই করা হয় অর্থ লোপাটের কথা চিন্তা করে। কে কত বেশি কমিশন দেবে তার ভিত্তিতেই নাকি কার্যাদেশ বণ্টন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের নির্মাণ ও সংস্কারকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন না করে দেশে যে হরিলুটের সংস্কৃতি চালু রয়েছে, তার অবসান হওয়া জরুরি।
কীভাবে অবসান হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই ভালো জানে। কিন্তু ‘কবে হবে?’—প্রশ্নটা মাথায় রয়েই যায়। যাঁরা ওই পথে চলাচল করেন, তাঁরাই জানেন প্রতিনিয়ত ‘কাঁটা সরিয়ে’ রাস্তা পার হওয়ার ঝক্কি কেমন। তাঁদের মাথায় এই প্রশ্ন রয়ে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
২ দিন আগে