সম্পাদকীয়
লোকসংগীত নিয়ে কথা বলছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। নানা ধরনের অনুষঙ্গ এসে লোকসংগীতে কলুষ ছড়াচ্ছে, সেটাই ছিল তাঁর আক্ষেপের বিষয়। একবার বিচারক হয়ে গিয়েছিলেন কোনো লোকসংগীত প্রতিযোগিতায়। অবাক হয়ে লক্ষ করলেন, যাঁরা গাইছেন, তাঁদের কারও কণ্ঠে মাটির সোঁদা গন্ধ নেই। একেবারে পলিশ করা শহুরে কণ্ঠে তাঁরা লোকসংগীত গাইছেন। এতে খুব হতাশ হয়েছিলেন তিনি।
তাই বলে লোকসংগীত এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকবে, এমনটা তিনি ভাবেননি। লোকসংগীতও পরিবর্তনশীল। কিন্তু সেই পরিবর্তনের একটা নিজস্ব ধারা আছে। বাইরে থেকে তা করা যায় না। লোকসংগীত আর গণসংগীতে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের নামটি চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ‘বাইন্যাচঙ্গের প্রাণবিদারী, ম্যালেরিয়া মহামারি, হাজার হাজার নরনারী মরছে অসহায়...’ গানটি গেয়ে যখন পাড়া-মহল্লায় চাঁদা তুলতেন, তখন চোখের জল ফেলতে ফেলতে পাড়ার নারী-পুরুষ সবাই চাঁদা দিতেন।
সেই হেমাঙ্গ বিশ্বাস সুরের আঞ্চলিকতা নিয়ে কী ভাবতেন, সেটাই বলছি। লোকসংগীতে শুধু আঞ্চলিকতা রক্ষাই নয়, আঞ্চলিক উপভাষার বিশেষ উচ্চারণভঙ্গিটিও সংরক্ষণের পক্ষে ছিলেন তিনি। যেমন, পূর্ববঙ্গে ‘চাঁদ’ না বলে ‘চান’ বা ‘চান্দ’ বলা হয়, সেভাবেই গাইতে হবে গান। যদি উচ্চারণে ‘তুমার’ থাকে, তাহলে ‘তোমার’ বলা যাবে না। উত্তরবঙ্গে বলা ‘কয়া যাও’কে ‘কৈয়া যাও’ বলা যাবে না। ‘কেনে আইলাম’কে ‘কেন আইলাম’ বলা যাবে না।
লোকসংগীত আর গণসংগীত ছিল হেমাঙ্গ বিশ্বাসের প্রাণ। জেলখানায় যক্ষ্মা হয়েছিল তাঁর। বাঁচবেন না বোধ হয়। ইংরেজ সাহেব এসে হাতে ধরিয়ে দিল সাদা কাগজ। বন্ড দিতে হবে, আর স্বদেশি আন্দোলন করবেন না, স্বদেশি গান করবেন না। হেমাঙ্গ বিশ্বাস তাকালেন সাহেবের দিকে। হাসলেন। বন্ডে সই করলেন না। কাশির সঙ্গে রক্ত আসছিল ঠিকই; কিন্তু স্বদেশের কথা বলতে না পারলে সে মুক্তি কোনো মুক্তি নয়, সেটা বুঝে জেলে থাকাই সংগত মনে করলেন।
সূত্র: হেমাঙ্গ বিশ্বাস, গানের বাহিরানা
লোকসংগীত নিয়ে কথা বলছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। নানা ধরনের অনুষঙ্গ এসে লোকসংগীতে কলুষ ছড়াচ্ছে, সেটাই ছিল তাঁর আক্ষেপের বিষয়। একবার বিচারক হয়ে গিয়েছিলেন কোনো লোকসংগীত প্রতিযোগিতায়। অবাক হয়ে লক্ষ করলেন, যাঁরা গাইছেন, তাঁদের কারও কণ্ঠে মাটির সোঁদা গন্ধ নেই। একেবারে পলিশ করা শহুরে কণ্ঠে তাঁরা লোকসংগীত গাইছেন। এতে খুব হতাশ হয়েছিলেন তিনি।
তাই বলে লোকসংগীত এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকবে, এমনটা তিনি ভাবেননি। লোকসংগীতও পরিবর্তনশীল। কিন্তু সেই পরিবর্তনের একটা নিজস্ব ধারা আছে। বাইরে থেকে তা করা যায় না। লোকসংগীত আর গণসংগীতে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের নামটি চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ‘বাইন্যাচঙ্গের প্রাণবিদারী, ম্যালেরিয়া মহামারি, হাজার হাজার নরনারী মরছে অসহায়...’ গানটি গেয়ে যখন পাড়া-মহল্লায় চাঁদা তুলতেন, তখন চোখের জল ফেলতে ফেলতে পাড়ার নারী-পুরুষ সবাই চাঁদা দিতেন।
সেই হেমাঙ্গ বিশ্বাস সুরের আঞ্চলিকতা নিয়ে কী ভাবতেন, সেটাই বলছি। লোকসংগীতে শুধু আঞ্চলিকতা রক্ষাই নয়, আঞ্চলিক উপভাষার বিশেষ উচ্চারণভঙ্গিটিও সংরক্ষণের পক্ষে ছিলেন তিনি। যেমন, পূর্ববঙ্গে ‘চাঁদ’ না বলে ‘চান’ বা ‘চান্দ’ বলা হয়, সেভাবেই গাইতে হবে গান। যদি উচ্চারণে ‘তুমার’ থাকে, তাহলে ‘তোমার’ বলা যাবে না। উত্তরবঙ্গে বলা ‘কয়া যাও’কে ‘কৈয়া যাও’ বলা যাবে না। ‘কেনে আইলাম’কে ‘কেন আইলাম’ বলা যাবে না।
লোকসংগীত আর গণসংগীত ছিল হেমাঙ্গ বিশ্বাসের প্রাণ। জেলখানায় যক্ষ্মা হয়েছিল তাঁর। বাঁচবেন না বোধ হয়। ইংরেজ সাহেব এসে হাতে ধরিয়ে দিল সাদা কাগজ। বন্ড দিতে হবে, আর স্বদেশি আন্দোলন করবেন না, স্বদেশি গান করবেন না। হেমাঙ্গ বিশ্বাস তাকালেন সাহেবের দিকে। হাসলেন। বন্ডে সই করলেন না। কাশির সঙ্গে রক্ত আসছিল ঠিকই; কিন্তু স্বদেশের কথা বলতে না পারলে সে মুক্তি কোনো মুক্তি নয়, সেটা বুঝে জেলে থাকাই সংগত মনে করলেন।
সূত্র: হেমাঙ্গ বিশ্বাস, গানের বাহিরানা
বাংলাদেশে এখন আমের মৌসুম। এ সময়টায় কৃষকের চোখে-মুখে থাকে আশার আলো। সারা বছরের পরিশ্রমে ফলানো ফসল বিক্রি করে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কিছু ভুল ধারণা ও অজ্ঞতার কারণে ‘কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো’ অভিযোগে টন টন আম প্রশাসনের হাতে জব্দ ও ধ্বংস হচ্ছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরায় প্রায়
৩ ঘণ্টা আগেআপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাতবিশেষ—এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব—এই আস্থা আপনার ছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে১৯৪৭ সালের ভারত দেশ বিভাগের বিভীষিকা যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই প্রজন্ম দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ ভারত ও পাকিস্তান দুপাশের সীমান্তে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মূল কারণই হলো, যাঁরা এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিংবা সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন, তাঁরা পরে এ নিয়ে অনুশোচনা ও আফসোস করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে।
১৭ ঘণ্টা আগে