সম্পাদকীয়
একসময় সরকারি কাজে কোথাও কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম-অপচয় হলে একটি বাক্য উচ্চারিত হতো: সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল; অর্থাৎ সরকারি টাকা নদীতে ফেলো। গত ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘একটা জিনিস আমি লক্ষ করি, প্রত্যেক অফিসারের ভেতর আগে যেমন সরকারি মাল দরিয়া মে ঢালপ্রবণতা ছিল, এখন সেটা নেই। আজকে প্রত্যেকে নিজের কাজটা নিজের বলে গ্রহণ করেছেন, আপনার দায়িত্বটা আপনি নিজে গ্রহণ করছেন এবং বাস্তবায়ন করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
বলা যায় দেশে সরকারের সব কাজকর্ম সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পন্ন হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য আছে এবং কর্মকর্তাদের কর্মনিপুণতায় তিনি সন্তুষ্ট। সন্তুষ্টি না থাকলে কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার এমন ঢালাও প্রশংসা করতেন না। প্রধানমন্ত্রী হয়তো তাঁর কাছে যেসব তথ্য আছে তার ভিত্তিতেই কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাজের যেসব খবর বের হয়, তা থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কষ্ট হয় যে, সব জায়গায় সব কাজ স্বচ্ছ এবং সততার সঙ্গে হচ্ছে; বরং অনিয়ম, অপচয় ও অর্থের নয়ছয়ের খবরই প্রকাশ পায়।
২৭ আগস্ট আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘৩ হাজার কোটি টাকায় কী হলো’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প চলছে। ৩ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকার কাজ শেষও হয়েছে এর মধ্যেই। কিন্তু গত বুধবার দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরো নগরী পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। চার ঘণ্টার বেশি সময় পানি জমে থাকায় নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া গত দুই মাসে কমপক্ষে ১৫ দিন নগরীর নিম্নাঞ্চল ডুবেছিল পানিতে। সিটি মেয়রের বাসাও পানিমুক্ত ছিল না। কেউ কেউ এমনও অভিযোগ করেছেন যে এত এত প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে অথচ আগে যেসব এলাকায় পানি উঠত না, এখন সেসব এলাকাও ডুবছে। তাহলে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের সুফল কী?
হয়তো বলা হবে, এখনো যেহেতু কাজ শেষ হয়নি, সেহেতু এ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক না। চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে একাধিক সংস্থা। ভালোভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের একজন নগর-পরিকল্পনাবিদ। সবাই সবার মতো কাজ করতে গেলে জটিলতা দেখা দেয় । অর্থ বরাদ্দ না থাকাসহ আরও নানা কারণে কোনো কোনো কাজ থমকে আছে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারলে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার সমস্যা নতুন নয়। তিনজন মেয়রের মেয়াদকাল শেষ হয়েছে। কিন্তু নগরবাসীর দুর্ভোগ দূর হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কেন হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও সমস্যার সমাধান হবে না, তার কৈফিয়ত কাউকে না কাউকে দিতে হবে। সরকার কা মাল তো আসলে জনগণেরই মাল। জনগণের টাকা ব্যয় করে জনকল্যাণ নিশ্চিত না হওয়া দুঃখজনক।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বছরের পর বছর জনদুর্ভোগ নিরসন না করে স্বস্তিতে থাকা যাবে না।
একসময় সরকারি কাজে কোথাও কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম-অপচয় হলে একটি বাক্য উচ্চারিত হতো: সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল; অর্থাৎ সরকারি টাকা নদীতে ফেলো। গত ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘একটা জিনিস আমি লক্ষ করি, প্রত্যেক অফিসারের ভেতর আগে যেমন সরকারি মাল দরিয়া মে ঢালপ্রবণতা ছিল, এখন সেটা নেই। আজকে প্রত্যেকে নিজের কাজটা নিজের বলে গ্রহণ করেছেন, আপনার দায়িত্বটা আপনি নিজে গ্রহণ করছেন এবং বাস্তবায়ন করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
বলা যায় দেশে সরকারের সব কাজকর্ম সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পন্ন হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য আছে এবং কর্মকর্তাদের কর্মনিপুণতায় তিনি সন্তুষ্ট। সন্তুষ্টি না থাকলে কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার এমন ঢালাও প্রশংসা করতেন না। প্রধানমন্ত্রী হয়তো তাঁর কাছে যেসব তথ্য আছে তার ভিত্তিতেই কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাজের যেসব খবর বের হয়, তা থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কষ্ট হয় যে, সব জায়গায় সব কাজ স্বচ্ছ এবং সততার সঙ্গে হচ্ছে; বরং অনিয়ম, অপচয় ও অর্থের নয়ছয়ের খবরই প্রকাশ পায়।
২৭ আগস্ট আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘৩ হাজার কোটি টাকায় কী হলো’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প চলছে। ৩ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকার কাজ শেষও হয়েছে এর মধ্যেই। কিন্তু গত বুধবার দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরো নগরী পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। চার ঘণ্টার বেশি সময় পানি জমে থাকায় নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া গত দুই মাসে কমপক্ষে ১৫ দিন নগরীর নিম্নাঞ্চল ডুবেছিল পানিতে। সিটি মেয়রের বাসাও পানিমুক্ত ছিল না। কেউ কেউ এমনও অভিযোগ করেছেন যে এত এত প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে অথচ আগে যেসব এলাকায় পানি উঠত না, এখন সেসব এলাকাও ডুবছে। তাহলে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের সুফল কী?
হয়তো বলা হবে, এখনো যেহেতু কাজ শেষ হয়নি, সেহেতু এ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক না। চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে একাধিক সংস্থা। ভালোভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের একজন নগর-পরিকল্পনাবিদ। সবাই সবার মতো কাজ করতে গেলে জটিলতা দেখা দেয় । অর্থ বরাদ্দ না থাকাসহ আরও নানা কারণে কোনো কোনো কাজ থমকে আছে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারলে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার সমস্যা নতুন নয়। তিনজন মেয়রের মেয়াদকাল শেষ হয়েছে। কিন্তু নগরবাসীর দুর্ভোগ দূর হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কেন হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও সমস্যার সমাধান হবে না, তার কৈফিয়ত কাউকে না কাউকে দিতে হবে। সরকার কা মাল তো আসলে জনগণেরই মাল। জনগণের টাকা ব্যয় করে জনকল্যাণ নিশ্চিত না হওয়া দুঃখজনক।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বছরের পর বছর জনদুর্ভোগ নিরসন না করে স্বস্তিতে থাকা যাবে না।
আপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাতবিশেষ—এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব—এই আস্থা আপনার ছিল।
২ ঘণ্টা আগে১৯৪৭ সালের ভারত দেশ বিভাগের বিভীষিকা যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই প্রজন্ম দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ ভারত ও পাকিস্তান দুপাশের সীমান্তে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মূল কারণই হলো, যাঁরা এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিংবা সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন, তাঁরা পরে এ নিয়ে অনুশোচনা ও আফসোস করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে।
৩ ঘণ্টা আগেঅপরাধ করেছে সন্তান। আর নাকে ‘খত’ দিয়েছেন মা। এ রকম ‘অভিনব’ বিচার হয়েছে ফেনীতে। বিচার করেছেন বিএনপির এক নেতা। অনেকে বলেন, সন্তানের অপরাধের সাজা নাকি মা-বাবা ভোগ করেন। সেই সাজা মূলত মানসিক পীড়া। সন্তানের অপরাধের শাস্তি হলে মা-বাবার মনোবেদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা সাজার চেয়ে তো কম কিছু না।
৩ ঘণ্টা আগে